আজ- ১৯ ই অগ্রায়ন | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | শনিবার | হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি ফেরদৌস আহমেদ, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য এবং সেইসঙ্গে এবিবি স্কুলের প্রথম ব্যাচের একজন ছাত্র। এবিবি স্কুল থেকে প্রথম এবং দ্বিতীয় লেভেল সফল ভাবে সমাপ্ত করার পর তৃতীয় লেভেল এর ব্যাচ পাওয়ার জন্যে আজকে আমার এই পোস্ট।
ভুমিকা
প্রতিবারের মত প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং যার সিদ্ধান্তে এবিবি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই
@rme দাদাকে। সেইসঙ্গে আমি ধন্যবাদ জানাই এবিবি স্কুলের সকল শিক্ষক সহ এডমিন এবং মডারেটর বৃন্দকে তাদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এবিবি স্কুলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। একজন ব্যক্তিকে সত্যিকার অর্থে ব্লগার হতে হলে বেশ কিছু বিষয়ে পরিষ্কার জ্ঞান থাকা আবশ্যক আর এই বিষয়গুলো সাধারণত কোন কমিউনিটিতে একাডেমিক ভাবে শিক্ষার ব্যবস্থা নেই বলেই আমার জানা।কিছু বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান এবং কারিগরি দক্ষতা না থাকলে কারো পক্ষেই ব্লগিং ক্যারিয়ারে বেশিদুর অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়। আর এ লক্ষ্যেই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির নতুন সদস্যদের হাতে কলমে ব্যাসিক বিষয়গুলো শেখানোর উদ্দেশ্যে এবিবি স্কুলের যাত্রা শুরু। যাইহোক এবিবি স্কুলের level3 এর ক্লাসে যে বিষয়গুলো আমাদেরকে শেখানো হয়েছে সেগুলো সংক্ষেপে নিম্নে তুলে ধরলাম।
লেভেল ৩ এর সিলেবাসে মূলত তিনটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।যথাঃ
- Mark down coding
- Content category
- Curation
Markdown coding
কোন সাধারণ লেখাকে পাঠকের কাছে সুন্দর ও আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরতে সাধারণত মার্ক ডাউন কোড ব্যবহার করা হয়। একটি টেক্সট কনটেন্ট এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা তাৎপর্য বোঝাতে কখনো বা লেখার মধ্যে পাঠকদের জন্য কোন মেসেজ প্রদান করতে অথবা লেখার বিভিন্ন অংশ ভিন্ন ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার প্রয়োজন হয়। আর এ প্রয়োজন মেটাতেই মারকডাউন কোড এর ব্যবহার। লেখা বড় বা ছোট করা, বোল্ড করা, ইটালিক করা, সুপারস্ক্রিপ্ট বা সাবস্ক্রিপ্ট, টেবিল তৈরি করা, সোর্স উল্লেখ করা, কোন অংশ ইন্ডিকেট করা ইত্যাদি সহ আরো অনেক কাজে সাধারণত আমরা মার্ক ডাউনকোড ব্যবহার করি।
Content category
কনটেন্টকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
- ভিডিও কনটেন্ট
- অডিও কনটেন্ট ও
- টেক্সট কনটেন্ট
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে এই তিনটি ক্যাটাগরিতে কাজ করার সুযোগ থাকলেও টেক্সট কনটেন্ট এই মূলত বেশি কাজ হয়ে থাকে। তথ্যসমৃদ্ধ কোন আর্টিকেল, কবিতা, ছড়া, গল্প, উপন্যাস, বই, নাটক বা সিনেমার রিভিউ, কোন খাবারের রেসিপি, চিত্রাংকন, ভ্রমণ কাহিনী বা কোন ছবি, বলতে গেলে প্রায় সবই এই কমিউনিটিতে শেয়ার করা যায়। শুধু রাজনীতি এবং ধর্মীয় বিষয়ে কনটেন্ট শেয়ার এ নিষেধাজ্ঞা আছে।
Curation
প্রত্যেক কমিউনিটিতেই সাধারণত নিজস্ব কিউরেটর অ্যাকাউন্ট থাকে। যিনি ভাল কনটেন্ট বাছাই করে ভোট প্রদান করেন। অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক। কিউরেটর কর্তৃক বাছাইকৃত কনটেন্টে ভোট প্রদান করাকেই সাধারণভাবে কিউরেশন বলে। অন্যদিকে দেখা যায়, একজন কিউরেটর যখন ভোট প্রদান করেন তার ভোটের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরো অনেক ছোট ছোট ভোট পরে। অর্থাৎ যারা নিজেরা কনটেন্ট বাছাই না করে সরাসরি কিউরেটর কে ফলো করেন। এই পদ্ধতিকে বলা হয় কিউরেশন ট্রেইল।
মার্ক ডাউন হচ্ছে এক ধরনের মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ।সহজভাবে কোন সাধারন লেখাকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করার জন্য যে কোড ব্যবহার করা হয় তাই মার্কডাউন কোড।
- মার্ক ডাউন কোডের ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ?
