আজ- ২৯ আশ্বিন/১৪ অক্টোবর | ১৪২৯, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। অনেকদিন আগে পোকামাকড়ের কিছু ছবি তুলেছিলাম। প্রায় সম্পূর্ণ একটি দিন কাটিয়েছিলাম জঙ্গলের মধ্যে পোকামাকড়ের সাথে। কবীর ভাষায় বলতে গেলে -
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু,
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া,
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শীষের উপর,
একটি শিশির বিন্দু।
আসলেই আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে কত অসাধারণ সৌন্দর্য যা ভালোভাবে লক্ষ্য না করলে আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। গ্রামের বাড়ির পেছনের ঝোপঝাড়ে ছাওয়া জায়গা টিতে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে তুলেছিলাম অসংখ্য ছবি। এরপর কাজের ব্যস্ততায় কমিউনিটিতে আর সেগুলো পোস্ট করা হয়নি। আজ অনেকদিন পর মোবাইল ঘাটতে গিয়ে ছবিগুলো দেখতে পেলাম তাই সেখান থেকেই বেছে বেছে কিছু ছবি তুলে ধরলাম আপনাদের জন্য।
আলোকচিত্রঃ ১
Location
এটা এক ধরনের কচু জাতীয় গাছের ফুল। যদিও এই কচুগুলো খাওয়া যায় না কিন্তু ফুলগুলো দেখতে দারুন আকর্ষণীয়। ফুলগুলোর উপর দিকে একটা পাপড়ি ঢেকে রেখেছে বৃন্তটিকে। হর্টিকালচার সেন্টার বা বাগানের লাগানো ফুলের সৌন্দর্যের চাইতে কোন অংশে কম নয় এই ফুল।
আলোকচিত্রঃ ২
Location
ইচ্ছে ছিল শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের ফড়িং এর ছবি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি পর্ব করব কিন্তু বর্তমানে ফড়িং একেবারে দুর্লভ একটি পতঙ্গ হয়ে পড়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও দুই তিন ধরনের ফড়িংয়ের বাইরে আর কিছু দেখতে পেলাম না।
আলোকচিত্রঃ ৩
Location
অনেক চেষ্টার পর এই ফড়িংটির ছবি তুলতে সমর্থ হয়েছিলাম। ফড়িং গুলো খুবই চালাক। ছবি তোলার জন্য কাছে গেলেই উড়ে যাচ্ছিল। ছোটবেলায় পাট কাঠির মাথায় আঠা লাগিয়ে তা দিয়ে এই ফড়িং গুলো ধরার চেষ্টা করতাম।
আলোকচিত্রঃ ৪
Location
লাল রঙের টসটসে কিছু ফলের ছবি। দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ আকর্ষণীয় কিছু হবে কিন্তু এগুলো শুধুই বুনো ফল। দেখতে দারুন আকর্ষণীয় হলেও খাবার উপায় নেই। তবে খাওয়া যাক বা নাই যাক রংটা কিন্তু আসলেই চমৎকার।
আলোকচিত্রঃ ৫
Location
ক্ষুদ্র আকৃতির এক ধরনের ফড়িং। আগের তোলা ফড়িংগুলোর তুলনায় এগুলো বেশ ধীর স্থির প্রকৃতির। আকৃতিতে ছোট হবার কারণে সহজে নজরে পড়ে না। ঘাস বা লতা পাতার উপর এদেরকে সাধারণত দেখতে পাওয়া যায়। আর এগুলো খুব বেশি উঁচুতে উরতে পারে না।
আলোকচিত্রঃ ৬
Location
দেখতে অনেকটা কুমড়ো পোকা বা লেডিবার্ড বিটলের মত মনে হলেও এগুলো কিন্তু কুমড়ো পোকা নয়। তবে আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্যগত সাদৃশ্য আছে। জীববিজ্ঞানীরা হয়তো এগুলোর নাম বলতে পারবেন। আমি শুধু সৌন্দর্য উপভোগ করেছি।
আলোকচিত্রঃ ৭
Location
এটা ছোট এক ধরনের প্রজাপতি। দেখতে যদিও খুব একটা আকর্ষণীয় নয় তবে জঙ্গলের মধ্যে সংখ্যায় প্রচুর পরিমাণে ছিল। আর ছবি তোলাও খুব একটা কঠিন কিছু নয়। সত্যি বলতে কি ভালো করে লক্ষ্য করলে প্রত্যেকটা জিনিসের মধ্যেই কিছু না কিছু সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রজাপতি ও তার ব্যতিক্রম নয়।
আজকের মতো এতোটুকুই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
Photographer | @ferdous3486 |
Device | Samsung M21 |
Location | Sadorpur, Faridpur |
কচু জাতীয় গাছের ফুলটি দেখতে অসাধারণ লাগতেছে। ফড়িং এর ছবি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।
এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
উৎসাহ দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার একটি কমেন্ট আমার জন্য অনুপ্রেরন।
চমৎকার একটি ফটোগ্রাফি দেখতে পারলাম আপনার মাধ্যমে ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর ছিল। আপনার কথার সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি যদিও এ সময় তেমন একটা ফড়িং দেখা যায় না। ফড়িং দেখা যায় ছোটবেলায় দেখতাম যখন নদীতে পানি আসতো বৃষ্টির শেষে নদীর ঘাটে অনেক ফড়িং উড়ে বেড়াতো। মাঝে মাঝে আমরা সেগুলো ধরতাম। ফড়িং এর ফটোগ্রাফি তো অসাধারণ ছিল ভাই।
সম্ভবত আমাদের পরের জেনারেশন এই সব আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। ফরিং কি জিনিস তারা হয়ত তা চিনবেই না। অনেক ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফই বেশ সুন্দর হয়েছে।প্রথম ছবি ২টি কি কচু গাছের ফুল? ফড়িং এর ছবি গুলো অনেক ডেডিকেশন এর সাথে তুলেছেন সেটা ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য।
কচু গাছ কিনা তা নিশ্চিত বলতে পারবনা তবে দেখতে অনেকটা কচু গাছের মতই। ধন্যবাদ ভাই অনুভুতি শেয়ার করার জন্য।