কেক তৈরির রেসিপি। 10% লাজুক শেয়ালের জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ- ৩০ বৈশাখ /১৩ মে | ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| শুক্রবার | গ্রীষ্মকাল |


আসসালামু-আলাইকুম।

কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব কেক তৈরির রেসিপি। স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর সেইসঙ্গে ভীষন সুস্বাদু একটি খাবার হচ্ছে কেক। ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের খাবার উপযোগী এই কেক। বানানো একেবারেই সহজ। দেখতে খুব একটা আকর্ষনীয় না হলেও খেতে কিন্তু আসলেই অনেক সুস্বাদু। ইতিপূর্বে আমি বেশ কয়েকবার বানানোর চেষ্টা করলেও খুব একটা ভালো হয়নি। এবার আগের তুলনায় যথেষ্টই ভালো হয়েছিল। বাসায় ছোট বাচ্চারা থাকলে এ ধরনের কেক তাদের সকাল বা বিকেলের নাস্তায় আদর্শ খাবার হতে পারে। চাইলে বিভিন্ন আকৃতিতে তৈরি করে পরবর্তীতে ক্রিম দিয়ে ডেকোরেশন ও করতে পারেন এই কেক। সে ক্ষেত্রে একেবারেই জন্মদিনের কেকের মতো দেখতে হবে। কথা না বাড়িয়ে আসুন তবে দেখে নেয়া যাক তৈরির প্রক্রিয়া।

GridArt_20220513_114429371.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ

উপকরণের নামপরিমাণ
ময়দা১ কাপ
চিনি১ কাপ
তরল দুধ১ কাপ
লবণপরিমাণমতো
সয়াবিন তেলআধা কাপ
বেকিং পাউডারহাফ চা চামচ
বেকিং সোডাহাফ চা চামচ
ডিম২ টি

20220511_213829.jpg

20220511_213817(0).jpg

প্রস্তুত প্রণালী

ধাপ ১ঃ

প্রথমেই ১ কাপ চিনি আর 2 টি ডিম ভেঙে ব্লেন্ডারে দেই।

20220511_213914.jpg20220511_213929.jpg

ধাপ ২ঃ

ব্লেন্ড করি যাতে উপকরণ দুইটি ভালোভাবে মিশে যায়।

20220511_214114.jpg

ধাপ ৩ঃ

এরপর একটি পাত্রে ময়দা নিয়ে তার মধ্যে ব্লেন্ড করা তরল টুকু দিয়ে দেই।

20220511_213755.jpg20220511_214446.jpg

ধাপ ৪ঃ

পরিমান মত সয়াবিন তেল ও লবণ দেই।

20220511_214517.jpg

ধাপ ৫ঃ

সামান্য বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা যোগ করি।

20220511_214621.jpg

ধাপ ৬ঃ

এবার সবগুলো উপকরণ একটি চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে ফেলি। যত ভালো মিশ্রণ হবে কেক ততই ভালো হবে।

20220511_214945.jpg

ধাপ ৭

একটি গোল বাটি বা পাত্রের মধ্যে কাগজ বিছিয়ে দেই। তার উপর কিছুটা তেল দিয়ে ব্রাশ করে দেই।

|20220511_215424.jpg
-|-

ধাপ ৮

মিক্সড করা সমস্ত উপাদানটুকু পাত্রের মধ্যে ঢেলে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই।

20220511_215810.jpg20220511_215819.jpg

ধাপ ৯

সবশেষে চুলায় বা ওভেনে অল্প আঁচে প্রায় 20 মিনিট বেক করি। কেক ফুলে উঠে শক্ত হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলি। তাহলেই তৈরি হয়ে গেল আমাদের হোম মেড স্পঞ্জ কেক।

20220511_220038.jpg20220511_224543.jpg

আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Photographer@ferdous3486
DeviceSamsung M21
Sort:  
 2 years ago 

আপনার কেকের রেসিপিটি বেশ চমৎকার হয়েছে ।আপনি ঠিকই বলেছেন এধরনের কেক বাচ্চারা বেশ পছন্দ করে। বাসায় তৈরি করা এ ধরনের কেক খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর ও। কেক বানানোর প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

কেকটা আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। বলতে গেলে অর্ধেকটা প্রায় আমি একাই সাবার করে দিয়েছিলাম। ধন্যবাদ

 2 years ago 

কেক তৈরির রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। ইউনিক আইডিয়া ছিলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।

 2 years ago 

ইউনিক কিনা জানিনা। তবে আমি আমার মত চেষ্টা করেছি। আশাকরি পরেরবার তৈরি করলে আরো অনেক ভালো হবে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাসায় ছোট বাচ্চারা থাকলে এরকম কেক বানিয়ে দিলে খুবই খুশি হয়। আমিও মাঝেমধ্যে বানাই। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আপনার কেক ভালোমতো ফুলেনি। খেতে কেমন হয়েছিল বুঝতে পারছি না । আপনি যেহেতু বলেছেন যে খেতে সুস্বাদু হয়েছিল তাহলে মনে হয় আসলেই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে কেকের রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

