আজ- ১৭ কার্তিক /২ নভেম্বর | ১৪২৯, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। অনেকদিন আগে গ্রামের বাড়িতে পোকামাকড়ের সঙ্গে কাটিয়েছিলাম একটি দিন। তা নিয়ে একটি পর্ব তৈরি করেছিলাম। আজ সেই একই দিনের তোলা কিছু ছবি নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব তৈরি করলাম। সত্যি বলতে কি মাঝে মাঝে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে প্রকৃতি আর বন জঙ্গলের মধ্যে পোকামাকড়ের এমন ছবি তুলতে বেশ ভালই লাগে। গণ্ডিবদ্ধ জীবনের মধ্যে আলাদা এক বৈচিত্র তৈরি হয়। কত হাজার হাজার প্রজাতির পোকামাকড় যে আমাদের আশেপাশে আছে তা আমরা নিজেরাই জানিনা। হয়তো চোখে পড়লেও সেভাবে নজর দেই না কিন্তু সময় নিয়ে যদি একটু ভালোভাবে আপনারা লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন পরিচিত অপরিচিত কত শত জীব সৃষ্টিকর্তার এই অপরূপ দুনিয়ার শোভা বর্ধন করছে। এদের মধ্যে কিছু কিছু হয়তো আমাদের জন্য উপকারী আবার কিছু কিছু হয়তো ক্ষতিকর। তবে কোন কিছুই ফেলনা নয়। কারণ সৃষ্টিকর্তা বলেছেন আমি আসমান এবং জমিনের অন্তর্বর্তী কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করি নাই। আসুন তবে শুরু করা যাক আজকের পর্ব।
আলোকচিত্রঃ ১
প্রজাপতি। আমার মনে হয় আমাদের আশেপাশে যত পতঙ্গ আছে তার মধ্যে প্রজাপতি সবচাইতে সুন্দরতম। কত বাহারি রঙের প্রজাপতি যে আছে তার হিসেব নেই। একদিন শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের প্রজাপতি নিয়ে একটি পর্ব করার ইচ্ছে আছে।
আলোকচিত্রঃ ২
এটা একটা ছোট মাকড়সা। মাকড়সারও বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি আছে। এই মাকড়সা গুলো সাধারণত ছোট গাছ পালাতে বসবাস করে এবং এক পাতা থেকে আরেক পাতায় লাফিয়ে লাফিয়ে চলাফেরা করে। ছোট ছোট পোকামাকড় শিকার করেই এরা বেঁচে থাকে।
আলোকচিত্রঃ ৩
এটাও এক ধরনের পোকা। তবে কি পোকা তা আমার জানা নেই। সম্ভবত কোনো ক্ষতিকর পোকাই হবে। দেখতে অনেকটা বড় মশার মত। প্রথমে আমি মশাই ভেবেছিলাম কিন্তু সাইজ অনেক বড় হওয়াতে বুঝতে পারলাম এটা মশা নয়।
আলোকচিত্রঃ ৪
ব্যাঙের ছাতা আমরা কেনা চিনি। যদিও এগুলো হচ্ছে এক ধরনের ছত্রাক। যাকে অনেকেই মাশরুম হিসেবে চিনে থাকে। তবে সব ধরনের ছত্রাক কিন্তু খাওয়া যায় না। এদের মধ্যে কিছু বিষাক্ত আবার কিছু খাবার যোগ্য।
আলোকচিত্রঃ ৫
দেখেই বুঝতে পারছেন এটা আমাদের অতি পরিচিত নীল মাছি। অনেকেই এগুলোকে কাঁঠালের মাছি বলে থাকেন। গ্রামের দিকে গেলে এ ধরনের মাছি প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। পাকা ফল বা পচা খাবার দাবারে একসময় এ ধরনের মাছি প্রচুর পরিমাণে বসতে দেখা যেত।
আলোকচিত্রঃ ৬
দেখতে অনেকটা মৌমাছির মত মনে হলেও এটা কিন্তু মৌমাছি নয়। তবে মাছির সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্য আছে। এটা এক ধরনের পতঙ্গ তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে মাছি না মৌমাছি সেটা নিশ্চিত নয়। যাই হোক দেখতে কিন্তু দারুন সুন্দর।
আলোকচিত্রঃ ৭
