স্মৃতিচারণ: শৈশবে জয়নাল ফল পেড়ে খাওয়ার স্মৃতি।
আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি আমার এলাকার একটি বিরল প্রজাতির ফলের, গাছ সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন এবার শুরু করা যাক।
প্রত্যেক মানুষ তার শৈশবে কাটানো দিনগুলি মনে করে থাকেন। আসলে শৈশব কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে দিনগুলি সেই শৈশবের মত আনন্দময় নয়। ছোটবেলায় আমরা কতই না মজা করতাম। আমার এলাকায় একটা বিশাল জয়নাল ফলের গাছ রয়েছে। এই গাছটি শুধু আমাদের এখানেই দেখতে পাওয়া যায়। এই গাছটি একটি বিরল প্রজাতির গাছ। ছোটবেলায় আমরা এই গাছে উঠে অনেক জয়নাল ফল পেড়ে খেতাম।
গাছটির নাম মূলত একজন ব্যক্তির নামেই নামকরণ করা হয়েছে। আমাদের অঞ্চলের সবাই জয়নাল গাছ নামেই চিনে। এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি তা আমার জানা নেই।এই গাছের ফল গুলো দেখতে কিছুটা লটকনের মত। খেতে মিষ্টি টক। এই ফল মূলত জুলাই মাসের শেষে পাকা শুরু হয়। এই ফলের উপরটা সবুজ এবং ভিতরটা কিছুটা হলুদ বর্ণের হয়। এই ফল খাওয়ার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা চলে আসে।
কয়েক সপ্তাহ আগে আমরা কয়েকজন মিলে এই ফল খাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। গাছটি আমার বাসা থেকে হাফ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অনেকদিন পর গাছটির কাছে এসে দেখলাম ফলগুলো পাকা শেষের পথে হয়ে গেছে। কয়েকজন মিলে আমরা গাছের উপরে উঠলাম এবং অনেকগুলো জয়নাল ফল পারলাম। এই বিশাল বড় গাছটিতে উঠতে আসলে অনেক ভয় লাগে। তবুও ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা জীবনের পরোয়া না করে এই ফল পেড়ে খাওয়ার জন্য এই গাছের উচ্চ ডালে উঠে এই ফল পাড়ে।
গাছটি কারো মালিকানাধীন না হওয়ায় এই গাছের ফল সবাই ভোগ করে থাকেন।
দীর্ঘ কয়েক বছর পর এই ফল পেড়ে খাওয়ার পর শৈশবের কথা স্মরণ হয়ে গিয়েছিল। ছোটবেলায় কতই না মজা করে এই ফল পেড়ে খেতাম আজ তা স্মৃতি মাত্র। আসলে আমাদের সবার ছোটবেলায় এমন অনেক ছোট ছোট স্মৃতি রয়েছে যা কখনো ভোলা বার নয়।
এই গাছটি দূর থেকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আমাদের এলাকার মধ্যে এই গাছটি একটি প্রাচীনতম গাছ। আপনারা চাইলেই এই বিরল গাছটি দেখতে আসতে পারেন। গাছটি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার খোঁড়াগাছ ইউনিয়নের সিরাজ পাড়ায় অবস্থিত অবস্থিত। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।