আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমার এক বন্ধু আছে। ওর নাম রফসান। ওদের বাড়ি শহর থেকে বাইরে ইউনিয়ন লেভেলে একটি গ্রামের মধ্যে। বংশগতভাবে ওর বাবা প্রচুর স্থাবর সম্পত্তির মালিক। বিশাল বিশাল দুইটি দিঘী সেইসঙ্গে প্রচুর গাছপালায় ছেয়ে আছে ওদের সমস্ত বাড়ি আর সংলগ্ন এলাকা। বলতে গেলে প্রায় সব ধরনের ফলগাছই আছে ওদের বাড়িতে। আগে আমরা সব বন্ধুরা মিলে ওদের বাড়িতে মাঝেমধ্যেই যেতাম পিকনিক করতে। সারাদিন খেলাধুলা, আড্ডাবাজি, ভরপুর খাওয়া দাওয়া আর রাতে চলত কার্ড খেলার ধুম। এরপর সবাই যার যার কর্ম ব্যস্ততার কারণে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ল। আর ওদের বাড়িতে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেল। বহুদিন বাদে আজ গিয়েছিলাম ওদের বাড়িতে। সেই আগের মতই আছে প্রতিটি জিনিস। গাছগুলো ভরে আছে নানা রকম ফলে। সেসব ফল গাছেরই কিছু ছবি আজ শেয়ার করব আপনাদের সঙ্গে।
আলোকচিত্রঃ ১
এটা একটা লেবু গাছ। এটা কিন্তু কাগজি লেবু নয়। এর নাম এলাচ লেবু। সাইজে বেশ বড় আর রস ও হয় প্রচুর। ওদের বাড়িতে বেশ কয়েকটি লেবু গাছ আছে এ ধরনের। আগে আমি গেলে সবসময়ই কিছু না কিছু লেবু নিয়ে আসতাম সাথে করে।
আলোকচিত্রঃ ২
এই ফলটির নাম সফেদা। আমরা এটার সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। মিষ্টি স্বাদের অত্যন্ত সুস্বাদু এই ফলটি দামেও সস্তা। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে ফরমালিন মুক্ত ফল খেতে চাইলে এ ধরনের দেশীয় ফল খাওয়ার বিকল্প নেই।
আলোকচিত্রঃ ৩
জন্মগতভাবে শহরে যাদের বসবাস তারা অনেকেই হয়তো এই কলাফুল বা কলার মোচা চোখে দেখেননি। সামনের ফুলের মতো দেখতে এই অংশটি হতেই কলার উৎপত্তি হয়। গ্রামাঞ্চলে অনেকেই এই মোচা রান্না করে খেয়ে থাকে।
আলোকচিত্রঃ ৪
এটা কি ফল আশা করি বলে দিতে হবে না। ফলের রাজা আম আমরা একথা সবাই জানি। রাফসানদের বাড়িতে অসংখ্য আমের গাছ আছে। আর এ বছর ফলনও হয়েছে প্রচুর। আম্রপলি নামের এই আমটি খেতে খুবই মিষ্টি স্বাদের।
আলোকচিত্রঃ ৫
এই ফলটির নাম জামরুল। জামরুল সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি সাদা অন্যটি লাল। সাধারণত সাদা টির তুলনায় লাল জামরুল গুলো বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। জামরুল গুলো এখনো পরিপক্কতা অর্জন করেনি।
আলোকচিত্রঃ ৬
এইগুলো হচ্ছে ঘাসফুল। সত্তিকারের ঘাসফুল। প্রতিনিয়ত আমাদের পায়ের নিচে পিষ্ট হয় এ ধরনের নান্দনিক সৌন্দর্য। সাধারণ চোখে হয়তো এগুলো কিছুই নয় কিন্তু ভালো করে দেখলে এর মধ্যেও খুঁজে পাবেন অসাধারণ সৌন্দর্য।
আলোকচিত্রঃ ৭
এটা কি জাতীয় উদ্ভিদ আমার নিজেরও জানা নেই। ছোটবেলায় দেখতাম এ জাতীয় গাছগুলো। মাঝখানে লাল অংশটি আমরা রান্নাবাড়া খেলার কাজে ব্যবহার করতাম। বহু বছর পরে আবার দেখতে পেয়ে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না।
