দিনাজপুরের বিখ্যাত কান্তজি মন্দির দর্শন ৷ ৷
আজ ২১শে, চৈত্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বসন্ত-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয়, সকল ব্লগার ভাই বোন বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন ।সেই সাথে প্রতিনিয়তই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথেই রয়েছেন। যা হোক আমি আপনাদের দোয়ায় আশীর্বাদে ঈশ্বরের কৃপায় অনেক ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ শুধু একটি কমিউনিটি নয় বরং একটা পরিবার যেখানে আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের জীবনের চলার পথের শান্তি হিসেবে বেছে নিয়েছি ।সেটা আমাদের প্রত্যেকটি ইউজার ভাই-বোন বন্ধুই।
যা হোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে। আজকে ব্লগে থাকছে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা দিনাজপুরের কান্তজী মন্দির দর্শনে আমার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি। এসব নিয়ে আজকের ব্লগ নিয়ে আপনার মাঝে উপস্থাপন করতে চলেছি। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে সেই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত রেখেই শুরু করছি আমার আজকে ব্লগ।
মূলত কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই পিসিত ভাইয়ের সাথে প্ল্যান ছিল দিনাজপুরের কান্তজি মন্দির দর্শন করার ।আসলে এ দিনাজপুর জেলা হলো আমাদের পাশের পার্শ্ববর্তী জেলা আমি পঞ্চগড়ে জেলায় বাস করি । বিগত প্রায় অনেক দিন আগে দিনাজপুর কান্তজি মন্দিরে গিয়েছিলাম । তখন আমি খুব একটা ভালো হবে বলতেও পারি না । তবে বিগত প্রায় অনেকদিন ধরেই চিন্তাধারা ছিল এ কান্তজি মন্দির দর্শন করার । কারণ এটা আমাদের সনাতন ধর্মীয় পুরনো ঐতিহ্য বা পুরনো রাজার আ আমলের এ মন্দির নির্মিত। আরও অনেক জাঁকজমকপূর্ণ পূজার আয়োজন ছিল ।
যা হোক দীর্ঘ অনেক দিনের ছোট্ট একটি স্বপ্ন যেটা কিছুদিন আগে পূর্ণতা পেয়েছিল। যা হোক আমাদের এখান থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে দিনাজপুর সে বিখ্যাত কান্তজি মন্দির ।
সর্বপ্রথম সে কান্তজী মন্দিরের ছোট্ট কিছু ইতিহাস।
কান্তজির মন্দির টি বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার
অবস্থিত । এই মন্দির টি মধ্যযুগীয় আমলের হিন্দু মন্দির। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মিত করেন। এটির নির্মাণ ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এবং ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পুত্র রাজা রামনাথ রায়ের রাজত্বকালে শেষ হয়।
শুধু দিনাজপুরের বললে গেলে ভুল হবে। সারা বাংলাদেশের মধ্যে বিখ্যাত এবং সকল হিন্দু সনাতন ধর্মীয় মানুষজন এ মন্দিরের কথা জানে যতটা আমি মনে করি । তবে আমাদের বাংলাদেশে এরকম মন্দিরের সংখ্যা খুব কমই। যেমনটা ভারতের আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ যেখানে এরকম মন্দির অনেক বেশি পরিমাণে। তবে সে দিক থেকে আমাদের বাংলাদেশে এরকম মন্দির আছি সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ভাগ্যের ব্যাপার । যেখানে আমাদের হিন্দু সনাতন ধর্মীযগণ পূজা অর্চনা করে আসছি বা করছি।
