আজ- ১৫ শ্রাবণ /৩০ জুলাই| ১৪২৯, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| শনিবার | বর্ষাকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব একটি রেস্টুরেন্টে খাবার অভিজ্ঞতা। বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা সম্ভবতই ভোজন রসিক। আর তাদের মধ্যে আমি বোধহয় আরো একধাপ এগিয়ে। যদিও সামর্থ্যের অভাবে সবসময় সব জায়গা যাওয়া হয়না। তবে বিভিন্ন রকমের খাবারের স্বাদ নিতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এইতো গত পরশুদিন ছিল আমার অর্ধাঙ্গিনীর জন্ম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিকেল বেলা ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। যারা বিবাহিত তারা নিশ্চয়ই জানেন এমন দিনে একটু ঘুরাঘুরি না করলে কি আর ঘরে শান্তি ঠিক রাখা যায়। আর শুধু ঘোরাঘুরিতে কি পেট ভরে। তাই পেট ভরানোর জন্য হাজির হয়েছিলাম ফরিদপুর শহরের বেশ জনপ্রিয় একটি রেস্টুরেন্ট Dolce vita তে।
![20220728_190322.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXAhsYhEiUNVmhEunCBmv9iRK2FgivmXCGqPBKmqwZnjt/20220728_190322.jpg)
![20220728_182044.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQNRsrzK17wepFgWKrHTg6jNMaFKAhDVDPyvxhrErzP27/20220728_182044.jpg)
ফরিদপুর শহরের সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ রোডে গত কয়েক বছরে বেশ কিছু ভালো মানের রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। বলতে গেলে গত কয়েক বছরে ফরিদপুর শহরের সবচাইতে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে যে জায়গাটিতে সেটা হচ্ছে এই ঝিলটুলি এবং তার আশেপাশের সংলগ্ন এলাকা। বিভিন্ন রকম বিপণি বিতান থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রায় সব স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের শোরুমের আউটলেট এখানে আছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিনোদন এবং খাবারের প্রতিও আগ্রহ একই হারে বেড়েছে বলে আমার মনে হয়। আর এই চাহিদা মেটাতেই এসব রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এসব রেস্টুরেন্টের বেশিরভাগ কাস্টমারই হচ্ছে প্রেমিক যুগল ও পরিবার নিয়ে আসা ভদ্রলোকেরা।
![20220728_181604.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmek5SLbNYFs3nahDiC8QfXvdhqJ3hWKw6n4UMkWt4HY4A/20220728_181604.jpg)
![20220728_182738.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTDa4oDSGmXg2hozqmwBvpmC2vp4JKsEL6r5tDzSxEKTu/20220728_182738.jpg)
![20220728_182659.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUTgB1Wiy6mimL1TeJdScswXU9BeCLU3SgM78nZ8Sqq3W/20220728_182659.jpg)
ভালো ভালো রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে বন্ধু রূপক আমাদের মধ্যে নাম্বার ওয়ান। তাই বের হবার আগেই ফোন দিয়ে জেনে নিয়েছিলাম কোন রেস্টুরেন্টের পরিবেশ, খাবারের মান এবং দাম মোটামুটি ভালো। ও তিনটি নাম সাজেস্ট করেছিল তার মধ্য থেকেই আমরা বেছে নিয়েচিলাম এই রেস্টুরেন্ট। রাস্তার পাশেই দোতালায় অবস্থিত এ রেস্টুরেন্টের ভেতরের পরিবেশে এক কথায় চমৎকার। সুন্দর ডেকোরেশন আর নিরিবিলি পরিবেশ বিশেষ করে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন কাস্টমার ছিল না বললেই চলে। কর্মচারীদের ব্যবহারও ছিল দেশ আন্তরিক।
![20220728_181731.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTri6ZMTYDRqbuH2SYX9ELRFCkjz9nTV8D4Us69U4aPCQ/20220728_181731.jpg)
![20220728_181717.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeiYqyS6LjRbzSSUvMMhehG1CD3uBFWWPYJbemHm7hDH5/20220728_181717.jpg)
![20220728_181702.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmST7SngMxmPx1EBtoXkZ3cc9XkbdMmem1Tg1ZpEs9XBN5/20220728_181702.jpg)
![20220728_181710.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUdtritGCUw6zc5tzqojxE41ziBipbGn5s4WXsA6Nj8M6/20220728_181710.jpg)
