নাটক রিভিউ:আমার একটা তুমি ছিল || ( 10% shy-fox)
আমার বাংলা ব্লগে
আজ বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং
নমস্কার
তো যাই হোক বন্ধুরা, এবার আমরা চলে এসে আমাদের নাটকের মেইন হিস্টোরিতে আশা করব আপনাদের সবার ভালো লাগবে তো চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে দেখে আসা যাক আমার আজকের দেখা নাটকের মেইন কাহিনী টুকু.......!
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নাটকের নাম: | আমার একটা তুমি ছিল |
---|---|
অভিনয়ে | অপূর্ব ও নীলাঞ্জনা নীলা |
পরিচালনায় | তুহিন বড়ুয়া |
দেশ | বাংলাদেশ |
ডুরেশন | ৪১.০২ |
নাটকের মেইন কাহিনী!!
শুরুতেই অপূর্ব ও নীলাঞ্জনা নীলা দুজন দুজনের সাথে প্রথম দেখা ৷ বলতে গেলে অপূর্ব যে বাসায় আছে ৷ঠিক সেই বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে ঢুকতেই প্রথমেই অপূর্বর সাথে ধাক্কা লেগে যায় নীলাঞ্জনা নিলার৷ আর তখন থেকে অপূর্ব তার প্রতি ও ভালবাসায় ডুবে যায়৷
আর বলতে গেলে অপূর্বর বাবা একজন বড় ব্যবসায়ী আর তার মা একজন গৃহিণী ৷পড়ালেখা করা বেকার ছেলে প্রতিদিন মায়ের কাছে হাত পেতে টাকা চায় ৷আর তার মাও অনেকটা বিরক্তি হয় যদিও পরে টাকা ঠিকই দেয়৷ তবে তার আগে একটু তালবাহানা৷
তারপর একদিন না অপূর্ব বাড়ির ছাদের কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছি আর ঠিক তখন এই মেয়েটি অর্থাৎ নীলাঞ্জনা নীলা কাপড় শুকাতে ছাদে যায়৷ অপূর্ব কথা বলতে গেলে নীলাঞ্জনা নিলা কাপড়ের আড়ালে লুকিয়ে যায় ৷এভাবেই দুজন দুজনের সাথে পরিচয় হওয়া আলাপ৷
আর এদিকে নীলাঞ্জনা নিলা কিন্তু প্রতিদিন বাজার করতে যায় ৷ আর ছেলেটি অর্থাৎ অপূর্ব কিন্তু কোনদিন ও বাজার করেনি৷ কিন্তু একজন অপূর্ব দেখতে বলেছে তার সাথে কথা বলতে গেলে বা তার সাথে চলতে হলে৷ কিভাবে সে করবে হঠাৎ করে একদিন সকালে দেখতে পেল ৷ যে সে প্রতিদিন বাজার করতে যায়৷ আর তখন ঠিক অপূর্ব সিদ্ধান্ত নিল যে সেও বাজার করবে৷ সে একদিন তার মার কাছ থেকে টাকা চাচ্ছে বাজার করার জন্য৷ তার মা শুনে তো অবাক যে ছেলে কোনদিনও বাজার করতে যায়নি সে বাজার করবে৷ তারপর তো অনেক কথার ছলে বলে টাকা নিলো বাজার করার জন্য ৷
বাজার করতে গিয়ে তার সাথে একই দোকানদার কাছে বাজার কিনতে দুজনের দেখা৷ যদিও অপর বই এর আগে কখনো বাজার করিনি তাই সে একটু অস্বস্তি বোধ করছে ৷ আর মেয়েটি তাকে দেখেই বুঝতে পেরেছে সে কখনো আগে বাজার করেনি ৷তাই সে নিজ হাতে তাকে বাজার করিয়ে দেয় এরপর দুজনে একই রিক্সায় বাড়ি ফিরে৷
এভাবেই দুজনের রিক্সায় কথা বললো যে তারা এবার থেকে দুজনে একসাথে বাজার করবে৷ কারণ এতে দুজনের খরস ফিফটি ফিফটি অর্থাৎ রিক্সা ভাড়া দুজনের অর্ধেক অর্ধেক ৷ এভাবেই দুজনে প্রতিদিন রোজ বাজার করে ৷যদিও মেয়েটি কখনো তাকে ভালোবাসার কথা বলিনি ৷কিন্তু ছেলেটি তাকে প্রথম থেকেই ভালোবাসে কিন্তু কখনো বলে নি ৷এবার সে সিদ্ধান্ত নিল তাকে একদিন কোথাও পার্কে বা কোনখানে দেখিয়ে নেই প্রপোজ করবে ৷ ফোন করে এক ঠিকানায় আসার কথা বলল এবং দুজনের সেই পার্কে দেখাও করল৷
তাকে পার্কে ডেকে এনেছিল তার মূল কারণ হলো ৷তাকে ভালোবাসার কথাটুকু বলবে৷ কিন্তু ব্যাপারটা পুরো অন্যরকম হয়ে গেল৷
