হঠাৎ করে শীতের প্রবণতার দেখা!!! ( 10% shy-fox এর জন্য)
আজ - ১২ ই, মাঘ ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শীতকাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
২৮শে , জানুয়ারি ২০২৩
যাই হোক বন্ধুরা প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে৷ আশা করছি সবাই অনেক ভালো লাগবে ৷ এমন আশা প্রত্যাশা রেখেই শুরু করেছি আজকের ব্লগ৷
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ ৷ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা রূপে নেই তো ৷ পৃথিবীতে এমনই এক বাংলাদেশ যেখানে ছয় ঋতুর প্রভাব থাকে ৷ আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা বসন্তের আগমন যেন মনে মনে দোলা দিচ্ছে নতুন কিছুর৷ আসছে 12ই ফেব্রুয়ারি মনকে এক নতুন প্রেমে উন্মোচিত করবে৷ জীবনকে নাড়া দেবে প্রেমের আলিঙ্গন৷
শীত যাই যাই তবুও কিসের মায়া যেন এক টুকরো শীত থেকে যায়৷
বাংলা ১২ই মাঘ যদিও এই সময়টাতে খুব একটা শীতের প্রকোপ লাগে না৷ তবে হঠাৎ করেই গতকাল থেকেই আবার শীত অনেক বেড়ে গেছে৷ আবার কয়েকদিন ধরেই অনেক কুয়াশা এবং কি গুড়ি গুড়ি বাতাস সারাদিন মেঘাচ্ছন্ন আকাশ সূর্য মামার উকি নেই৷ এমনিকরে সারাটা দিন কেটে যায আর আজকে দিনটি ছিল শীতের মধ্যে ৷
যদিও কয়েকদিন আগে মনে হচ্ছিল যে শীত হয়তো বা ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে ৷ আসছে বসন্তের আগমন কিন্তু না আবার গতকাল থেকেই আবহাওয়া যেন পুরোটাই পরিবর্তন ৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই রৌদ্রজ্জ্বল মেঘ হালকা বাতাসের দোলা ৷ তবে আজ হঠাৎ করে যেন কুয়াশায় আচ্ছন্ন সারাটা দিন কেটে গেল৷
যদি আমি প্রতিদিন সচরাচর ৮ বা ৯ টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠি ৷ ঠিক আজকেও তেমনি ৮:৩০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠি ৷ কিন্তু ওমা ঘর থেকে বাইরে এসে দেখি তা দিয়ে শুধু কুয়াশার কুয়াশা ৷ আর বেশ ঠান্ডা অনুভূতি লাগছিল টি-শার্ট পরে বাইরে থাকার অনেকটাই কষ্টসাধ্য ওমনি আবার ঘরে এসেই সোইটার গায়ে দিই মোবাইল ফোনটি হাতে নিয়ে বাইরে আসতেই দেখি ৷ বেশ কজন মিলে আগুন তাপাচ্ছে ৷ সত্যি বলতে বিষয়টা একটু অদ্ভুত লাগছে৷ হঠাৎ করেই আসলে তো শীতের প্রকোপ টা বেড়ে গেছে যা বলার বাইরে ৷ মৃদু মৃদু বাতাস আর হাত -পা আঙ্গুল গুলো যেন বরফ ৷ আর গ্রামের মানুষের শীত কাটাতে আগুন তাপানোই প্রধান কাজ ৷
পূর্ব আকাসে দেখি সূর্যের কোনো আকার নেই ৷ শুধু একটু-খানি ডিমের কুসুমের মতো লাল আভা দিচ্ছে ৷ চারিদিক কুয়াশায় ভরা ৷
এরপর ছোট টুলু কে বাইরে আসি ৷ বাইরে ঘোরাঘুরি করছিলাম ৷ আসলে সকাল বেলা একটু হাটা-হাটি করতে ভালোই লাগে ৷ রাস্তা ধরে ছোট ভাই টুলু কে নিয়ে হাটছি যদিও হাটঁতে চাচ্ছে না তবুও জোর করে হাটাচ্ছি ৷ এতে সে কি কান্না ৷ আর এ কান্না থামাতে তাকে পিয়াজ ফুল হাতে দিলাম ৷ আর তার সাথে
কিছু ফটোগ্রাফি ৷ পিয়াজ ঢেব বলে অনেকে আবার ফুলও বলে ৷ তারপর তার ছবি তুলতেই কি যে হাসি ৷ তার ফোকলা হাসিতে অনেক মায়া লাগে ৷ যদিও কয়েকদিন আগে তাকে নিয়ে একটা ব্লগ লিখেছিলাম ৷
সর্বোপরি আজকে হঠাৎ করেই শীতের সকালটা ছোট ভাই টুলু কে বাইরে হাটঁতে বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি করলাম ৷ আজ সারাদিন রোদের কোনো দেখা ছিল না ৷ যা হোক অনেক সুন্দর একটা সকাল উপভোক করলাম ৷ হয়তো আর কিছুদিন পরেই এই সুন্দর সকালটা পাবো-ই না৷
