আগারগাও বিমান বাহিনীর জাদুঘর ভ্রমণ (দ্বিতীয় পর্ব)। ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
আসসালামু-আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন। একা একা ঘুরতে আপনাদের কেমন লাগে? আমার মনে হয় বেশিরভাগেরই উত্তর হবে ভালো লাগেনা। আমার কাছে কিন্তু ব্যাপারটা খারাপ লাগে না। আমি এখন পর্যন্ত দেশের মধ্যে যেসব স্থানে ভ্রমণ করেছি তার বেশিরভাগই একা একা। দেখা গেছে বন্ধুদের ব্যস্ততা বা তেমন কোন বন্ধু আশেপাশে না থাকার ফলে পছন্দের জায়গা গুলোতে একাই চলে গিয়েছি এবং বেশ ভাল একটি সময় উপভোগ করেছি। সত্যি বলতে কি পরিবার-পরিজন বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারলে তার তুলনা হয় না। তবে মাঝে মাঝে একা একা ঘুরতে যাওয়া আমার কাছে বেশি উপকারী মনে হয়। আজ আপনাদের তেমনি একটি ভ্রমণ কাহিনী শোনাবো।

20221108_163509.jpg

20221108_163055.jpg

20221108_162956.jpg

মাত্র কয়েকদিন আগে ঢাকা গিয়েছিলাম একটি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। এক বন্ধুর বাসায় ছিলাম বেশ কয়েকদিন। শুক্র এবং শনিবার ছাড়া বন্ধুর দেখা পাওয়াই মুশকিল। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস। আর এদিকে আমার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বসে থাকা ছাড়া আর করার কিছুই ছিল না। তাই বেরিয়ে পড়লাম আশেপাশের জায়গা গুলো দেখতে। সবচাইতে নিকটবর্তী ছিল আগারগাঁও বিমান বাহিনীর জাদুঘর। যা একসময় পুরাতন বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত ছিল। বাসা থেকে বের হয়ে একটি রিকশা নিয়ে চলে গেলাম প্রবেশপথের ঠিক সামনে। মাত্র ৫০ টাকা টিকিটের বিনিময়ে ঢুকে পড়লাম এই পার্ক কাম মিউজিয়ামটিতে। ঢাকা শহরের প্রচণ্ড যানজট, ব্যস্ততা, ঘনবসতি আর মানুষজনের ভিড় থেকে হঠাৎই যেনো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম এখানে এসে।

20221108_164141.jpg

20221108_164045.jpg

20221108_163705.jpg

পাকর্টি সামরিক বাহিনীদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় ভেতরের পরিবেশ খুবই গোছানো এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। শুরুতেই রাস্তার দুপাশে রাখা আছে অসংখ্য যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার এর মডেল। যেগুলো একসময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ব্যবহৃত হতো। পার্কের ঠিক পেছনদিকেই আছে একটি এয়ারপোর্ট যা শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রবেশ করে এক কাপ কফি নিয়ে হাঁটতে থাকলাম ধীরে ধীরে। বিমান এবং হেলিকপ্টারের সাড়ি শেষ হতেই চোখে পড়ল একটি ছোট্ট পার্ক। যার মধ্যে রয়েছে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের সব আকর্ষণীয় রাইড আর অসংখ্য ভাস্কর্য। যার কিছু অংশ আগের পর্বে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। ঘিঞ্জি নগরের বুকে গাছপালা শোভিত নির্মল এই পাকর্টি কিছু সময়ের জন্য হলেও নগরবাসীকে পরিত্রাণ দেবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সময় পেলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে। ও আরেকটি কথা ঢাকা শহরের যে কোন প্রান্ত থেকে এখানে আসা একেবারেই সহজ। যেকোনো বাস বা সিএনজিতে করেই আসেন না কেন আপনাকে নামতে হবে আগারগাঁও এ অবস্থিত আইডিবি ভবনের ঠিক উল্টো পাশে।

20221108_165114.jpg

20221108_165058.jpg

20221108_164529.jpg

20221108_164409.jpg

আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Photographer@ferdous3486
DeviceSamsung M21
LocationAgargaon,Dhaka
Sort:  
 2 years ago 

এই একা একা ঘুরতে যাওয়া লাগে জন্যই অনেক জায়গায় ঘোরার প্লান ক্যান্সেল করি। একা ঘুরে আসলে মজা লাগে না গ্রুপসহ ঘুরতে গেলে যে মজা পাওয়া যায়। যাই হোক বিমান বাহিনীর এই জাদুঘরটিতে অনেক আগে গিয়েছিলাম। তখন এত সুন্দর ছিল না। তখনও এরকম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল। বাচ্চাদের খেলার পার্কটি নতুন করেছে মনে হয়। বাচ্চারা এরকম জায়গায় গেলে খুবই খুশি হয়। খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

বন্ধুদের সাথে বা পরিবারের সাথে ঘোরার মজাই আলাদা তবে আমার কাছে একা ঘুরতেও খুব একটা খারাপ লাগেনা। ঢাকা শহরের জ্যাম না থাকলে এ ধরনের পার্কগুলোতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবাই আসতে পারত বাচ্চাদের নিয়ে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আপনার আগারগাও বিমান বাহিনীর জাদুঘর ভ্রমণের প্রথম পর্ব আমি দেখেছিলাম। ভালোই করেছেন একা একা বসে না থেকে ঘুরতে বেরিয়েছেন। যদিও আপনার বন্ধু সারাদিন অফিসেই ব্যস্ত থাকে। জায়গাটা সত্যিই ভীষণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখা যাচ্ছে। এরকম সবুজ ঘাসের মাঠ দেখতে আমার কাছে ভীষণই ভালো লাগে। এরকম জায়গায় ঘুরতে ভালোই লাগবে। আপনি নিশ্চয়ই অনেক বেশি উপভোগ করেছেন।

