আজ- ২৯ ফাগুন | ১৪২৮, বঙ্গাব্দ | সোমবার | বসন্তকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। মানসিক একঘেয়েমি দূর করতে ভ্রমণ এর বিকল্প নেই। কর্মব্যস্ত মানুষ যখন জীবনের চাহিদা মেটাতে মেটাতে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ে তখন তার প্রয়োজন হয় একটু বিশ্রামের, একটু বিনোদনের। আর মানসিক অবসাদ কাটিয়ে ওঠার জন্য ভ্রমণ একটি অন্যতম উপায়। পছন্দের জায়গা গুলোতে প্রিয়জনের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারলে কর্মস্পৃহা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি মানসিক অবসাদ নিমিষেই কাটিয়ে ওঠা যায়। এজন্যই আমরা দেখতে পাই ভ্রমন প্রিয় মানুষেরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে অজানার উদ্দেশ্যে। একবার যে এই মজার অনুভূতি পায় তাকে আর কিছুতেই ঘরে আটকে রাখা যায় না। যাই হোক এত কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমিও একজন ভ্রমন প্রিয় মানুষ। নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও আমার প্রিয় একটি জায়গা হচ্ছে নদী তীর। সময় পেলে আমরা দলবল নিয়ে ঘুরে আসি পদ্মার চর এলাকা থেকে। বসন্তের এই সময়ে অসাধারণ সুন্দর একটি পরিবেশ বিরাজ করে চর এলাকায়। একেক ঋতুতে একেক রকম সাজে সেজে ওঠে প্রকৃতি। তাই এই এলাকার আকর্ষণ কখনোই আমার কাছের শেষ হয়ে যায় না। গতকালও বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলাম পদ্মার চরে ঘুরতে। আজ সেখানকারই কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
আলোকচিত্রঃ ১
Location
বিশাল ধুধু বালিময় এলাকা পাড়ি দিয়ে গ্রামে প্রবেশের রাস্তা এটি। পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা চরে এখন অনেক বসতি। সবাই মিলে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন গ্রাম। পুরাতন চর যেখানে বালির তুলনায় মাটির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি সেখানেই মানুষ বসতি স্থাপন করে গ্রাম গড়ে তোলে। গ্রামে প্রবেশে রাস্তার ফাক দিয়ে দেখা যাচ্ছে দূরে অস্তগামী সূর্য।
আলোকচিত্রঃ ২
Location
গ্রামের পাশ দিয়ে চরের অভ্যন্তরে চলে গেছে পায়ে চলা মেঠো পথ। দুই পাশে সবুজ ঘাস আর ফসলের সমারোহ। ধুলাবালি তেমন একটা নেই বললেই চলে। ইদানিং চড়েও বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে গেছে।
আলোকচিত্রঃ ৩
Location
মানুষের গড়ে তোলা বনাঞ্চল। আসলে এটাকে ঠিক বলা যায় না বাগান বলাটাই যুক্তিযুক্ত। কোন এক ব্যক্তির উদ্যোগে গড়ে তোলা বিশাল মেহগনি বাগান। সমস্ত পাতা ঝরে গিয়ে মাটির ওপরে যেন একটা পর্দা বিছিয়ে দিয়েছে। এমন বনভূমিতে হাঁটতে ভীষণ ভালো লাগে।
আলোকচিত্রঃ ৪
Location
এটি পদ্মার ঘাট এলাকার ছবি। ঘাটে অপেক্ষারত কয়েকজন ব্যক্তি বসে আছে নৌকার অপেক্ষায়। কোন সিড়ি বা জেটি না থাকায় মাটি কেটে ঢালুভাবে বানানো হয়েছে সিড়ির মত। যেখান দিয়ে যাত্রীরা চরে যাওয়া আসা করে।
আলোকচিত্রঃ ৫
Location
চরের নতুন জেগে ওঠা মাটিতে প্রচুর ফসল ফলে। বিশেষ করে চর এলাকার লাউয়ের সুনাম আছে সব জায়গায়। একজন বয়স্ক ব্যক্তি তার উৎপাদিত লাউ মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে শহরে বিক্রির উদ্দেশ্যে।
আলোকচিত্রঃ ৬
Location
চরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই ইঞ্জিনচালিত নৌকা। যদিও এই শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গিয়ে নদীর দৈর্ঘ্য কমে গিয়ে খালের আকার ধারণ করেছে। তার পরেও দূরত্বটা একেবারে কম নয়। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ বিভিন্ন কাজে এভাবেই নৌকায় করে চরে যাওয়া আসা করে।
আলোকচিত্রঃ ৭
Location
চর এলাকায় মেঠোপথ যেমন আছে তেমনি আছে ইট বিছানো আধা পাকা রাস্তা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে চল এলাকাতেও তার কিছুটা ছোঁয়া লেগেছে। একটি কিশোর ছেলে জীবিকার প্রয়োজনে মাথায় করে এক বিশাল বস্তা টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
আজকের মতো এতোটুকুই। ছবি গুলো কেমন লাগলো আশা করি মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ হয়েছে প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভাল লেগেছে তবে প্রথম ছবিটি আমার কাছে একটু ভিন্ন রকম মনে হয়েছে যা আমার সরাসরি হৃদয় স্পর্শ করেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
♥♥
আপু আপনার কাছ থেকে প্রশংসা শুনে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
জাস্ট অসাধারণ আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর মনমুগ্ধকর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর হবে ফটোগুলো ক্যাপচার করেছেন। প্রতিটি ফটোর নিচে অনেক সুন্দর বর্ণনা করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সূর্যের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সব সময় এইভাবে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া।আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক নিখুত করেছেন।এর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
দারুন হয়েছে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো। আপনার ফটোগ্রাফিতে গ্রামীণ বাংলার প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র এবং সাধারন মানুষের জীবনাচার ফুটে উঠেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফির নিচের বিবরণ গুলো খুব সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য
ভাই আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি খুবই চমৎকার হয়েছে। তবে চতুর্থ এবং সপ্তম ফটোগ্রাফি এই দুইটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে গ্রামীণ কিছু দৃশ্য ফটোগ্রাফি মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভীষণ উৎসাহিত বোধ করলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
গ্রামীণ জনজীবনের প্রতিচ্ছবিকে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার ফটোগ্রাফিতে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল এবং ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন আপনি যেটি অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
আমার ফটোগ্রাফী গুলো আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমি সত্যিই আনন্দিত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
বাহ্ অসাধারণ ❤️
আপনার প্রথম ছবিটি আমার হৃদয় কেড়ে নিয়েছে। সত্যিই দারুন ছিল, সূর্য উঁকি দিচ্ছে বাড়ির উঠানে। আর সবজি নিয়ে কৃষক পথ চলছে। সত্যিই সুন্দর ছবিগুলো।
চালিয়ে যান দোয়া রইল 🥀
উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করছেন প্রথম ছবিটা অনেক সুন্দর হয়েছে।আলোকচিত্র ৩ এটা দিয়ে বুজা যাচ্ছে গাছের পাতা মনে হয় এখন আর নাই।আপনার এই সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য
আমার ফটোগ্রাফী পোস্টে সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। এতটা সুন্দর হয়েছে যে দেখে বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বিশেষ করে প্রথম ফটোগ্রাফি টা অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাই ভাষা হারাবেন না প্লিজ। ভাষা হারিয়ে গেলে কমেন্টস করবেন কিভাবে হাহাহাহা। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।