আজ- ১৪ কার্তিক /৩০ অক্টোবর | ১৪২৯, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। ড্রিম হলিডে পার্ক ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আজ আপনাদের সামনে আবারো হাজির হলাম। এবারের পর্বে থাকছে ফটোগ্রাফি। এই পার্কটি সম্পূর্ণই কৃত্রিম। এখানে প্রাকৃতিক বিনোদন ব্যবস্থা তেমন কিছু নেই বললেই চলে। তারপরেও মানুষের তৈরি সাজানো গোছানো এই পার্কটি প্রথম দর্শনেই যে কারো ভালো লাগবে তাতে সন্দেহ নেই। শুধু একটাই সমস্যা আমার মনে হয়েছে আর তা হচ্ছে, দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এই পার্কটি বেশ ব্যয়বহুল। কেননা এখানে শুধুমাত্র প্রবেশ করার জন্যই আপনাকে গুনতে হবে ৩২০ টাকা। এছাড়াও প্রত্যেকটি রাইড উপভোগ করার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে আপনাকে টাকা গুনতে হবে। ওয়াটার ওয়ার্ল্ড সেকশনটি আলাদা। সেখানে প্রবেশের জন্য আপনাকে আবার আলাদাভাবে 320 টাকা খরচ করতে হবে। পার্কটিতে বাইরের খাবার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ভেতরে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট থাকলেও সেগুলোতে খাবারের মান এর তুলনায় দাম যথেষ্ট বেশি। এত কিছু পরেও দূর-দূরান্ত থেকে আগত মানুষের বিনোদনের জন্য দারুন একটি জায়গা এই পার্ক।
আলোকচিত্রঃ ১
পার্ক মানেই যেন টয় ট্রেন। পার্ক থাকবে অথচ বাচ্চাদের টয় ট্রেন থাকবে না এটা হতেই পারে না। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। এটি হচ্ছে একটি কৃত্রিম গুহা। যার মধ্য দিয়ে টয় ট্রেন চলাচল করে। গুহাতে উভয় পাশে দুটি ভয়ংকর মূর্তির তৈরি করা হয়েছে।
আলোকচিত্রঃ ২
এটি একটি ভাস্কর্য। একজন চিন্তা রত মানুষ দুহাতে তার মাথাটি ধরে গভীর চিন্তায় মগ্ন। কালো রঙের এই ভাস্কর্যটি দেখলে কিছুটা ভয় ভয় লাগলেও যিনি এটি তৈরি করেছেন তার কাজের প্রশংসা করতেই হয়।
আলোকচিত্রঃ ৩
এটাকে কি বলবো, জাস্ট একটা শৈল্পিক উপস্থাপন। মানুষের কল্পনা শক্তি আর সৌন্দর্যবোধ যে কত প্রবল হতে পারে আমার মনে হয় এটা তার সামান্য একটা নিদর্শন। একটি সামান্য ফুলের টবকে কত সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে তা আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন।
আলোকচিত্রঃ ৪
দুটি ব্যাঙ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য মাথায় বড় দুটি পাতা ছাতার মত ধরে বসে আছে। ছোটবেলায় আমরা এক ধরনের মাশরুমকে ব্যাঙের ছাতা বলতাম। এটাকে আমার আক্ষরিকভাবেই ব্যাঙের ছাতা মনে হয়েছে। আর ব্যাংক দুটো যেন একেবারে জ্যান্ত।
আলোকচিত্রঃ ৫
প্রথম দেখাতে মনে হবে একটা জিপ গাড়ি যেন উল্টে পড়তে যাচ্ছে কিন্তু আসলে এগুলো হচ্ছে একটা টাণেলের মুখ। মাঝখানে আছে একটা কৃত্রিম নদী। নদীর দুই তীরে এমন দুটি জিপ গাড়ি রাখা আছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় জিপ গাড়ি দুটো যেন আকাশের দিকে মুখ করে আছে। জিপ গাড়ির পেছনদিকের দরজা দিয়েই টানেলে প্রবেশ করতে হয়। আর অন্যের জিপ গাড়ি দিয়ে বের হতে হয়।
আলোকচিত্রঃ ৬
ছবিতে ব্রিজের মত যে অংশটি দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে একটা রেললাইন। পার্ক কর্তৃপক্ষ এটার নাম দিয়েছে স্কাই ট্রেন। দূরের ওই গুহার মধ্যে থেকে ট্রেন বের হয়ে এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে। মাটি থেকে অনেকটা উপরে অবস্থিত হওয়ায় সম্ভবত এমন নাম হয়েছে। তবে ট্রেনের স্টেশন এবং পথ সংলগ্ন এলাকাটি যে অনেক সুন্দর তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আলোকচিত্রঃ ৭
