গ্রামের শীতের তিব্রতা ৷৷ আমার বাংলা ব্লগ❤❤
আজ - ২৯শে , পৌষ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আমি প্রতিনিয়তই একটা কথা বারবার বলে থাকি ।সেটা হলো আমার বাংলা ব্লগ মানেই যেন ভিন্ন কিছু আয়োজন। যেখানে এক একটি ইউজার তার মেধা সৃজনশীলতা ছিল তার ক্রিয়েটিভিটি কে কাজে লাগিয়ে নিত্য নতুন ব্লগ শেয়ার করে থাকে ।যেখানে তাদের অনুভব অনুভূতি সেই সাথে সৃজনশীলতার সম্পূর্ণটা আমি নিংড়ে দিয়ে থাকে ।আর এটাই হলো আমার বাংলা ব্লগ সবচেয়ে বড় দক্ষতার পরিচয় ।যেখানে অন্যান্য কমিউনিটি আমাদের ধারের কাছে নিয়ে বললেও চলে।
যা হোক প্রিয় বন্ধুরা প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে । প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি ভিন্ন কিছু উপস্থাপন করার সেই ধারায় আজকের ব্লগে একটি নতুন কিছু উপস্থাপন করতে চলেছি। আপনার হয়তো সবাই জানেন যে বর্তমানে এই শীতের প্রকোপ টা চারদিকে বেশ ছেয়ে পড়েছে। কোনখানে হয়তো কম আবার কোথাও প্রচুর পরিমাণে শীতের তীব্রতা অনুভব করছে মানুষজন।
যদি আমাদের এদিকের কথাই বলি তবে আজকে থেকে প্রায় এক সপ্তাহ যাবত সূর্যের আলো নেই। সাথে প্রতিদিন ঘন কুয়াশা আর বাতাসে তীব্রতা যার কারণে ঠান্ডা অনুভূতি সবচেয়ে বেশি হচ্ছে । বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় প্রচুর প্রচুর পরিমাণে শীত যা আসলে বলার অপেক্ষা রাখে না ৷
বলা যায় আজকে আমার সারাদিন প্রায় আগুন তাপানোর মধ্য দিয়ে কেটেছে। আর এসব নেই আমার আজকের উপস্থাপনা।
ছবিগুলো দেখেই হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন যে শীতে তীব্রতা আসলে কতটা। গ্রামের মানুষের সবথেকে বড় কষ্টের বিষয় হচ্ছে গিয়ে বয়স্ক মানুষ আর ছোট বাচ্চাদের । যাদের প্রতিনিয়ত খেয়াল রাখতে হয় । আর গ্রামের শীতের পরিমাণটাই সবচেয়ে বেশি বলে আমি মনে করি। আজকে সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি প্রায় প্রতিটা মুহূর্তই ছিলাম আগুনের পাশে। কারণ আজকের ঠান্ডার প্রকোপ এতটাই বেশি পরিমাণে ছিল তা আসলে বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর আরেকটা সত্যি কথা বলতে গিয়ে আগুনের পাশে বসতেই যেন অন্যরকম মজা লাগছিল। ঠিক এমনটাই মনে হয় আর বর্তমান সময়ে গ্রামের মানুষজন খড়কুটো লাকড়ি আগুন জ্বালিয়ে এই শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য আগুন তাপায় প্রধান কাজ করে থাকে ।
জানিনা এরকম আবহাওয়ার কতদিন থাকবে তবে আমার মনে হয় যদি সূর্যের আলো একটু হয় ।তবেই এই শীতের তীব্র থেকে একটু হলেও রেহাই পাওয়া সম্ভব । কিন্তু দুঃখের বিষয় যে সূর্যের আলো নেই বললেই চলে সারাটা দিন কুয়াশার বাতাসের আদ্রতা সব মিলিয়ে ঠান্ডা আরো অনেক তীব্রতা করছে।
আর যাই হোক এই শীতের মধ্যে নিজেকে সুস্থ এবং ভালো রাখাই সবার নিজ নিজ দায়িত্ব কিন্তু কর্তব্য ।সেটা যেমন হোক না কেন এই শীতে এই শীতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন এমনটাই আসা প্রত্যাশা।
তবু প্রিয় বন্ধুরা সব মিলিয়ে ছিল আমার আজকের ব্লগ। এই শীতের মাঝে গ্রামের মানুষের দিনযাপন এবং এই শীতের মাঝে কাটানো মুহূর্তগুলোকে নিয়েই আজকের আমার উপস্থাপনা। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লেগেছে এমনটাই আশা প্রত্যাশা করি।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1746191974963843136?t=maANbwrsWDDH15OY71DLmw&s=19
যখন অনেক ছোট্ট ছিলাম সেই সময় ঘুম থেকে উঠে দেখতে পেতাম । বাড়ির উঠানের উপর খড়ি দিয়ে এভাবে পরিবারের সবাই একসঙ্গে শীতের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পেতে আগুন ধরিয়ে এইভাবে উষ্ণতা উপভোগ করতাম । আসলেই গত কয়েকদিন প্রচন্ড শীত পরছে যদিও বর্তমানে শীতের যেসব পোশাক রয়েছে সেই সময়ের মতো এখন আর এরকম আগুন জ্বালিয়ে শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে হয় না । সেটা দেখে ভালো লাগলো।
কিছুদিন আগে সকালে পাড়ার দোকানের দিকে একটু বের হয়েছিলাম। দেখলাম গ্রামের ছোট-বড় অনেকেই একসাথে বসে এভাবে আগুনে ঠান্ডা নিবারণ করছে। অবশ্য এটা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বললেও চলে ছোট থেকেই দেখে আসছি। তবে অনেক সময় এই কাজে কিন্তু দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল থাকতে হবে।
আপনাদের ওদিকের মতো আমাদের এদিকেও একসপ্তাহ পর্যন্ত সূর্যের আলো নেই বললে চলে। তবে সকাল হইতে অনেক কুয়াশা আমাদের দিকেও দেখা যায়। আর ঠান্ডার কারণে সবার অনেক কষ্ট হয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের বেশি কষ্ট হয়। আমি নিজেও একটু আশা করি যেন সূর্যের আলো দেখা যায়। যেন মানুষের এই কষ্ট দূর হয়। আর সবাই একটু সচেতন থাকলে তাহলে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পারবে। মূল্যবান একটি পোস্ট করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান সময়ে সব জায়গাতে অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়তেছে। তবে শীতের তীব্রতা সব জায়গাতে অতিরিক্ত। আর এই শীত থেকে রক্ষা পেতে সবাই একটু সচেতন থাকা দরকার। তবে গ্রাম অঞ্চলে ঠান্ডা অতিরিক্ত শহরে একটু কম। তবে আমাদের এদিকেও কয়েকদিন যাবত সূর্য একদম দেখা যাচ্ছে না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।