শীতের সকাল ৷৷ আমার বাংলা ব্লগ
আজ - ২৭শে, অগ্রহায়ণ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
শুভ সকাল
আপনারা সবাই এ কথা জানেন তা জানি না । এই শীতে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় শীতের মহারাজা বা মহারানী বলা হয়ে থাকে। সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীতের আদ্রতা এ পঞ্চগড় জেলার মধ্যে থাকে । তার পাশাপাশি দিনাজপুর নীলফামারী। তবে বেশ কিছুদিন ধরে শীতের তীব্রতা যেন বেড়েই চলেছে সেই সাথে এখানকার জনসাধারণ বা মানুষের যে দুর্ভোগ তো প্রতিনিয়তই বাড়ছে । কয়দিন যাবত প্রচুর পরিমাণে কুয়াশার শীতের উষ্ণতা যা আসলে উপেক্ষা করার মতো নয়।
আজকে আমি প্রায় নয়টার দিকে ঘুম থেকে উঠলাম ওঠা মাত্রই দেখতে পেলাম চারদিকে যেন কুয়াশাশূন্য একদম কাছের কিছু কেউ যেন স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় না। এরপরেই আবার ঘরে গিয়ে মুঠোফোনটি হাতে নিয়ে বেরোলাম সকাল বেলার কিছু ছবি তোলার জন্য।
আসলে গ্রাম বাংলার সকাল বেলার একটা চিত্র প্রতিনিয়ত চোখে পড়বে। তা হলো গ্রামের লোকজন এই শীতের সময় আঙ্গিনা কিংবা উঠান বা রাস্তার মধ্যে সবাই মিলে গল্পগুজব। এছাড়া এই শীতের উষ্ণতা কমানোর জন্য কাঠ খড় ইত্যাদি নানান কিছু দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আগুন তাপিয়ে থাকে । এগুলো হলো গ্রাম বাংলা সকাল বেলার প্রধান আকর্ষণ।
মূলত আমিও সকাল বেলা উঠেই সেই আগুন জালানো এবং শীতের উষ্ণতা কমানোর জন্য একটু আগুন তাপিয়ে নিলাম। এরপর ভাবলাম যে , আজকে ব্লগে এই শীতের উষ্ণতা নিয়েই কিছু লেখা হোক।
তবে আর যাই বলেন এই শীতের মুহূর্তে ছোটবেলার মুহূর্তগুলো অনেক মনোমুগ্ধকর। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এদিক থেকে সে দিক ছোটা ছুটি। আর মূলত এই সময়ে স্কুল ছুটি ছুটি থাকার কারণে সবাই যেন আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া কিংবা সারা দিন খেলাধুলায় মেতে ওঠা এগুলো আসলে শৈশব জীবনের এক চরম মুহূর্ত বিশেষ করে এই শীতের মৌসুমে।
ঠিক তেমনি আমার ছোট ভাই টুলু যদিও এর আগেও আপনাদের মাঝে ছোট্ট টুলু কে নিয়ে লিখেছিলাম ৷ আজকে ঘুম থেকে ওঠা মাত্র দেখেছি মাথায় টুপি সোয়েটার জুতা পরে এদিক থেকে সেদিক ছোটাছোটি আর ঘোরাঘুরি তাই কয়েকটি কিছু ছবি তুলেছি । এটা সত্যি তখন মনে হয় শীতের উষ্ণতা তার ততটা মনে হয় না। ঠিক যেমন আমার ভাই ছোট টুলুকে দেখে বোঝা যায়। এই সকাল থেকেই ছোটাছুটির মধ্যে দিয়ে চলছে।
আর এরপর তাকে কোলে নিয়েই একটু খোলা মাঠে দিকে হাঁটছিলাম কিন্তু ওমা খোলা মাঠের দিকে চোখ তাকাতেই যেন কুয়াশায় ভরা কিছুই দেখা যায় না । তারপর এভাবেই একটু ঘোরাফেরা করার পর শেষ হয়ে উঠলাম ভাবলাম আজকে সকাল বেলার মুহূর্ত তাই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি।
জানি না আপনাদের শীতের সকালের মুহূর্ত গুলো কেমন কাটে। তবে গ্রামের শীতের সকাল গুলো সত্যি অনেক অনেক সুন্দর আর প্রাণবন্ত কাটে । তবে একটা দিক দিয়ে খুব খারাপ লাগে বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের জন্য এই শীতের কারণটা যেন ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়ায়।
যা হোক প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের শীতের সকালের গ্রাম বাংলার কিছু আলোকচিত্র চিত্র । সেইসাথে আমার অনুভব অনুভূতি আশা করি আপনাদের সবারই অনেক ভালো লাগবে। এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত রেখে আমার আজকে ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
আবারো হাজির হবো অন্য কোনো নতুন ইউনিক ব্লগ নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই সাথে থাকুন ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন এবং নিজেকে ভালো রাখুন
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
শীত মোটামুটি ভালই পড়েছে। শীতের সকালে কোয়াশায় ঢেকে থাকে আর এই কুয়াশার মাখার দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। শীতের দৃশ্য গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন।
শীতের সকালের অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করে শেষ হবে না। অনেকদিন হলো এমন অনুভূতি নিতে পারি না। আসলে শহরে শীতের সকাল বলতে কিছু নেই সব সময় একই রকম। যখন গ্রামে থাকতাম শীতের সকাল খুবই সুন্দরভাবে উপভোগ করতাম। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে এখনই গ্রামে চলে যায় এবং শীতের সকালে এরকম আগুন জ্বালিয়ে পাশে বসে থাকি।
অনেকদিন হলো শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে এই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা হয় না। যখন ছোট্ট ছিলাম সেই সময়ে ঘুম থেকে উঠে আগুন জ্বালিয়ে শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা । যা করার দেখা যায় না । সেই দৃশ্যটি কিছুটা আপনার কাটানো মুহূর্তের দেখতে পেলাম। খুবই ভালো লাগলো । সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই যেন হারিয়ে যাচ্ছে।
ওমা এত ঠান্ডা আপনাদের ওখানে। আসলে এই শীত যেমন একদিকে মানুষের জীবনে বিভিন্ন মজাদার পিঠাপুলি ও সবজির জন্য ভালো। আবার অতিরিক্ত শীত মানুষের জীবনে বিভিন্ন সমস্যার কারন হয়েও দাড়ায়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা এই শীতে ঠান্ডা জনিত রোগে কষ্ট পায়। আমার কাছে এইরকম শীতের গ্রামের প্রকৃতির কুয়াশার দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপাকে গ্রাম বাংলা সকাল বেলার সুন্দর ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শীতের সকালের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি।উত্তর বঙ্গে বরাবরই শীত অনেক বেশি হয়ে থাকে।ছোট বাচ্চাদের দৌড় দেখলে মনে হয় যে ওদের মনে হয় শীত লাগেই না।আসলে তাঁরা ছোটাছুটি করে জন্য শীত কম লাগে। ধন্যবাদ শীতের সকালের সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।