এক ধরনের লাল পিপড়া। স্থানীয়ভাবে এগুলোকে ডাওয়া বলা হয়ে থাকে। এই পিঁপড়া গুলোর ডিম মাছের খুব প্রিয় খাবার। যারা বর্শি দিয়ে মাছ শিকার করেন তাদের কাছে এই পিপড়া গুলোর ডিম খুবই দামি ।
আজকের মতো এতোটুকুই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
Photographer | @ferdous3486 |
Device | Samsung M21 |
Location | Sadorpur, Faridpur |
পোকামাকড় এর ছবি তুলতে ভালো লাগে অনেক। আমি নিজেও এমন ছবি তুলতে খুবই ভালোবাসি। আপনি এই ছবি গুলো সুন্দর করে তুলেছেন। তাই দেখতেও সুন্দর লাগতেছে। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
যাক আপনার সঙ্গে আমার পছন্দ অনেকটাই মিলে গেল। শহরের কোলাহল থেকে দুরে এমন গ্রামীন পরিবেশে কিছু সময় কাটাতে পারলে দারুল লাগে আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাই।
প্রজাপতির মাইক্রো ফটোগ্রাফিক টি সত্যি অনেক দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে এই ধরনের ফটোগ্রাফি করতে অনেক ধৈর্য এবং সময়ের প্রয়োজন হয়। আপনার আলোকচিত্র গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
দক্ষ নই তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি । আর কীট পতঙ্গের ছবি তোলা বেশ কষ্টকর। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ ভাই।
পোকামাকড় দেখলে সচরাচর একটু বেশি ভয় পাই আমি। তবে ফটোগ্রাফি দেখতে বেশ ভালো লাগে। আর ভাইয়া আজকে প্রথম আপনার ফটোগ্রাফি আমি দেখলাম মনে হয়। এক কথায় যদি বলি দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করেছেন। মোবাইল দিয়ে যে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করা সম্ভব বিশ্বাস করতে পারছিনা একদম। এই ব্যাপারে আমার হাত একদমই কাঁচা। তবে একটা ব্যাপার বেশ অবাক লাগছে, আপনি মাছের ছবি কিভাবে তুললেন!! কাছে যাওয়ার সাথে সাথেই তো উড়ে যাওয়ার কথা। 😀
সত্যি বলতে কি পোকা মাকড়ের ছবি তোলা অনেকটাই কষ্টের। তবে এটা আসলে অন্য এক জগৎ। শহরে বসবাস করা মানুষ এ জগতের সন্ধান কখনো পায়নি। ছবিগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। ভালো থাকবেন ভাই।
ভাইয়া পোকা পোকামাকড়ের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে এটা কিন্তু আপনি ঠিক বলেছেন যতরকম কীটপতঙ্গ আছে তার মধ্যে প্রজাপতি সবচেয়ে বেশি সুন্দর। আপনার বিভিন্ন রকম প্রজাপতি নিয়ে ফটোগ্রাফিটি দেখার অপেক্ষায় রইলাম। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলি শেয়ার করার জন্য।
প্রজাপতি এখন আর তেমন একটা দেখা যায়না। ইচ্ছা ছিল এমন একটি পর্ব করার কিন্তু পারব কিনা জানিনা। দোয়া করবেন আপু।
অবশ্যই পৃথিবীকে সৌন্দর্যমন্ডিত করতে অথবা আমাদের কোন না কোন ভাবে কোন উপকারে আনতে সমস্ত জীবজন্তুগুলাকে সৃষ্টি করা হয়েছে পৃথিবীতে।। হয়তো আমরা দিব্যি চোখে দেখতে পারছি না যে এটা আমাদের উপকারে আসছে অথচ কোনো না কোনোভাবে সেই পোকামাকড় গুলাই অনেক উপকার করছে আমাদের।।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পোকামাকড়ের খুবই ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দেখে বিশেষ করে মৌমাছি এবং প্রজাপতির ফটোগ্রাফি সবথেকে বেশি ভালো লাগলো।।
