আজ- ২৮ বৈশাখ /১১ মে| ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| বুধবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব হোমমেড সিঙ্গারা রেসিপি। বাঙালি অথচ সিঙ্গারা খায় নি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ব্যক্তিগতভাবে সিঙ্গারা আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। একসময় প্রচুর সিঙ্গারা খেতাম। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বিকেলের আড্ডায় সিঙ্গারা না হলে চলতই না কিন্তু ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দোকানের সিঙ্গারার খাদ্যমানের ব্যাপারে বিশ্বাস অনেকটাই উঠে গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাম অয়েল বা অন্য কোন সস্তা তেল ব্যবহার করা হয় সিঙ্গা ভাজার ক্ষেত্রে। এ ছাড়া আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে একই তেল বারবার ব্যবহার করা। যার ফলে এই তেল একসময় এমন বিষাক্ত হয়ে ওঠে যা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। এত কিছু জানার পরে দোকানের সিঙ্গারা খাবার আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে কিন্তু তাই বলে কি আর খাওয়া বন্ধ থাকবে। নিজেরাই বাড়িতে বানিয়ে ফেললাম পছন্দের সিঙ্গারা। খেতেও চমৎকার হয়েছিল। আসুন তবে দেখে নেয়া যাক সিঙ্গারা তৈরির রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- আটা
- আলু
- পেয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- হলুদের গুঁড়া
- জিরার গুড়া
- শুকনা মরিচের গুড়া
- লবণ
- সয়াবিন তেল
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
প্রথমেই আলু গুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে চারকোনা আকৃতির করে ছোট ছোট করে কেটে নেই।
ধাপ ২ঃ
একটি বড় কড়াইয়ে তেল গরম করে তার মধ্যে কেটে রাখা আলুর টুকরোগুলো দিয়ে দেই। সেই সাথে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ এবং কিছু জিরা দেই।
ধাপ ৩ঃ
পরিমাণ মত লবণ, হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া আর জিরার গুড়া দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকি।
ধাপ ৪ঃ
এবার কিছুটা পানি দিয়ে রান্না করতে থাকি যাতে সবকিছু ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যায়। পানি শুকিয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলি।
ধাপ ৫ঃ
একটি পাত্রে পরিমাণমতো আটা নিয়ে সামান্য গরম পানি দেই এবং আস্তে আস্তে নারতে থাকি। এভাবে একটি মন্ড তৈরি করি। লক্ষ রাখতে হবে মন্ডটি যেনো খুব বেশি নরম বা শক্ত না হয়ে যায়।
ধাপ ৬ঃ
মন্ড হতে একমুঠো খামির নিয়ে বেলুনের সাহায্যে চিত্রের মত করে রুটি বানাই। স্বাদ বাড়ানোর জন্য কিছুটা কালোজিরা যোগ করতে পারি।
ধাপ ৭
রুটিটি মাঝখান থেকে দুই ভাগ করি। এক ভাগ নিয়ে পেচিয়ে চোঙার মতো বানাই। তার মধ্যে আলুর পুর ভরে দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেই।
ধাপ ৮
এভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী বেশকিছু সিংগারা বানাই।
ধাপ ৯
সবশেষে একটি কড়াইতে তেল গরম করে তার মধ্যে সিঙ্গারা গুলো ভালোভাবে ভেজে নেই। ডুবোতেলে ভাজলে বেশি মচমচে হবে। সিঙ্গারা গুলো বাদামি বর্ণ ধারণ করলে তেল থেকে উঠিয়ে ফেলি। হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু হোমমেড সিঙ্গারা ।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আপনি আমার অনেক পছন্দের একটি রেসিপি আজ তৈরি করেছেন ভাইয়া। সিঙ্গারা আমার অনেক পছন্দের। সিঙ্গারা আমার কাছে বাজার থেকে কিনে আনার চেয়ে বাসা তৈরি করে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি নিখুঁত ভাবে পুরো সিঙ্গারার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি অন্য কেউ দেখলে খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারবে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর সিঙ্গারা শেয়ার করার জন্য।
এতদিন আমার ধারণা ছিল সিঙ্গারা শুধু ছেলেরাই পছন্দ করে মেয়েরা এই খাবারটা একেবারেই পছন্দ করেনা কিন্তু আজ ধারণাটা অনেকটাই পরিবর্তন হলো। ধন্যবাদ আপু