কারণ ছেলেের মুখে তার ভালোবাসার কথাটা শুনে ৷মেয়েটি কোন কিছু উত্তর বা কথা না বলেই চলে যায় ৷কারণ মেয়েটির ছিল ব্রেন টিউমার সে কখন মৃত্যু হবে ৷সে নিজের জানে না ৷তাই সে তার জীবনে অন্য কাউকে জড়াতে চায় না ৷ কিন্তু এই কথাটা ছেলেটি অথবা অপূর্ব জানে না৷
এরপর দুজনের মধ্যে আমার কোন কথাবার্তা নেই৷ অপূর্ব তাকে কত ফোন মেসেজ কিন্তু কোন রিপ্লাই বা কোন উত্তর সে পায়নি৷ কারণ মেয়েটি তাকে ভালবাসতে চায় না তার জীবনের সাথে জড়াতে যায় না ৷ একজন ছেলেটির মাথা কে জিজ্ঞেস করলে তার কি হয়েছে উত্তর এসে বলে আর কিচ্ছু হয়নি। এভাবে চলতে চলতে হঠাৎ করে ৷একদিব মায়ের কাছ থেকে শুনে যে তাদের বাসার পাশের রুমের যে মেয়েটার ব্রেন টিউমার৷
আর ঠিক তখনই ছেলেটি আবারও তার সাথে যোগাযোগ করে যদিও মেয়েটি চাইনি অনেক কিছু পর তাদের সাথে আবার দুজনের কথা হয়৷ এমন কি ছেলে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয় ৷কিন্তু মেয়েটি বলে যে তোমার পরিবার আমাকে মেনে নেবে না ৷ এক পর্যায়ে ছেলেটি তার পরিবারের কাছে সবকিছু সমস্ত কথা খুলে বলে ৷যদিও প্রথম পর্যায়ে তার বাবা-মা পরিবার কখনোই মেনে নিতে চায়নি ৷কিন্তু পরিশেষে মানতে বাধ্য হয়েছিল ৷এরপর দুই পরিবারের মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়৷
তারপর দুই পরিবার মিলিয়ে মেয়ের সাথে বিয়ের শপিং করতে যায়৷ আর ঠিক সেখানেই বিয়ের শপিং করতে করতে হঠাৎ করেই মেয়েটির মাথা ঘুরে পড়ে যায় ৷কারণ তার ছিল ব্রেন টিউমার ৷এরপর থেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু দিনশেষে সমস্ত কিছু করার পরও তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি৷ শেষমেষ আমার একটা তুমি ছিল এটাই ছিল নাটকের মেইন কাহিনী বা ঘটনা৷
আমার মতামত |
---|
জানিনা ঠিক আপনাদের কাছে নাটকটি কতটা ভালো লাগবে ৷তবে আমার কাছে একটি জিনিস সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন জাগাচ্ছে? বা ভালো লেগেছে ৷সেটি হল ভালোবাসা পবিত্র ভালোবাসা ৷ কারণ ছেলেটি মেয়েটাকে তার মনের গভীর থেকে ভালোবেসেছিল ৷আর তাইতো তার সমস্ত সুখে-দুখে পাশে থাকার জন্যই তাকে কখনো সেরে যায়নি৷ যদিও সেটা নাটকের একটি কাহিনী মাত্র৷তবে মন্দ নয়৷
কারণ ভালোবাসা তো সেটাই যে কখনো কাউকে ছেড়ে চলে যাবে না৷ যদি আমাদের বাস্তব জীবনে পুরোটাই উল্টো ৷কারণ একটুকু সামান্য ভুলের জন্যই ভালোবাসার হারিয়ে যায় সেটা তো বলাই বাহুল্য৷
আচ্ছা যাই হোক বন্ধুরা আশা করি আপনাদের সবার নাটকটি ভালো লেগেছে৷
@gopiray
সবাইকে ধন্যবাদ
সবাইকে ধন্যবাদ
অপূর্ব ভাইয়া কোন নাটক আমি মিস করি না ভাইয়া। এই নাটকটি আমি দেখেছি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
শুনে ভালো লাগলো যে আপনি নাটক টি দেখেছেন ৷ধন্যবাদ আপু
খুবই মিষ্টি প্রেমের একটা শুধু ছিল নাটকের মধ্যে, ভেবেছিলাম ভালো একটা এন্ডিং হবে, তবে শেষের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম ভালবাসাটা পরিণত পেলো না।
আসলে কিছু ভালোবাসা এমনি ৷পাওয়া হয় না ৷
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মতামতের জন্য ৷