ভাপা পিঠা ......!!
আজ - ২৮শে, পৌষ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
প্রিয় আমার ব্লগবাসি সবাইকে জানাই এই কনকনে উষ্ণতম শীতের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । জানি না আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের যতগুলো সদস্য বন্ধু আছেন তাদের ওদিকের আবহাওয়া বা ঠান্ডার তীব্রতা কত টা । তবে বাংলাদেশের সর্বশেষ জেলা উত্তরবঙ্গের প্রচুর পরিমাণ শীতের তীব্রতা তাপদহ বয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় গত পাঁচ দিন হয়ে যাচ্ছে সূর্যের আলোর নেই। সেই সাথে বাতাস আর কুয়াশায় সারাদিন কেটে যাচ্ছে । এই মুহূর্তে কতটা খারাপ পরিস্থিতি সেটা আসলে প্রকাশ করার মতো নয়। তবুও সবকিছুর পরেও নিজেকে সুস্থ ভালো রাখাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ।
প্রিয় বন্ধুরা প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে । যদিও গত দুইদিন যাবত পোস্ট লিখতে পারি নি । তবে আবার এই সপ্তাহে নিজেকে নতুন করে মিলে ধরার প্রচেষ্টা করব এমনটাই আশা প্রত্যাশা করি।
গত কয়েকদিনে যে শীতের তীব্রতা তাতে আসলে বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়া খুব একটা হয় না। সারাদিন খাওয়া-দাওয়া এবং কি ঘরের মধ্যেই খুনসুটি এভাবেই দিনগুলো কেটে যাচ্ছে এই শীতের মধ্যে। তবে আর কত মাঝেমধ্যে বিরক্তিকর লাগে । তাইতো আজকে বিকেলবেলার মুহূর্তে শীতের সোয়টার কাপড় পড়ে বাজারের দিকে রওনা দিয়েছিলাম । আসলে এখন দিনের বেলা এমন হয়েছে মনে হয় যেন সকাল পড়েছে ঠিক এমনটাই মনে হয় । কিন্তু সময় তো আর কারো জন্য থেমে থাকে না।
বাজারে যাওয়ার পথেই চোখে পড়ে ভাপা পিঠার দোকান বসেছে । মূলত এই শীতের মৌসুমে ভাপা পিঠার জনপ্রিয়তা ব্যাপক বিশেষ করে হাটবাজারে । এই শীতের তাপদেহে মানুষ ভাপা পিঠা বেশ ভালোই খেয়ে থাকে । আর আজকে বিকেল বেলা বাজার পিঠে খাওয়ার অনুভূতি নিয়েই আজকের ব্লগটি উপস্থাপন করতে চলেছি।
এই শীতের মধ্যে গরম গরম ভাপা পিঠা আহা সত্যি অসাধারণ লাগে। বাজার যাবার পথেই ছোট্ট করে দোকান বসেছে ।যেখানে একটি মাটির চুলা খড় কুটো লাকড়ি দিয়ে সেই চুলাতে আগুন এবং কি সে চুলার উপরে পাতিল বসিয়ে আতপ চালের গুড়া গুড় দিয়ে মাটির তৈরি বাটির মাধ্যমে ভাপা পিঠা তৈরি করছে। প্রথমত আমি গিয়েই এই শীতের উষ্ণতা মেটাতে সেই চুলার আগুনে হাত দিয়ে একটু গরমের উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।
এরপর কিছুক্ষণ সেই আগুনের পাশে বসেই গরম গরম ভাপা যে খাচ্ছিলাম। এবং কি খাওয়া সর্বশেষ পর্যায়ে কিছু ফটোগ্রাফি করি। তাই তো ভাবলাম আজকের ব্লগে আমার বাংলা ব্লগবাসীর জন্য এই ভাবাপিঠার খাওয়ার অনুভব অনুভূতি নিয়েই উপস্থাপন করি ।যেহেতু বর্তমান চলছে অনেক অনেক পরিমাণে কনকনে শীত।
শীতের মৌসুম মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম। শুধু যে ভাবা পিঠে বোঝাতে হয় তার সাথে রয়েছে পুলি পিঠা ,চিতই পিঠা ,দুধ পিঠা, পাটিসাপটা ,ইত্যাদি। আরও অনেক রকমের পিঠা যা গ্রামাঞ্চলের রমণীগণ বা নব বধূরা নতুন ধানের আতপ চালের গুঁড়ো করে এসব হরেক রকমের পিঠার আয়োজন করে থাকে।
