পৃথিবীটা গোল দেখা হতে ও পারে " হঠাৎ দেখা "||
আজ - ২১ই, কার্তিক |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল ||
নমস্কার - আদাব । মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
নমস্কার - আদাব । মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : Pixabay Images
খুব বেশি দিনের কথা নয় যখন আমি রোজ স্কুল যাওয়ার পথে সেই মানুষটির সাথে দেখা করতাম একসাথে একই পথে প্রত্যেকদিন যাওয়া আসা ৷ এভাবে চলছে যেন একটি সুন্দর জীবন ৷ আসলে কথাই বলে যে সময় আর বয়স একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে আসে না ৷ দেখতে দেখতেই দুজনের মনের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি জানি না সেটা ঠিক ভালোবাসা নাকি প্রেম ৷ এক পর্যায়ে মনের মধ্যে এক অদ্ভুত অনুভূতি সৃষ্টি হলো আর এ থেকেই দু-জন দুজনে যেন একি হৃদয়ের একাই শুধুই বাঁধা৷
ঠিক যখন আমি ক্লাস টেন দশম শ্রেণীর ছাত্র ৷ সবকিছু বেশ ভালোই চলছিল ৷ প্রতিদিন প্রিয় মানুষটির সাথে একি ক্লাসে একি সিটে পাশাপাশি ৷ দেখতে দেখতে ফাইনাল পরীক্ষা চলে এলো ৷ আর এ ফাইনাল পরীক্ষার পর আমরা একই কলেজে ভর্তি হবো৷ একই সাথে যাবো সত্যিই অনেক অনেক স্বপ্ন দুটি মনের মধ্যে জেগে ছিল৷ কিন্তু সে স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে গেল৷ হঠাৎ এসএসসি পরীক্ষার এক মাস আগে তাকে না কি দেখতে এসেছে ৷ এখন আমাদের একমাত্র একটাই পথ পালিয়ে যাওয়া ৷ আসলে এই টিনেজ বয়সটা হলো সত্যিই এক অন্যরকম অনুভূতি৷ মনের মধ্যে ঠিক যেই চেতনা তাই কাজ করে তাই যেন করতে বাধ্য করে৷
কিন্তু ছেলেটি অনেক চিন্তাভাবনা করার পর সে পথে আর এগোতে হতে পারেনি৷ কারণ তার পরিবার ছিল দরিদ্র নিজের কর্ম ক্ষেত্রেই করতে পারে নি৷ সে কিভাবে এত বড় একটি দুর্গম পথে হাঁটবে সবকিছু চিন্তা ভাবনা করার পর সবকিছু কি বাস্তবিক মনে ধারণ করে কষ্টের বুকে পাথর চাপা দিয়ে সে পথ থেকে নিজেই সরিয়ে গেছে ৷ সে মনে মনে ভেবেছিল তার পথটা অনেক দুর ৷ আর তাইতো সে হাসিমুখেই প্রিয় মানুষটির হাত ছেড়ে দিয়ে সেই পথের সঙ্গী একাই হল৷
এই ছেলেটি আর কেউ নয় আমি @gopiray
আআপনাদের মাঝে কয়েকদিন আগে একটি গান উপস্থাপনা করেছিলাম ৷ যেখানে আপনাদের বলেছিলাম যে এই গানটির পিছনে একটি কারণ ছিল ৷ কারণ হঠাৎ করে সেই প্রিয় মানুষটি দেখা আর তাইতো সেদিনমনের মধ্যে এক অশ্রু হাহাকার সৃষ্টি করেছে। মনে পড়েছিল সেই পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো কাটানো মুহূর্তগুলো ৷
দু তিন দিন আগের কথা হঠাৎ একটি কাজের জন্য আমাকে যেতে হয়েছিল দেবিগঞ্জ বাজার ৷ অর্থাৎ আমার বাড়ি থেকে প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ৷ আমার প্রয়োজনীয় কাজ ছেড়ে বাড়ি আসার পথে একই ভেন গাড়িতে চড়েছিলাম ৷ কিন্তু আমি খুব একটা লক্ষ্য করি নি কিন্তু সে হঠাৎ করে দেখতে পেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল৷ আমি দেখতে পেয়েই এক বুক শ্বাস নিয়ে দেখছিলাম ৷ আসলে তার সাথে সেই কবে দেখা হয়েছিল ৷ আজ যে এভাবে দেখা হবে তা সত্যিই আমার কল্পনার মধ্যেও ছিল না ৷
