আজ- ৬ জ্যৈষ্ঠ | ১৪২৯, বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব একটি কচ্ছপের অরিগামি। পৃথিবীতে যতগুলো দীর্ঘজীবী প্রাণী আছে তার মধ্যে কচ্ছপ একটি। সামুদ্রিক কচ্ছপ প্রায় একশ থেকে দেড়শ বছর পর্যন্ত বাঁচে। উইকিপিডিয়া ঘাটতে গিয়ে মাথা ঘুরে যাবার মত একটি তথ্য পেলাম। Archelon হচ্ছে এ পর্যন্ত রেকর্ডকৃত পৃথিবীর সবচাইতে বড় কচ্ছপ। যার ওজন প্রায় 2200 kg আর মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য পাঁচ মিটার বা 16 ফুট। চিন্তা করতে পারেন কত বড় ছিল এই কচ্ছপ। যদিও এই প্রজাতি বহু আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমাদের দেশেও একসময় খাল-বিল ও পুকুর-ডোবা গুলোতে প্রচুর কচ্ছপ দেখতে পাওয়া যেত। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, আবাসস্থল সংকট, খাদ্য ঘাটতি ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে বেশিরভাগ কচ্ছপ প্রজাতিই বর্তমানে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্তপ্রায় এই প্রজাতির সংরক্ষন করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আসুন তবে দেখে নেয়া যাক আমার কচ্ছপের অরিগামি তৈরির প্রক্রিয়া।


প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- রঙিন কাগজ
- আঠা
- কাঁচি
- পেন্সিল

প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
৬×৬ ইঞ্চি সাইজের এক খন্ড সবুজ কাগজের মাঝখানে পেন্সিল দিয়ে একটি বৃত্ত আঁকি। কাঁচি দিয়ে দাগ বরাবর বৃত্তটি কেটে নেই।

ধাপ-২ঃ
বৃত্তটির যেকোনো এক পাশ থেকে কাঁচি দিয়ে মাঝ পর্যন্ত কাটি। এরপর আঠা দিয়ে এক প্রান্তের সঙ্গে অন্য প্রান্ত টেনে জোড়া লাগিয়ে দেই।

ধাপ-৩ঃ
১×.৫ ইঞ্চি সাইজের একখণ্ড সবুজ কাগজ চিত্রের মত করে কেটে কচ্ছপের সামনের পা বানাই। একইভাবে সামনের ও পেছনের মোট চারটি পা বানাই।

ধাপ-৪ঃ
সবুজ কাগজ কেটে ছোট ছোট বৃত্ত বানাই যা কচ্ছপের পিঠে লাগানোর জন্য ব্যবহৃত হবে।
|

-|-

ধাপ-৫ঃ
ছোট্ট একখণ্ড সবুজ কাগজ কিছুটা লম্বা করে কেটে কচ্ছপের মাথা তৈরি করি।

ধাপ-৬ঃ
একখণ্ড কাল কাগজ নিয়ে ছোট ছোট দুইটি বৃত্ত আকৃতির চোখ তৈরি করি। এবার আঠা দিয়ে কচ্ছপের মাথার সঙ্গে লাগিয়ে দেই।

ধাপ-৭ঃ
সবশেষে কচ্ছপের দেহের সঙ্গে পাগুলো আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেই। সেই সঙ্গে গোল গোল করে কাটা বৃত্ত আকৃতির কাগজগুলো কচ্ছপের পিঠে লাগিয়ে দেই। তাহলে সম্পূর্ণ হয়ে গেল আমাদের কচ্ছপের অরিগামি।

