শেষ বিকেলে করতোয়া নদীর তীরে কাটানো মূহুর্ত ৷৷
আজ - ১৫ই , পৌষ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয়, আমার বাংলা ব্লগবাসি আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন এবং প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথেই রয়েছেন। প্রতিনিয়ত শত ব্যস্ততা মাঝেও চেষ্টা করি আমার ব্লগ পরিবারের সাথেই থাকার ।কিন্তু বিগত প্রায় অনেকদিন হলো এ পরিবার থেকে দূরে রয়েছি ।তবে । এখন থেকে প্রতিনিয়তই পরিবারের সাথেই আমার প্রতিদিনের কাটানো মুহূর্ত কিংবা আমার সৃজনশীলতা সবই শেয়ার করবো এমনটাই আশা প্রত্যাশা করছি প্রতিনিয়তই।
যা হোক আজ আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে। ব্লগ বা কনটেন্ট যাই বলি না কেন প্রতিদিন লেখাটা অনেকটা পেশায় পরিণত হয়েছে । আর তাইতো জীবনের যে। কোনো ঘটনা বলি কিংবা জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা এমন কোন মুহূর্ত সবগুলোকেই এই পরিবারের সকলের সাথে শেয়ার করি বলেই হয়তো জীবনটাকে অনেকটা ধন্য মনে হয়।
যা হোক প্রিয় , বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার বিকেল বেলার করতোয়া নদীর তীরে কাটানো ছোট্ট একটা মুহূর্ত শেয়ার করতে চলেছি ।আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে এমনটাই আশা প্রত্যাশা রেখে শুরু করছি।
নদী কার কাছে কতটা ভালো লাগে তা জানি না ??? তবে আমার কাছে নদী অসাধারণ তাই তো মাঝে মধ্যেই সময় পেলে কিংবা খারাপ লাগা মন্দ লাগা যাই হোক না কেন । সুন্দর সময় কাটানোর জন্য এই নদীর তীরে আমি প্রায় সময়ই এসে সময় কাটাই ।
এই করতোয়া নদীটি আমার এলাকার সব থেকে বড় নদী । যেখানে প্রায় সারা বছরই পানি থাকি। তবে বর্তমান সময়ে হাঁটু জল পানি । অর্থাৎ এই শীতের মৌসুমে পৌষের শেষ তাই ধীরে ধীরে পানি কমতে থাকে । কিন্তু বর্ষার সিজনে নদী হয়ে উঠে এক ভয়ঙ্কর রূপ । কখনো এপার ভাঙ্গে তো কখনো ওপার এক বিস্তীর্ণ বিশাল নদীর রূপ এই করতোয়া।
আজকে বিকেলের শেষ বেলায় মুহূর্তে এ করতোয়া নদীর তীরে এসে একটা সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সেই সাথে কিছু আলোকচিত্র যেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি । আসলে নদীর রুপ মানে যেন অনেক কিছু যেখানে মাঝি নৌকা বায় এক বার থেকে আরেক পার নিয়ে যাওয়া। আবার জেলে ভাই জাল দিয়ে মাছ ধরা। এসব রূপ সৌন্দর্য আসলে নদীর রূপকে এক অনন্য শিখরে পৌঁছে দেয়।
ছবি গুলো তে দেখতে পারছেন যে ধুধু বালুর চর । অর্থাৎ কিছুদিন আগে বেশ অনেকটাই পানি ছিল। তবে এখন পানি শুকিয়ে গিয়ে কোথাও কোথাও বালুর চর যেহেতু শেষ বিকেলের বেলার মুহূর্তে গিয়েছিলাম ।তাই রক্তিম মাখা সূর্যের ছবিটি আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। তবে বিকেল বেলা শেষ মুহূর্তে হালকা কুয়াশা শূন্য হওয়াতে ছবিগুলো খুব একটা ভালো হবে ফুটে ওঠে নি।
এরপর আবার কিছু দূরে চোখে পড়ল কয়েকজন ছেলে আগুন তাপানোর জন্য খরখুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছে । তাদের এমন মুহূর্ত টা আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। আসলে শৈশব জীবনের কাঁটার মুহূর্তগুলো বড়ই সুন্দর আর প্রাণবন্ত । তাইতো তাদের সাথে কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত এর পরেই সন্ধ্যার মুহূর্ত হওয়ার পরেই আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
তো প্রিয় বন্ধুরা আশা করি এই ছিল আমার করতোয়া নদীর তীরে কাঁদানো মুহূর্ত। সেইসাথে আমার অভিজ্ঞতা অনুভব-অনুভূতি আপনাদের সাথে উপস্থাপন করলাম । সেই সাথে এই করতোয়া নদীর তীরের আলোচিত্র । আশা করি আপনাদের সবারই অনেক ভালো লেগেছে ।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
সৌন্দর্য বেশ ভালো লাগে আমার বিশেষ করে পড়ন্ত বিকেলে এর সৌন্দর্যটা অসম্ভব সুন্দর। বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন দেখছি সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য
হুম ভাই পড়ন্ত বিকেলে সৌন্দর্যটা সত্যি অসাধারন লাগে ৷ আর অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়োছিলাম ৷
ধন্যবাদ ভাই
বোঝাই যাচ্ছে বিকেল বেলা করতোয়া নদীর পাশে গিয়ে খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। নদী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে বিকেলবেলা নদীর পাশে গিয়ে বসে সময় কাটাতে আমার অনেক বেশি পছন্দের। শীতের সময় প্রায় সকল নদীতে এই পানি কিছুটা কমে যায় তবে বর্ষা মৌসুমে করতোয়া নদী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে ভেবেই ভয় লাগছে। ছোটবেলায় আমরাও নদীর পাশে এরকম আগুন জ্বালাতাম, সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যা ভাই ঠিক বলেছেন বিকেল বেলা করতোয়া নদীর পারে অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম ৷ সবমিলে অনেক ভালো লেগেছিল ৷ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য ৷
বিকেলবেলা নদীর পাড়ে অসাধারণ মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে শীতের সময় এই নদীর পানি অনেকটাই কমে যায়। আর এই নদীর পানি কমে যাওয়াতে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনারা বিকেলবেলা অসাধারণ মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বিকেল বেলা নদীর পারে ঘুরতে ভালোই লাগে ৷ তাই তো মাঝে মধ্যে নদীর পারে বসে থাকি ৷ আর ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি আমার কাছেও ভালো লেগেছিল ৷ধন্যবাদ
করতোয়া নদীর নাম অনেক শুনেছি। এটা আপনাদের এলাকার সবচাইতে বড় নদী তাহলে। কিন্তু ফটো গুলো দেখে আমার কাছে নদীটা ছোটই মনে হয়েছে। যদিও শীতকালে পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে এমনটা মনে হতে পারে। নদীর ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর করেছেন। করতোয়া নদীর পাশে বেশ চমৎকার কাটিয়েছেন শেষ বিকেলটা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
জি না ভাই নদী বেশ বড় আসলে এখন পানি কম আর নদীর ধারে মানুষ জন চাষবাদ ছোট মনে হয় ৷ তবে এরপরে একটি ভিডিও শেয়ার করবো তখন দেখবেন কেমন ৷ ধন্যবাদ ভাই