আপনার সঙ্গে আমি সম্পুর্ন একমত । আসলে এই সৃষ্টি জগতের কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রত্যেকটি ছবিই ভাল ছিল।বেশ রঙিন কিছু কীট পতঙ্গের ছবি তুলেছেন।আমি অবাক হচ্ছি প্রজাপতি আর মাছির মত চঞ্চল প্রাণীর ছবি কিভাবে তুললেন তা ভেবে। আর যেটাকে আপনি মশা ভেবেছেন ওটা আসলেই মশা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ফটোগ্রাফ গুলো শেয়ার করার জন্য।
প্রজাপতি আর মাছির ছবি তোলার জন্য আমাকে অনেক দৌড়া দৌড়ি করতে হয়েছে। আর ঐটা যদি মশা হয়ে থাকে তাহলে মনে হয় বাংলাদেশের বৃহত্তম মশা হাহাহা। সাইজ দেখছেন ঐটার..... ধন্যবাদ ভাই
অসাধারণ সুন্দর কতগুলো পোকামাকড়ের ছবি। কোনটা ছেড়ে কোনটা ভালো বলবো বুঝতে পারছি না। সবগুলো ছবি পরিষ্কার আর নিখুঁত শট বলা যায়। মশা ধরনের পোকাটিকে তো আমার বড় মশা মনে হলো ভাই। আর মৌমাছির মতো পোকাটি একদম মৌমাছির আদলে রয়েছে। আর লাল রঙের পিঁপড়ের বিষ রয়েছে মনে হয়। হ্যা এর ডিম দিয়ে মাছ ধরে আমি জানি।
ছবিগুলো কিন্তু মূল্যবান ভাই 🤗
সম্ভবত আপনিও পোকামাকড়ের ঘরবসতি নামে একটা ফটোগ্রাফি সিরিজ করেছিলেন। যেই করে থাকুক দেখেছিলাম আর অনেক ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
জি ভাই ঐ সিরিজটা আমার ছিল। নাম ছিল পোকার স্বর্গে বসবাস।
বাহ ভাইয়া আপনার তোলা পোকামাকড়ের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই চমৎকার হয়েছে। পোকামাকড় গুলো কখনোই কাছ থেকে এভাবে দেখা সম্ভব না। একমাত্র ফটোগ্রাফিতেই এভাবে দেখতে পারি। বেশ সুন্দর বর্ণনার সাথে আলোকচিত্র গুলো শেয়ার করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
একটা প্রফেশনাল ক্যামেরা হলে চমৎকার হত। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে এগুলো আসলে ঠিকমত ক্যাপচার করা সম্ভব হয়না। যাই হোক উৎসাহ দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া,পোকামাকড় এর সাথে তো ভালোই সময় কাটিয়েছেন দেখছি।তারাও এক এক করে ফটো তুলছে আর আপনি তাদের ফটোগ্রাফি করছেন,হাহাহা।আমার কাছে তো মৌমাছির মত দেখতে পোকাটিকে বেশ সুন্দর মনে হয়েছে।পোকামাকড় নিয়ে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া।
আমার কাছে মাঝে মধ্যে এভাবে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। বিশেষ করে বন জঞ্জলের প্রতি আমার একটু বেশি টান। ধন্যবাদ আপু।
আরে বাহ্,আপনি পোকামাকড়ের সাথে ও দিন কাটান🤪।মাঝে যেহেতু ইচ্ছে করে, বন জঙ্গলে যেতে, তাহলে যান না কেন,ধরে রাখছে কে? খালি আমারে বলেন🤣🤣।যাই হোক ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিলো।তবে আমাদের এই দিকে ডাওয়া কে ডোঙ্গা বলে।আসলে পোকামাকড়ের ছবি তোলা বেশ কষ্টকর।ধন্যবাদ
ধরে রাখার জন্য আপনার ভাবি আছে না!!! এই ভদ্রমহিলার যন্ত্রনায় চাইলেই কি আর সব করা যায়। ডোঙ্গা আর ডাওয়া খুব একটা পার্থক্য না। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।