 2 years ago 

জি আপু বেশ ভালোই সময় কেটেছিল। যদি কখনো ঢাকা বেড়াতে আসেন এ জায়গাটা দেখে যেতে পারেন । আমার মনে হয় আপনাদেরও ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

একা একা ঘুরতে তো আমারও ভালো লাগেনা। আপনার কাছে একা একা ঘুরাঘুরি করতে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম। আপনার ফটোর মাঝে বোঝা যাচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। আর ফটোগুলো দারুন ছিল। পরে বলতে পারলাম বেশ ভালোই একটা সময় কাটিয়েছেন। আসলে বাড়িতে একা একা বসে থাকার থেকেও বাইরে ঘুরাঘুরি করা অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে আপনার বিমান বাহিনীর জাদুঘরে ঘুরার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন একদম ঘরে বসে থাকার চাইতে এক একা ঘোরা ফেরা করাও অনেক ভালো। তাই কাউকে না পেলে আমি একা একাই ঘুরতে বেড় হয়ে পরি। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আপনার আগারগাও বিমান বাহিনীর জাদুঘর ভ্রমণের প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়নি। তবে এই পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগল। পরিবেশ পরিস্থিতিতে মাঝে মাঝে একা একা ঘুরতে হয় কিন্তু পরিবার নিয়ে ঘুরার মজা অন্য রকম। আগারগাও বিমান বাহিনীর জাদুঘর ভ্রমণে দারুণ সময় কাটিয়েছেন । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্তে গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আসলেই তাই পরিবেশ আর পরিস্থিতির উপর সবকিছু নির্ভর করে। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এর পর পরিবারের সাথে সবশেয়ে একা একা। মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপুু।

 2 years ago 

কি মজা তাই না,চিন্তা ভাবনা ছাড়া একা একা ঘুরে বেড়ানো😂।অনেক দিন পর আপনার পোস্ট দেখলাম।পোস্ট কি করেন না, নাকি আমিই দেখি না।যাই হোক বিমান বাহিনীর জাদুঘরে অনেক আগপ আমি একবার গিয়েছিলাম।যদিও অনেক পরিবর্তন হয়েছে মনে হচ্ছে। সবুজে সবুজে ঘেরা আসলেই সুন্দর পার্কটি।ধন্যবাদ

 2 years ago 

আপনি দেখি সবদিকেই নজর রাখেন আপু। আসলেই অনেক দিন পোষ্ট করা হয়নি তাই তো ইন এক্টিভ সদস্যের দলে পড়ে গিয়েছি। এখন থেকে আবার চেষ্টা করছি নিয়মিত হবার। ধন্যবাদ আপু এই অধমকে মনে রাখার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক একা ঘুরতে খুব একটা ভালো লাগে না, তবে মাঝেমধ্যে একা সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। আগারগাঁও বিমান বাহিনী জাদুঘর নিয়ে বেশ কয়েকটা পোস্ট আমি দেখেছি। ভীষণ ইচ্ছা আছে একদিন গিয়ে দেখে আসব। আমি আগারগাও এর পাশে থেকেও আজ অব্দি যেতে পারলাম না। আফসোস এটাই। আপনার পোস্ট থেকে ছবিগুলো দেখে যাওয়ার ইচ্ছাটা আরো বেড়ে গেল ভাই। বেশ মনোরম এবং নিরিবিলি একটা পরিবেশ মনে হচ্ছে দেখে। এরকম জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার সব সময় অনেক ভালো লাগে।

 2 years ago 

কি বলেন ভাই, আপনি এত জায়গায় ঘোরা ফেরা করেন আর ঘরের কাছে এই জায়গাটিতে এখনো যাননি। আসলে মক্কার লোক হ্জ্ব পায়না বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। আপনার ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই হাহাহা। সাথে ছোট বাচ্চা কাচ্চা থাকলে নিয়ে যাবেন আশাকরি তাদের কাছে জায়গাটা ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

সেই ছোটবেলায় গিয়েছিলাম আর আজকে আপনার এই পোস্ট দেখে জায়গাটার কথা আবার মনে পড়ে গেল। তবে আপনার আইডিয়াটা বেশ ভাল ছিল। বাসায় বসে বোরিং হওয়ার চেয়ে একটা দর্শনীয় স্থান ঘুরে এসেছেন। সেই সাথে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই কারন আপনি সেখানকার কিছু চিত্র এবং আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।

 2 years ago 

নাই মামার চাইতে কানা মামা ভালো আমার অবস্থা হয়েছে তাই। যখন সঙ্গি হিসেবে কাউকে পাইনা ঘোরার জন্য তখন একা একাই বেড়িয়ে পরি। আর আমার থাকার জায়গাটার খুব কাছাকাছি হওয়াতে না গিয়ে থাকতে পারিনি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 68152.98
ETH 3536.22
USDT 1.00
SBD 2.86