আমার বাংলা ব্লগ
১৯ শে চৈত্র ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | ৩ এপ্রিল ২০২২ ইং |
বোয়ালমারি বারুনী মেলায় গিয়ে অভিজ্ঞতা পর্ব (২)
লোকেশন
হ্যালো,
প্রথমে সবাইকে শ্রেণিবেদে নমস্কার ও আদাব৷ আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন ৷বরাবরের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি ব্লগ নিয়ে ৷আজকে বোয়ালমারি বারুনী মেলায় গিয়ে অভিজ্ঞতার কিছু অংশ বাকি ছিল সেগুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো ৷আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে৷
চলুন তাহলে শুরু করি পর্ব দুই
আমার প্রথম পর্বে থেমেছিলাম অনেক কষ্টে নদীর ওই পারে যাই এরপর হাত পা ধুয়ে মন্দিরে দিকে যেতে শুরু করি ৷যাওয়ার আগে মন্দিরে যাওয়ার পথে অনেক সাধু গুরু বৈষ্ণব বসেছে যাদের কে কিছু দক্ষিনা দিতে হয় আমিও দিলাম ৷দিয়ে মন্দিরের দিকে যেতে শুরু করি ৷ |
এরপর মন্দিরের সামনে আবার বাতাসার সারি সারি দোকান বসেছে ৷তারপর আমি বিশ টাকার বাতাসা কিনলাম ঠাকুর কে দিয়ে প্রনাম করব তার জন্য ৷শুধু আমি নই সবাই বাতাসা নিতেছে ৷মন্দিরে প্রথমে আছে গঙ্গা ঠাকুর তারপর কালী ঠাকুর ,শিব ঠাকুর অথাৎ মহাদেব৷সব ঠাকুর কে বাতাসা ছিটিয়ে প্রনাম করলাম ৷ |
লোকেশন
লোকেশন
বাতাসা ছিটিয়ে প্রনাম জানিয়ে বেড়িয়ে পরি মেলা ঘুড়তে৷অনেক বড় মেলা যা বলে বোঝাতে পারব না ৷সারি সারি অনেক দোকান বসেছে ৷বিভিন্ন ধরনের দোকান কসমেটিক হোটেলর দোকান ফুলের দোকান ছোট বাচ্চাদের খেলনার দোকান মাটির বানানো বিভিন্ন ধরনের জিনিস. তৈরি করে দোকান বসেছে ৷এছাড়া লোহার যাবতীয় জিনিস আরো অনেক দোকান যা বলে শেষ করা যাবে না ৷বলতে গেলে এই মেলাটাকে বানিজ্য বললেও ক্ষতি নেই অথাৎ মানুষের কর্ম কান্ডের বা দৈনন্দিন জিনিসপত্র যা কিছু আছে সবই পাওয়া যায় এই মেলায় ৷এছাড়াও গ্রামের মানুষ এখনো ঢেকিটে করে চাল গুড়ো বা মসলা গুড়ো করে সেই ঢেকি বানিয়ে দোকান দিয়েছে বিক্রির জন্য ৷ এছাড়া হিন্দু ধর্মীয় পুজোর জন্য কিছু যাবতীয় জিনিস পত্র প্রয়োজন সেগুলোর দোকান বসেছে ৷বিভিন্ন ধরনের খাবারে দোকান ঝালমুড়ি ও বারো ভাজা ইত্যাদি |
নিচে দেওয়া বিভিন্ন দোকানের ফটোগ্রাফি
লোকেশন
লোকেশন
মেলাতে আরও অনেককিছু এসেছে মেলাতে হাতি ঘোড়াও এসেছে ৷কোউবা আবার আবার হাতির পিঠে আবার. কেউ ঘোড়ার পিঠে প্রতিজনে দশ টাকা করে নিচ্ছে ৷আবার কেউ নাগরদোলায় চারদিকে ঘুড়ে উপর থেকে নিচে নিচ থেকে উপরে৷সত্যি বলতে আমি নাগরদোলায় উঠেছি কিন্তু উঠে যে মাথা ঘুড়তেছে আমি সাথে সাথে নেমে যাই ৷ |
লোকেশন
লোকেশন
সত্যি বলতে মেলাতে গিয়ে অনেক ভালো লেগেছে ও আনন্দ উপভোগ করেছি ৷ |
তো বন্ধুরা এই আমার আজকের পোষ্ট বোয়ালমারি বারুনী মেলায় গিয়ে অভিজ্ঞতা ও তার আলোকচিত্র ৷জানি না আপনাদের কতটা ভালো লাগবে ৷আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে৷আজ আপনাদের মাঝে এখান থেকে বিদায় নিচ্ছি ৷
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে চলুন ৷
পোষ্টটি শেষ পযন্ত সাথে থাকার জন্য
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনি খুবই সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে আপনার মেলায় ঘুরতে যাওয়ার অভিঙ্গতা ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তা দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
আপনি খুব সুন্দর ভাবে মেলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে হাতির ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমি যদি ওখানে থাকতাম চেষ্টা করতাম হাতির পিঠে চড়ার জন্য কিন্তু আফসোস আপনার ওখানে ছিলাম না আমি।
তাই না কি ভাই ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
আপনার মেলায় কাটানো সময়টুকু অনেক সুন্দর ছিল । অনেক সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার ও জন্য শুভকামনা
ছোটবেলায় অনেক মেলায় গিয়েছি সেজন্য মেলায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার কমতি নেই। আপনার মেলায় ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতার গল্প পড়ে ভালই লাগলো। খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
মেলার কথা শুনতে ভীষণ ভালো লাগে। ইচ্ছে করে মেলায় ঘুরতে যেতে। আপনার মেলার মুহূর্তটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। বিশেষ করে ও হাতিগুলোর ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। হাতের উপরে মানুষগুলোকে একদম ছোট ছোট লাগছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
যেকোনো মেলায় ঘোরার আনন্দটাই আলাদা।আমার ও খুব ভালো লাগে মেলা ঘুরতে,ছোটবেলায় প্রায় যেতাম।এখন আর তেমন যাওয়া হয় না, যাইহোক মেলার দৃশ্যগুলি দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ দাদা।
হুম দিদি ছোট বেলায় পরিবারের কারো হাত ধরে মেলায় যাওয়া আজও সেগুলো মনে পড়ে ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ৷