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1619353345042567170?t=BSe0WV7fvLkyDbsPujBKsQ&s=19
ভাইয়া আপনাদের এলাকা আর আমাদের এলাকা দেখছি সম্পূর্ণ আলাদা । আমাদের এখানে রোদ ঝলমল এবং বাইরে প্রচন্ড গরম ।শীত একেবারেই নেই । হঠাৎ করেই যেন গরম পড়ে গেল । আর আপনাদের ওখানে কুয়াশায় ঘেরা মেঘাচ্ছন্ন সবকিছুই একদম বিপরীত । ছোট ভাইকে নিয়ে সকালবেলায় বেশ ভালই ঘুরে বেড়িয়েছেন । ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো । এমনিতেই শীতের কুয়াশার ফটোগ্রাফি ভীষণ ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
সকাল থেকেই দেখলাম বেশ কুয়াশা পড়েছে। শীত যেন আবারও ঘুরে ফিরে উকি দিতে এসেছে। শীত চলেই গিয়েছিল। আবারও কিসের মায়ায় যেন ফিরে এসেছে। যাইহোক শীতের সময় এরকম ফটোগ্রাফি করা সত্যিই অনেক দারুন হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া। পেঁয়াজ ফুলের ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে।
ছয়টি ঋতুর এই দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এর মধ্যে শীত ঋতু আমার কাছে খুবই ভালো লাগে কারণ তখন প্রকৃতির সৌন্দর্য বেড়ে যায়। যদিও শীতের কারণে কাজকর্ম করতে কষ্ট তবুও মিষ্টি রোদ গায়ে লাগলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। শীত আসলে যায় যায় করেও যেতে খুব দেরি হয়।
আমাদের এইদিকে গরম পড়ছে,এখনো ফ্যান চালিয়ে রাখলাম।আর শীতের প্রকোপ আপনাদের ঐদিকে বেড়ে গেছে হঠাৎ করেই,তা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছি।তবে ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল বেশ।আমার খুব ভালো লাগলো পেঁয়াজ পাতার ফটোগ্রাফি।
বলা হয়ে থাকে যে মাঘ মাসের শীত বাঘের গায়ে লাগে। শীতের প্রবণতা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। শীতের কারণে বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক লোকদের অনেক কষ্ট হয়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি বেশ দুর্দান্ত ছিলো। সকালবেলা প্রাকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্য বেশ অসাধারণ। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার ওখানে শীত মনে হলেও তবে আমার এখানে ফ্যান চলতেছে আপাতত।আপনার সকালের শিশির ভেজা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে আবারও বেশ শীত মনে হচ্ছে।আপনারা দুই ভাইয়ের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে সেই সাথে পেঁয়াজ ফুলে ফটোগ্রাফি দেখতে দারুন দেখাচ্ছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আসলে গ্রামে শীতের আমেজ এখনো আছে ৷
আমাদের ঢাকায় গরম। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি বেশ কুয়াশা। শীত চলে গিয়েও যায়নি।ভাই টুলুকে নিয়ে বেশকিছু ফটোগ্রাফি করেছেন, ভাল লাগলো। প্রকৃতির ছবি, পেঁয়াজকলির ফটোগ্রাফি ও দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু শীত গিয়েও এখনো যায় নি
জী ভাইয়া গত দুই দিন ধরে আবার শীত ঝেকে বসেছে। তবে আগের মত তেমন না। আমাদের দিকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদ উঠে। আপনার মাঝখানে পেঁয়াজ ফুলের সাথে সূর্যের ছবিটা ধারুন হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাই এখন তেমন শীত লাগে না ৷ তবে সকাল বেলা ভালই শীত করে ৷ আবার বেলা হলে রোদ