আজ- ১৯ বৈশাখ /২ মে | ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| সোমবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব সুস্বাদু পাঙ্গাস মাছ ভুনা রেসিপি। পাঙ্গাস মাছ প্রধানত নদীর মাছ। বড় বড় নদীগুলোতে প্রাকৃতিক ভাবেই এই মাছ হয়ে থাকে কিন্তু বর্তমানে কৃত্রিম পদ্ধতিতে পুকুরে এই মাছের চাষ করা হয়। দামে সস্তা, খেতে সুস্বাদু সেইসঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় সবার কাছে এই মাছ বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নদীর পাঙ্গাস মাছের মতো এমন সুস্বাদু মাছ খুবই কম আছে। তবে এগুলো এখন বিলুপ্তপ্রায়। চাষ করা পাঙ্গাস মাছ ও খেতে একেবারে ফেলনা নয়। বিশেষ করে কাটা কম হওয়ায় বাচ্চাদের জন্য এই মাছ খাওয়া খুবই সহজ। ব্যক্তিগতভাবে চাষের পাঙ্গাস আমার খুব একটা পছন্দ না হলেও মাঝে মাঝে অন্য সবার কথা চিন্তা করে কিনে আনা হয়। আমাদের বাড়িতে যে রেসিপিটি সবচেয়ে বেশি রান্না হয় আজ সেটাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আসুন তবে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টি |
আদা বাটা | ২ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরার গুড়া | আধা চা চামচ |
শুকনা মরিচের গুড়া | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণমতো |
সয়াবিন তেল | আধা কাপ |
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
প্রথমেই একটি পরিষ্কার কড়াই বা ফ্রাই প্যানে কিছুটা তেল গরম করে নেই।
ধাপ ২ঃ
তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে হালকা করে ভেজে নেই।
ধাপ ৩ঃ
এবার আদাবাটা, রসুনবাটা, হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া সহ সবগুলো মসলা একে একে দিয়ে দেই।
ধাপ ৪ঃ
অল্প আঁচে মসলাগুলো ভালো করে কষিয়ে নেই।
ধাপ ৫ঃ
মসলাগুলো কষানো হয়ে গেলে পরিমাণমতো পানি দেই।
ধাপ ৬ঃ
এরপর আগে থেকে কেটে পরিষ্কার করে রাখা মাছের টুকরোগুলো একে একে দিয়ে দেই।
ধাপ ৭ঃ
এ পর্যায়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে 15 থেকে 20 মিনিট রান্না করি। যাতে মাছগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যায়।
ধাপ ৮ঃ
পানি কমে আসলে পাত্রটি চুলা থেকে নামিয়ে ফেলি অথবা চুলা বন্ধ করে দেই। তাহলেই তৈরি হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু পাঙ্গাস মাছ ভুনা।
আজকের মত এ পর্যন্তই। কেমন লাগলো আমার রেসিপি আশাকরি জানাতে ভুলবেন না।আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
চাষ করা পাঙ্গাস মাছের থেকে নদীর পাঙ্গাস মাছ খেতে বেশি মজার কিন্তু চাষ করাটাও খেতে খারাপ না। আমার কাছে তো ভালই লাগে।
আপনার রান্না করা পাঙ্গাস মাছের রেসিপিটি দারুণ হয়েছে ভাইয়া। দেখে মনে হয় খেতে বেশ মজার হয়েছে। আপনার উপস্থাপনাও বেশ চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ।
নদীর পাঙ্গাস আমার কাছেও ভীষন ভালো লাগে। তবে ইদানিং একেবারেই পাওয়া যায় না। আর গেলেও প্রচুর দাম তাই গরীব মানুষের কাছে চাষ করা পাঙ্গাসই ভরসা। ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাইয়া আপনার এই কথাটির সাথে সহমত পোষন করছি। আপনি একদম ঠিক বলেছেন পাঙ্গাস মাছ দামেও সস্তা এবং খেতে সুস্বাদু। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পাঙ্গাস মাছের মজার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে শুরু হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে এই মজার রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি ভাই আমার কাছে তো তাই মনে হয়। পাঙ্গাস মাছ না থাকলে গরীব মানুষের জন্য মাছ খাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে যেত। ধন্যবাদ ভাই
এই মাছের কাঁটা কম হওয়ার কারণে আবারো কিন্তু খেতে বেশ ভালোই লাগে 😁। তুমি এই মাছের নাম শুনলে অনেকেই নাক সিঁটকায় কিন্তু কেন সেটা আমি বুঝি না 😶। আমার কাছে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আর আপনার রেসিপি উপস্থাপনা খুব সুন্দর ছিল।