আজকের মতো এতোটুকুই। আমার বন্ধুর বাড়িতে তোলা ছবি গুলো আপনাদের কেমন লাগলো আশা করি জানাবেন। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
অবশ্য বন্ধুর বাড়িতে দারুন দারুন ফলের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি কিন্তু বন্ধুর ফটোগ্রাফি করে দেখালেন না। বড়ই আফসোস থেকে গেল। যাই হোক পোস্ট কিন্তু দারুণ করেছেন আপনি।
পারমিশন ছাড়া তো আর বন্ধুর ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারিনা। বেচারা পারমিশন দিল না। সে এই প্লাটফর্মে কাজ করে না তাই হয়তো কি ভেবেছে সেই জানে। ধন্যবাদ
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর এবং
অনেক আকর্ষণীয়। ফটোগ্রাফিগুলো আমার কাছে অনেক আকর্ষনীয় লেগেছে।অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের ভালো লাগাতেই আমার সন্তুষ্টি। পাঠকদের ভালো লাগলে ছবি তুলতে আনন্দ পাওয়া যায়। অনেক ধন্যবাদ আপু
আপনার বন্ধু রফসান এর বাড়িতে বেশ কিছু ইউনিক ফুল এবং ফলের গাছ দেখতে পেলাম যেগুলো অন্যের বাড়িতে নেই। লেবুর কতশত নাম আর কতশত জায়গা। সফেদা গাছটা আমি কারো বাড়িতে কখনো দেখিনি। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আরো অসংখ্য ফলের গাছ আছে ওদের বাড়িতে। যেগুলোতে এখনো ফল ধরে নি। পরবর্তীতে ফল ধরলে আরো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার ইচ্ছা আছে। ভালো থাকবেন ভাই
আপনার বন্ধুর বাড়িতে তো নানান রকমের ফলে ভরপুর। সত্যি বলেছেন ভাই যারা জন্মগতভাবে শহরে থাকে তারা কলার মোচা খুব কমই দেখতে পেরেছে। সুন্দর করে ফটোগ্রাফির গুলো সংগ্রহ করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি লক্ষ করেছি কমিউনিটিতে অনেকেই আছেন যারা গ্রামের অনেককিছুর সঙ্গেই পরিচিত নয়। তাই মাঝে মাঝে এমন কিছু শেয়ার করার ইচ্ছে করে। ধন্যবাদ আপনাকে
জাস্ট অসাধারণ আপনি খুবই চমৎকার ভাবে বন্ধুর বাড়িতে করা কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সত্যি বলতে আমরা যেখানেই যাই না কেন মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি ফটোগ্রাফি করার জন্য। এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে যোগদানের পর থেকেই মাথার মধ্যে সারাদিন চিন্তা থাকে কি পোস্ট করব, কি পোস্ট করা যায়। তাই যেখানে যখন যাই সবকিছু তুলে রাখি ফোনের ক্যামেরায়। আমার ধারনা আপনিও এর ব্যতিক্রম নয়। ধন্যবাদ ভাই
আপনার বন্ধুর বাড়িতে তো অনেক রকম ফল আছে। সফেদা ফল আমি এই প্রথম দেখলাম।
আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার খুব ভালো লেগেছে। ফল গুলো খেতে পারলে ভালোই হতো 🤪
ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আরো অসংখ্য ফল গাছ আছে ওদের বাড়িতে। আশা করি পরবর্তীতে আরেকটি পর্বের মাধ্যমে সেগুলোর ফল আপনাদেরকে দেখাবো। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।