গল্প হলেও সত্যি @gentleman74
ইন্দ্র
২০০৯, এপ্রিল মাস। তখন আমি দশম শ্রেণীর ছাত্র। কলেজের গ্ৰীষ্মকালীন ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। অনেকদিন পর পর ছুটি পাওয়া হয় বলে ছুটির দিনগুলোকে বেশ উপভোগ করতাম। সেই সকালে বন্ধুদের সাথে বেড়িয়ে পড়তাম। কখনও ফুটবল খেলে , কখনও বাড়ির পাশের পুকুরে ঝাঁপিয়ে , মাছ ধরে, মানুষের বাগান থেকে আম চুরি করে আবার কখনও রেললাইনে ঘুরে ফিরে সময় কেটে যেত। কখন যে সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হত সেদিকে খেয়ালই থাকত না। এর জন্য কত বকা যে শুনেছি। কিন্তু তাতে কি? ছুটির মজা তো নষ্ট হতে দেয়া যায়না।
এমনি একদিন খেলা শেষে বেলা করে বাড়ি ফিরছি।একা একা মনের সুখে সাইকেল চালাতে চালাতে হঠাৎ বিশাল একটা গাছের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যাই। কিছুক্ষণ পর উঠে দেখি রাত গভীর। ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ কানে আসছে। আশপাশের দু একটা বাড়ি বাদে সব বাতি নিভে গেছে। বুঝলাম বেশ খানিকক্ষণের জন্যেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। সাইকেলটা তুলতে তুলতে নিজের মনে বললাম- জায়গাটা কেমন চেনা চেনা লাগছে।
হ্যান্ডেল ধরে উঠতে যাবো এমন সময় সামনে থেকে একজন লোক ভেসে আসলো, বললো " কে? অপু নাকি?"
আমি বললাম " জ্বি দাদা"।
অল্প আলোতেও মতিনদা কে চিনতে অসুবিধা হয়নি। ইনি আমার মেজদার বন্ধু। মাঝে মধ্যে ইনারা ঘটা করে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে । যেখানে বিজয়ী দলের জন্য পুরস্কার ও থাকে। সেই সুবাদেই চেনা ।
মতিনদা আমাকে বললেন," তুই এত রাতে এখানে কি করছিস? আর হাতে কি হয়েছে?
বললাম , "এই বেলগাছ টার সাথে ধাক্কা লেগে হাত কেটে গেছে"।
মতিনদা বললেন " বেলগাছ পেলি কোথায় এখানে । যেটা ছিল সেটাতো …"। একটু থেমে আবার বললেন । " রাত কম হয়নি। বাড়ি যা"।
"জ্বি দাদা"।
সাইকেলে চেপে আবার বাড়ির পথ ধরলাম। এবার মনে পড়ল জায়গাটা চেনা লাগছিলো কেন। দিন দশেক আগে এইখানটায় দাদাদের আরেক বন্ধু ইন্দ্র-দা একটা বেলগাছে দড়ি বেঁধে ফাঁস নেয়। পরে অবশ্য গাছটা কেটে ফেলা হয়েছিল। তবে আমি কিসের সাথে ধাক্কা খেলাম!!.. সাইকেলের গতি তিনগুণ বাড়িয়ে দিলাম । বাড়ির কাছাকাছি এসে স্বস্তি মিলল। "ভাগ্যিস!! এই কথা তখন মনে পড়েনি"।।।।
©
@amarbanglablog
@rme
@rex-sumon
@shuvo35
@boomerang
@moh.arif
ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ।
নিখাদ ভূতের গল্প , ভালো লাগলো পড়ে ।
আমিও শুরু করবো ভাবছি লেখালেখি , ভূতের গল্প, রহস্য গল্প , গোয়েন্দা গল্প ।
হা ভাইয়া শুরু করেন। তাহলে পাঠক পাওয়া যাবে ভাল।
আমার গোয়েন্দা গল্প ভাল লাগে। একটা গোয়েন্দা গল্পে অনেক সময় দিতে হয়। পাঠক না হলে গল্প লিখে শান্তি কই
দাদা। গল্প ভালো লাগেনি! 🙂
Bapre sei rohossomoy golpo, valoi lage amn golpo gulo porte amr... Besh valo likhen apni...
ধন্যবাদ আপু। প্রশংসার চেয়ে বেশি পাওয়ার আর কি আছে। 💗
গল্পটা অনেক ভালোছিল।শুরুতে মনে হয় নাই কোনো ভূতুরে হতে পারে কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম।তবে আপনার তখন সাহস ছিল অনেক বোঝা যাচ্ছে।
আমার ভৌতিক গল্প খুব ভালো লাগে। গল্পটি পড়ে ইনজয় করলাম, ধন্যবাদ 😇
অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই
ধন্যবাদ ভাইয়া। 💗
🥀🥀🥀