মৃত্যুর পরেও শান্তি নেই || @shy-fox 10% beneficiary
আজ- ৩ই,কার্তিক | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ হেমন্তকাল ||
মর্মান্তিক এক ঘটনা
কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : Pixabay
আজ বিকেলের শেষে সন্ধান নাগাত হঠাৎ করেই শুনতে পেলাম৷ যে আমার পাশের গ্রামে এক বাড়িতে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে ৷ খবরটি শুনে একটু অবাক হলাম আর তখনই খবরটি পেয়েই ঘটনাস্থলে আমি গেছিলাম ৷ দেখি সত্যি সত্যি হাজারো লোকের ফিড় থানা পুলিশ সব দিক দিয়ে ঘেরা ৷ পুলিশ আগে থেকেই সবাইকে সিগন্যাল দিচ্ছে কেউ যেন সে বাড়ির ভেতরের প্রবেশ না করে ৷ সবাই শুধু দূর থেকেই দেখছিল আসলে কিভাবে কি খবর হয়েছে সেটা জানা নেই৷ তবে সেখানে গিয়ে যতদূর সোনা বা গিয়ে বুঝলাম আসলে যে বাড়িতে যে কঙ্কারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল৷
সেই বাড়িটির মানুষটি এই কঙ্কাল বিক্রির ব্যবসা করে ৷ যদি ওই মুহূর্তে বাড়ির সবাই পলাতক কেউ বাড়িতে ছিল না৷ তথ্যসূত্রে গ্রামের সবাই ওই বাড়িতে প্রায় মাঝে মাঝে গভীর রাতে বিশ্রী গন্ধ পেয়ে থাকে৷ যদিও প্রায় মানুষের কি না তাদের কি তাদের বাড়িতে গিয়ে বলে যে কিসের গন্ধ কিন্তু এর কোন সন্ধান মেলেনি৷ কিন্তু হঠাৎ করে গত কাল রাত্রি নাকি গ্রামের এক মানুষ না কী ওই বাড়িতে ব্যাগে করে কিছু নিয়ে আসতে আর গন্ধ চার দিকে ৷ আর ওই ব্যক্তি সন্দেহ করে গ্রামের সবাইকে বলে৷ আর আর এ থেকে চারদিকে এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে আর তারপরেই প্রশাসনের কাছে খবরটি পৌঁছলে তারা দ্রুতই সে বাড়িতে তল্লাশি চালায়৷
তারপর আজ সন্ধ্যাকালীন প্রশাসনের মানুষ এসে চারদিকে বাড়িতে গিয়ে ঘিরে ফেলে আর এরপরেই সারা বাড়ি চারদিকে তছনছ করে খোঁজার পর মাটি খুঁড়ে চার চারটি কঙ্কারের লাশ পেলো ৷ গ্রামের মানুষ তো সবাই অবাক এরকম এক মর্মান্তিক ঘটনা দেখে৷ গ্রামের মানুষ সবাই অবাক যে তাদের গ্রামে এত বড় পশুর মতো মানুষ আছে ৷ যে কি আমি তো ব্যক্তিদের কবর থেকে লাশ উঠে বিক্রি করে৷ এরপরে পুলিশ প্রশাসন কঙ্কাল সব গুলোকে নিয়ে এবং বাড়ির সবাইকে থানায় নিয়ে যায়৷যদিও আসল ব্যক্তিকে ধরতে পারে নি ৷ তবে খুব তাড়াতাড়ি সেই ব্যক্তিকে ধরে ফেলবে৷ ৷
কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : Pixabay
আর এই থেকেই আমার মনে কিছু প্রশ্ন কেন বারবার নাড়া দিচ্ছে৷ আর নিজের মনকে নিজেই ভাবছি সত্যিই মানুষ আজকে কত নিজ পথে চলে গেছে ৷ সে নিজের মাংস নিজে বিলীন করছে ৷ মানুষ মানুষের জন্য সেখানে আজ মানুষ পশুর সমান৷ যেখানে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব বলে বিবেচিত হয়েছে৷ আজ সেখানে মানবজাতি লজ্জিত৷ যে ব্যক্তি তার মৃত্যুর পরও শান্তিতে থাকতে পারে না ৷ তার দেহের প্রতিটি অঙ্গ পতঙ্গ কে আজ মানুষই সেগুলো কে বিক্রি করতেছে৷
যা হোক আমি সেখানে বেশিক্ষণ থাকি নি ৷ মানুষের মুখে এসব কথা শুনেও থানা সাংবাদিকতা এসেছিল তাদের কিছু কথা শুনে আমি চলে আসি৷
তবে আমার মতে সেই ব্যক্তিদের এমন বড় কোন শাস্তি হোক যাতে অন্য কোন ব্যক্তি এমন কাজ করার দুঃসাহস না পায় ৷ এখানে মানুষ আজ মৃত্যুর পরও শান্তিতে নেই৷
যদিও আজকে অন্য একটি ব্লগ লিখার কথা ছিল ৷কিন্তু এমন এক মর্মান্তিক ঘটনা দেখে শুনে আর যেন ভালো লাগছিল না ৷ তাইতো এই ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম৷ মানবজাতি বড় নিষ্ঠুর এবং কি পশুর সমান হয়ে গিয়েছে৷
দারুন ভাবে লিখেছেন।আসলেই মানুষ দিন দিন পশু হয়ে যাচ্ছে।এমন অবস্থায় পৌছে গেছি যে আমরা মরার পরেও শান্তিতে থাকতে পারব না।মর্মান্তিক ছিল ঘটনা টি।
এই লাইনটি একটু দৃষ্টি কটু।মাটিতে পুতে রাখা বলে না।কবর দেওয়া বলে।কিছু মনে করবেন না। অনেকেই হয়ত মনে কষ্ট পেতে পারেন তাই বললাম।
না দাদা মনে কেন নেবো না ৷ ঠিকি তো বলেছেন ৷ আসলেই আমি সেভাবে দেখি নি ৷ ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেওয়া জন্য ৷
আচ্ছা প্রথমে যে কথাটা বলতে চাই সেটা হচ্ছে আপনার আজকের লেখাটা সত্যিই অসাধারণ ছিল। তবে কঙ্কাল বিক্রি বা কঙ্কালের ব্যবসা এর আগেও আমি অনেকবার টিভিতে দেখেছি বিভিন্ন রিপোর্টে। তবে এই কাজ গুলো বেশি হয় বড় বড় মেডিকেল কলেজ হসপিটাল এ। কিছু কিছু অসৎ ব্যবসায়ী আছে, যারা তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্যই কাজ করে থাকে। যদিও যারা মেডিকেল স্টুডেন্ট রয়েছে তাদের জন্য কঙ্কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবে এখন মানুষ প্রয়োজনে না ব্যবসার তাগিদে এ কাজ করে। এটি একটি ঘৃণ্য এবং জঘন্যতম অপরাধ মূলক কাজ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করেছেন ৷