জীবনের সাথে মৃত্যুর দুরত্ব কতটা.....!!
আজ ১৭ই, ফাল্গুন |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
গতকাল হ্যাংআউট শেষ করার পরেই যখন খবর নিউজের এই আগুন লাগার খবরটি দেখতে পেলাম ।তখন নিজেই অনেকটা হতাশ এবং অবাক হয়েছিলাম । ভিডিও সুডে তখন দেখছিলাম দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। কত চিৎকার কত আর্তনাদ । দিনশেষে জীবন কি এটাই ? এই প্রশ্ন উত্তর পাব কোথায়।
জীবনের সাথে মৃত্যুর দূরত্ব কতটা। কাফনে বদলে যাওয়া প্রাণ। ব্যথায় চোখ জুড়ে আটকে থাকা জল ।থমকে গেছে রাজধানীর বেইলি রোডে পুরে যাওয়া নাগরিক স্তূপে।
যা বলার ছিল বলা হলো না । দীর্ঘশ্বাস আটকে থাকা বেইলি রোডে কান্নার কয়েকশো গল্প বিল্ডিং এর ইট পাথরে যা দাফন হয়েছে আহা জীবন।
মৃত্যুর পড়োওনা পেরিয়া আজ অচেনা আধারে হারিয়ে গেছে সেই সব স্বপনের জীবন ।
আসলে খবরের পাতায় যখন পড়ছিলাম মৃত্যুর মিছিল আত্মীয়-স্বজন পরিবারের আহাজারি এর দায়ভার কে নেবে। আমরা তো শুধুমাত্র খবরের দেখি একটু আফসোস করছি এই এর চেয়ে বেশি কিছু কি। দিন শেষে এসব মৃত্যুর মিছিল কবে বন্ধ হবে তার কোন শেষ নেই। কিন্তু এর উত্তর খুঁজতে গেলেই বিপদ না আমি আপনি সবাই।
বেইলি রোডের এই ইট পাথরে গড়া ভবন যেখানে ছিল হাজার স্বপ্নের বেড়াজাল। প্রতিদিন নাবিক স্বপ্ন বুনতো কিন্তু সেই স্বপ্ন সবকিছু পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে ।যেখানে কেড়ে নিয়েছে হাজারো মায়ের কোলের ছেলেকে। কোনো বোনের প্রিয় ভাইকে যে ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছে হাজার আবদার করার প্রিয় জিনিসগুলোকে। হারিয়েছে কোন স্ত্রী তার প্রিয় মানুষটিকে যে মানুষটি নিয়ে সারা জীবনের চলার পথের সারথি হতে চেয়েছিল। কিংবা হারিয়েছে কোন স্বামী তার প্রিয় স্ত্রীকে।
আবার কেউ হারিয়ে ফেলেছে তার প্রিয় পরিবারকে ।যে পরিবারের সাথে রাতের খাবারটাকে আনন্দের একটা সুন্দর রাতকে উপভোগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই রাত তাদের জীবনের শেষ কালরাত হিসেবে জীবনের সব আলোকে নিভিয়ে দিয়েছে আহা জীবন।
সর্বপরি আমার কাছে যা মনে হয় এ মৃত্যুর মিছিলের পিছনে সর্ব বৃহৎ দায়ি আমাদের জনসাধারণ মানুষেরই । দিনশেষে আমরাই কান্না করি আফসোস করি কিন্তু কয়েকদিন পর ভুলে যাই । এই কান্নার মিছিল কখনো শেষ হবে না সামনে হয়তোবা আমার আপনার যে কারো জীবনে এই কান্ডার মিছিল আবার হাজির হতে পারে। তবে এ থেকে বাঁচতে অবশ্যই সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম ।আর সর্বোপরি রাজধানী কে আমি সব থেকে ভয়ানক বলে মনে করি। কারণ এ রাজধানী কখন কার প্রাণ কেড়ে নেবে তা বলাটা খুবই মুশকিল ।
