আজ- ১১ জ্যৈষ্ঠ /২৫ মে| ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| বুধবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব একটি নিরামিষ খাবারের রেসিপি। ঢেঁড়স, যার ইংরেজি নাম লেডিস ফিঙ্গার। এমন একটি নাম হবার কারণ সম্ভবত দেখতে অনেকটা মহিলাদের আঙুলের মতো লম্বা আর চিকন। সবুজ রঙের এই সবজিটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সেইসঙ্গে খেতেও সুস্বাদু। এডমিন হাফিজ ভাইয়ের ভাষায় যদি বলতে হয় তাহলে এটা খাওয়া অনেক সহজ। কারণ একটা পিচ্ছিল ভাব থাকে। সত্যি বলতে যতই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হোক না কেন আমি শুধুমাত্র ঢেঁড়শের একটা আইটেমই খেতে পারি। আর তা হচ্ছে এই ঢেঁড়স ভাজি। অন্য যেকোন ভাবে রান্না করলে সেটা আমার গলা দিয়ে আর নামে না। বেশি করে পেঁয়াজ দিয়ে এভাবে ভাজি করলে গরম ভাতের সঙ্গে এই সবজির জুড়ি নেই। আর রান্না করার প্রক্রিয়া একেবারেই সহজ। যে কেউ খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই এটি রান্না করতে পারবেন। যারা চাকরির প্রয়োজনে একা একা বাইরে থাকেন তাদের জন্য এই রেসিপিটি একেবারে আদর্শ। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক রন্ধন প্রক্রিয়া।


প্রয়োজনীয় উপকরণ
- ঢেঁড়স
- পেঁয়াজ কুচি
- কাঁচা মরিচ
- সয়াবিন তেল
- লবণ

প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
প্রথমেই ঢেঁড়স গুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে ছোট ছোট সাইজ করে কেটে নিতে হবে।


ধাপ ২ঃ
এবার একটি ঢাকনাযুক্ত পাত্রে কিছুটা তেল গরম করে নেই। সয়াবিন তেল বাদে ও আপনারা চাইলে অন্য যে কোন তেল ব্যবহার করতে পারেন।


ধাপ ৩ঃ
তেল গরম হয়ে গেলে আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি এবং মরিচ গুলো কেটে এর মধ্যে দিয়ে দেই।


ধাপ ৪ঃ
পেঁয়াজ এবং মরিচ কুচি গুলো দেয়া হয়ে গেলে কেটে রাখা ঢেঁড়স গুলো পাত্রের মধ্যে দিয়ে দেই ।


ধাপ ৫ঃ
এবার একটি চামচের সাহায্যে সমস্ত উপকরণ গুলো আস্তে আস্তে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে দেই। বাড়তি সৌন্দর্যের জন্য দু-একটি শুকনা মরিচ ও দিয়ে দেয়া যায়।


ধাপ ৬ঃ
একটি ঢাকনা দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দেই এবং অল্প আঁচে বেশ কিছুক্ষণ রান্না করি
প্রসঙ্গত ঢেঁড়স এমন একটা সবজি যেটা কাঁচা খেলেও সমস্যা নেই। তাই রান্নার সময়ের হেরফের সাদ এর ক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করে না।


ধাপ ৭
উপকরণগুলো মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দেই। এবার গরম গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল আমাদের ঢেঁড়স ভাজি।