কেবল কারের নাম আপনারা হয়তো সবাই শুনেছেন। অনেকের হয়তো চরার অভিজ্ঞতাও আছে। মাটি থেকে অনেকটা উপরে ঝোলানো তারের উপর দিয়ে চলাচলকারী এই ঝুলন্ত বাক্স গুলোই আসলে কেবল কার। যদিও আমি এই রাইডটিতে উঠিনি তবে দেখে ভালই মনে হয়েছিল। শুনেছি উন্নত দেশগুলোতে কেবল কারে চড়ার অনুভূতি আসলেই অনেক সুন্দর।
আজকের মতো এতোটুকুই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
Photographer | @ferdous3486 |
Device | Samsung M21 |
Location | Dream Holiday Park, Narsingdi |
ঠিকই বলেছেন ভাই গরীব মানুষের পার্ক এটা নয়। কেননা এত টাকা খরচ করে গরীব মানুষের পক্ষে ছেলে মেয়ে নিয়ে এখানে প্রবেশ করা আসলেই কষ্টের। তবে ব্যয় বহুল হলেও জায়গাটা সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে তাতে সন্দেহ নেই।
পার্ক ভ্রমণ করে সুন্দর অভিজ্ঞতা এবং সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি।।
প্রত্যেকটা আলোচিত্রই কৃত্রিময় প্রস্তুত করা হলেও দেখতে কিন্তু অত্যন্ত সুন্দর দেখাচ্ছে।।
বিশেষ করে সাইকেলের উপরে গাছ ব্যাঙ এবং বড় একটি দানবের মুখের ভিতর দিয়ে ট্রেন লাইন।।
আপনার মত আমারও কেবল কারে ওঠার কোন অভিজ্ঞতা নেই তবে আমার খুব ইচ্ছা আছে একদিন এই কেবল কারে ওঠার।।
আসলেই ভাস্কর্যগুলো অনেক সুন্দর। তবে এখানকার ক্যাবলকার গুলো আসলে খেলনা ধরনের। সত্যিকারের ক্যাবল কারে চড়ার স্বাদ নিতে হলে আপনাকে কমপক্ষে ভারত যেতে হবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আপনার প্রথম পর্বটি মিস করে গিয়েছি। ড্রিম হলিডে পার্কটি কোথায়? খুব সুন্দর তো দেখতে । ভিতরের পরিবেশ খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। টিকিট মূল্য যদিও একটু বেশি তারপরও ভালো জায়গায় যাওয়ার জন্য একটু টাকা বেশি খরচ করাই যায়। ব্যাঙের ছাতা মাথায় ব্যাঙ দুটো খুব সুন্দর লাগছে দেখতে । সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে যে জিপ গাড়িটি উল্টে আছে তার পেছনের দরজা দিয়ে টানেলে ঢুকতে হয়। এ বিষয়টি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। সবকিছু একদম সাজানো গোছানো সুন্দর। খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।
এটা নরসিংদি জেলার পাচদোনা নামক স্থানে অবস্থিত। ঢাকা সিলেট হাইওয়ের একদম পাাশেই এর অবস্থান। গাড়ি নিয়ে গেলে বড়জোর ১ ঘন্টা লাগবে। ১ টা দিন কাটিয়ে আসার জন্য বেশ ভালো একটা জায়গা। ধন্যবাদ আপু।
ড্রিম হলিডে পার্কের অনেক নাম শুনেছি কিন্তু এর ভেতরে এখনো যাওয়া হয়নি ।আজ আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে তো যাওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেছে। এত সুন্দর ভাবে বানিয়েছে চারপাশের পরিবেশ খুবই সুন্দর হয়েছে ।বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে তারা বেশি আনন্দ পাবে এরকম পরিবেশ দেখলে একটি গাড়ি পড়ে যাচ্ছে এমন একটি ট্যানেল তৈরি করেছে দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে।
আমিও অনেকদিন থেকে শুনছিলাম এই পার্কের নাম। অবশেষে এবারই প্রথম যাওয়া হল। আমরা অবশ্য বেশ কয়েকজন ছিলাম। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরে আসবেন । আশা করি ভালো লাগবে।
