ড্রিম হলিডে পার্ক ভ্রমণ (শেষ পর্ব)। ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ- ১৫ কার্তিক / ৩১ অক্টোবর | ১৪২৯, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| সোমবার | হেমন্তকাল |


আসসালামু-আলাইকুম।

https://youtube.com/shorts/qqb284n4RII?feature=share

কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের সামনে হাজির হলাম ড্রিম হলিডে পার্কে ভ্রমণের শেষ পর্ব নিয়ে। মানুষের জীবন আসলে কিছু মুহূর্তের সমষ্টি মাত্র। এরমধ্যে কিছু মুহূর্ত বিশাদময় আবার কিছু মুহূর্ত আনন্দের। সবাই যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করেন মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করতে। এক্ষেত্রে ভ্রমণের বিকল্প তেমন কিছু নেই। প্রিয়জনের সঙ্গে দারুন দারুন সব জায়গায় ভ্রমণের যে আনন্দ তা অন্য কিছুতে খুঁজে পাওয়া ভার। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই ভ্রমণ পিপাসু একজন মানুষ। সময় এবং সুযোগ পেলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি নতুন কোন জায়গার উদ্দেশ্যে। নরসিংদী জেলার ড্রিম হলিডে পার্ক আমার এই ভ্রমণ পিপাসাকে আরো খানিকটা চাঙ্গা করেছিল।

20221025_135741.jpg

এই পার্কের সবচাইতে যে জিনিসটি আমার কাছে ভালো লেগেছিল তার নাম হচ্ছে ভূতের বাড়ি। মূলত দর্শনার্থীদের ভয় দেখানোর জন্য এখানে কৃত্রিমভাবে একটি গুহা তৈরি করা হয়েছে। যেখানে প্রবেশ করতে চাইলে আপনাকে খরচ করতে হবে ১১০ টাকা। প্রবেশপথের শুরুতেই সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেয়া আছে, অসুস্থ ও হার্ট দুর্বল লোকদের এখানে প্রবেশ নিষেধ। আমার সঙ্গীদেরকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা প্রবেশ করতে রাজি না হওয়ায় আমি একাই প্রবেশ করেছিলাম এখানে। ভেতরের সবকিছু ভিডিও করলেও আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম না। তাতে এখানে যাবার ব্যাপারে আপনাদের আগ্রহ অনেকটাই কমে যাবে। শুধু বলে রাখি ভূত,প্রেত, নর কঙ্কাল, দৈত্য দানব সহ অনেক কিছুই আছে এই গুহায়। আর আছে বিকট শব্দের ভয়ঙ্কর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। ঘুটঘুটে অন্ধকার আর লাল নীল আলোর মাঝে এরপরেও যারা ভয় পাবেন না তাদের ভয় দেখানোর জন্য আছে দুইজন জলজ্যান্ত মানুষ। যাদের কাজ ভয়ঙ্কর মুখোশ পরে অন্ধকার থেকে আপনার সামনে লাফিয়ে পড়ে ভয় দেখানো। তবে আমার মনে হয় মিথ্যে সাহস দেখানোর জন্য এখানে প্রবেশ না করাটাই ভালো।

20221025_162825.jpg

20221025_162747.jpg

20221025_161850.jpg

20221025_142843.jpg

20221025_140817.jpg

আরেকটি রাইড আমার খুবই ভালো লেগেছিল আর তা হচ্ছে রোলার কোস্টার। যদিও খুবই ছোট এবং খেলনা ধরনের রোলার কোস্টার কিন্তু আমি নিশ্চিত তাতেও আনন্দের কমতি হবে না। ভবিষ্যতে যারা এখানে আসতে চান তাদের জন্য আমি এই দুইটি রাইডের পরামর্শ দিলাম। শেষ করবার আগে জানিয়ে দিচ্ছি কিভাবে আপনাকে এখানে আসতে হবে। এই পাকর্টি ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত। ঢাকা শহরের যে কোন স্থান থেকে আপনাকে প্রথমে আসতে হবে গুলিস্তান অথবা সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ডে। সায়দাবাদ থেকে সিলেটগামী যেকোন বাসে উঠে পড়লেই আপনাকে নামিয়ে দেবে নারায়ণগঞ্জের ড্রিম হলিডে পার্কের একদম গেটের সামনে। তবে এক্ষেত্রে আপনার ভাড়া অনেক বেশি পড়বে। এছাড়া গুলিস্থান পুলিশ বক্সের পাশেই পেয়ে যাবেন মেঘালয় লাক্সারি বাস সার্ভিস। প্রতি 30 মিনিট পর পর এখান থেকে সরাসরি নরসিংদীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় একটি করে বাস। ভাড়া জনপ্রতি 150 টাকা। নাম যদিও লাক্সারি কিন্তু বাসের সার্ভিস এবং কন্ডিশন খুব একটা ভালো না। আজকের মতো এতোটুকুই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
Photographer@ferdous3486
DeviceSamsung M21
LocationDream Holiday Park, Narsingdi
Sort:  
 2 years ago 

