আমার পোষা কবুতর ৷ ৷
আজ ০৯ই, চৈত্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বসন্ত-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয় ,আমার বাংলা ব্লগের সকল ব্লগার বন্ধুদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে । হয়তো আজকের ব্লগটি টাইটেল পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে আসলে কি বিষয়ে উপস্থাপন করতে চলেছি । আমি এর আগেও একটি কবুতরে ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। মা হোক আজকে আমার বাড়ির কবুতর গুলোকে নিয়েই ছোট্ট একটি ব্লগ উপস্থাপন করতে চলেছি।
প্রথমত বলতে হয় যে, গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে হাঁস-মুরগি গরু ইত্যাদি বিভিন্ন রকম পশুপালন করে থাকে ।বলতে গেলে অনেক গৃহস্থের বাড়িতে এগুলো প্রধান সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত বা সাধারণ পরিবারের বাড়িতে প্রতি বাড়িতে প্রায় হাঁস মুরগি গরু ছাগল এসব পালন করে থাকে। আর সেই জায়গা থেকে কবুতর পোষা আমার অনেকের শখের । প্রথমত ৫০০ টাকা দিয়ে দুটি কবুতর কিনেছিলাম এরপর বাড়িতে খাচা বানিয়ে পালন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রথমত সেগুলো টিকতে পারি নি অর্থাৎ অন্য বাড়িতে গিয়ে লেগেছিল। কবুতর পালনের নিয়ম যে কবুতর যার বাড়িতে লাগে সেটা আর কখনো ফিরে আসে না । অনেক চেষ্টার পর আবার পরে একসাথে চার ট কিনেছিলাম এবং কি তারপর থেকেই বাড়িতে থেকে যায় আর অন্যখানে পালিয়ে যায় নি ।এরপর এই ডিম দেওয়া আবার নতুন বাচ্চা সব মিলে প্রায় সাতটা কবুতর হয়েছে । আরে এখন বলতে গেলে টোটাল প্রায় ১০ থেকে ১৫ টা কবুতর।
প্রতিদিনই সকালবেলা উঠেই ব্যক্তিগত নিজের শত কাজ ফেলে এই কবুতরগুলো যত্ন নেই । খাবার দেয়া থেকে শুরু করে খাঁচা পরিষ্কার করা সব মিলে সকালকার সময়টা বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যায় ।সবচেয়ে ভালো লাগে কবুতরগুলোর ডাক শুনে এ জন্যই হয়তো বা মানুষ বলে থাকে যে, কবুতর হলো শান্তির প্রতীক। সারাদিন ঘরের চালে বা আঙ্গিনায় আনাগোনা আর বাকুম বাকুম ডাক । সাদা কালো রঙের কবুতর গুলো দেখতে অনেক কিউট ।
এ কবুতরগুলোর অনেক জাতের রয়েছে । যা হোক কবুতর আমার অনেক শখের সেই ছোট বেলা থেকেই। আদিম যুগে যে কবুতরের পায়ে চিঠি বেঁধে খবর আদান প্রদান করা হয়েছিল । কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কত কিছু পরিবর্তন। গতকালকেই বাড়ি উঠানে অর্থাৎ আঙ্গিনার মধ্যেই ধান শুকাতে দিয়েছিল। ঠিক সেই মুহূর্তেই কবুতর গুলো আঙ্গিনার মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ধান খাচ্ছিল। পরিবেশটা ঠিক সেই মুহূর্তে সুন্দর আর প্রাণবন্তর ছিল ।আমি আগে বলেছি যে কবুতর হলো শান্তির প্রতীক সারাদিন বাড়ির আঙ্গিনায় ঘরের চালে উঠানে ঘোরাঘুরি করার যে সুন্দর একটি পরিবেশ সেটা আসলে অনেক অনেক আনন্দিত করে আমাকে।
ধান শুকাতে দেওয়ার মুহূর্তেই কবুতর গুলো একসাথে দলবেঁধে খাবার খাচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তেই ফটোগ্রাফি এবং কি ছোট্ট একটি ভিডিওগ্রাফি ধারণ করেছিলাম ।আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলেই । আমার ব্যক্তিগত চিন্তা ছাড়া বা ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা আছে যে একটা বড়সড় কবুতরের খামার করবো। এখন মোটামুটি প্রায় ১৫ টি কবুতর ধীরে ধীরে বাড়ানোর প্রচেষ্টা করছি ।
তো চলুন দেখে আসা যাগ কবুতর গুলো খাবার খাওয়ার সময় করা ভিডিওগ্রাফি টি।
আশা করি ভিডিওগ্রাফি টি সবার ভালো লেগেছে । আসলে গ্রামের গৃহস্থ বাড়ির এগুলো তে জীব বা পশু পালন এক ধরনের ঐতিহ্যের মধ্যে পরে । প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই দোয়া আর্শিবাদ করবেন যেনো এই পায়রা বা কবুতর পালন করে যেনো বড় একটা খামার করতে পারি ৷
সর্বোপরি এই ছিল আমার পোষা কবুতর নিয়ে আজকের ব্লগ ।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
সবাইকে ধন্যবাদ
|
---|
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1771835401696629001?t=VdOrGZCgODLkT7vceJ5b8Q&s=19
কবুতর আমার অনেক বেশি প্রিয় একটি পাখি। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম আপনি একজন কবুতর প্রেমি মানুষ। আসলে কবুতর দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমার ইচ্ছা আছে আমি কয়েকটি কবুতর লাগাবো আমার বাসায়। আপনি আপনার কবুতর গুলো কে খুব সুন্দর করে যত্ন নেন।