পেয়াজ দিয়ে সিঙ্গারা খাওয়ার যে কি মজা এটা যে খায় সেই জানে। এখন পর্যন্ত বাড়িতে বানানো সিঙ্গারা খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। তবে আপনার থেকে শিখে নিলাম। চেস্টা করা যায় চাইলে একদিন। দেখি একদিন চেস্টা করে দেখবো।
আপনার সঙ্গে আমি একমত। গরম গরম সিঙ্গারা পেঁয়াজ দিয়ে খাবার তুলনা হয়না। আর সত্যি বলতে কি সিঙ্গার আমার খুবই পছন্দ। বাসায় একদিন চেষ্টা করে দেখেন আশা করি ভালোই হবে।
মচমচে আলু সিঙ্গারা খাওয়ার মজাই আলাদা। দুইদিন আগে আমার বাসাতেও তৈরি করেছিল। ধাপগুলো তুমি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বাসায় আমিও আগে কয়েকবার তৈরি করেছিলাম কিন্তু খেতে সুস্বাদু হলেও দেখতে অতটা সুন্দর হয় না। আরো একটু প্র্যাকটিস করতে হবে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
হোমমেড আলুর সিঙ্গারা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন ।দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এমনিতেই আমি সিঙ্গারা খেতে অনেক পছন্দ করি ।আপনার সিঙ্গারা দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি সিঙ্গারার সাথে আদা দিয়েছেন তাহলে তো খেতে আরো বেশি স্বাদ লাগবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আদার উপকারিতা অনেক। আর আমাদের বাসাতে প্রায় সব কিছুতেই আদাবাটা দেয়া হয়। যদিও সামান্য পরিমাণে। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে লক্ষ করার জন্য
বৃষ্টির দিনে পেঁয়াজ দিয়ে সিঙ্গারা খেয়ে অসাধারণ লাগে। আজকে সকালেও সিঙ্গারা খেয়েছি। খুব ভালো লাগে আপনি আলু সিঙ্গারা নিজে হাতে তৈরি করেছেন বাড়িতে দেখেই মনে হচ্ছে আপনার বাসার চলে যাই বিনাদাওয়াতে। 😁😁
আপনার দাওয়াত অনেক আগেই দিয়ে রেখেছি। চলে আসবেন কোন একদিন সময় করে। সিঙ্গারার সাথে আরো অনেক কিছু খাওয়াবো
ভাই আমার গরম গরম সিঙ্গারা খেতে খুব ভালো লাগে সত্যি আপনার সিঙ্গারা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে । আপনি খুব সুন্দর করে সিঙ্গারা তৈরির ধাপগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । দুর্দান্ত হয়েছে এত সাধারণের রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের এলাকায় আগে এক টাকার সিংগারা পাওয়া যেত। দারুণ সুস্বাদু ছিল সিঙ্গাড়া গুলি। এখন যে সিঙ্গারা তৈরি হয় তার দাম 10 টাকা। তাই কি আর করা নিজেই বানাতে চেষ্টা করলাম ধন্যবাদ।
ভাই সিঙ্গারা আমার ভীষণ প্রিয় খাবার 😋
ভাই আমরা বন্ধুরা যখন আড্ডা দিতাম সিঙ্গারা খেতাম বেশি 🤗
আপনার সিঙ্গারা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।
দারুন ছিল 👌
আমারও আপনার মত একই অবস্থা। আড্ডা আর গল্পে সিঙ্গারা না হলে চলেই না। বিশেষ করে যত গরম তত মজা। ধন্যবাদ ভাই
ভাই আপনার সিঙ্গারা রেসিপি গুলো দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সিঙ্গারা খেতে পছন্দ করি। আর বৃষ্টির দিনে ঘরে তৈরি মচমচা গরম গরম সিঙ্গারা খেতে তার ভাল লাগেনা বলেন!! আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া সিঙ্গারা রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমি খুব কম মেয়েদের দেখেছি যারা সিঙ্গারা পছন্দ করে। আমার সঙ্গে আপনার পছন্দের কিছু মিল লক্ষ করলাম। সিংগাড়া আমারও অনেক পছন্দের। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
ভাইয়া সিঙ্গারা বানিয়েছেন, একটু বাসায় দাওয়াত দিলেই পারতেন।আমারও অনেক প্রিয় সিঙ্গারা।যাই বলেন না কেন কিছু কিছু জিনিস খেলে ক্ষতি হবে তাও খাওয়া বাদ দেওয়া যায় না।ভালো লাগলো রেসিপিটা। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আমরা অনেক সময় জেনেশুনেও ক্ষতিকর জিনিস গুলো গ্রহন করি। তবে যদি বিকল্প কিছু ভাবা যায় দোষ কি তাতে। ধন্যবাদ আপু
হোমমেড আলু সিঙ্গারা দারুন হয়েছে। দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
আমার মনে হয় 10 জন ছেলের মধ্যে আটজনই সিঙ্গারা পছন্দ করে। তবে বাসি সিঙাড়া মোটেই খাওয়া যায় না। আপনার কমেন্টগুলো বরাবরই আমাকে উৎসাহিত করে। ধন্যবাদ