আপনার গত পর্বের ফটোগ্রাফি গুলোও দেখেছিলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন এই পার্কটি আসলেই খুব ব্যয়বহুল। আমি অনেক বছর আগে যাওয়ার কারণে আমার কাছে নতুন নতুন লাগছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। একদম শুরুর দিকে তখন এসব কিছুই ছিল না। কেবল কারে আমি উঠছিলাম। পুরো এরিয়ার ভিউ টা খুব সুন্দর ভাবে দেখা যায়। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার মনে হয় বেশ কিছু নতুন রাইড যোগ হয়েছে যেগুলো আগে ছিলনা। তবে পার্কের খরচ আর একটু কমালে সবার জন্য ভালো হতো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
পার্ক মানেই এখন কৃএিম জিনিস দিয়ে ভরপুর।তবে ডিম হলিডে তে টিকেটের দাম টা একটু বেশিই।যদি ও আমার যাওয়া হয়নি,তবে শুনেছিলাম পার্কটি নাকি অনেক সুন্দর। আপনার তোলা ছবি দেখে মনে হচ্ছে আসলে পার্টি বেশ সুন্দর। লোকটির ভাস্কর্য দেখে মনে হচ্ছে সে আসলেই অনেক চিন্তায় মগ্ন।ব্যাঙের সাথে পদ্মপাতার ছাতাটা বেশ সুন্দর লাগছে।কেবল কারে কখনও উঠা হয়নি।আমার কাছে বেশ ভয় লাগে।সব মিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ
যাননি যখন তখন সুযোগ হলে কখনো ঘুরে আসবেন। বিশেষ করে শীতের সীজনে গেলে বেশি ভালো লাগবে। অন্য সময় তেমন জাকজমক থাকেনা। আমার মনে হয় বাচ্চাদের সাথে নিয়ে গেলে খারাপ লাগবেনা।
ভাই আপনার ড্রিম হলিডে পার্কের প্রথম পর্বটি মিস করেছি। তবে দ্বিতীয় পর্বটি দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে ব্যাঙের ছাতার ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে। সত্যিই ব্যাঙগুলোকে দেখতে অনেকটা জ্যান্ত লাগছে।তবে টিকিটের দাম টা আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
টিকিটের দামটা যা বেশ বেশি এটা আমার কাছেও মনে হয়েছে কিন্তু হলেই বা কি আমার কথায় তো আর কতৃপক্ষ দাম কমাবেনা। যাইহোক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনার ড্রিম হলিডে পার্কের প্রতিটি ফটোগ্রাফি ছিল দেখার মতো ৷ তবে আমার মনে হয় সেখানে প্রবেশ করতে টাকার পরিমান টা বেশি মনে হচ্ছে ৷
যা হোক তবে বিনোদনের জন্য পার্কটি সত্যি অনেক সুন্দর৷ যেখানে সুন্দর একটি সময় পার করার মতো ৷ তবে আমার কাছে ব্যাঙের ছাতা ছবিটি ভালো লেগেছে ৷ আর ও পরের পর্ব জন্য অপেক্ষায় রইলাম ৷
বেসরকারি পার্ক তাই প্রবেশ ফি টা অনেক বেশি। সত্যি বলতে কি এখন আমাদের দেশের কিছু মানুষের কাছে অনেক অবৈধ টাকা আছে তাই টাকা কোন ব্যাপারই না তাদের কাছে। যাইহোক ছবিগুলো ভালো লেগেছে যেনে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ।
ঘুরে এলাম ফটোগ্রাফির মাধ্যমে,,ড্রিম হলিডে পার্ক। এখানে শৈল্পিক উপস্থাপন মানুষের কল্পনা শক্তি আর সৌন্দর্যবোধ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। তবে আমি নিজেও অবাক হয়ে দেখছি কত প্রবল হতে পারে মানুষের কল্পনা শক্তি।
প্রতিটি ফটোগ্রাফি মন ছুয়ে যাওয়ার মত হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
♥♥
আপু অনেকদিন পর আমার পোষ্টে আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি বলতে কি এই পার্কে বেশ কিছু দারুন দারুন ভাস্কর্য আছে যা নজর কারার মত। সময় করে দেখে আসবেন আশা করি ভালো লাগবে।
৩২০ টাকা বাংলাদেশের ক্ষেএে বেশ ব্যয়বহুল আমি বলব। তবে পার্কের মধ্যের ভাস্কর্য গুলো বেশ চমৎকার ছিল। এবং সুন্দর একটা প্রাকৃতিক পরিবেশ। এবং সবমিলিয়ে দারুণ। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিল ভাই। এবং সুন্দর লিখেছেন।।
৩২০ টাকা শুধু প্রবেশ ফি এছাড়া ভেতরে খরচের আরো অনেক ব্যবস্থা আছে। এককথায় আমার কাছে এখানে গরীব মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ মনে হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।