আজ- ৫ চৈত্র /১৯ মার্চ | ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| শনিবার | বসন্তকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব অতি সাধারণ কিন্তু অত্যন্ত সুস্বাদু একটি বাংলা খাবারের রেসিপি। লাউ এবং ডিমের তৈরি কারী। রান্নার প্রক্রিয়া অতি সহজ হওয়ায় যে কেউই একটু চেষ্টা করলেই করতে পারবেন এই রান্নাটি। সত্যি বলতে কি এই রান্নাটি সবসময় আমার মা নিজেই করে থাকেন। আমার খুব প্রিয় একটি খাবার এটি। বিশেষ করে শীতের দিনে এই কারীটি আমার কাছে বেশি স্বাদের মনে হয়। এই রেসিপির সবচাইতে বড় সুবিধা যা, তা হচ্ছে খরচ কম। মাছ বা মাংসের তুলনায় ডিম তুলনা মূলকভাবে অনেক সস্তা, আর লাউ পেটকে যেমন ঠান্ডা করে তেমনি দাম ও একেবারে নাগালের বাইরে নয়। আমার মনে হয় বাংলাদেশের প্রায় সব জেলার মানুষই এই রেসিপিটির সঙ্গে পরিচিত। তো আসুন শুরু করা যাক আজকের রান্নার পর্ব। কারা এই রেসিপিটি সঙ্গে পরিচিত নয় ইনবক্সে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
লাউ | অর্ধেক |
মুরগির ডিম | ৩টি |
কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টি |
পেয়াজ কুচি | আধা কাপ |
হলুদের গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরার গুড়া | আধা চা চামচ |
শুকনা মরিচের গুড়া | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণমতো |
সয়াবিন তেল | আধা কাপ |
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
শুরুতেই একটি পরিষ্কার পাত্রে তেল গরম করে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি এবং মরিচ দিয়ে বাদামী রং ধারণ করা না পর্যন্ত আস্তে আস্তে নাড়তে থাকি।
ধাপ ২ঃ
পেঁয়াজ, মরিচ হালকাভাবে ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে আগে থেকে কেটে ধুয়ে রাখা লাউ গুলো দিয়ে দেই এবং একে একে সব মশলা দিয়ে নাড়তে থাকি।
ধাপ ৩ঃ
লাউয়ের সঙ্গে মসলাগুলো ভালোভাবে মিশে গেলে পাত্রে রাখা লাউয়ের সমপরিমাণ পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই সিদ্ধ হবার জন্য।
ধাপ ৪ঃ
এবার ডিমগুলো ভেঙে ভালোভাবে গুলিয়ে নিয়ে অন্য একটি পাত্রে তেল দিয়ে ভেজে নিতে হবে। ভাজার সময় যতটা সম্ভব ছড়িয়ে বড় করে ভাজতে হবে।
ধাপ ৫ঃ
ডিম ভাজা হয়ে গেলে ভাজা ডিমটিকে চার কোন আকৃতি করে কেটে নিতে হবে। এবার ডিমের টুকরোগুলোকে সিদ্ধ ল্যাউয়ের মধ্যে দিয়ে দেই।
ধাপ ৬ঃ
সবশেষ ধাপে পাত্রটিকে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই এবং অল্প আচে কিছুক্ষণ রান্না করি। লক্ষ রাখতে হবে ডিমগুলো যেন ভেঙে টুকরো টুকরো না হয়ে যায়। হয়ে গেল আমাদের লাউ দিয়ে মজাদার ডিম রান্না। এবার শুধু পরিবেশনের পালা।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
সাধের লাউ আর তার সাথে দিম বা বেশ চমৎকার ব্যাপার তো।
রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালই হবে। আর আপনি তৈরির ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। চালিয়ে যান এভাবেই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সাধের লাউ। ভালই বলেছেন তো। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে। ভালো থাকবেন
ভাইয়া লাউ দিয়ে যে ডিম রান্না করা যায় জানতাম না তো। নতুন একটা রেসিপি নিয়ে আসলেন আপনি পরিচিত হয়ে অনেক ভালো লাগলো। অবশ্যই একদিন বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদিন চেষ্টা করে দেখবেন, আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