দিন শেষে একটা কথা বলতে ইচ্ছে হয় এ শহর যতটা দেয় ঠিক ততটাই কেড়ে নেয়।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1763569027220423098?t=CRHy1J3LTr17-ESUK4a6lA&s=19
মানুষ সব সময় অহংকার করে, এখানেই বোঝা যায় ভাইয়া। অহংকার করতে নেই কারণ আজ অথবা কাল মৃত্যুর পথে যেতেই হবে। আজকে ঢাকা বেইলি রোডে কি একটা অবস্থা একদিন আগেই আমরা কত সুন্দর সার্জিত দেখতে পেলাম কিছুটা সেকেন্ডের মধ্যে সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেল আমার জানামতে ৪৪টা মানুষের প্রাণ হারা হয়েছে এবং যারা বাড়ানোর চেষ্টা করতেছিল তারাও অনেক কষ্ট করে বের হয়েছে। আমরা যে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি, সকালে যে উঠতে পারব তার কোন বিশ্বাস নেই।
জি ভাই আমরা মানুষেরা তবুও দিনশেষে অংহকার আর হিংসায় জর্জরিত ৷ বেশ সুন্দর মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ ৷
জীবনের সাথে মৃত্যুর দুরন্ত খুবই সন্নিকটে। আমরা আমাদের পাঠ্য বইয়ের মধ্যে পড়েছিলাম, আমাদের এক চোখ থেকে অন্য চোখের যত দুরত্ব, তার থেকে ও মৃত্যু আমাদের খুব কাছেই। আসলে পৃথিবী মানুষের জন্য স্থায়ী নয়। সবাই কে একদিন এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে। আসলে মৃত্যু আমাদের আসল ঠিকানা।
জি ভাই মৃত্যু নিশ্চিত তবে এমন ভাবে নয় ৷ মৃত্যু হলেও যেন প্রিয় মানুষ গুলো ভালো ভাবে শেষ সৎকার করতে পারে ৷ অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য ৷
মৃত্যু বড়ই অনিশ্চিত। জীবনের সাথে মৃত্যুর দূরত্ব কোন তফাৎ নেই। এই যে আমি আপনার সাথে কথা বলতেছি হঠাৎ করে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটাই হচ্ছে জীবন এবং মৃত্যুর সাথে দূরত্ব। খুবই দুঃখজনক ঘটনা এমন ঘটনা প্রায় ঘটেই থাকে আমাদের দেশে। যা এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায় হাজারো মানুষের জীবন। অনেক ধন্যবাদ আপনি মুহূর্তটি শেয়ার করলেন।
জি আপু ঠিক বলেছেন মৃত্যু হলো এক অনিশ্চিত নাম ৷ কখন আসবে তা কেউ বলতে পারবো না ৷
আপনি একবারে আমার মনের কথা লিখেছেন ভাই! আসলেই জীবনের সাথে মৃত্যুর এক সেকেন্ডের ও ফারাক নেই! আমাদের জীবন এতটাই অনিশ্চিত! মহান সৃষ্টিকর্তা সেই সকল পরিবারের সহায় হউন! দোয়া ছাড়া তাদের জন্য আমাদের কিছুই করার নেই। আবার করার নেই কথাটাও সঠিক নয়, করার হয়তো অনেক কিছুই ছিলো, কিন্তু আমাদের ও যেন হাত পা বাধা!
