সাপ্তাহিক ফটোগ্রাফি। ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
আসসালামু-আলাইকুম।

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। কার্তিক মাসের হিম হিম ঠাণ্ডা পরিবেশ চারদিকে। আর কিছুদিন পরেই হয়তো জাঁকিয়ে শীত পড়বে। শীতের এই সময়টা দারুণ উপভোগ্য হলেও শিশুদের জন্য কিছুটা দুশ্চিন্তার। সর্দি কাশিসহ নানান রকম সিজনাল অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হয়ে থাকে ছোট বাচ্চারা। তাই পরিবারের সকলের উচিত ছোট বাচ্চাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেয়া। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট। গত বেশ কিছুদিন যাবত প্রচন্ড ঘোরাঘুরি করছি। ব্যক্তিগত জীবনে জীবিকার প্রয়োজনে ছুটে চলতে হচ্ছে এদিক সেদিক। এরই ফাঁকে কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম ঢাকার আগারগাওয়ে অবস্থিত বিমানবাহিনীর জাদুঘরে। সেখান থেকে তোলা কিছু ছবি আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।

20221108_162746.jpg

আগেকার দিনের এক ইঞ্জিনের একটি প্যাসেঞ্জার বিমান। এ ধরনের বিমানগুলো ব্যবহার এখন খুবই কমে গেছে। এর স্থান দখল করে নিয়েছে বিভিন্ন বড় ধরনের জাম্বো জেট এর মত প্যাসেঞ্জার লাইনার।

20221108_164031.jpg

বিমান বাহিনীর মিউজিয়ামের একটি অংশে গড়ে উঠেছে শিশুদের জন্য সুন্দর একটি পার্ক। যেখানে বেশ কিছু আকর্ষণীয় রাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য স্থান পেয়েছে। এই পাকর্টিতে প্রবেশের শুরুতেই এমন একটি বাঘের মুখের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।

20221108_164017.jpg

একটি গল্পের কাল্পনিক কিছু চরিত্রের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে এই পার্কটিতে। এই মুহূর্তে চরিত্রগুলোর নাম মনে পড়ছে না। তবে ভাস্কর্যগুলো কিন্তু দারুন তাতে সন্দেহ নেই।

20221108_163952.jpg

একটি ব্যাং মানুষের মতো সোজা হয়ে বসে আছে। দারুন একটি ভাস্কর্য এটি। কাছ থেকে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না এর শৈল্পিকতা। মনে হচ্ছে ধ্যানমগ্ন ব্যাংটি গভীরভাবে কোন কিছু চিন্তা করছে।

20221108_163841.jpg

স্বাধীন বাংলাদেশে ভারত সরকারের দেয়া প্রীতি উপহার। এই ডাকোটা বিমানটি বিমান বাহিনীর জাদুঘরে এই সংরক্ষিত আছে। মাত্র 30 টাকার টিকিটের বিনিময়ে বিমানটির অভ্যন্তরের সব কিছু দেখে আসা যায়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে সমৃদ্ধ করতে এই বিমানটি ছিল ভারত সরকারের উপহার।

20221108_163043.jpg

বিমানের বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিন দেখা যাচ্ছে এই ছবিটিতে। আধুনিক বিমানের ইঞ্জিনগুলোতে যদিও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে কিন্তু এখানে রাখা ইঞ্জিনগুলো মূলত ডামি। যা থেকে দর্শনার্থীরা একটা প্রাথমিক ধারণা নিতে পারে ।

20221108_163035.jpg

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমানে ব্যবহৃত কিছু বোমা। যেগুলো যুদ্ধের সময় বিমানের সাথে সংযুক্ত করা হয় এবং আকাশ থেকে ফেলা হয় শত্রুর এলাকার উপর। প্রত্যেকটি বোমাই মূলত ডামি। সত্যিকারের বোমার মত দেখতে হলেও এগুলো মূলত খেলনা।

আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Photographer@ferdous3486
DeviceSamsung M21
LocationAgargaon, Dhaka

Sort:  
 2 years ago 

শীত পুরোপুরি পরার আগে যে ওয়েদারটা থাকে এই ওয়েদারটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। কিন্তু অনেক বেশি ঠান্ডা পরলে তখন আর একদম ভালো লাগে না। আগারগাঁও বিমান বাহিনীর জাদুঘরে অনেক আগে একবার গিয়েছিলাম। তখনকার সঙ্গে এখনকার একদমই মিল পাচ্ছি না। অনেক পরিবর্তন হয়েছে দেখছি । কিন্তু ৩০ টাকা দিয়ে যে বিমানের ভেতরে বসা যায় এই বিমানটি তখনও ছিল। বাচ্চাদের জন্য খুব সুন্দর একটি জায়গা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।।

 2 years ago 

আমিও আগে একবার গিয়েছিলাম কিন্তু তখন ছবি তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি। এইবার গিয়েছিলাম একা একা আর প্রচুর সময় নিয়ে। আর শীতের সময় বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে সাবধানতার বিকল্প নেই।

 2 years ago 

কখনো যাওয়া হয়নি।সম্পূর্ণই নতুন কিছু জানলাম এবং দেখলাম।
ব্যাঙ- টাকে বেশ ভদ্রই মনে হচ্ছিলো😁।সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফিগুলো।শুভ কামনা রইলো।

 2 years ago 

কখনো যাননি যেহেতু তাহলে একবার ঘুরে আসরে আমার মনে হয় ভালোই লাগবে। জায়গাটা বেশ পরিচ্ছন্ন আর পরিবেশটাও বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য্।

 2 years ago 

শীত আসার সাথে সাথেই বাচ্চারা বেশি অসুস্থ হচ্ছে ভাইয়া। সেই সাথে বড়রাও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। আসলে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে হয়তো এমনটা হচ্ছে। যাইহোক ভাইয়া বিমানবাহিনীর জাদুঘরের ভিতরের দৃশ্য গুলো দেখে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।

 2 years ago 

বাহ আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করছেন। সত্যি শীতকাল আগমনে মানুষের অনেক ধরনের অসুখ হচ্ছে। আমারও বেশ কয়েকদিন যাবত জ্বর সর্দি কাশি। শত ব্যস্ততার মাঝে ঢাকা আপনি জাদুঘরে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করছেন। এবং অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

খুব সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো।আমার এখনো যাওয়া হয়নি তবে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম।ব্যাং এর ছবিটা দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো ভালো একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে এখন ওয়েদার এর জন্য প্রায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যাইহোক আগারগাঁও বিমান বাহিনীর জাদুঘরটা ভীষণ সুন্দর লাগলো।একটি প্যাসেঞ্জার বিমান মনে হয় এখন বেশি দেখা যায় না। পার্কটির ভেতরে দেখছি অনেক সুন্দর কিছু ভাস্কর্য রয়েছে। ভাস্কর্য গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। দেখলাম অনেক বড় বড় ইঞ্জিন রয়েছে। তার সাথে আবার একটা ব্যাংক যেন মানুষের মত বসে আছে। সবকিছু মিলিয়ে কিন্তু দারুন লাগলো। বিমানটির ভেতরে ৩০ টাকা দিয়ে ঘুরতে যাওয়া যায় এটা বেশ ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 63862.88
ETH 2754.56
USDT 1.00
SBD 2.64