গ্রামের সবচেয়ে পুরনো বট গাছের নিচে বিকেল বেলা কাটানো মূহুর্তটা
আজ - ২৯শে, বৈশাখ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয় ,আমার বাংলা ব্লগবাসি সকল ভাই বোন বন্ধুগণ আশা করছি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো রয়েছেন সুস্থ আছেন এবং কি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথেই আছেন। ও যা হোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে ।যেহেতু এখন ব্লগ লেখাটাই অনেকটা নেশা পেশা প্রতিনিয়ত। তাই করছি সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করছি ভিন্ন ধরনের কিছু উপস্থাপন করার ।তাই প্রতিনিয়ত নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করছি। নিত্যনতুন ব্লগ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার।
এ ধারায় আজকে একটি নতুন ব্লগ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি ।আশা করছি সবার অনেক ভালো লাগবে ।যদিও ইতিমধ্যেই হয়তো পোস্টের টাইটেলটা দেখেই বুঝতে পেরেছেন।
প্রথমত সবার উদ্দেশ্যেই বলি হয়তো বা সবাই বটগাছ নাম শুনেছেন কিংবা দেখেছেনও। আজকে মূলত আমার গ্রামবাংলার সবথেকে পুরনো দিনের এই বট গাছের নিচ তলায় বিকেল বেলার ছোট্ট একটি কাটানো মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগের এই পুরনো বটগাছ টি এখন অব্দি বেঁচে আছে তার ডালা পালা সবুজ পাতা নিয়ে। মূলত পূর্বপুরুষদের মুখে শুনে আসা যতটুকু যে বাবা মা এরকোন সন্তানাদি নেই ।মূলত তাদের মাধ্যমেই এই বট গাছ আর পাক্ষরি দু-জন কে বিয়ে দেয় ৷ আর তখন থেকেই এখানে এক সংকল্পবদ্ধে আবদ্ধ হয়েছে যে যতদিন অব্দি এ গাছ নিজ থেকে মারা যায় ।ততদিন পর্যন্ত এই গাছকে কাঁটা তো দূরের কথা তার ডালাপোলাতে ছুবে না।
আজকে বিকেল বেলা হঠাৎ করেই এই প্রচন্ড গরমের তাপদাহে বিকেলবেলা সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালাম ।এই পুরনো বটগাছটির নিচে একটা সময় সেই শৈশবের স্মৃতিতে এখানে প্রত্যেকটা দিন খেলাধুলাই মেতে ছিলাম ।বিশেষ করে ক্রিকেট ফুটবল সবই খেলেছিলাম এই ছোট্ট মাঠ প্রাঙ্গনে। কারণ বট গাছের নিচে এক ছায়ায় আবদ্ধ যেখানে রোদের স্পর্শ পড়ে না ।বিগত কিছু বছর আগেও দেখেছিলাম যেখানে গ্রামের অনেক মানুষের আনাগোনা এ প্রচন্ড গরমে সুন্দর একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। এই বট গাছের তলায় তাদের আশ্রয় খোঁজে নেয়।
তবে এখন আর তেমন মানুষ এই বটগাছের তলায় এসে বিশ্রাম বা আশ্রয় নেয় না ।কারণ সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই বদলে গেছে ।আজকে জানি না হঠাৎ করে এই বটগাছটির কথাই মনে পড়ল। তাই তো বিকেল বেলা মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে বেরোলাম এ বটগাছের সান্নিধ্য পেতে।
তবে গিয়েই চোখে পড়ল যে আগের বটগাছ আর বর্তমান বটগাছের মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য। কারণ এখন গ্রামের প্রায় মানুষই বটগাছের ডালপালা কেটে তাদের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে ।এতে বটগাছের জীবনের আয়ু টা অনেকটাই কমে আসছে।
আজকে গিয়ে অনুভব অনুভূতি করলাম যে এখন বট গাছের খুব একটা ডালা পালা নেই ।যেখানে একটা সময় সারাদিন সূর্যের আলোটা পর্যন্ত পড়ত না ।এখন উপর দিয়ে তাকালেই যেন পুরো আকাশটাকে দেখতে পাই। কারণ এখন আর ডালা বলা সরানোর মত পরিস্থিতি নেই। যার সবকিছুকে ধ্বংস করে দিয়েছে আমাদের সাধারণ মানুষজন ।তাই মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা প্রকৃতিকে নিজ হাতে হত্যা করছি।
বটগাছের গড়ায় বসে অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছি ।সত্যি বলতে বিকেল বেলাটা বেশ সুন্দর আর প্রাণবন্তর লাগছিল ।সেই সাথে বটগাছের প্রতিটি শিখর দেখে আমি অনেকটাই আশ্চর্য বোধ হলাম যে অন্যান্য গাছের চেয়েও দ্বিগুণ শিকড় হবে যার খাদ্য বা রস খাওয়ার জন্য প্রযোজ্য।