একটি পোষ্টের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের মেসেজ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে বা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তুলে ধরার প্রয়োজন পড়ে। যেমন কোন টেক্সট ছোট বা বড় করা, বোল্ড করা, ইটালিক করা, সুপারস্ক্রিপ্ট বা সাবস্ক্রিপ্ট করা, টেবিল করা, সোর্স উল্লেখ করা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজ মার্কডাউন এর সাহায্যে করা হয়ে থাকে।
- পোষ্টের মধ্যে মার্ক ডাউন কোডের প্রতিফলন না ঘটিয়ে কিভাবে দৃশ্যমান করে দেখানো যায়?
সাধারণভাবে কোন লেখার মধ্যে মার্কডাউন কোডের প্রতিফলন না ঘটিয়ে দেখাতে চাইলে লেখার শুরুতে এবং শেষে অ্যাপসট্রপ (') ব্যবহার করলেই মার্ক ডাউন কোড এর প্রতিফলন ঘটবে না অর্থাৎ ওই নির্দিষ্ট অংশটুকুর মধ্যে মার্ক ডাউনকোড কাজ করবেনা। এছাড়াও লাইন এর শুরুতে পরপর চারটি স্পেস দিয়ে মার্ক ডাউনকোড ব্যবহার করলেও ওই লাইনে আর মার্কডাউন কোডের প্রতিফলন ঘটবে না।
- নিচের ছবিতে দেখানো টেবিলটি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? মার্কডাউন কোড গুলো উল্লেখ করুন।
'|User|Posts | Steem power|
|-|-|-|
|User 1|10| 500|
|User 2| 20|9000 |'
- সোর্স উল্লেখ করার নিয়ম কি?
Source
কোন লেখার মধ্যে সোর্স উল্লেখ করতে হলে প্রথমে দুইটি থার্ড ব্রাকেট এর মধ্যে সোর্স লিখতে হবে এরপর দুইটি ফাস্ট ব্রাকেট এর মধ্যে address উল্লেখ করতে হবে।
- বৃহৎ হতে ক্ষুদ্র ক্রমিকভাবে ১ হতে ৬ পর্যন্ত হেডার গুলোর কোড উল্লেখ করুন?
সাধারণত লেখার শুরুতে হ্যাস (#) চিহ্নটি একবার ব্যবহার করে একটি স্পেস দিলে লেখাটি সবচাইতে বড় আকৃতি ধারন করে। এরপর যতগুলো হ্যাস ব্যবহার করা যাবে লেখাগুলি তত ছোট হতে থাকবে। মোট 6 টি হ্যাস ব্যবহারের সুযোগ আছে।অর্থাৎ একটি হ্যাস ব্যবহার করলে সবচাইতে বড় টেক্সট আর পরপর ছয়টি হ্যাস ব্যবহার করলে ক্ষুদ্রাকৃতির টেক্সট পাওয়া যাবে।
- টেক্সট জাস্টিফাই মার্ক ডাউন কোডটি লিখুন।
<div class="text-justify">
- কনটেন্ট এর টপিক নির্বাচনে কোন বিষয়ের উপর বেশী গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
কোন কনটেন্টের টপিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান এবং দক্ষতা আছে সে বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেয়া উচিত।
- কোন টপিকস এর উপর ব্লগ লিখতে গেলে সেই টপিকস এর উপর জ্ঞান থাকা জরুরী কেন?