যা হোক আমি ভাপা পিঠা খাওয়ার পরেই সন্ধ্যার আগ মুহূর্তেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা। যেহেতু প্রচুর পরিমাণে শীত ঠান্ডা এবং কি বাতাসের আদ্রতা এতটাই তীব্র ছিল যে আসলে হাটে বাজারে বাইরে থাকাটাও বড় মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও এই কনকনে শীতের মাঝেও মানুষজন এই ভাপা পিঠা খাবার জন্য বাজারে কিংবা লোকালয়ে ভিড় করছে ।আর যাই হোক এই শীতের মুহূর্তে বাবা পিঠা খাওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম।
সর্বোপরি এই ছিল আমার আজকের ব্লগ কনকনে শীতের মাঝে ভাপা পিঠে খাওয়ার অনুভূতি৷
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1745820734918959201?t=h3PvVcwQe8HAiiNoKIPBuA&s=19
শীতের দিন এভাবে চুলার পাশে বসে গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই অন্যরকম। আর শীতকালে এভাবে রাস্তার পাশে ভাপা পিঠা বিক্রির ধুপ পড়ে যায়। আর শীতকাল পিঠা ছাড়া কল্পনা করা অসম্ভব। ধন্যবাদ পিঠা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
শীতকাল মানে ভাপা পিঠা খাবার অন্যতম একটি সময়। গুড় অথবা খাজুরের পাটালি দিয়ে এই পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে তাই খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। গরম গরম তো আমি খুবই পছন্দ করি। আজকের সন্ধ্যায় বামুন্দি বাজারে খোঁজ করেছিলাম কিন্তু পাইনি। মূলত পতি শুক্রবারে আমরা সেখানে খাওয়ার চেষ্টা করি হাট বাজার শেষে। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো আপনার এই আজকের পিঠার পোস্ট দেখে।
আসলে শীত মানেই পিঠার উৎসব ৷ শীত আসলে বাড়ি আর হাট-বাজার , সব জায়গায় পিঠার ধুম লেগে যায় ৷ বাজারে গিয়ে বেশ ভালোই ভাপা পিঠার আড্ডা দিয়েছিস ৷ আসলেই গরম গরম ভাপা পিঠার স্বাদ অন্যরকম , ভীষণ ভালো লাগে ৷ যাই হোক , আমাকেও সাথে নেওয়া উচিত ছিলো ৷ এটা অন্যায় হয়েছে ৷
আমাদের এদিকেও প্রচুর শীত ভাইয়া বেশ কয়েকদিন ধরে। বাইরে ও কুয়াশা জমে আছে তাছাড়া বাতাস রয়েছে। আশা করি শীতের দিনে একটু সাবধান থাকবেন। কারণ আপনাদের ওদিকে যেহেতু বেশি শীত। আপনি ঠিক বলেছেন শীতের দিনে গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার ভাপা পিঠার ফটোগ্রাফি দেখে কিন্তু খেতে ইচ্ছে করতেছে। অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে।
ভাপা পিঠা দেখে ভেবেছিলাম হয়তো ভাপা পিঠার রেসিপি করেছেন। যাই হোক বাজারে গিয়ে ভাপা পিঠা খেয়ে তাহলে বেশ আনন্দ করেছেন। আমাদের এইদিকেও প্রায় ৪/৫দিন অনেক ঠান্ডা পড়েছে। বাইরে রোদের দেখা কমই পাওয়া যায়। আর উত্তরবঙ্গে তো এমনিতেই প্রচুর ঠান্ডা পড়ে।
আপনার ভাপা পিঠা খাওয়ার মুহূর্তটা দেখেই তো আমার ইচ্ছে করছে এখন ভাপা পিঠা খেতে। আমাদের এদিকে ও প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা পড়তেছে। বিশেষ করে সূর্যের দেখাতো আজকে অনেকদিন পাইনি। আপনাদের ওইদিকেও দেখছি এরকম অবস্থা। আপনার ভাপা পিঠা দেখে মনে হচ্ছে অনেক বড় ছিল। নিশ্চয়ই এই শীতের মধ্যে গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাপা পিঠা খাবার মুহূর্তটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
জি ভাই সূর্যের আলো গত কয়েকদিন ধরে দেখিই না ৷ তবে এই শীতের সময়ে ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা ৷ ভালো লাগলো ভাই আপনার ও পিঠা খেতে ইচ্ছা করছে শুনে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামতের জন্য ৷