ভ্রমণ পোস্ট: ঐতিহ্যবাহী চৌদ্দভূবন ভ্রমণ।

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি ঐতিহ্যবাহী চৌদ্দভূবন সম্পর্কে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।

চৌদ্দভূবন

IMG_20241014_142253_067.jpg
সোর্স

কয়েকদিন আগে আমি চৌদ্দভূবনে ঘুরতে গিয়েছিলাম। মূল উদ্দেশ্য ছিল ধান ক্ষেতে পোকামাকড় আক্রমণ করেছে কিনা তা দেখার জন্য যাওয়া। আমার বাসা থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে এই জায়গাটি অবস্থিত। আমি প্রায় ৪০ মিনিট হেঁটে এই জায়গায় গিয়েছিলাম। সর্বপ্রথম আমি আমাদের ক্ষেত দেখার জন্য জমিতে গেলাম।

IMG_20241014_141233_127.jpg

জমিতে এসে দেখলাম আলহামদুলিল্লাহ এবার আশা করি ভালো ফলন হবে কোন পোকামাকড়ের আক্রমণ এখনো হয়নি তেমন। আর এক মাস গেলেই ধান পাকা শুরু হয়ে যাবে। সবেমাত্র ধানের শীষ বের হয়েছে। আমাদের জমির চারদিকে রয়েছে আমের বাগান মাঝখানে আমাদের ধানক্ষেত। দেখতে অবশ্য ভালই লেগেছিল।

IMG_20241014_141143_895.jpg

ধানক্ষেতের ফটোগ্রাফি করলে অনেক সুন্দর হয়। চারিদিকে সবুজ এবং আকাশে সাদা মেঘের ভেলার কারণে ক্যামেরা ফোকাস ভালো দেয়। বর্তমানে ধানক্ষেতের ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হচ্ছে তবে আর কয়দিন গেলে শীতের জন্য ফটোগ্রাফি তেমন ভালো হবে না। আপনারা চাইলে এখনি ধান ক্ষেতের ফটোগ্রাফি করতে পারেন।

IMG_20241014_141919_991.jpg

চৌদ্দ ভূবনের ইতিহাস এক বিরল ইতিহাস। যা বলে শেষ করা যাবে না। আগের লোকেরা বলেন যে এই খালে নাকি চৌদ্দটা‌ বাঁশ দিয়া ও গভীরতা খুঁজে পেতনা। মূলত এ কারণেই এই জায়গাটির নামকরণ করা হয়েছে চৌদ্দ ভূবন।শুধু তাই নয় বেহুলা সুন্দরীর সঙ্গে ও এই জায়গাটির একটি বিরল ইতিহাস রয়েছে। গুগলে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। বিশাল একটি বট গাছের কারণে এই জায়গাটি সবার কাছে প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে। এই বট গাছের সামনে একটি ছোট নদী রয়েছে। নদীটির নাম হচ্ছে আকিরা নদী।

IMG_20241014_141444_234.jpg

এই বটগাছটি হাজার বছর পুরনো একটি গাছ। গাছটির সামনে আপনারা যে নদীটি দেখতে পাচ্ছেন সেই নদীটি এখান থেকেই শুরু আবার বলতে গেলে এখান থেকেই শেষ হয়েছে। নদীর ধারে গাছটি হওয়ায় নদীর পাড় থেকে ফটোগ্রাফি করলে ফটোগ্রাফির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। উপরের ফটোগ্রাফিটি আমি আম বাগান থেকে করেছিলাম।

IMG_20241014_142126_083.jpg

ছুটির দিনগুলোতে দূর দূরান্ত থেকে লোকজন এখানে ঘোরার জন্য আসেন। নদীর দুই দারে কাশবন রয়েছে। গাছটির চারিদিকে ফসলের ক্ষেত। বিভিন্ন অঙ্গেলে বটগাছটির ফটোগ্রাফি করলে অনেক সুন্দর হয়। এই ফটোগ্রাফিটি আমি কাশবনকে সামনে রেখেই করেছিলাম।

IMG_20241014_141811_570.jpg

নদীর পাড়ে আমি অনেকগুলো লজ্জাবতীর গাছ দেখতে পেয়েছিলাম। লজ্জাবতীর গাছে অনেকগুলো ফুল এসেছিল। একটি ফুল ছেড়ে আমি বটগাছটিকে পিছনে রেখে ফুলটির ছবি উঠাইছিলাম। এই ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

IMG_20241014_141548_625.jpg

এই জায়গাটি মূলত রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১ নং খোড়াগাছ ইউনিয়নে অবস্থিত। আপনারা চাইলে এখানে ঘুরতে আসতে পারেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

ক্যামেরা পরিচিতি
DeviceTecno spark 20c
Camera50 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

InShot_20240819_114902993.jpg

আমার নাম মোঃ গোলাম রব্বানী।আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলাতেই কথা বলতে ভালোবাসি।আমি একজন ছাত্র।আমি লালমনিরহাট সরকারি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ালেখা করি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের মিয়াপাড়া নামক গ্রামে।আমি ফটোগ্রাফী এবং ভ্রমণ করতে বেশি ভালোবাসি।
Sort:  
 6 days ago 

স্থানটার নাম আজকে আমি প্রথম জানলাম। তবে যাই হোক আপনি কিন্তু খুব সুন্দর ভাবে ভ্রমণ করেছেন এবং সেই সম্পর্কে আমাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আপনার বর্ণনা এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম ভ্রমণ জাতীয় পোস্ট সম্পর্কে।

 5 days ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া 😍

 6 days ago 

বটগাছটি যেন চিরায়ত বাংলার প্রকৃত রূপ তুলে ধরে সামনে। অনেকক্ষণ ধরে ছবিটি দেখলাম। কেমন যেন আনমনা হয়ে গেলাম। সত্যি বলতে আপনার লেখা প্রথম পড়লাম। ভালোই লাগলো। খুবই নির্মল কিছু ছবি তুলেছেন। ভালো লাগলো।

 5 days ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া 😍

 6 days ago 

চৌদ্দভূবন ভ্রমণ করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর কোন জায়গায় ভ্রমণ করতেও ভালো লাগে। অসাধারণ একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 5 days ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া 🥰

 6 days ago 

অনেক সুন্দর একটি স্থান ঘুরতে গেছেন। যেখানে সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে পারলাম। অচেনা একটি স্থান সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এত সুন্দর একটি ভ্রমণ জাতীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 5 days ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু 🥰

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 67140.72
ETH 2488.15
USDT 1.00
SBD 2.59