তথ্যসমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় কনটেন্ট পাঠককে সবসময়ই আকর্ষণ করে। অর্থাৎ কোন টপিকস এর উপর লিখতে গেলে ওই বিষয়ের উপর যার যত বেশি জ্ঞান থাকবে তার লেখাও তত সমৃদ্ধ ও আকর্ষণীয় হবে। তাই ব্লগ লিখতে গেলে টপিকস এর উপর জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী।
- ধরুন প্রতি STEEM কয়েনের মূল্য $0.50। আপনি একটি পোস্টে $7 এর ভোট দিলেন। তাহলে আপনি কত $ (USD) কিউরেশন রিউয়ার্ড পাবেন?
কিউরেশন রেওয়ার্ড হিসেবে পাওয়া যাবে অর্ধেক অর্থাৎ $7÷2=$3.5। এই রেওয়ার্ড পাওয়া যাবে SP আকারে। যেহেতু প্রতি Steem এর মূল্য $0.50 ডলার তাই মোট পাওয়া যাবে 3.5×2=7 Steem.
- সর্বোচ কিউরেশন রেওয়ার্ড পাবার কৌশল কী?
কোন কনটেন্ট পোস্ট করার ৫ মিনিট পর হতে ৬ দিন ১২ ঘণ্টার মধ্যে ভোট প্রদান করলে সর্বোচ্চ কিউরেশন রেওয়ার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৫ মিনিটের মধ্যে বা ৬দিন ১২ ঘন্টা পরে ভোট প্রদান করলে রেওয়ার্ড পাবার সম্ভাবনা আনুপাতিক হারে কমতে থাকে।
- নিজে কিউরেশন করলে বেশি আর্ন হবে নাকি @Heroism এ ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে?
@Heroism এ ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে কেননা নিজে কিউরেশন করলে শুধু এসপি আকারে রেওয়ার্ড আসবে অন্যদিকে ডেলিগেট করলে নিজের পোস্টে একটি ভোট পাওয়া যাবে যা থেকে SP এবং SBD দুই ভাবেই রেওয়ার্ড আসবে।
বাহ ভাইয়া।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে তৃতীয় ক্লাসের সবকিছু উপস্থাপন করেছেন। আমি নিজেও তৃতীয় ক্লাসে উপস্থিত ছিলাম। ক্লাসে যেভাবে বুঝিয়েছে আপনি ঠিক সেভাবেই আপনার মত করে এখানে উল্লেখ করেছেন।
দেখে খুব ভালো লাগলো আপনি সবকিছু সহজেই বুঝেছেন এবং তা আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন। আপনার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইল যেন এভাবেই এগিয়ে যেতে পারেন।
আসলে সকল ক্রেডিট আমাদের ক্লাস টিচার দের। তারা প্রত্যেকটি বিষয়ে আমাদেরকে অতন্ত সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন তাই আমাদের পক্ষে বিষয়গুলো আয়ত্ত করা অনেক সহজ হয়েছে। ভাইয়া আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ শুভ কামনার জন্য। আশা করি সামনের দিনগুলোতেও আপনাদের পরামর্শ
ও সহযোগিতা অক্ষুন্ন থাকবে
ওয়াও সত্যিই অসাধারণ পরীক্ষা দিয়েছেন আপনি। আপনি আপনার level3 প্রতিটি টপিকসের অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন। এবং তা খুব সুন্দর ভাবে বুঝেছেন এটা আপনি উল্লেখ করে দিয়েছেন। আপনি পোস্টটি অনেক সুন্দর করে পর্যায়ক্রমে দেখিয়েছেন এবং তা দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ। আপনি নতুন হিসেবে অনেক সুন্দর করে প্রতিটি পয়েন্টের সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য। আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা আমাদের চলার পাথেয়। আশা করি এ ধারা সবসময় অক্ষুণ্ন থাকবে।
খুব সুন্দরভাবে ৩ নাম্বার ক্লাসটা আপনি লিখেছেন।আমি নতুন হিসেবে আমার অনেক উপরকার হইল আপনার পোস্ট দেখে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।যা নতুনদের জন্য অনেক উপকারি।ধন্নবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
আপনি সাইফুল ভাই এর টিউটোরিয়াল গুলো দেখতে পারেন। নতুনদের জন্য টিউটোরিয়ালগুলো খুবই উপকারী। এছাড়া ক্লাস গুলো মনোযোগ দিয়ে করলে আশা করি আপনি অনেক ভালো করতে পারবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্যও।
মোটামোটি সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছেন, শুভ কামনা রইলো।।