ভালোলাগা কিছু মুহূর্ত। ১০% লাজুক শেয়ালের জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)
আসসালামু-আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন। ভ্রমণ আমার নেশা। কাছে বা দূরে যেখানেই হোক না কেন জায়গাটা আকর্ষণীয় হলে আমার যেতে আপত্তি নেই ।আর সঙ্গে যদি কোন বন্ধু-বান্ধব থাকে তাহলে তো কথাই নেই ।আগে যখন স্টুডেন্ট ছিলাম তখন ছিল এক ধরনের সমস্যা অর্থাৎ তখন সব বন্ধুদের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার তীব্র ইচ্ছা থাকলেও অর্থ এবং সময় ও সুযোগের অভাব ছিল। ছাত্র জীবন শেষ হবার পর এখন আবার দেখা দিয়েছে অন্য ধরনের সমস্যা। এখন অর্থ আর ইচ্ছা থাকলেও সময় আর বন্ধু-বান্ধবদের একসাথে পাওয়া যায় না। কারণ জীবিকার প্রয়োজনে প্রত্যেকেই যার যার কর্মজীবনে ব্যস্ত ।চার-পাঁচজন বন্ধু-বান্ধব একসাথে হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার ।যদিও ঈদে বা বড় ধরনের কোন ছুটিতে একসাথে হওয়া যায় কিন্তু দেখা যায় তখন প্রত্যেকেরই পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠানের ঝামেলা থাকে ।মোটকথা সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়া এখন আর তেমনটা হয়ে উঠে না।

GridArt_20230220_172941232.jpg

জগতে কারো জন্যই কোন কিছু থেমে থাকে না। এটাই পৃথিবীর নিয়ম। একজনের জায়গা অন্যজন পূরণ করে নেয়। আর যেটা পূরণ হবার নয় সেটাকে আমরা বাদ দিয়েই চলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। যাই হোক প্রত্যেকেরই হয়তো কিছু নিজস্ব ভালোলাগার জায়গা থাকে যে স্থানগুলোতে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। পদ্মা নদী আমার তেমনি পছন্দের একটি জায়গা । বর্ষা বা শুকনো যে কোন মৌসুমেই এই নদী আমাকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করে। বন্ধুবান্ধব পরিবার-পরিজন এমনকি মাঝে মাঝে একা একাই ঘুরতে চলে যাই এই নদী তীরে। কয়েকদিন আগে পরিবারের সবাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম পদ্মার চরে। তবে চর এখন আর চর নেই ।চরে গড়ে উঠেছে শত শত বসতি । বিশেষত এই চরটি অনেক দিনের পুরাতন হওয়ায় চরে বালির পরিমাণ খুবই কম । পলি জমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। চরের মানুষ তাই এই উর্বর ভূমিতে রোপণ করেছে বিভিন্ন ধরনের শস্য । শীতের সময় চরের এই ক্ষেতগুলো ভরা থাকে ভুট্টা, কলাই, ছোলা, বাদাম সহ বিভিন্ন শাস্যতে।

20230217_145919.jpg

সব মিলিয়ে জায়গাটি অনেক সুন্দর । ইদানিং মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযোগের জন্য এক বিশাল সেতু নির্মিত হচ্ছে । সেতু নির্মাণের ফলে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে চলাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ হবে অনেক সহজ। তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি ও পরিবহন খরচ অনেকটাই কমে যাবে ।তবে কিছু পেতে গেলে যেমন কিছু দিতে হয় ঠিক তেমনি এই সেতু নির্মাণের ফলে হয়তো চলাঞ্চলের নির্জন কোলাহল মুক্ত পরিবেশ আর আগের মত থাকবে না। যানবাহনের কালো ধোঁয়া আর ধুলাবালি দূষিত করবে চরের নির্মল বাতাসকে। তা হবার আগেই যতটা সম্ভব বুক ভরে নিতে চাই বিশুদ্ধ বাতাস ।আমার মত আপনারাও একবার গিয়ে দেখতে পারেন পদ্মা নদীর এসব বিশাল চরাঞ্চলে ।আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে।

20230215_172349.jpg

আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Photographer@ferdous3486
DeviceSamsung M21
Locationdholarmore, Faridpur
Sort:  
 2 years ago 

সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে ঘুরতে সবারই ভালো লাগে তবে কিছু ভ্রমন পিপাসও মানুষ আছে যাদের কিনা ঘুরতে একটু বেশিই ভালো লাগে আপনি হয়তো তাদের মধ্যেই পড়েন ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন, ঘুরতে আমার একটু বেশিই ভালো লাগে। আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

এটা ঠিক একটা সময়, সময় থাকে কিন্তু টাকা থাকে না,আরেকটা সময় টাকা থাকলে সময় এবং সুযোগ হয় না।সব বন্ধু বান্ধবীর একসাথে সময় করে উঠা বেশ মুশকিল।আসলে জীবন টা সবসময় এক রকম যায় না।কোন না কোন ক্রাইসিস থেকেই যায়।যাই হোক বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন পরিবার নিয়ে মনে হয়।

 2 years ago 

সবাই তো আর ধনীর ঘরে জন্মায় না। কাজেই দরিদ্র আর মধ্যবিত্তদের জন্য সবসময়ই এই সমস্যা থেকে যায়। এর মধ্য দিয়েই যতটুকু মানিয়ে নেয়া যায়। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

ভাইয়া মানুষের জীবনে সমস্যা থাকবেই আর এর মধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।এটা সত্যি বলেছেন পৃথিবীতে কারো জন্য কিছু পড়ে থাকে না। এক জনের জায়গা অন্য জন দখল করবে এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক পরিবারের সাথে পদ্মাচরের ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

মানিয়ে নিতে নিতেই বেশিরভাগ মানুষের জীবন পার হয়ে যায়। তবে পদ্মারচরের এই জায়গাটাতে গেলে আমার ভালই লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাই, আগে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকতো ব্যাপক। অনেক বন্ধু-বান্ধবও পাশে থাকতো। তখন হয়তোবা অর্থ এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণে যাওয়া হতো না। আর বর্তমানে বন্ধু-বান্ধবেরও সময় হয়ে ওঠে না ঘুরতে যাওয়ার জন্য। তবে আমিও চেষ্টা করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে বের হওয়ার জন্য। কারণ ব্যস্ততার মধ্যে থাকতে থাকতে যখন মন মানসিকতা অন্য পথে চলে যায় তখন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে ঘুরতে চলে যাই।পদ্মার চরে যেহেতু সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানকার লোকজনের খুব বেশি উপকার হবে।

 2 years ago 

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে হয় বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটা ঢিলে হয়ে যায়। তবে মাঝে মাঝে সবাই একসাথে ঘুরতে পারলে বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

একদম মনের কথা বলেছেন ভাই। আসলে এরকমই ঘটে আসছে ধন্যবাদ মতামতের ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।

 2 years ago 

ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। কাজ করতে করতে যখন বোরিং ফিল করি তখন মাঝে মাঝে ঘুরতে বের হই। কম বেশি সবারই ঘুরতে ভালো লাগে। এটা ঠিক একটা সময় কাছে টাকা ছিল না কিন্তু বন্ধুরা ছিল আর এখন কাছে টাকা থাকলেও সবাই যার যার মত কাজে ব্যস্ত। সবাই মিলে এক হয়ে ওঠা হয় না আর আগের মতো।

 2 years ago 

এটাই মনে হয় বাস্তবতা। সবকিছু একসাথে হয় না। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সবাই মিলে একসাথে হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.17
JST 0.028
BTC 69075.42
ETH 2475.71
USDT 1.00
SBD 2.35