লাউ দিয়ে ডিম রান্না খেতে খুবই ভালো লাগে। অন্য রকম একটা টেস্ট পাওয়া যায় ।রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। খেতেও মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সাথে সামান্য কিছু সরিষা দিলে আরো বেশি ভালো লাগে। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
লাউ দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি কখনো খাইনি তবে আপনার রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
রান্না টা খুবই সহজ। একবার টেস্ট করে দেখতে পারেন। মনে হয় খারাপ লাগবে না। ভালো থাকবেন
খুব চমৎকার একটি লাউ দিয়ে ডিমের রেসিপি করেছেন ভাই দেখে খুব ভালো লাগল। আমাদের বাসায় মাঝে মধ্যেই রেসিপিটা করে খাওয়া হয় খেতে আমার খুব ভালই লাগে। আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপনার সাথে মিলে গেল। অনেকেই নাকি এই রান্নাটি কখনো খায়নি। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন
লাউ দিয়ে ডিম এটা আমাদের গ্রামের খুবই পরিচিত একটি রেসিপি অনেক সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আপনি তুলে ধরেছেন দারুন হয়েছে ভাই গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
গ্রামের দিকে সাধারণত এই রেসিপিটি বেশি প্রচলিত। আমিও প্রথমবার সম্ভবত গ্রামেই খেয়েছিলাম। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই প্রথম দেখলাম যে লাউ এর সাথে ডিম ভেজে রান্না করা যায় ।বিশেষত এই প্লাটফর্মে এসে ইউনিক কিছু জিনিস দেখলাম ,প্রতিনিয়ত দেখেই যাচ্ছি। খুব ভালো লাগে এমন জিনিস গুলো দেখতে ।আর আপনার আজকের নতুন রেসিপি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া। খুব সুন্দর করেই আপনি উপস্থাপন করেছেন।
এটি গ্রামের দিকে খুবই জনপ্রিয় একটি রেসিপি। তবে অনেককেই দেখলাম এই রান্নাটির সঙ্গে পরিচিত নয়। একবার খেয়ে দেখতে পারেন। শুভকামনা রইল
ভাইয়া লাউ দিয়ে ডিম এখনো খাওয়া হয়নি।তবে আপনার রেসিপি দেখে এখন খেতে ইচ্ছে করছে।রেসিপি টি দেখতে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে।এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
মাছ বা মাংস যেদিন না থাকবে সেদিন রান্না করে একবার খেয়ে দেখবেন। তারপর কেমন লাগলো জানাবেন। আশা করি খারাপ লাগবে না। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
একদম ইউনিক একটা রেসিপি দেখালেন ভাইয়া। কারণ লাউ দিয়ে ডিম রান্না রেসিপি আছে বলে আমার জানা নেই। একদমই নতুন একটি রেসিপির সাথে পরিচিত হলাম। এবং আপনার রান্নার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম কিভাবে এই রেসিপি তৈরি করা যায়। নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমার এলাকায় যেটি খুবই কমন আপনার এলাকায় হয়তো সেটা কেউ খায় না। এমনই হয়েছে ব্যাপারটা। যাই হোক খেয়ে দেখতে পারেন একবার কেমন লাগে। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
লাউ দিয়ে মাছ দিয়ে খেয়েছি।কিংবা মুরগীর মাংস দিয়ে রান্না করে খেয়েছি।কিন্তুু কখনো ডিম দিয়ে এভাবে খাওয়া হয় নি।কি সুন্দর ডিম ভাজি করে তারপর লাউ দিয়ে রান্না করা হয়।ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি।ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। মনে হয় আপনাদের কাছেও খুব একটা খারাপ লাগবে না। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