শুনে খুশি হলাম যে আপনি ও কবুতর পালন করবেন শুনে ৷ আপনার জন্য রইলো অবিরাম শুভকামনা ৷
গ্রামীণ পরিবেশের গৃহস্থ পশুপাখি পালনের দৃশ্য গুলো ভালই লাগে দেখতে। ছোটবেলা থেকে শহরে থাকার কারণে এই দৃশ্যগুলো কখনো তেমন একটা চোখে পড়ে না। আপনার খামার তৈরির স্বপ্ন পূরণ হোক সেই কামনা করি। গৃহস্থ পশুপাখি গুলোর ভিডিওগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো ও ভালো হয়েছে।
জি আপু গ্রামীন পরিবেশে গৃহস্থ বাড়িতে এসব পশুপাখি পালন প্রায় সবাই করে ৷ যা হোক আপনি ছোট বেলা থেকে শহরে থাকার জন্য এসব দৃশ্য দেখেন নি ৷ তবে আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম ৷
কবুতর হলো শান্তির প্রতীক। কবুতর পোস্টে আমার ভীষণ ভালো লাগে একটা সময় আমার অনেক কবুতর ছিল। একটা দুর্ঘটনায় কবুতরগুলো সব হারিয়ে যায় এবং নষ্ট হয়ে যায়। আপনার পোষা কবুতরগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। কবুতর কিন্তু খুবই শখের জিনিস। আর কবুতর বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
জি ভাই কবুতর হলো শান্তির প্রতীক ৷ তবে শুনে খারাপ লাগলো আপনার ও অনেক কবুতর ছিল কিন্তু কারন বশত নষ্ট হয়েছে ৷ আপনি আবার নতুন করে পোষা শুরু করুন এমনটাই প্রতার্শা ব্যাক্ত করছি ৷
কথায় আছে সৌখিন ও পাখিদের প্রতি ভালোবাসা যাদের আছে তারাই কবুতর কিংবা পশু,পাখি পুষে থাকেন। আপনার কবুতর গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। আমিও ছোটবেলা থেকে কবুতরের সাথে পরিচিত। আমার বাবার বারিতে অনেক কবুতর ছিলো এবং এখনো আছে।কবুতরে বাকুম বাকুম ডাক সত্যি মুগ্ধ করে দেয় মন প্রান।আপনার কবুতর গুলো মনের আনন্দে ধান খাচ্ছে দেখে খুব ভালো লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কবুতরের নানা রকম বর্ণনা ও ফটোগ্রাফি করার জন্য ও আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম যথার্থ আর সত্য কথা বলেছেন পশু পাখিদের প্রতি যাদের ভালোবাসা কাজ করে ৷ তারাই পারে এসব পাখি পোষতে ৷
শুনে ভালো লাগলো আপনার বাবার বাড়িতে কবুতর ছিল ৷
নিজের পোষা প্রাণীগুলোর সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। অবশ্যই একদিন আপনি বড় পরিসরে কবুতরের খামার তৈরি করবেন। আমাদের বাড়িতেও অনেকগুলো কবুতর আছে। এবং একটি টিয়া পাখি আছে। টিয়া পাখিটি অনেকটা কথা বলা শিখে গেছে। টিয়া পাখিটি র সাথে সময় কাটাতে আমার বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার পোষা কবুতরের সম্পর্কে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হুমমম ভাই পোষা প্রানী গুলোর সাথে সময় কাটাতে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে থাকে ৷ ভাই চেষ্টা করছি বড় পরিসরে খামার করার ৷
তবে বেশি ভালো লাগলো আপনার বাড়িতেও কবুতর টিয়া পাখি আছে শুনে ৷ একদিন পোষ্ট লিকবেন ভাই ৷
কবুতর লালন পালন করা একটি সৌভাগ্যের কাজ। কারণ সবার কাছে কবুতর থাকে না পালিয়ে যাই। আপনি বেশ ভালোই করলেন কবুতর লালন পালন করতেছেন। দেখে বেশ ভালই লাগলো আপনার অনেক কবুতর হয়ে গেল। সবকিছুর ক্ষেত্রে একটু যত্ন নিতে হয়। যখন যত্ন নিবেন সেই যত্নের ফলাফল বিফলে যায় না। একদিন না একদিন কষ্ট করলে সফলতা পাওয়া যায়। আপনি যেহেতু চেষ্টা করতেছেন কবুতর বেশ ভালই হচ্ছে আপনার। আশা করি আপনার কবুতরের সংখ্যা আরও বাড়বে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার ব্লগ পড়ে।
এটা সত্য বলেছেন আপু কবুতর পোষা ভাগ্যের ব্যাপার ৷ আসলে সবার কাছে কবুতর থাকে না ৷ আপু আমিই প্রথমে নেওয়া কবুতর গুলো ছিল না ৷ যা হোক পরে আবার নিয়েছি আর এখন অনেক কবুতর ৷
আমারও অনেকগুলো কবুতর আছে ভাইয়া। আমি অনেকদিন থেকে কবুতর পোষতাম। তবে বিয়ের পরে আমার ছোট ভাইটা তার দায়িত্ব নিয়েছে। এখন সে পাখিগুলো পুষে থাকে। আমি এখানে অবস্থান করলেও হে মুহূর্তে দেখাশোনা করতে পারি না ভালো হবে। তবে এই কবুতর পোষার মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা রয়েছে। আপনি কবুতর পোষেন জেনে ভালো লাগলো।
সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো অনেকে কমেন্ট করছে ৷ যে তারাও না কি কবুতর পালে ৷ বিষয়টা বেশ অনুপ্রাণিত করেছে আমায় ৷