ছবিতে যতটা দেখা যাচ্ছে তার চেয়েও বাস্তব চোখে মন্দির টি দেখা মাত্রই মনের মধ্যে এক অন্যরকম অনুভূতি জাগ্রত হবে। যে আসলে আগের দিনের মানুষের কারু কাজ সত্যি অসাধারণ । বিশেষ করে মন্দিরের নকশা করা চিত্রগুলো বা অঙ্কন গুলো দেখলেই সত্যি দেখার মতো যা চোখ ফিরে দেখানো যায় না।
এছাড়াও মন্দিরের উচ্চতা বেশ বড় ছিল চারিদিকেই একই দৈর্ঘ্য বা একই মাপ অনুযায়ী মন্দির টি নির্মিত।
তার পাশে রয়েছে আরেক টি ধ্বংসস্তূপ অবস্থায় ছোট্ট মন্দির । যেটা তার পাশে অবস্থিত কিন্তু মন্দিরটি অনেকটাই ধ্বংসের পথে। বর্তমানে এ মন্দিরে যে অবস্থা তাতে আসলে সরকারি পর্যায়ে কিংবা আইন কানুন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা অতি গুরুত্বপূর্ণ। নয়তো এরকম বড় ঐতিহ্যবাহী হিন্দু সনাতন ধর্মের বড় মন্দির ধ্বংসের পথে চলে যাবে । কারণ ইতিমধ্যেই মন্দিরে করা মাটির বিভিন্ন নকশা বা ডিজাইন সেগুলো প্রায়ই ধ্বংসের পথে সেইসাথে মন্দিরের সব কিছুই পুরনো হয়ে গেছে। যার পূর্ণ সংস্কার বা কাজ করা উচিত প্রয়োজন।
এরপরে সেখানে একটি গাছ যে গাছটির নাম আমার এই মুহূর্তে থেকে মনে আসতেছে না । যেখানে বিভিন্ন ভক্ত স্বজন বা দর্শনার্থী ভক্তবৃন্দ তাদের মনো বাসনা করে। তাঁরা আস্থা বা বিশ্বাস রাখে সেখানে সুতো বেঁধে দেয় আর সবাই বিশ্বাস করে যেখানে সুতো বেঁধে মনের আশা চাইলে সেটা পূর্ণতা পেলেও পেতে পারে ।তাইতো আমিও গাছের মধ্যে বেধে দেই এবং কি সেই ছোট্ট স্বপ্ন টা যাতে পূর্ণতা পায় সে প্রার্থনা বাসেই কামনাটাই করি ।
সর্বোপরি সেদিন এই কান্তজির মন্দির দর্শন করতে পেরে নিজেকে অনেকটাই ভাগ্যবান বা ভাগ্য ব্যাক্তি বলে মনে করেছি । কারণ এত বড় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা মন্দির যেখানে একজন হিন্দু সনাতন ধর্মীয় মানুষ হয়ে দর্শন করতে পারার মাঝে অভিজ্ঞতা পেলাম। যে আদিম যুগের বা মধ্যযুগীয় মানুষের ধর্মের প্রতি বা ধর্মের শিক্ষা গন বা প্রতিষ্ঠান তৈরি যে আগ্রহতা সেটা সত্যিই অসাধারণ ছিল ।
আর এখন এটা শুধু একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা নয় বরং একটি দর্শনার্থী বা দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিণত হয়েছে। সারা বাংলাদেশের চারিদিকে যেখানে ধর্মমত নির্বিশেষে সকল মানুষজন এই মন্দির দর্শনে বা দেখার জন্যই অনেক মানুষ জনের সমাগম ঘটে ।তাই তো প্রতিদিন বেশ ভিড় জমে মন্দিরে।
যা হোক প্রিয় বন্ধুরা তো এই ছিল আমার আজকের বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায় বিখ্যাত সেই কান্তজি মন্দির দর্শন করার অভিজ্ঞতা । সেই সাথে কিছু আলোকচিত্র এবং আমার অনুভব অনুভূতি যা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম । আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লেগেছে এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত রেখে শেষ করছি আমার আজকের ব্লগ।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
সবাইকে ধন্যবাদ
|
---|
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1775963133200547925?t=qQv9C11axe0BqlTLHV7oqA&s=19
