আমি কিছু একটা দেখেছিলাম!!! 10% লাজুক শিয়ালের জন্য।
আজ- ৩ জ্যৈষ্ঠ | ১৪২৯, বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনারা কি কেউ ভূত দেখেছেন? প্রশ্নটি শুনেই হয়তো আমার সম্পর্কে আপনাদের মনোভাব অনেকটাই পাল্টে যাবে। কারণ যার অস্তিত্ব কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। সেটা দেখার কথা জিজ্ঞেস করা অনেক টাই হাস্যকর। আমিও ব্যক্তিগতভাবে ভূতে বিশ্বাস করিনা। তবে ব্যাখ্যার অতীত অনেককিছুই জগতে আছে। এমনই একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে আজকে আমার এই লেখা।
মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফে লেখা আছে "আমি জিন এবং ইনসান কে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদতের জন্য"। এই পৃথিবীতে চর্মচক্ষে আমরা শুধু ইনসান বা মানুষকেই দেখতে পাই। জিন বলে সৃষ্টিকর্তার যে আরেকটি সৃষ্টি আছে তা কখনোই আমাদের চোখে ধরা দেয় না। অন্যদিকে মানুষ ছাড়াও অদেখা জগতের বাসিন্দা এই পৃথিবীতে আছে, এটা অনেকেই মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন। কারো কারো কাছে তা ভুত-প্রেত, পরী, ডাকিনী, যোগিনী ইত্যাদি বিভিন্ন নামে পরিচিত। যাইহোক ঘটনাটা বলি। আমি তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী। আমি আর আমার দুই বছরের বড় বড় ভাই রাতে একই রুমে ঘুমাতাম। আমার বড় ভাই আগেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। পড়ালেখা শেষ করে আমি যখন ঘুমাতে গেলাম তখন আনুমানিক রাত ১২.৩০ কি ১.০০ টা বাজে। আমার খাটের উল্টো দিকের দেয়াল ছিল ধবধবে সাদা, আর একেবারেই পরিষ্কার। একটি টিউবলাইট ঘরে আলো দিচ্ছিল। আমি যখন বিছানায় শুয়ে পড়েছি, দেয়ালে চোখ পড়তেই দেখলাম ঘরের মেঝে থেকে প্রায় লাইট অব্দি বিশাল এক ছায়া। আকৃতি অনেকটা মানুষের মতই। স্বাভাবিকভাবে লাইটের ঠিক নিচেই এমন আকৃতির একটি ছায়া পরা কোনভাবেই সম্ভব নয়। দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমার মাথায় কিছুই ঢোকে নি। বুঝতেই পারিনি এটা কোন অস্বাভাবিক দৃশ্য। তার পর মুহূর্তেই দেখি আগের মতই সেখানে কিছু নেই। ভয়ের শীতল একটা স্রোত তখন আমার মেরুদন্ড বেয়ে উঠে এসেছিল।
এই ছিল আমার অভিজ্ঞতা। হয়তো আপনারা এটাকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমি অস্বাভাবিক কিছু দেখেছিলাম। যাই হোক ভুতের গল্প পড়তে এবং শুনতে আমার ভালো লাগে। আর বাস্তব অভিজ্ঞতা হলে তো কথাই নেই। সত্যি বলতে অদেখা আর অজানা জিনিসের প্রতি মানুষের কৌতুহল চিরন্তন কিন্তু সহজাত ভয় আর শংকা অনেক সময়ই আমাদেরকে ঝুঁকি নিতে বিরত রাখে। তাই অদেখা সবকিছু অদেখাই থেকে যায়।
আজকের মতো এতোটুকুই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় এখানেই শেষ করছি।
Photographer | @ferdous3486 |
---|---|
Device | Samsung M21 |
