গ্রাম বাংলার আঞ্চলিক খেলা : চৌ-কিৎ কিৎ
খেলাধুলা যে কোনো দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।বর্তমান সময়ে সমগ্র পৃথিবী জুড়ে খেলাধুলা কে স্থান দেওয়া হয়ে জাতীয় স্তরে।শিক্ষা বাণিজ্য চলচ্চিত্র এর মতো খেলাধুলা ও একটি দেশের অপরিহার্য বিষয়।এটি যেমন একটি জাতি কে বিশ্বের দরবারে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরে তেমনি অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভাবে ও দেশকে সুফল বয়ে আনে।বলা হয়ে থাকে ভারতবর্ষে তিন বিষয়ের উপর সব চেয়ে বেশি চর্চা হয়ে থাকে ।রাজনীতি সিনেমা আর ক্রিকেট।এই তিনটি বিষয় যে কোনো ভারতীয়র সকাল সন্ধ্যের আলোচনায় সিংহ ভাগ জুড়ে থাকে।
জাতীয় স্তরের নানা খেলা ধুলার মধ্যে ভারতে সব থেকে জনপ্রিয় ও বাণিজ্য সফল খেলা হলো ক্রিকেট ।কিন্তু আজকে আলোচনার বিষয় হলো আমার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত আঞ্চলিক খেলাধুলা ।প্রচুর অঞ্চল ভেদে প্রচলিত খেলা আছে আমাদের এই বিশাল ভারত বর্ষে।যেমন হা ডু ডু কানামাছি ডাংগুলি গুটি চৌ-কিৎ কিৎ ইত্যাদি।এসব খেলা জাতীয় স্তরে প্রচলন না থাকলেও অঞ্চল ভেদে ব্যাপক জনপ্রিয়।যদিও বর্তমানে স্মার্টফোনের আগ্রাসনে এইসব ঐতিহ্য বাহী খেলায় বাচ্চা রা বিমুখ হচ্চে।আর দিন দিন আবদ্ধ হয়ে যাচ্চে virtual দুনিয়ায়।যেটা কোনো সৃজনশীল জাতির জন্য মঙ্গলময় নয়।আজকে আমি একটি মাত্র আঞ্চলিক খেলা নিয়ে কথা বলবো সেটি হলো চৌ-কিৎ কিৎ ।
চৌ-কিৎ কিৎ কিছু বছর আগেও গ্রাম বাংলার বহুল প্রচলিত একটি জনপ্রিয় খেলা ছিল।যদিও মেয়েরা এ খেলাটি বেশি খেললেও ছেলেদের কাছে ও এর জনপ্রিয়তা কম ছিল না।এমন কি রক্ষণশীল বাড়ির বউ মেয়ে রাও বাড়ির ভেতরে এই খেলাটি খেলতো।
এই খেলাটি জন্য একটি সর্বজনীন স্বীকৃত structure আছে।একে চৌ-কিৎ কিৎ খেলার কোর্ট বলে।এই বিশেষ court টি যে কোনো সমতল এ দাগ কেটে করা হয়।একটি মাটির পাত্রের ভাঙা অংশ নিয়ে এই খেলার গুটি তৈরি করা হয়।
খেলার নিয়মাবলী:
1.এই খেলাতে দু পক্ষে সুবিধা মতো সমান সংখ্যক খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয়।
2.Toss এর মধ্যে প্রথমে কোনো দল খেলবে সেটা নির্ধারিত হয়।
3.এর পর খেলা শুরু হয় toss বিজিত দলের একজন একজন খেলোয়াড় কে দিয়ে।প্রত্যেক খেলোয়াড় এক নিঃশ্বাসে ওই গুটি নিয়ে court টির প্রত্যেকটি ঘর অতিক্রম করতে হবে ।কিন্তু গুটিটি কোনো দুটি ঘরের সংযোগ দাগে থেমে গেলে সে খেলোয়াড় disqualified।এই ভাবে যে দল বেশি বার court অতিক্রম করতে পারবে সেই দল জয় লাভ করবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় দিন দিন এই সব বহু প্রাচীন আঞ্চলিক খেলা গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।আমাদের এই অতীত ঐতিহ্য কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এই খেলাটা আমিও ছোটবেলায় খেলেছি ভাই ।ধন্যবাদ আমার শৈশবকে মনে করে দেওয়ার জন্য।
শৈশব বড় মধুর ।শুভেচ্ছা আপনাকে ।
অনলাইন গেমগুলোর কারনে এসব খেলা হারিয়ে যাচ্ছে
একদম সঠিক বলেছেন ভাই আপনি ।
সত্যি দারুন হয়েছে পোস্টই। আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। কত কিৎ কিৎ এই খেলাটা খেলেছি। নতুন করে মনে করানো এবং সুন্দর কন্টেন্ট দিয়া বোঝানোর জন্য ধন্যবাদ
আসলেই এই গুলো আমাদের নস্টালজিক করে তোলে।