কেক আরো ফুলে কিনা সে ব্যাপারে আমার জানা নেই। তবে খেতে আসলেই সুস্বাদু হয়েছিল। শুধু বলার জন্য বলা নয়। প্রায় অর্ধেকটা আমিই খেয়ে ফেলেছিলাম। ধন্যবাদ আপু

 2 years ago 

ঘরোয়া পরিবেশে কেক প্রস্তুত করলে বরাবরই খেতে খুবই সুস্বাদু হয় কারণ নিজের মতো করে প্রস্তুত করে খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম আপনি লোভনীয় ভাবে প্রস্তুত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হবে

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন নিজের মত করে করতে পারলে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। আর সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যসচেতনতার ব্যাপারেও নিশ্চিন্ত থাকা যায়।

 2 years ago 

কেক তৈরী রেসিপি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি বাসায় স্বাস্থ্যকর ভাবে সুন্দর কেক রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন, দেখে ভাল লাগল এবং শিখতে পারলাম। শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আমি নিজেও এখনো শিক্ষানবিশ পর্যায়ে আছি। চেষ্টা করছি প্রতিদিন একটু একটু করে নতুন নতুন জিনিস শিখতে। ধন্যবাদ ভাই

 2 years ago (edited)

এরকম কেক শুধু বাচ্চারা কেন বড়রাও অনেক পছন্দ করে, আমার বাসায় তো সেরকমই।
আপনার জন্যে ছোট্ট একটা টিপস থাকবে তা হল, ময়দা একসঙ্গে না দিয়ে অল্প অল্প করে দেবেন ও ডিমের মিশ্রণে মিশিয়ে নেবেন। এতে করে কেক খুব সুন্দরভাবে ফুলে উঠবে।
খুব সুন্দর উপস্থাপনা ছিল। শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

 2 years ago 

আপনি আসলে সত্যি কারের ভালো একটি মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যগুলো আসলে হওয়া উচিত ছিল এমনই। যেখানে প্রত্যেকে প্রত্যেককে সুন্দর সুন্দর পরামর্শ দিয়ে কাজের মান উন্নয়নে সহায়তা করবে। আমি মনে করি মিথ্যে প্রশংসা করার চাইতে ভুলগুলো দেখিয়ে দেয়া উত্তম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য

 2 years ago 

কেক খেতে খুবই ভালোবাসি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি টা তৈরির পদ্ধতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার কেক তৈরি করার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।আমি এখন কেক বানানো শিখলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

 2 years ago 

কেক আমারও অনেক পছন্দের। ভ্যানিলা, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাক ফরেস্ট নানা স্বাদের কেকের ভিড়ে বাড়িতে তৈরি এই কেকটি একেবারে খারাপ হয়নি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কেক তৈরি করেছেন ভাইয়া। কেক দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক সুস্বাদু উপকরণ দিয়ে কেক তৈরি করেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি কেক তৈরীর প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার উপস্থাপন অনেক ভাল ছিল ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

দেখতে যদিও খুব একটা আকর্ষণীয় হয়নি কিন্তু স্বাদে অতুলনীয় ছিল। চেষ্টা করলে আপনিও বানিয়ে দেখতে পারেন। আশা করি এর চাইতে অনেক ভাল হবে। ধন্যবাদ আপু

 2 years ago 

ভাই আপনার কেকের রেসিপিটি বেশ চমৎকার লাগছে আমার কাছে খেতেও নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি ঠিকই বলেছেন এধরনের কেক বাচ্চারা বেশ পছন্দ করে। বাসায় তৈরি করা এ ধরনের কেক খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর ও। কেক বানানোর প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা অবিরাম।

 2 years ago 

সত্যি বলতে কি বাইরের কেক অনেক দামি। সে তুলনায় বাড়িতে তৈরি কেক যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। যদিও দেখতে খুব একটা আকর্ষণীয় নয়। ভালো থাকবেন ভাই

 2 years ago 

আমি প্রায় বাসায় বানাই এই কেক খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। কিন্তু আমি তেমন একটা পছন্দ করি না এই কেক। মাঝে মাঝে খাই গরম গরম তখন খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার বানানো কেকটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে সুস্বাদু কোন অংশে কম হয়নি।
ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

শুধুমাত্র ডেকোরেশন এর অভাব। এছাড়া বেকারিতে তৈরি করা কেকের সঙ্গে এই কেকের খুব একটা পার্থক্য নেই। আপনার রেসিপির অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 60023.73
ETH 3191.15
USDT 1.00
SBD 2.45