আমরা অর্ডার করেছিলাম একটু সেট মেনু। মেনুতে ছিল ফ্রাইড রাইস, ভেজিটেবল, দুই পিস করে চিকেন ফ্রাই, চিকেন মাসালা কারি, আর সফট ড্রিংকস। দাম পড়েছিল প্রতি জনের জন্য ৩২০ টাকা। আর খাবারের স্বাদের কথা যদি বলি তাহলে বলতে হয় একেবারে অসাধারণ না হলেও খারাপ না। বিশেষ করে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য খুব ভালো একটি জায়গা এই রেস্টুরেন্ট। অর্ডার করার ১৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের খাবার চলে এসেছিল। মোটামুটি এক ঘন্টা সময় নিয়ে ভুরিভোজ করে ফিরতি পথ ধরলাম বাড়ির দিকে। আসলে পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা।
ব্যক্তিগত রেটিং
খাবারের স্বাদ ৭/১০
সার্ভিস ৮/১০
দাম ৭/১০
যোগাযোগ ব্যবস্থা ৯/১০
আজকের মতো এতোটুকুই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
Photographer | @ferdous3486 |
Device | Samsung M21 |
Location | Dolce vita, Saroda sundori college road, Faridpur |
প্রথমেই ভাবিকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই। রেস্টুরেন্টের ভিতরে যাওয়ার সিঁড়ি টা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে আর ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে ভিতরের পরিবেশগত দিকটাও বেশ নিরিবিলি এবং পরিপাটি। বিশেষ দিনে ঘোরাঘুরি না করালে অবশ্যই ঘরের শান্তি নষ্ট হবে। 😃মেয়েরা বেশিকিছু চায় না মাঝে মাঝে একটু শপিং আর একটু ঘোরাঘুরি এতেই খুশি🙂 ভাবি,বাবু এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনার শুভেচ্ছা জায়গা মত পৌঁছে দেয়া হলো। আসলে সবারই প্রিয়জনের কাছে কিছু না কিছু প্রত্যাশা থাকে। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
এটা ভালোই করেছেন যে ভাবিকে জন্মদিনের উপলক্ষে ঘুরতে নিয়ে গেছেন এবং খাইয়েছেন কিন্তু এই উপলক্ষে যে কথাটা বলেছেন সেটা যদি ভাবি দেখতে পায় তাহলে কিন্তু আপনার খবর আছে ভাই 😅😅।তবে আপনার খাবার খাবার দেখে মনে হচ্ছে খুবই লোভনীয় ধন্যবাদ আপনাকে সেই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি আবার বলে দেবেন না যেন,😁 অনুরোধ রইলো। আসলে মাঝে মাঝে এমন একটু ঘোরাঘুরি আর খাওয়া-দাওয়া আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমার ক্ষেত্রে আবার উল্টোটা হয় নতুন নতুন খাবারের স্বাদ নিতে ইচ্ছা করে না যদি খাবার খারাপ হয়। এজন্য পুরনো খাবারই আমি বেশি খাই।
ঠিক বলেছেন ফরিদপুরের ঝিলটুলি শহরের গেলে এখন চিনতেই পারা যায় না। এখনকার সঙ্গে আগের কোন মিল নেই। তাছাড়া আপনি তো দেখছি আমার পছন্দের খাবারই অর্ডার করে ফেলেছেন। যাই হোক ভাবীকে খুশি করার জন্য ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে।
নতুন খাবার টেস্ট করতে আমার কাছে ভালোই লাগে। তবে এ ব্যাপারে সবচেয়ে আগ্রহী রূপক। আর সত্যি বলতে কি ঘরের শান্তি বজায় রাখতে মাঝে মাঝে অনেক কিছুই করতে হয় হা হা হা।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আপনার কাটানো রেস্টুরেন্টের রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ভেতরের দৃশ্যটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সেই সাথে অনেক মজাদার মজাদার খাবারের ছবিও তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে কিন্তু এই রেস্টুরেন্ট রিভিউ পোস্টগুলো খুবই খারাপ লাগে। কারণ সবাই শুধু ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখায়। কেউ দাওয়াত করে না। কি একটা দুঃখের ব্যাপার বলেন তো।
ওয়াও ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেস্টুরেন্টের ফটোগ্রাফি আমাদের কাছে শেয়ার করেছেন। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গুলোর বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে প্রাইভেসি। এখানে মূলত সবাই আসে গল্প করার ফাঁকে ফাঁকে সুস্বাদু সব খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে। আমার কাছে অন্তত তাই মনে হয়।
খুবই চমৎকার ভাবে রেস্টুরেন্টের সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।অনেক ভালো লাগলো রেস্টুরেন্টের নিরিবিলি পরিবেশ ।সব থেকে বড় কথা ফ্যামিলিকে নিয়ে সুন্দর একটি নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর আনন্দই আলাদা। অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে আপনার রেস্টুরেন্টের অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এ ধরনের পোস্ট এ আমি খুব বেশি কমেন্ট আশা করি না। তবে এখানে যারা কমেন্ট করে আমার মনে হয় তারাই সত্যিকারের পাঠক। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।