গতকাল মাছ কিনতে গিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ....!!
আজ - ১০ই জ্যৈষ্ঠ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, |
গ্রীষ্ম-কাল |
গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
জীবন বড় অদ্ভুত জীবনের আসল মানে অর্থ কি তা হয়তো আমরা কিছুই জানিনা। কিন্তু আমরা এই জীবনের জন্য কত কিছুই না করি। দিন শেষে শেষ যাত্রা হয় তিন হাত মাটির জায়গায় ।সর্বোপরি মানুষ হওয়ার জন্য যতটুকু প্রয়োজন কিংবা মানুষ হয়ে একে ওপরের পাশে থাকা যতটা জরুরী। তা আমরা কিছুই করি না ।অযথা শুধু অযথা শুধু নিজের স্বার্থ নিয়ে
টানাটানি। প্রতিনিয়তইই সেই সাথে অন্যায় অবিচার কত কিছুই না করছি।
জীবনে ভালো থাকার জন্য আমরা প্রতিনিয়তই ছুটছি। কিন্তু সর্বোপরি ভালো আছে কিনা সেটা নিয়ে সংশয়। তাই জীবনের যতটুকু প্রাপ্তি আছে ততটুকু মেনে নিয়েই জীবনকে উপভোগ করা উচিত। কারণ জীবন তো অনেক ছোট্ট হলেও জীবনের যাত্রাপথ অনেক বড় ।তাই জীবনকে প্রতিনিয়ত ই সুন্দরভাবে উপভোগ করাই হলো একটি মানবিক মানুষের পরিচয়।
যাই হোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে। আর চেষ্টা করি প্রতিনিয়তই আপনাদের মাঝে ভিন্ন ধর্মী কিছু উপস্থাপন করার ।
গতকাল বিকেলবেলা হঠাৎ করে ইচ্ছে করলো বাজার খরচ করার ।যদিও প্রতি সপ্তাহে আমি বাজার খরচ করে থাকি। কিন্তু কালকে সপ্তাহের খরচ করা দিন ছিল না। তারপরও হঠাৎ করে কেন যেন ইচ্ছে হলো কারণ ।প্রায় কয়েকদিন ধরেই নিরামিষভী খাওয়া হচ্ছে ।তাই সন্ধ্যাবেলা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম মাছ কেনার জন্য।
খুব বেশি মাছ বের হয়নি মূলত সপ্তাহে একদিন বাজার বসে। বেশ জমজমাট আসর আর ঠিক সেদিনই মালামালের আমদানি রপ্তানি বেশি হয়ে থাকে। অর্থাৎ সাধারণ দিনে খুব একটা বিক্রি হয় না আসলে গ্রামের বাজার এমনই।
বেশ কয়েকটা দোকান বসে ছিল আমি গিয়েই লক্ষ্য করলাম। যে কি কি মাছ বের হয়েছে লক্ষ্য করলাম সেখানে সবচেয়ে বেশি বের হয়েছে পাঙ্গাস, এছাড়া রয়েছে সিলভার কাপ, রুই ,তেলাপিয়া, হাংরি, কিংবা অনেকে জাপানিও বলে ।আরও দেশি জাতীয় কিছু মাছ।
সবশেষে দেখার পর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম হাঙ্গেরি মাছ কিনার। অর্থাৎ জাপানি বেশ সুস্বাদু জাতীয় একটা মাছ আমার কাছে । কারণ প্রায় সময় আমি এই হাঙ্গেরি মাছ নিয়ে থাকি । তবে গতকালকের বাজার ছিল একটু চওড়া। অর্থাৎ গত কিছুদিন আগে যে মাছ কিনেছিলাম ২৮০ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ।কিন্তু গত কালকের বাজার ছিল প্রায় ৩৫০ আসলে সময়ের সাথে সাথে দ্রব্যমূল্য গুলো অনেক বেশি দাম হচ্ছে ।আর যেটার প্রভাব পড়ছে সাধারণ এবং মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর মধ্যে।
সবশেষে ৩৩০ টাকার দামে এক কেজি হাংরি মাছ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা। সবশেষে যেটা মনে হল যে সময়ের সাথে সবকিছু যেন পরিবর্তনশীল। বর্তমান সময়ে বাজার খরচ করতে গেলে মাথায় পুরো আকাশ চেপে বসে ।কারণ যেহেতু আমি প্রায় সময় বাসা খরচ করে থাকি তাই বেশ ভালোই বুঝি।
যাহোক আমাদের সাধারণ জনগণ হিসেবে কিছুই করার নে।ই তাই সবকিছু মেনে নিয়েই চলতে হবে। তবে দিনশেষে এই এমন এই আর্থিক টানা পড়নে প্রতিটি মানুষের অনেক কষ্টের সাথে চলতে হচ্ছে ।বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর।
যা হোক এই ছিল বন্ধুরা গতকাল মাছ কেনার ছোট্ট কিছু অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা সাথে ফটোগ্রাফি। আশা করছি আপনাদের সবার কাছেই অনেক ভালো লেগেছে। এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত রেখে আজকের মতো আমার ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
গ্রামের দিকে এই অসুবিধা বড় বাজার সপ্তাহে দু-একদিনই বসে। তাছাড়া এই হাংরি মাছ আমার কাছেও খেতে ভালো লাগে। কিন্তু তেমন একটা খাওয়া হয় না। বাজারের জিনিসপত্রের যে দাম তাতে করে মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়াটাই স্বাভাবিক। মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দিন দিন বাজারের সামগ্রী। যাই হোক নিরামিষ খাওয়া থেকে বাঁচার জন্য ভালোই মাছ কিনে বাসায় ফিরেছেন। খাওয়া-দাওয়া নিশ্চয়ই ভালই হয়েছিল?
হ্যাঁ আপু এটা ঠিক বলেছেন গ্রামের বাজারে সপ্তাহে দুইদিন ছাড়া হয় না ৷ খাওয়া দাওয়া বেশ ভালোই হয়েছিল আপু ৷
বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন। আর এতে আপনার অভিজ্ঞতা হল, মাছগুলোর ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে সকল অভিজ্ঞতা আমাদের সম্মুখে যাওয়া উচিত।
হুম ভাই মাছ কিনতে অভিজ্ঞতা হয়েছে ৷ যে পরিমান দ্রবমুল এর দাম ৷