ভাই আপনার কিছু দেখেছিলেন এই বিষয়টির উপরে যে ঘটনাটি বর্ণনা করলেন সত্যিই পড়ে আপনি যেরকম ভয় পেলেন আমার শরীরের লোম গুলো তেমন অনেক খাড়া হয়ে গেল। যদিও এর চেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু গল্প আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে যেগুলো আমি এর আগে স্টিমিটে পোস্ট আকারে শেয়ার করেছিলাম আপনাদের মাঝে। যাই হোক আপনার আজকের গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপনাদের গল্প শোনার জন্যই আমার এই পোস্ট। যাতে আপনাদের ভেতরের গল্প গুলো বের হয়ে আসে। সম্ভবত আমি আপনার পোস্টটি মিস করে গেছি কোনভাবে। স্টকে আরো কোন অভিজ্ঞতা গল্প থাকলে শোনার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাই
আমি ভূতে অবিশ্বাস করি এটা বলব না আবার বিশ্বাস করি এটাও বলব না। কারণ আমিও এইরকম কিছু ঘটনার সাক্ষী আছি। আপনার ঘটনাটা পড়লাম। ঐ সময়ে আপনার জায়গা আমি থাকলেও ভয়ে জড়সড় হয়ে যেতাম। আপনার পোস্টের টাইটেল টা দেখেই কিন্তু আমি ছুটে এসেছি।।
চেয়েছিলাম একটা আকর্ষণীয় টাইটেল দিয়ে সবাইকে টেনে আনার জন্য কিন্তু বেশি লেখা দেখলেই কেউ আর সে পোস্ট পড়তে চায় না। আপনার মত যারা দুই একজন আছে তারাই ভরসা। আপনার গল্পগুলো শেয়ার করলে সত্যিই খুশি হব। ধন্যবাদ
আপনার পোস্টের টাইটেল টি অনেক ইন্টারেসটিং ছিল। ভূত বলতে কিছু নেই। তবে জীন জাতি আছে। আল্লাহ্ তা'আলা মানুষ ও জীন জাতি বানিয়েছেন। আপনার দেখা অদেখা জিনিসটি হয়তো দুষ্টু জীন হতে পারে। ভয় ভয় লাগে এসব কাহিনী পড়তে। তবে ভাল ছিল। ধন্যবাদ
হতে পারে এটা জিন আবার নাও হতে পারে। অনেকেই বলবে এটা ছিল আমার হ্যালুসিনেশন বা দৃষ্টিভ্রম। সত্যি বলতে কি অদেখা জগত সম্পর্কে জানার আগ্রহ আমার বহুদিনের। ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
ছোটবেলায় যখন মা চাচির কাছ থেকে ভূতের গল্প শুনতাম তখন খুবই ভয় লাগতো। যদিও গল্পটি রাতে হবে সেজন্য যেখানে বসে থাকতাম সেখান থেকে উঠতে চাইতাম না। আজকেও আপনার এই ভূতের গল্প শুনে আবার সেরকমই ভয় লাগছিল। তবে এটা দিন ছিল রাত না তাই খুবই ভালো হলো।
আসলে পরিবেশ-পরিস্থিতি মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি করে। একই গল্প দিনে আর রাতে মানুষের মনে ভিন্ন অনুভূতি জাগায়। তবে আমার বিশ্বাস মানুষের জগতে দৃষ্টির বাইরে যদি কিছু থেকেও থাকে তা সহজে ধরা দেয় না। যার জন্য রীতিমতো সাধনা করতে হয়। ধন্যবাদ ভাই
ভূত বলতে কিছুই নেই। তবে জ্বীন আছে। আর কিছু কিছু দুষ্ট জ্বীন আছে যারা মানুষদেরকে বিরক্ত করে। আমিও নানুর কাছে কিছু জ্বীন এর গল্প শুনেছিলাম। আপনিও হয়তো বা জ্বীন দেখিয়েছিলেন।
অনেকের কাছেই গল্প শুনি মানুষকে জিনে ধরে কিন্তু এমন বিশ্বাসযোগ্য কোনো কিছু এখনো চোখে দেখিনি। যা দেখেছি সব ভূয়া। তবে ধর্মে বিশ্বাস করলে জিনকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। যাই হোক আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।