ড্রিম হলিডে পার্ক কিন্তু বেশ সুন্দর মনে হলো আমার কাছে। যাবো ভাবছি একবার। আমার মেয়ে ঈলমা বেশ পছন্দ করে এধরনের পার্ক বেশ পছন্দ করে। তবে ভুতের আড্ডায় আমি ঢুকবোনা ভাই, যা বললেন।
তবে রোলার কোস্টারে ওঠা যাবে আশাকরি।
আমি আপনার মতো অনেকটাই ভ্রমন করতে ভালোবাসি।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই লোকেশন এবং বাসের নাম বলে দেয়ার জন্য।

 2 years ago 

সময় করে যাবেন একবার তবে অবশ্যই শীতের সময়। আমার মনে হয় ঈলমার অবশ্যই ভালো লাগবে। আপনাকেও ধন্যবাদ অভিমত ব্যক্ত করার জন্য।

 2 years ago 

দারুন বর্ণনা দিয়েছেন ভাইয়া। যাবার আগ্রহ বেড়ে গেল।রোলারকোস্টারে চড়ার জন্য হলেও একবার যেতে হবে।তবে আমার কাছে কেন জানি এদের সব টিকেট এর দামই বেশি বেশি মনে হয়।লোকেশন এবং যাবার উপায় বলে দেওয়াতে অনেক উপকার হল।ধন্যবাদ ভাইয়া নতুন একটি জায়গা সম্পর্কে আমাদের জানানোর জন্য।

 2 years ago 

টাকা মনে হয় এখন মানুষের কাছে কোন ব্যাপার না। টিকেটের দাম যতই হোক না কেন অত দাম দিয়েও টিকেট কেনার জন্য কখনো মানুষের অভাব হয়না। সময় করে ঘুরে আসবেন । আশাকরি ভালো লাগবে।

 2 years ago 

কি ভাগ্য আপনার ভূত, পেত্নী সব দেখে ফেলেছেন🤣।দুইজন জলজ্যান্ত মানুষ লাফিয়ে লাফিয়ে পরে এই ব্যাপারটা বেশ মজার ছিলো।আপনার বর্ননা শুনে আমার ও যেতে ইচ্ছে করছে।যদিও নারায়নগঞ্জ আমাদের কাছাকাছি হয়েও যাওয়ার এখনও সৌভাগ্য হয়নি।ছবিগুলো বেশ ভালো লাগছে।রোলার কোস্টারে কখনও উঠা হয়নি।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

জীবনে একবার হলেও ভুত পেত্নি দেখার খুব সখ ছিল। সত্যিতো দেখতে পেলাম না তাই দুধের সাদ ঘোলে মেটালাম আর কি।

 2 years ago (edited)

ড্রিম হলিডে পার্কটি বেশ সুন্দর ভাইয়া। আমি কখনো ড্রিম হলিডে পার্কে ঘুরতে যায়নি। কিন্তু শুনেছি এটা দেখতে বেশ সুন্দর তাই আমার অনেক আগ থেকে যাওয়ার খুব ইচ্ছে। আপনার ফটোগ্রাফিতে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে। আর যেহেতু বলছেন ভুতুর বাড়ি রয়েছে তাহলে তো যাওয়ার ইচ্ছে আরো বেশি বেড়ে গেল। আপনাকে ধন্যবাদ ড্রিম হলিডে পার্ক এর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

