আজ- ৮ বৈশাখ | ১৪২৯, বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। গত বেশ কয়েকদিন যাবত প্রচন্ড গরমে অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছিলো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির কথা শুনলেও আমাদের এলাকায় বৃষ্টির দেখা পাচ্ছিলাম না। এরই মধ্যে হঠাৎ গতকাল ভোররাতে হয়ে গেল এক পশলা স্বস্তিদায়ক বৃষ্টি। দারুন ভাবে পরিবর্তিত হয়ে গেল প্রকৃতি। নিমিষেই গরম হারিয়ে গিয়ে আরামদায়ক ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশ ফিরে পেলাম আমরা। সত্যি বলতে শরীর এবং মনে শান্তি না থাকলে কোনো কাজেই একাগ্রতা আসে না আর একাগ্রতা না থাকলে কাজের মান খারাপ হয়ে যায় নিঃসন্দেহে। দারুন দারুন সব প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের এই কমিউনিটিতে প্রত্যেকের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরাও চেষ্টা করে যাচ্ছি যথাসাধ্য এই কমিউনিটিকে সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাওয়ার। যাই হোক আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আরেকটি diy প্রজেক্টে নিয়ে। রঙিন কাগজ দিয়ে কিভাবে মুরগির বাচ্চার অরিগামি তৈরি করা যায় তাই দেখাবো আজ। কথা না বাড়িয়ে আসুন তবে দেখে নেয়া যাক প্রক্রিয়াটি।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- রঙিন কাগজ
- আঠা
- কাঁচি
- স্কেল
- পেন্সিল
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
৮×১.৫ ইঞ্চি সাইজের একখণ্ড হলুদ কাগজ কে আঠা দিয়ে জোড়া লাগিয়ে রোল বানাই।
ধাপ-২ঃ
আগের রোলটির চাইতে আকৃতিতে কিছুটা ছোট আর একটি রোল বানিয়ে আঠা দিয়ে একটির সঙ্গে আরেকটি জোড়া লাগিয়ে দেই।
ধাপ-৩ঃ
এক খন্ড লাল কাগজ এর উপর পেন্সিল দিয়ে পা আকি। কাঁচি দিয়ে পেন্সিলের দাগ বরাবর পা দুটো কেটে নেই। এরপর আঠা দিয়ে পা দুটো লাগিয়ে দেই।
ধাপ-৪ঃ
একইভাবে একখন্ড লাল কাগজ কেটে মুরগির বাচ্চার ঠোট বানাই। আঠা দিয়ে ঠোটটি লাগিয়ে দেই।
ধাপ-৫ঃ
আরেকটি লাল কাগজ অর্ধবৃত্ত আকৃতিতে কেটে নেই। এরপর ওপরের দিকে কাঁচি দিয়ে খোচা খোচা করে কেটে মুরগির ঝুটি বানাই। আঠা দিয়ে মাথার সঙ্গে লাগিয়ে দেই।
ধাপ-৬ঃ
চোখ বানানোর জন্য প্রথমে দুটো সাদা কাগজ গোল করে কেটে নেই, এরপর এর চাইতে কিছুটা ছোট আকৃতির দুটো কালো কাগজ কেটে আঠা দিয়ে সাদা কাগজ দুটোর মাথায় লাগিয়ে দেই। তাহলেই তৈরি হয়ে গেল চোখ। এবার চোখ দুটো আঠা দিয়ে মুরগির মাথার সঙ্গে লাগিয়ে দেই।
ধাপ-৭ঃ
সবশেষে আরো দুই খন্ড লাল কাগজ কেটে মুরগির ডানা তৈরি করি এবং দেহের দুইপাশে লাগিয়ে দেই। তাহলেই তৈরি হয়ে গেল আমাদের কিউট মুরগির বাচ্চার অরিগামি।
আজকের মতো এতোটুকুই। কোন মতামত বা মন্তব্য থাকলে আশা করি জানাতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সামনে হাজির হবো অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।।
আমাদের এখানেও হঠাৎ করে গতকাল শিলা বৃষ্টি হয় সত্যি বলতে ভোর বেলায় এমন বৃষ্টিতে একটি মজাদার ঘুম দিয়েছিলাম। আপনার রঙিন কাগজ দিয়ে মুরগির বাচ্চা তৈরি করা টি সত্যি অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে গুছিয়ে একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খবর পেলাম দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি সহ প্রচন্ড ঝড় হয়েছে কিন্তু আমাদের এদিকে বৃষ্টি তেমন একটা হয়নি বললেই চলে। যাইহোক আপনারা পাশে আছেন বলেই কাগজ দিয়ে এগুলো বানাতে ভালো লাগে।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দরভাবে রঙিন কাগজ দিয়ে মুরগির বাচ্চার অরিগামি তৈরি করেছেন। আপনার এই মুরগি বাচ্চা দেখতে অসাধারণ হয়েছে। কালার খুব সুন্দর ভাবে মিলিয়েছেন। প্রতিটা ধাপ অনেক সুন্দর ও সহজ ভাবে বর্ণনা করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মুরগির বাচ্চার অরিগামি তৈরি করা মোটেই কঠিন কিছু নয়। চেষ্টা করলে আপনিও আমার চেয়ে ভালো বানাতে পারবেন। আশা করি আপনার কাছ থেকে নতুন কিছু দেখতে পারবো। ধন্যবাদ
রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর একটি বাচ্চা মুরগির অরিগামি তৈরি করেছেন বিশেষ করে ঠোঁট দুটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনার দক্ষতা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠোঁট দু'টি আপনার ভাল লাগলেও আমি কিছুটা ভুল করে ফেলেছি। এটা দেখতে অনেকটা হাঁসের ঠোঁটের মতো হয়েছে। মুরগির ঠোঁট গুলো সাধারণত তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে। যাই হোক ভালো লেগেছে এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর মুরগির বাচ্চা তৈরি করেছেন। সত্যি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার উপস্থাপনা আমার খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল।
আপনাদের ভালো লাগাতেই আমার আনন্দ। আপনার মত সবাই যদি এমন ভালো লাগতো.....। অনেক ধন্যবাদ ভাই
রঙিন কাগজ দিয়ে তো অনেক সুন্দর ভাবে মুরগির বাচ্চার অরিগামি তৈরি করেছেন ভাইয়া।রঙিন কাগজ দিয়ে আপনার তৈরি মুরগি দেখতে খুবই সুন্দর এবং খুবই কিউট লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে রঙিন কাগজের এত সুন্দর একটি অরিগামি উপস্থাপন করার জন্য।
এটা বানানো একেবারেই সহজ। সামান্য দুই রঙের কাগজ আর প্রয়োজনীয় কিছু উপকরণ থাকলেই বানানো যায়। চেষ্টা করলে আপনি আমার চাইতে ভালো বানাতে পারবেন এটা নিশ্চিত। ধন্যবাদ ভাই
ভাই আপনার দক্ষতার প্রশংসা করতে হয়, কেননা এত সুন্দর করে মুরগির বাচ্চার অরিগামিটি তৈরি করেছেন যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি ভাইয়া, মুরগির বাচ্চার অরিগামিটি আপনি অত্যন্ত নিখুত করে তৈরি করেছেন। মুরগির বাচ্চাটিকে দেখতে অনেক অনেক কিউট লাগছে। রঙিন কাগজ ব্যবহার করে এত সুন্দর একটি কিউট মুরগির বাচ্চার অরিগামি তৈরি করার জন্য এবং তা আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাই আপনার প্রশংসা শুনতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। তবে অনুরোধ রইল মাঝে মাঝে একটুখানি ভুল গুলো ধরিয়ে দেবেন অথবা একটু সমালোচনা। যা আসলেই নিতান্ত প্রয়োজন।
আপনার এত সুন্দর দক্ষতার তুলনা হয়না
খুবই ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর দক্ষতা দেখে। মানুষ চাইলে অনেক কিছু করে দেখাতে পারে, যদি তার দক্ষতা থাকে। আপনার ঠিক তেমন দক্ষতা রয়েছে তাই খুব সহজেই তৈরি করে দেখিয়েছেন।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই। আসলে দক্ষতা তৈরি হয় চর্চার মাধ্যমে। আর আমি এখনো শিক্ষানবিশ। প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দক্ষতা বৃদ্ধিতে। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
মুরগির বাচ্চার অরিগামি দেখতে অসাধারণ হয়েছে। নিখুঁত ভাবে পুরো কাজটি সম্পুর্ন করেছেন আপনার প্রশংসা করতে হয়। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
ঘরে আলোর স্বল্পতার কারণে ছবিগুলো খুব একটা ভালো আসেনি। তার পরেও আপনার সুন্দর প্রশংসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বৃষ্টি আসলে গরম থেকে স্বস্তি পাওয়া যায় ঠিক আছে কিন্তু চারিদিকের পরিবেশ কাদাময় হয়ে যায় তাই একটু বিরক্তিই লাগে।
যাইহোক আপনার মুরগির বাচ্চার অরিগামিটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে ভাইয়া । আপনার হাতের কাজ আমার কাছে ভালো লেগেছে। এভাবেই এগিয়ে চলুন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বৃষ্টি না থাকলে যে ধুলা তৈরি হয় সেগুলোর চাইতে কিন্তু আমার কাছে কাদামাটিই ভালো লাগে। আর ধন্যবাদ উৎসাহ মূলক সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য
রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর একটি মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আসলে মুরগির বাচ্চা টি দেখে দারুণ লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে এটি বাস্তবেই মুরগির বাচ্চা।
আর তাছাড়া আপনি তৈরীর প্রক্রিয়া অনেক সুন্দরভাবে দিয়েছেন । ধন্যবাদ আপনাকে 🙂
বড় মুরগি দেখতে যেমনই হোক না কেন মুরগির বাচ্চা গুলো কিন্তু ভীষণ সুন্দর। এগুলো পছন্দ করবে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।