আজ- ১২ ফাগুন | ১৪২৮, বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বসন্তকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব খেসারির ডাল দিয়ে মুচমুচে বড়া তৈরির রেসিপি। ডাল কে বলা হয় গরীবের আমিষ। এতে প্রায় ২৭ ভাগ প্রোটিন থাকে। বাঙালি হিসেবে আমরা প্রায় সবাই ডাল খেতে পছন্দ করি। ডাল দিয়ে তৈরি করা এই বড়া বানানো যেমন সহজ খেতেও তেমনি সুস্বাদু। বিকেলের নাস্তায় বা গরম ভাতের সঙ্গে খাবার জন্য এই বড়ার তুলনা হয়না। কথা না বাড়িয়ে আসুন তবে দেখা যাক কিভাবে বানানো যায় এই বরা। কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আশা করি মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
![20220213_232703.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTTh3ry9tHwA59Ev3SD5EibnX9ADjTgTFzsTWX3rogkuU/20220213_232703.jpg)
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
খেসারির ডাল | ২৫০ গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | ১.৫ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টি |
আদা বাটা | ২ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরার গুড়া | আধা চা চামচ |
শুকনা মরিচের গুড়া | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণমতো |
সয়াবিন তেল | ১ কাপ |
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
শুরুতেই খেসারির ডাল গুলোকে 5 থেকে 6 ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। যাতে ডালগুলো নরম হয়ে যায়। আমরা সাধারণত সারা রাত ভিজিয়ে রাখি। ভেজানো হয়ে গেলে ডালগুলোকে শিলপাটায় ভালোভাবে বেটে নিতে হবে। চাইলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করেও নিতে পারেন।
![20220213_230736.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYzGGjuCXVJBAgN25gppu469fmqYLAhpRAwdAYxgNJmmD/20220213_230736.jpg)
ধাপ ২ঃ
মোটামুটি দেড় কাপ পরিমাণ পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নিতে হবে। সেইসঙ্গে 5 থেকে 6 টি কাঁচা মরিচ কুচি কুচি করে কাটতে হবে।
![20220213_231022.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeagAZEj3M3pdfnZS8R76G1o29ttDoDEs86eZbQByUGZ2/20220213_231022.jpg)
ধাপ ৩ঃ
এবার পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া, জিরার গুড়া, লবণ, কাঁচা মরিচ সহ সকল মসলাগুলো একে একে ডালের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ ৪ঃ
এবার হাত দিয়ে সমস্ত উপকরণ গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে চটকে নিতে হবে যাতে সবকিছু ভালোভাবে মিশে যায়।
![20220213_231333.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmP1ozAxasQzDAcXXBQ3ARSy6dNxo5aE57fbhWPGL13VpA/20220213_231333.jpg)
ধাপ ৫ঃ
এবার একটি কড়াই বা ফ্রাইপ্যানে সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করে নেই।
![20220213_231422.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdFvxHMeqSqem7EWtXT9BHNDaXHhYV79GL21B9yxHFR7s/20220213_231422.jpg)
ধাপ ৬ঃ
তেল গরম হয়ে গেলে মুঠো পরিমাণ ডাল নিয়ে তেলের মধ্যে ছেড়ে দেই। এভাবে বরা গুলোর এক দিক ভাজা হয়ে গেলে উল্টিয়ে দেই যাতে উভয় পাশেই সমানভাবে ভাজা হয়। বাদামি বর্ণ ধারণ করলে বড়াগুলো উঠিয়ে নেই। হয়ে গেল আমাদের খেসারির ডালের তৈরি মুচমুচে বড়া।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আপনি অনেক মজাদার এবং ইউনিক ধরনের একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খেসারির ডালের বড়া খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে বাসায় থাকলে মাঝে মাঝেই এ ধরনের রেসিপি খাওয়া হয় কিন্তু এখন তেমন একটি খাওয়া হয়না। আপনার এই খেসারির ডালের বড়া রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক চমৎকার ভাবে বড়া রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আশা করি এভাবেই সব সময় উৎসাহিত করবেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
খেসারির ডালের বড়া অনেক মজাদার হয়।আপনার বানানো বড়া দেখে অনেক সুস্বাদু হয়েছে বুঝাই যাচ্ছে।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাই আপনার মুচ মুচে খেসারির ডালের বড়টা দেখতে অনেক ভালো লাগছে আর মনে হচ্ছে এটা খেতেও অনেক ভালো লাগবে।আর বিকেলে সবাই এক সাথে বসে বড়া খাওয়া মজাই আলাদা।আপনার জন্য শুভকামনা রইল
রেসিপিটা সকলের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
এই ধরনের বড়াগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। কারণ এই বড়া মচমচে হয়। খেসারি ডালের বড়া রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনি প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বুঝতে সুবিধা হয়েছে ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
খেসারির ডালের বড়া আজকে আমাদের বাসায় তৈরী করা হইছিল অনেক টেষ্ট। আপনিও আজকে বানিয়ে খাইছেন খুবই ভালো লাগলো। বড়া গুলো খেতে খুবই মজাদার খাবার সময় কুড়মুড়ে শব্দ হয় হা হা। আমাদের মাঝে মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় ফেরদৌস ভাই🥰
এটা আমার প্রিয় একটি খাবার। আমাদের বাড়িতে প্রায়ই তৈরি করা হয়। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুবই সুন্দর ভাবে খেসারির ডালের মুচমুচে বড়া তৈরীর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বড়া আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে কিন্তু আমি কোন সময় খেসারির ডালের বড়া তৈরি করে খাইনি। খেসারির ডালের বড়া তৈরি প্রত্যেকটি ধাপ খুবই সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এমন সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মসুরের ডালের বড়া আর খেসারির ডালের বড়া প্রায় একই রকম সাদ। একবার বানিয়ে খেয়ে দেখবেন, আশা করি ভালো লাগবে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ওয়াও খুব অসাধারণ ব্যাপার ভাই। খেসারির ডালের বড়া আমি কখনোই খাইনি। মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ইচ্ছে করতেছে দুইটা নিয়ে এখনই খাই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব চমৎকারভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। আপনার উপস্থাপনা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাই দুটো খেলে মন ভরবে না। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে কররবে। সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খেসারির ডালের পিয়াজু খেতে সত্যিই মজাদার এবং মুচমুচে। আর আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার খেসারি ডালের পিয়াজু প্রক্রিয়াগুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে। এবং খেতেও ইচ্ছে করছে। আর এত সুন্দর পিয়াজু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভীষণ উৎসাহ বোধ করলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার উপস্থাপন করা খেসারির ডালের মুচমুচে বড়া রেসিপি টি দেখতে বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছিলো। আমি এভাবে খেসারি বড়া কখনো তৈরি করে খাইনি তবে আপনি আমাদের মাঝে অনেক চমৎকার ভাবে এই রেসিপিটি শেয়ার করেছেন এবং এই রেসিপিটি দেখে যে কেউ তৈরি করতে পারবে। আমি সময় পেলে অবশ্যই এটি একবার খেয়ে দেখতে চাই ধন্যবাদ আপনাকে ভাই এমন সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। আশা করি একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে।' শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ডালের বড়া আমার খুবই পছন্দের ভাইয়া। আমার বাসায় খেসারির ডালের বড়া মাঝে মাঝেই বানানো হয়৷ আর প্রায় বেশির ভাগ গুল আমিই খেয়ে ফেলি। আপনার তৈরি করা বড়া গুলোও দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ভাইয়া৷ ধন্যবাদ।
আপনার তো দেখি ভাই আমার মতই অবস্থা। আমিও বেশিরভাগটাই খেয়ে ফেলি। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।