আসলে অনেক জায়গাতেই পাঙ্গাস মাছের খাবার হিসেবে এমন কিছু খাদ্য দ্রব্য ব্যবহার করা হয় যা খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং বাজে। যেমন পোল্ট্রি মুরগির বিষ্ঠা। সুতরাং যেখানে এগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো তো আর জেনে শুনে খাওয়া যায় না। ধন্যবাদ
সুস্বাদু পাঙ্গাস মাছ ভুনা😋
দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে।
পাঙ্গাস মাছ তুলনামূলক দামে সস্তা এবং কাটা কম থাকায় বেশ জনপ্রিয় 😍
তরকারিটা বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে 😋
আমার কাছেও ইদানীং এই মাছটি খেতে দারুন লাগে। তবে সবচাইতে বেশি পছন্দ নদীর পাঙ্গাস। ধন্যবাদ
পাঙ্গাস মাছ আমি খাই না তবে আপনার পাঙ্গাস মাছের রেসিপি দেখে খুব লোভ লাগছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পাঙ্গাস মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখেই মনে হচ্ছে রেসিপিটি অনেক স্বাদ হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য এবং নিখুঁত ভাবে বর্ণনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমিও আগে পাঙ্গাস মাছ খেতাম না। এই 2/1 বছর হলো খাওয়া শুরু করেছি। নদীর পাঙ্গাস আমার খুবই পছন্দের ছিল কিন্তু ইদানীং আর পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
পাঙ্গাস মাছের খুব লোভনীয় ভুনার রেসিপি প্রস্তুত করেছেন যদিও পাঙ্গাস মাছ আমার তেমন ফেভারেট না তবে আপনার রেসিপি খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে
এভাবে ভুনা করলে খেতে ভালই লাগে। যারা পাঙ্গাস মাছ খায় তারা সাধারণত এভাবেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রান্না করে থাকে। ধন্যবাদ
পাঙ্গাস মাছের কাঁটা কম হওয়ায় এবং খেতে খুব সুস্বাদু হওয়ায় আমার অনেক প্রিয়। সুন্দরভাবে পাঙ্গাস মাছের রেসিপি রান্না করে ধাপ আকারে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার পছন্দের সঙ্গে আমার পছন্দের বেশ মিল আছে দেখা যাচ্ছে। কাটা কম হওয়ায় বাচ্চারাও এটা সহজেই খেতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে
অনেকের কাছে কেমন জানি না তারা সমাজ কাটা থাকে না বলে বাচ্চারা এমাজ অনেক পছন্দ করে। আমার কাছে একটি পছন্দের খাবার। জীবনে কত যে পাঙ্গাস মাছ খেয়েছি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে খাবারটি রান্না করেছেন এবং চমৎকার মাঝে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খাবারটি অনেক সুস্বাদু ছিল। এ ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
বেশিরভাগ মানুষের কাছেই পাঙ্গাস মাছ খুব একটা পছন্দের নয়। দেখা যাচ্ছে আপনার মত ব্যাতিক্রম মানুষও আছে। তবে সত্যি বলতে কি আমার কাছেও খারাপ লাগে না। ধন্যবাদ
পাঙ্গাস মাছ আমি তেমন একটা খাই না। তবে আপনার আজকের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। খুবই লোভনীয় লাগছে রেসিপি টি। এমনিতে মাছ ভুনা আমার খুবই পছন্দ। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
যাক আমার রেসিপিটি দেখে আপনার কাছে সুস্বাদু মনে হয়েছে এতেই আমি খুশি। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
সুস্বাদু পাঙ্গাস মাছ ভুনা রেসিপি খুবই সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। পাঙ্গাস মাছ এভাবে পেঁয়াজ দিয়ে ভুনা করে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। তবে পাঙ্গাস মাছ প্রথমে ভেজে তারপর ভুনা করলে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে খেতে। তবে আপনি পাঙ্গাশ মাছ না ভেজে খুব সুন্দর ভাবে ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন । রেসিপিটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।
আসলে পাঙ্গাস মাছ ভেজে আমাদের বাসায় কখনো ভুনা করা হয়নি। ভেজে রান্না করতে গেলে নাকি তেলছিটে গায়ে লাগার ভয়ে থাকে। যাইহোক আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।