আজ- ২৩ জ্যৈষ্ঠ / ৬ জুন| ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| সোমবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব আলু দিয়ে শিং মাছ রান্নার রেসিপি। শিং মাছ একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু মাছ। আমাদের দেশে বহু প্রাচীনকাল থেকেই রোগীর পথ্য হিসেবে এই মাছ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার জন্য এইমাছ খুবই কার্যকরী। তাছাড়া কাটা কম হবার কারণে খেতেও খুব একটা ঝামেলা নেই। শিশু বৃদ্ধ সবাই অনায়াসেই খেতে পারে। শিং মাছ হচ্ছে ক্যাটফিশ জাতীয় মাছ। এই মাছগুলোর প্রাণশক্তি অসাধারণ। সাধারণত এ মাছগুলো মাটির তলদেশে বসবাস করে। একসময় প্রাকৃতিকভাবেই বাংলাদেশের খাল-বিল নদী-নালা সহ পুকুর ডোবাতে প্রচুর পরিমাণে শিং মাছ পাওয়া যেত। এমনকি খরার সময় যখন খাল-বিল শুকিয়ে চৌচির হয়ে যেত তখনও এই মাছের ডিম বা মাছগুলো মাটির নিচে কাঁদার মধ্যে লুকিয়ে থাকত। আবার যখন বৃষ্টির বা বর্ষার পানি এসে সব ভরে উঠত তখন মাছগুলো কাদার নিচ থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় বংশবৃদ্ধি করতো। এমনকি এদের ডিম গুলো সহজে নষ্ট হয় না। নতুন পানি পাবার সঙ্গে সঙ্গেই ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। তাই অনেক প্রাকৃতিক জলাধারে এই মাছগুলো এমনি এমনি জন্মাতে দেখা যেত। বর্তমানে বিভিন্ন কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করার কারণে এই সমস্ত প্রাকৃতিক দেশীয় মাছ গুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে আসুন রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- শিং মাছ
- আলু
- পেঁয়াজ কুচি
- কাঁচা মরিচ
- সয়াবিন তেল
- হলুদের গুঁড়া
- জিরার গুড়া
- আদা বাটা
- রসুন বাটা
- শুকনা মরিচের গুঁড়া
- লবন
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
প্রথমেই মাছগুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে সুবিধাজনক আকৃতিতে কেটে নেই। এরপর আলুর খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট পিস করে কাটি এবং পেঁয়াজগুলো কুচি করে নেই।
ধাপ ২ঃ
একটি কড়াই বা ফ্রাই প্যানে পরিমাণমতো তেল নিয়ে গরম করি। তেল গরম হয়ে গেলে এরমধ্যে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে দেই।
ধাপ ৩ঃ
পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ গুলো হাল্কা করে ভাজা হয়ে গেলে হলুদের গুঁড়া, শুকনা মরিচের গুঁড়া, আদা বাটা, রসুন বাটা সহ সব মসলাগুলো একে একে দিয়ে দেই এবং নাড়তে থাকি। আর অবশ্যই পরিমাণমতো লবণ দিতে হবে কারণ এটি এমন একটি জিনিস যা কম বা বেশি হলে খাবারের স্বাদটাই সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে।
ধাপ ৪ঃ
মসলাগুলো কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে পরিমাণমতো পানি দেই। এরপর ছোট ছোট পিস করে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে দেই।
ধাপ ৫ঃ
পঞ্চম ধাপে ছোট ছোট করে কেটে রাখা শিং মাছ গুলো পাত্রের মধ্যে দিয়ে দেই। চাইলে শিং মাছ না কেটে সম্পূর্ণটাই একসাথে রান্না করা যায়।
ধাপ ৬ঃ
এবার কড়াইটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই এবং 15 থেকে 20 মিনিট রান্না করি। সবকিছু ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে পাত্রটি চুলা থেকে নামিয়ে ফেলি। তাহলেই তৈরি হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু শিং মাছের রেসিপি।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আপু মনি শিং মাছ আমার খুবই প্রিয়, আর আপনি আলু দিয়ে অনেক সুন্দর করে শিং মাছ রান্না করেছেন, তবে শিং মাছের এতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পেরেছি, এসব বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম তো, আজকে জেনে খুবই ভালো লাগলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য আপু মনি
শিং মাছ আমার খুব প্রিয়। আপনি খুব চমৎকারভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে শিং মাছ রান্না করেছেন। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া অসাধারণ । এত চমৎকার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে এটা আসলে খুবই পুষ্টিকর ভাবে রান্না করেছেন। বেশি হয়তো মরিচ বা তেল ব্যবহার করেননি। এ রকমই আসলে আমাদের খাওয়া উচিত কেননা শিং মাছ এমনিতেই অনেক পুষ্টিকর। পুষ্টিকরভাবে রান্না করা খাওয়া হলে এটা আরও বেশি উপকারী হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি আলু দিয়ে খুব সুন্দর করে শিং মাছের ঝোল রেসিপি শেয়ার করেছেন। শিং মাছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই সকলের এটা খাওয়া উচিত। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আলু দিয়ে শিং মাছের ঝোল রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
দেশী শিং মাছ এখন নেই বললেই চলে। সব এখন হাইব্রিড। তবে শিং মাছের ঝোল আমার প্রিয়। হালকা ঝাল হলে আরও মজা হয় খেতে। সুন্দর করে দেখিয়েছেন রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপনাকে
আলু দিয়ে খুব সুন্দর করে শিং মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা খুবই লোভনীয় খাবার আমার কাছে আপনার রেসিপিটি খুবই ভালো লাগলো। যেটা উপভোগ্য খাবার।
শিং মাছ খেলে নাকি শরীরে রক্ত বাড়ে। খেতেও সুস্বাদু। তবে চাষের শিং মাছের থেকে বিলের মাছ খেতে বেশি মজা। আপনার শিং মাছের রান্নাটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই রেসিপিটি আমদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য
আলু দিয়ে শিং মাছের ঝোল আমার অনেক পছন্দের।দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভীষণ মজাদার ভাবে রান্না করেছেন। অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। খুব ভালো লাগলো ভাইয়া রেসিপি পোস্টটি দেখে। ভালো থাকবেন এবং শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
শিং মাছ আপনি খেতে তেমন একটা পছন্দ করেন না আবার আলু দিয়ে শিং মাছ রান্না করেছেন কার জন্য রান্না করেছেন।আবার এই শিং মাছ নিয়ে কত সুন্দর করে লিখেছেন যে মাছ পছন্দ করেনা সে সম্বন্ধে অনেক কিছুই জানেন দেখছি খুব ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি ।কারণ আলু এবং শিং মাছ দুটোই আমার অনেক পছন্দ। ভালো লেগেছে তাই আপনাকে একটা ভোটও দিয়েছি আমার ভোটে কিন্তু এক পয়সা পাওয়া যায় দাম আছে।
আলু দিয়ে শিং মাছের খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। শিং মাছের এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।