দিনাজপুরের কান্তজী মন্দির অনেক পুরনো আমলের একটি হিন্দু মন্দির ৷ এই মন্দির আমিও কিছু দিন আগে দর্শন করেছি ৷ খুবই সুন্দর এবং নিরিবিলি পরিবেশে এই মন্দিরটি অবস্থিতি ৷ মন্দিরটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনই ভালোলাগার ৷ যাই হোক , পিসিত ভাইয়ের সাথে এই মন্দির দর্শন করেছি জেনে খুবই ভালো লাগলো ৷ এবং কান্তজী মন্দিরের ফটোগ্রাফি এবং এই মন্দিরের ব্যাপারে জেনে আরো বেশি ভালো ভালো ৷ অসংখ্য ভাই কান্তজী মন্দির ভ্রমণের সুন্দর অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ৷
আসলে কিছুদিন আগে হঠাৎ করে প্লান ৷ তাই পিছিতো ভাইয়ের সাথে গিয়েছিলাম ৷ গিয়ে অনেক ভালো লেগেছে এমন সুন্দর পুরনো একটি মন্দির দর্শন করে ৷ তবে এর কারুকাজ করা ভীষন প্রয়োজন ৷
কান্তজির মন্দির বাংলাদেশের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় একটা জায়গা। বিশেষ করে ঐতিহাসিক পুরানো স্থাপনার মধ্যে এটার স্থান হয়েছে। এটা সম্পর্কে আমি বইয়ে পড়েছি। মন্দিরের গায়ে অসাধারণ সব টেরাকোটার ফলক অসাধারণ সব দৃশ্যপট নকশা আকারে অংকন করা রয়েছে। দারুণ ছিল আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো। এবং এটা একটা ঐতিহাসিক জায়গা। দারুণ সময় কাটিয়েছেন এখানে।
একদম ঠিক বলেছেন সারা বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক পুরানো স্থাপনার মধ্যে এই কান্তজি মন্দির অন্যতম নির্দশন ৷
কান্তজি মন্দির আমিও গিয়েছিলাম। জায়গাটি আমার কাছে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে মন্দিরের কারুকার্য গুলো এতটাই ভালো লেগেছে যেটা বলার মত নয়। আমরা সবাই মিলে ঘুরতে গিয়ে সত্যিই অনেক আনন্দ করেছিলাম। ভাইয়া আপনি ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
হুমমম আমি আপনার পোষ্ট দেখেছিলাম এবং কমেন্ট করেছিলাম ৷ যা হোক আসলে মন্দিরের কারুকাজ গুলো সত্যি অসাধারণ ৷
কান্তজি মন্দির আমার অনেক সুপরিচিত। আমার বাসা দিনাজপুর জেলায় আমি অনেক কয়েকবার কান্তজী মন্দির ভ্রমণ করছি তবে আমার বাংলা ব্লগে শেয়ার করা হয়নি।কান্তজী মন্দির অনেক আগের মন্দির। তবে এগুলো মন্দির দেখতে খুবই ভালো লাগে আর এগুলো হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য। যাইহোক আপনি সুন্দর ভাবে সেই কান্তজী মন্দির দর্শন করছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর ভাবে নিজের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
যাক শুনে খুশি হলাম আপনার আপনার বাড়ি দিনাজপুর জেলায় ৷ আপনি অনেক বার মন্দিরে গিযেছেন সেটাও শুনেও ভালো লাগলো ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মকামতের জন্য ৷
দিনাজপুরে এত সুন্দর জায়গা রয়েছে তা আমি কখনো জানতাম না৷ আপনার কাছ থেকে আজকে এই প্রথম এরকম সুন্দর একটি জায়গা সম্পর্কে জানতে পারলাম। যেভাবে আপনি সুন্দর জায়গা ভ্রমন করে তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা খুবই সুন্দর হয়েছে৷ এখানে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি এখান থেকে সবকিছু আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
ভাই সারা বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম ধর্মীয় মন্দির ৷ এই দিনাজপুরের বিখ্যাত কান্তজি মন্দির ৷ আশা করি কোনো একদিন ঘুরতে আসবেন ভালো লাগবে ৷
অবশ্যই আসবো৷ এত সুন্দর স্থান দেখার দরকার৷