ভ্রমণ পোস্ট: রেলওয়ে ভ্রমণ শ্যামপুর টু লালমনিহাট কলেজ।
আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি আমার কলেজ এ রেলে করে যাওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে আলোচনা করব।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
কমবেশি সবাই আমরা ভ্রমণ করতে ভালবাসি। ভ্রমণের ফলে অনেক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি মন মানসিকতাও অনেক প্রফুল্ল থাকে। বাসের থেকে রেলওয়ে ভ্রমণ করতে আমার বেশি ভালো লাগে। আমি প্রায় প্রায় রেলওয়েই কলেজ যাতায়াত করে থাকি। বাসের তুলনায় রেলে সুযোগ সুবিধা বেশি ভোগ করা যায়।
আমি লালমনিরহাট সরকারি কলেজে পড়ালেখা করি। আমার বাসা থেকে কলেজ প্রায় ষাট কিলোমিটার দূরে। আমি বেশিরভাগ সময়ে রেলওয়েতে করে কলেজ যাতায়াত করি। বাসা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে শ্যাম্পুর রেলওয়ে স্টেশন। কলেজ যাওয়ার সময় আমাকে বাসা থেকে সকাল ৫ঃ৩০ মিনিটে বের হতে হয়। ছয়টার সময় শিম্পুরে পৌঁছে নাস্তা করতে হয়। নাস্তা শেষ হতে না হতেই ছয়টা ত্রিশে স্টেশনে রেল এসে হাজির হয়।
ট্রেনে উঠে জানালার পাশের সিটে বসে কলেজ যাওয়ার মজাই আলাদা। এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে যাওয়ার মাঝে অনেক অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পাওয়া যায়। যেমন: ফসলের মাঠ ,নদী-নালা, রাখাল মাঠে গরু চরানো দৃশ্য, ছোট ছোট ছেলেদের মাঠে মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে।
কাউনিয়া স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর দেখতে পাওয়া যায় তিস্তা নদী। এই নদী উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবথেকে বড় নদী। নদীর ওপর দিয়ে যখন রেল চলে তখন নদীর দিকে তাকিয়ে নদীর দৃশ্য দেখার অনুভূতি অনেক মজার। তিস্তা নদী পার হওয়ার পর দুইটা স্টেশন পার হয়েই লালমনিরহাট স্টেশন।
লালমনিরহাট সৌন্দর্যে ভরপুর। স্টেশন থেকে মিশন মোর যাওয়ার পথের দৃশ্যগুলো আমাকে অনেক মুগ্ধ করে যা কলেজ আসার আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে। মিশন মোড় থেকে আমার কলেজ যাওয়ার পথে শেখ রাসেল পার্ক রয়েছে। পার্কের ভিতরের সৌন্দর্য অনেক মুগ্ধকর। কয়েকবার বন্ধুবান্ধব মিলে এই পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। শেখ রাসেল পার্ক পার হয়েই আমার কলেজ।
আমার কলেজের পরিবেশটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমাদের কলা ভবনের সামনে বিশাল বড় খেলার মাঠ রয়েছে। মাঠের চারপাশে গাছপালায় ভরা। মাঠের এক কোণে একটা বিশাল বকুল ফুলের গাছ রয়েছে। আমরা প্রায় বন্ধুবান্ধব মিলে এই বকুল তলায় বসে আড্ডা দিয়ে থাকি। আমার কলেজের অপরূপ সৌন্দর্য আমি বলে প্রকাশ করতে পারবো না। আমার কলেজ আমার কাছে অনেক ভালো লাগার কাজ করে।
প্রত্যেক ব্যক্তিই তার নিজ মাতৃভূমির স্কুল কলেজকে অনেক ভালোবেসে থাকেন। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ট্রেন জার্নি করতে মোটামুটি ভালোই লাগে আমার কাছে। তবে অন্যান্য যানবাহনের থেকে ট্রেন জার্নি আমার অনেক বেশি নিরাপদ মনে হয়। আপনি দেখছি শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে লালমনিরহাট গিয়েছিলেন।আর আপনার এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
যতদিন ABB স্কুলে থাকবেন ততদিন পোস্ট করার সময় @abb-school কে 5% ও @shy-fox কে 10% বেনিফিসিয়ারী দেওয়া অবশ্যক।