মাঝে মধ্যেই এই বট গাছের মতো হতে ইচ্ছা হয় ।আর এই বট গাছের মধ্যে গেলেই অনেকটা শান্ত অনুভব চলে এসে ।ঠিক তেমনি যদি মানুষগুলো বট গাছের ছায়ার মত হতো তাহলে পৃথিবীতে হয়তো এর চেয়ে আরো রঙিন হতো ।কিন্তু এই রঙিন দুনিয়ায় মানুষগুলো অনেকটাই হিংস্র পশুর মত। যা সময় সুযোগ পেলেই ঝাপিয়ে পড়ার অপেক্ষায় থাকে ।
সর্বোপরি বিকেল বেলার বট গাছের নিচে বসে সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি ।সেই সাথে অনেক কিছুই উপলব্ধ করেছি ।যে আসলেই প্রকৃতি অনেক সুন্দর এরপর আসার আগ মুহূর্তে কিছু ফটোগ্রাফি । তাইতো বিকেলের পরে ভাবছিলাম যে আজকের ব্লগে এই পুরানো বটগাছকে নিয়েই লিখবো।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ।আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি ।
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
এই পুরাতন বট গাছ গুলো এখন আর খুব একটা দেখায় যায় না। আমাদের এদিকেও আছে একটা। তবে সেটা কত পুরোনো এটা জানি না। সত্যি বলতে এমন গাছের ছায়ায় বসে সময় কাটাতে অদ্ভুত একটা ভালো লাগা কাজ করে। শরীর টা যেন খুব শান্ত হয়ে যায় আপনা আপনিই।
আপনার শেয়ার করা এই বটগাছ দেখে মনে হচ্ছে যেন এটা অনেক বছর আগেকার। সম্ভবত এই গাছটির বয়স ১০০ বছরেরও বেশি হতে পারে। গাছের নিচে বিকেলটা দারুন উপভোগ করেছেন ভাইয়া।
জি ভাই অনে দিনের পুরনো বট গাছ ৷ আমার পূর্ব পুরুষ জানে ৷
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাদের গ্রামের সবচেয়ে পুরাতন বটগাছের নিচে বিকেল বেলায় সময় কাটানোর কিছু মুহূর্ত। আপনার পোস্টের টাইটেল দেখে আমার একটি কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের বাড়ির উঠানের ভোগে অনেক বছরের পুরনো একটি বটগাছ ছিল। আসলে বটগাছে নাকি ভোট থাকে। এটা তো আমি বিশ্বাস করিনি। কিন্তু এই কারণে আমাদের বটগাছটি পরবর্তী সময়ে কেটে ফেলা হয়েছিল। আসলে বিকেল বেলায় এরকম সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগে ভাই।
এটা আমিও নতুন শুনলাম ৷ যা হোক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য ৷
ঠিকই বলেছেন আগের দিনে মানুষের বট গাছের নিচে বসে আশ্রয় গ্রহণ করতে দেখতে ভালই লাগতো । এখন আর মানুষ বটগাছের নিচে গিয়ে আশ্রয় খোঁজে না। এখন বটগাছটা নিজের মতই পড়ে থাকে। আপনার এই বটগাছটি দেখে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আমরা যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন রাস্তার ধারে এরকম বড় একটি বটগাছ দেখতে পেতাম ।আপনার গাছটা ঠিক সেই গাছের মতোই ।আপনি বটগাছ কে কেন্দ্র করে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি তুলেছেন। বট গাছের শিকড় গুলো কত দূর পর্যন্ত চলে গিয়েছে।
১০০ বছর আগের এই পুরনো বটগাছ এখনো আছে দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। এই বট গাছের অনেক পুরনো ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারলাম। তবে বট গাছের ছায়ায় সবাই মিলে সময় কাটাতে ভালো লাগে। এই গরমের সময় যদি বটগাছের ছায়ায় বসে সময় কাটানো যায় তাহলে হৃদয় শীতল হয়ে যায়।
১০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই বট গাছের নিচে নিশ্চয় গ্রামের অনেক মুরুব্বিরা বসেন । এই গরমের মধ্যে একটু স্বস্তি পাওয়ার জন্য। আপনি তো মনে হয় প্রতিদিন স্বস্তি পান গরম হতে। আসলে আমার মনে হয় প্রতিটি গ্রামে এরকম একটি ঐতিহ্যবাহী বটগাছ রয়েছে। যে বট গাছটি নিয়ে অনেক গল্প রয়েছে। আজকে আপনার মাধ্যমে আমরা আপনাদের গ্রামের বটগাছ নিয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু কথা জানতে পারলাম।
১০০ বছর আগের বট গাছটি দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।অনেক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে এই বট গাছ।এর ছায়ায় বসে গল্প করার মজাই আলাদা। এই বটগাছের পুরোনো ইতিহাস জনা হলো।আমরা মানুষরাই নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পরিবেশের ধ্বংস করে নিজেদেরই ক্ষতি করি।