দুজন দুজনে শুধু দেখছিলাম এরচেয়ে আর বেশি কিছু নয় আমি দেখছিলাম সে আজ অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে এখন সেই লাল বেনারসি শাড়ি পড়েছি গলায় হাড় কপালের ছোট্ট একটি সিঁদুরের ফোটা কারণ সে তো আছে বিবাহিত তার একটি সুন্দর নতুন জীবন হয়েছে সে হয়তো অনেক সুখেই আছে৷
ঠিক সেও হয়তো ভাবছে আমাকে দেখে আমি বদলে গেছি৷ কিন্তু সত্যিই কি আমি বদলে গেছি৷
সর্বোপরি তার সাথে এভাবে দেখা হবে এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া৷ সে সবসময় ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক এমনটাই কামনা করি ৷
বাকি কথা না হয় আরেকদিন হবে ৷
সবাইকে ধন্যবাদ
VOTE @bangla.witness as witness
OR
খুব খারাপ লাগলো পড়ে। আসলে এমন একটা বয়সে হয়েছে যে আপনাকে দোষ দেওয়া যায় না ভাই। তবে মেয়েটির বাড়ি থেকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে না দিলেই পারতো। আপনি আবেগের বশবর্তী হয়ে এই সময়ে পালিয়ে বিয়ে করলে সেটা আরো খারাপ হত। ভগবান যা টরে মঙৃগলের জন্যই করে। হয়তো আপনার জন্য আরো ভালো কিছু অপেক্ষরত। তাই অতীতকে হাসিমুখে বিদায় জানিয়ে এগিয়ে চলুন।
দিদি আসলেই আমিও ভাবতে পারি নি হঠাৎ করে বিয়ে দেবে ৷ তবে আমি আমার পথে অটল ছিলাম ৷ তবে মনের মধ্যে একটা সৃষ্টি ৷ এটা ঠিক ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্য ই করে ৷
মঙ্গল বানান টা একটু ভুল ছিল দিদি ৷
মন্তব্য টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো দিদি ৷
দাদা জীবনে এমন কিছু কিছু সময় আসে যখন ভুলে যেতে হয়। আর সময়ের উপর সব ছেড়ে দিতে হয়।তখন আপনারো কিছু করার ছিলনা,উনারো কিছু করার ছিল না।এখন মনে করে শুধু কষ্টই পাবেন।তাই ভুলে যান। অনেক খারাপ লাগল আপনার এই কষ্টের অনুভূতি পড়ে। প্রার্থনা করি আপনি এই দুঃখের অনুভূতি থেকে যেন বের হয়ে আসতে পারেন জলদি।
না দাদা কষ্ট পাই নি তবে একটা আক্ষেপ ৷ আসলে জীবনের প্রথম কিছু না ভুলা যায় না ৷ যদিও আমি আর মনে করি না সেটা ৷ তবে সেদিন হঠাৎ করেই দেখতে পেয়ে মনের মধ্যে একটু কষ্টের ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল ৷ সে ভালো থাকুক ৷
দারিদ্রতার কারণে আমাদের অনেক কিছুর মায়া ত্যাগ করতে হয় ভাই। আপনি আপনার প্রিয় মানুষটিকে পান নি জেনে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে ভাই আমাদের জীবনটাই তো এমন। পছন্দের জিনিশ গুলোই যেনো বার বার হাত ছাড়া হয়ে যায়। কষ্ট পাইয়েন না ভাই। প্রার্থনা করেন প্রিয় মানুষটি যেনো খুশিতে থাকে।
ঠিক ভাই দারিদ্রতা এক মারাত্মক ইসু ৷ আর তাই তো আমিও এগোতে পারি নি ৷
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামতের জন্য ৷