এখন তো শীতের সময় । বেড়ানোর জন্য সবচাইতে বেষ্ট সিজন। সময় বের করে চলে যান। আশা করি হতাশ হবেন না। তবে ভুতের বাড়িতে কিন্তু ভুলেও একা প্রবেশ করবেন না।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন আপনি ভাইয়া প্রিয়জনের সঙ্গে দারুন সব জায়গায় ভ্রমণের থেকে আনন্দ আর কিছুতেই থাকেনা।আপনি যেহেতু ভ্রমণ পিপাসু ব্যক্তি আপনার তো তাহলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও অনেক।নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কের ভূতের বাড়ি তো মনে হচ্ছে সত্যি খুব সুন্দর।যদি কখনো যায় এই দুইটা রাইড দেখবো। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই উচিত পরিবারের সাথে মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। এতে যেমন নতুন নতুন জায়গা দেখা হয় তেমনি এনার্জি রিচার্জ হয়। কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

ড্রিম হলিডে পার্কটি বেশ চমৎকার আর সেটি একমাত্র উপলব্ধি করতে পেরেছি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। সত্যি বলতে আপনি যে লোকেশন দিয়েছেন, সেই লোকেশনে কোন একদিন গিয়ে ঘুরে আসবো। লোকেশন টি কপি করে রাখলাম ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

বেশ কিছু টাকা খরচ হবে তাতে সন্দেহ নেই কিন্তু সময়টা উপভোগ করতে পারবেন এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। জীবনে আনন্দের চাইতে টাকার মূল্য নিশ্চয়ই বেশি নয়। ধন্যবাদ ভাই সাথে থাকার জন্য।

 2 years ago 

আপনার মাধ্যমে মনে হচ্ছে আমিও পার্টি আপনার সাথেই ভ্রমন করলাম সবগুলা পর্বই আমি দেখেছি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলা আজকের পর্বের উল্লেখযোগ্য ফটোগ্রাফি ছিল ভূত।।

যাহোক ভালো লাগলো আপনার ঘুরে দেখানো ড্রিম হলিডে পার্ক।।

 2 years ago 

শুরুতেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সবগুলো পর্ব দেখার জন্য। যে যাই বলুক সময় এবং অর্থ খরচ হলেও এই পার্কটি আমার অনেক ভালো লেগেছে।

 2 years ago 

যতদূর শুনেছি ড্রিম হলিডে পার্কের প্রত্যেকটা রাইড এবং প্রবেশের মূল্য অনেক বেশি। তারপরও যারা ভ্রমণ পিয়াসু বা ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে তারা টাকা পয়সার দিকে সাধারণত তাকায় না তাদের লক্ষ্য থাকে কিছুটা সময় আনন্দে থাকা এবং সেই আনন্দ থেকে বেশি কিছু অনুভূতি নিয়ে ফিরে আসা। আপনার ড্রিম হলিডে পার্কের ভ্রমণের শেষ পর্বটি পড়ে ভালই লাগলো। অনেক কিছুই আপনি এখানে তুলে ধরেছেন তার মধ্যে ভিন্ন কালারের একটি রাজহাঁসের ফটোগ্রাফি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনার ভালোলাগার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনার সঙ্গে আমি সম্পুর্ণ একমত । আসলে টাকা পয়সাই জীবনে সব নয়। একসময় হয়ত আপনি জীবনে অনেক টাকা পয়সার মালিক হতে পারবেন কিন্তু যে সময় জীবন থেকে চলে যায় তা কোটি টাকার বিনিময়েও আর ফিরে পাওয়া যাবেনা। তাই সময়টাকে নিজের মত করে উপভোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

আপনি কাদের সাথে গিয়েছিলেন যে এরকম ভূতের বাড়ি তে ঢোকার সাহসই পেল না। কিন্তু পরবর্তীতে আপনার বর্ণনা শুনে মনে হল যে খুবই ভয়ঙ্কর ভাবে সাজিয়েছে জায়গাটি। আজকে পার্কের খুব সুন্দর সুন্দর ছবি শেয়ার করেছেন। যাওয়ার আসার সিস্টেমটিও বলে দিয়েছেন। খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে পার্কটি ।দেখি বাচ্চাদেরকে নিয়ে কোন একদিন ঘুরে আসব। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 2 years ago 

ঢাকার মধ্যে তো আর আপনার বোধহয় কোথাও ঘোরা বাকি নেই। তাহলে সময় করে চলে যান নরসিংদি। আশাকরি ভালোই সময় কাটাতে পারবেন। তবে অবশ্যই শীতের সময় যাবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67628.32
ETH 2424.36
USDT 1.00
SBD 2.35