জি দিদি এমন ঘটনা দেখলে মনে হয় জীবনটা কিছুই নয় ৷ যা হোক দিনশেষে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা যেন মৃত্যু না হোক ৷
মৃত্যু কখনোই নিশ্চিতভাবে বলা যায় না৷ কার কখন মৃত্যু হয়ে যায় তা কেউ বলতে পারেনা৷ কেউ কোনো নির্দিষ্ট সময় বলে দিতে পারবে না যে, সে এতদিন বাঁচবে অথবা এত তারিখে মারা যাবে৷ মৃত্যু যেকোন সময় হয়ে যেতে পারে৷ তাই আমাদের জীবনের এই স্বল্প সময়টিকে নিয়ে আমাদের অহংকার করা একেবারে উচিত নয়৷ যেকোনো সময় আমাদের মৃত্যু হয়ে যেতে পারে এবং এই জীবন থেকে মৃত্যুর পর্যন্ত কোন দূরত্বই যেন থাকে না৷ হয়তো আমি বেঁচে আছি এবং কিছুক্ষণ পরে হয়তো আর বেঁচে থাকবো না এবং এই ঘটনা সকলের সাথে হতে পারে৷
একদম সঠিক বলেছেন মৃত্যু হলো হঠাৎ পাখি কখন উড়ে যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নাই ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর মতামতের জন্য ৷
আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা লেখা লিখেছেন, জীবনের সাথে মৃত্যুর দূরত্ব কতটা। একেবারে বাস্তবতাকে আপনি সুন্দর করে এই পোস্টের মধ্যে তুলে ধরেছেন, যেটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। বেইলি রোডে যে আগুন লেগেছিল তাতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল যে দুর্ঘটনার কথা শুনেই গা শিউরে উঠেছিল। আসলে মানুষের বেশি অহংকার করা উচিত না। কারণ কখন যে তার অহংকার মাটিতে মিশে যাবে এটা সেই মানুষটা বলতেই পারবে না। আপনার লেখাটা পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে।
আসলে আপু মৃত্যু হবে কিন্তু এমন মর্মান্তিক মৃত্যু যেন না ঘটে কারো জীবনে ৷
জীবনের সাথে মৃত্যুর দূরত্বটা কতটুকু এটা কেউ জানে না। কখন কিভাবে মানুষ মৃত্যুবরণ করবে সেটা এই পৃথিবীতে কারোরই বলার ক্ষমতা নেই। প্রতিনিয়ত মানুষ তার জীবনযাত্রা চলার পথে মৃত্যুবরণ করছে। সে জানেই না তার সামনে মৃত্যু কেউ বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুবরণ করছে আবার কেউ অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করছে ।সেজন্য এই দূরত্ব বিষয়টি মৃত্যুর সাথে পুরোটাই ভিন্ন।
হ্যা ভাই দিনশেষে এটাই সত্য যে জীবনের সাথে মৃত্যুর দুরত্ব টা কতটা তা কেউ জানি না ৷
ঢাকার বেইলি রোডে যে আগুনটা ধরেছিল, এটার কিছু নিউজ আমিও পেয়েছি। আসলে এটা যখন শুনেছিলাম, তখন তো বুকের ভেতরটা একেবারে কেঁপে উঠেছিল। আমিও কয়েকটা ভিডিও দেখেছিলাম। এবং কি কয়েকটা ছবি দেখেছিলাম। ফেসবুকে বেশ কয়েকবার এটার নিউজ পেয়েছি আমি। অনেকেই নিজেদের প্রিয় মানুষকে হারিয়েছে। যারা আপনজন হারিয়েছে তাদের কষ্টটা আরো বেশি হচ্ছে। কে জানত এরকম একটা সময় তাদের মৃত্যু হবে। তাও আবার আগুনে পুড়ে। অনেকেই মারা গিয়েছিল। আপনি আজকে এটাকে তুলে ধরেই একটা পোস্ট লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আমরা তো খবরে দেখেছি আর একটু আপসোস ৷ কিন্তু যাদের প্রিয়জন হারিয়েছে তারা জানে প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রণা কতটা ৷
বাহ্! বেশ ভালো বলেছেন তো ভাই। একেবারে যুক্তিযুক্ত একটি কথা বলেছেন। ঢাকা শহরে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ঘটেই চলেছে। ইউটিউবে যখন বেলি রোডের অগ্নিকান্ডের ভিডিও গুলো দেখছিলাম, তখন ভীষণ কষ্ট লেগেছিল। তারা যদি জানতো এটাই তাদের জীবনের শেষ খাওয়া, তাহলে তো ভুলেও সেদিন যেতো না সেই বিল্ডিংয়ে। আসলে কার মৃত্যু কিভাবে হবে, সেটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ই ভালো জানেন। তাই সবার উচিত বেশি বেশি নেক আমল করা এবং মৃত্যুকে স্মরণ করা। কারণ পৃথিবীতে আমরা ক্ষণিকের মেহমান মাত্র। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাই সেদিন এমন আগুন লাগার ঘটনা টা দেখে সত্যি অনেক খারাপ লেগেছিল ৷ কতগুলো প্রান অকালে চলে গেলো ৷ মৃত্যু দুরত্ব নেই ভাই ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ বেশ গোছানো মন্তব্য করেছেন ৷