আজকের মত এ পর্যন্তই। কেমন লাগলো এই সবজি রেসিপি আশা করি কষ্ট করে জানাবেন। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
ঢেঁড়স টা আমার পছন্দের, ঢেঁড়স ভাজি খেতে কিন্তু অনেক মজা, আমি ঢেঁড়স ভাজি পাশাপাশি একটি ভর্তা তৈরি করা হয় সেটিও খেতে পছন্দ করে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আজকের এই রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা।
ঢেড়সের ভর্তা কখনো খাইনি। এমনকি আজ প্রথম শুনলাম। সম্ভব হলে রেসিপি শেয়ার করার অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ ভাই
ভাইয়া আপনি ঢেঁড়স নিয়ে ভালো বিশ্লেষণ করেছেন -এটা আসলে কখনো ভেবে দেখিনি। আপনি বলেছেন এটা মহিলাদের আঙুলের মতো দেখতে তাই হয়ত এটার ইংরেজি নাম লেডিস ফিঙ্গার। কিন্তু কখনোই ভেবে দেখা হয়নি তবে আপনি বলার পর একটু ভেবে দেখতে হবে। আর ঢেঁড়স আসলে খুব পছন্দের আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগছে।
আপনি একমাত্র লোক যে সম্ভবত আমার সম্পূর্ণ লেখাটি পড়েছে। সবাই শুধু ছবি দেখেই কমেন্ট করে। ভেতরের লেখা পড়ে দেখার মানুষ খুব কম আছে। ধন্যবাদ ভাই
আপনার ঢেঁড়স ভাজি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে । আর ঢেঁড়স ভাজি খেতে ভালো লাগে আমার। অনেক সুন্দর ভাবে আপনার দাঁতগুলো তুলে ধরেছেন।
আমারও ঢেঁড়স ভাজি খেতে খারাপ লাগে না। তবে দাঁতগুলো তুলে ধরা আসলেই সম্ভব না হাহাহাহাহা। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঢেঁড়স ভিটামিন-এ ভরপুর। আবার পিচ্ছিল দেখে খেতে সুবিধা হয়।বাচ্চাদের জন্য তো খুবই সুবিধা হয় খেতে। খুব সুস্বাদু করে ঢেঁড়স ভাঁজি করেছেন। ঢেঁড়স ভাজি আমার খুবই পছন্দের । গরম ভাতের সঙ্গে এ ভাজি হলে আর কিছু লাগেনা।
আমাদের বাড়িতেও বাচ্চারা ঢেঁড়স ভাজি খুবই পছন্দ করে। আমি আগে খুব একটা পছন্দ না করলেও ইদানিং খাওয়া শুরু করেছি। ধন্যবাদ আপু
ঠিক বলেছেন। আসলেই ঢেরস ভাজি ভিটামিনে ভরপুর।খুব ভালো লাগে আমার কাছে। যদিও এর রেসিপি মানে তরকারি দেখতে পারিনা একদমই।
কি বলেন, দেখতে ভাল লাগে অথচ তরকারি ভালো লাগেনা। বুঝলাম না ব্যাপারটা
ঢেঁড়স ভাজি দিয়ে ভাত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায়। কারন এটি অনেক পিচ্ছিল ধরনের। ঠিক বলেছেন। অনেক ভিটামিন আছে এই ঢেঁড়সে । সুন্দর রেসিপি টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ঢেঁড়স আরো অনেক ভাবে রান্না করা যায়। তবে কেন জানি অন্য কোনভাবে আমি খেতে পারি না। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছোট বেলায় ঢেঁড়স ভাজি দেখলে গায়ে জ্বর আসতো ভাই। তবে ঢেঁড়স ভাজি খেতে এখন বেশ ভালই লাগে। আপনাদের ঢেঁড়স ভাজি গুলো অনেক জুসি হয়েছে। ঢেঁড়স ভাজি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন ভাই রেসিপিটি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার মত আমারও একই অবস্থা ছিল। ঢেড়স দু চোখে দেখতে পারতাম না কিন্তু এখন খাওয়া শুরু করেছি। ধন্যবাদ ভাই
ভাইয়া আপনার আজকের ভিটামিনে ভরপুর সুস্বাদু ঢেঁড়স ভাজি রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে, সত্যি বলেছেন ভাইয়া ঢেঁড়স ভাজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে, এবং আপনি অনেক মজাদার করে রেসিপি রান্না করেছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ঢেঁড়সের আরেকটি উপকারিতা আছে আর তা হচ্ছে এটা রান্না করা অনেক সহজ। ব্যাচেলরদের জন্য এটা একটা আদর্শ সবজি। ধন্যবাদ
আসলে ঢেঁড়সে অনেক ভিটামিন রয়েছে। আপনার ঢেঁড়স ভাজির কালার টি আনেক সুন্দর হয়েছে। ঢেঁড়স ভাজি আমার অনেক প্রিয়।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুস্বাদু একটি সন্দরভাবে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
অনেকে একটু পোড়া ভাজি হলে পছন্দ করে। তবে আমার কাছে কালার সবুজ থাকলেই বেশি ভালো লাগে। শুভকামনা আপনার জন্য
আপনি ঠিকই বলেছেন ভিটামিনের ভরপুর ঢেঁড়স। আর গরম ভাতের সাথে ঢেঁড়স ভাজির কোনো জুড়ি নেই। আপনার উপস্থাপনা টা ছিল বেশ দারুন। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাষার ওপর আমার তেমন কোন দখল নেই। তারপরেও চেষ্টা করি যথাসাধ্য। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত। ধন্যবাদ ভাই