আজকের মতো এতোটুকুই। কেমন লাগলো আশা করি জানাতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সামনে হাজির হবো অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।।
আমি কচ্ছপের পেইন্টিং করেছি এবং বিভিন্ন ধরনের চিত্রাংকন করেছি। তবে কখনো এমন অরিগামি কচ্ছপ তৈরি করিনি। যদিও আমি এসব তৈরিতে খুবই কাঁচা। এতোটুকু তো মন্তব্য করতেই পারি যে আপনার কাজটি অনেক বেশি পারফেক্ট হয়েছে। কালার কম্বিনেশন এবং বানানোর প্রসেস অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার আঁকা কচ্ছপের চিত্র আমার চোখে পড়েনি। তবে আপনার আর্ট সম্পর্কে ধারণা আছে। নিঃসন্দেহে বলতে পারি দারুন এঁকেছিলেন আপনি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দারুন একি তথ্য দিলেন আপনি আপনার কাছ থেকে আমরাও জানতে পারলাম কচ্ছপ সম্বন্ধে ।রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর একটি কচ্ছপ তৈরি করেছেন এই কচ্ছপটি অনেকদিন আগে আমিও তৈরি করেছিলাম। এই কচ্ছপটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আপনারটিও অনেক সুন্দর হয়েছে প্রতিটি ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে বানিয়ে দেখিয়েছেন ভাইয়া ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার তৈরি কচ্ছপটিও আমি দেখেছিলাম তবে মন্তব্য করেছিলাম কিনা তা ঠিক মনে নেই। প্রতিদিন পোস্ট করার ক্ষেত্রে মোটামুটি সহজে তৈরি করা যায় এমন অরিগামি গুলোই আমি নির্বাচন করে থাকি। ধন্যবাদ আপু
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর কচ্ছপ তৈরি করেছেন। সত্যি আপনার কচ্ছপ তৈরি করে উপস্থাপন আমার খুবই ভালো লেগেছে। দেখে অনেক সুন্দর লাগছে, শুভকামনা রইল।
সত্তিকারের কচ্ছপ তো এখন খুব বেশি দেখা যায় না। তাই কাগজ দিয়ে এই কচ্ছপ বানিয়ে দেখালাম আপনাদের। ধন্যবাদ ভাই
আপনি খুব সুন্দর একটি কচ্ছপের অরিগামি তৈরি করেছেন। আপনার অরিগামি নিয়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে অরিগামি তৈরি প্রক্রিয়া আমাদের মাথা তুলে ধরেছেন । সেইসাথে কচ্ছপ সম্পর্কে আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার জেনারেল রাইটিং গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে বিভিন্ন দিবসে আপনি যে পোস্ট গুলো করেন সেগুলো আসলেই তথ্যবহুল। ধন্যবাদ আপু
২২০০ কেজি ওজনের কচ্ছপের কথা শুনে আমার তো চোখ কপালে উঠে গেছে সত্যিই এত বড় কচ্ছপের কথা শুনে অবাক লাগলো। এ কথাটা একদম ঠিক বলেছেন আমাদের অঞ্চলে নদী-নালায় এমনকি ছোট পুকুর ডোবাতেও কচ্ছপ দেখা যেত। এখন এগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। যাইহোক আপনি খুব চমৎকার করে রঙিন কাগজ দিয়ে কচ্ছপের অরিগামি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কচ্ছপের অরিগামিত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ছোটবেলায় আমিও ৮/১০ কেজি ওজনের কচ্ছপ দেখেছি। আর বাড়ির পেছনের পুকুরে অসংখ্য কচ্ছপ কয়েকবছর আগেও দেখতে পেতাম কিন্তু এখন আর একটাও নেই। বোঝেন তাহলে অবস্থা। ধন্যবাদ ভাই
কচ্ছপ দেখলাম অনেক দিন পরে। দেখেই কচ্ছপ ও খরগোশের সেই গল্পের কথা মনে পড়ে গেল। অরিগামিটি ভাল বানিয়েছেন ভাই। চমৎকার ভাবে গুছিয়ে লিখেছেনও। ধন্যবাদ আপনাকে
এরপরে একটা খরগোশ বানাতে পারলে খারাপ হত না। তবে খরগোশের অরিগামি ভিডিও আকারে শেয়ার করতে হবে তা না হলে বোঝানো যাবে না। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
নতুন কাগজ দিয়ে বানানো কচ্ছপের অরিগামি বেশ চমৎকার হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন কাজ দেখতে পাই নতুন কাগজের, আর আপনিও খুব সুন্দর ভাবে যথাযথ বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিদিনই কেউ-না-কেউ রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অরিগামি তৈরি করে থাকে। আমিও তাদের টা দেখে দেখে শিখে ফেলেছি। ভালো থাকবেন ভাই।
সত্যি বলতে আপনার কচ্ছপটি খুব ইউনিক হয়েছে এবং বেশ চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
আপনি উইকিপিডিয়া ঘেঁটে তো আমাদের লাভ হলো। ভালো একটি তথ্য জানতে পারলাম। কচ্ছপ এত বড় হয় জানাই ছিল না। যাইহোক আপনার কচ্ছপের অরিগামি টা কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। দেখতে অনেক কিউট লাগছে। যদিও বাস্তবে কচ্ছপ দেখতে এতটা কিউট লাগে না।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বাস্তবে কচ্ছপ কেমন হয় সেটা তো বলতে গেলে প্রায় ভুলেই গেছি। তবে উইকিপিডিয়ার এই তথ্য আমার মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। শুনেছি সামুদ্রিক কচ্ছপ নাকি ১/২ মণ পর্যন্ত হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপু
অসাধারণ একটি কচ্ছপের অরিগামি তৈরি করেছেন ভাইয়া, এছাড়াও কচ্ছপের বিষয় এতো ইনফরমেশন পেয়ে অনেক ভালো লাগলো, অনেক অজানা জিনিস জানতে পারলাম, তবে আপনার অরিগামিটি আমার খুবই ভালো লেগেছে, অনেক সুন্দর করে কালার গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন, দেখতে বাস্তব কচ্ছপ গুলোর মত লাগতেছে, এবং অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনাও করেছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
আপনার মন্তব্যটি পড়তেও আমার অনেক ভালো লাগলো। কাজের সার্থকতা আসে পাঠকদের মন্তব্যে। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
কচ্ছপের অরিগামি দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। বিশেষ করে কচ্ছপের কালার কম্বিনেশন টা বেশ দারুন লাগতেছে। আপনি আপনার তৈরি পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্টটি দেখে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন