পাকা আমের মিষ্টি জুস। 10% লাজুক শিয়ালের জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ- ১৩ জ্যৈষ্ঠ / ২৭ মে| ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| শুক্রবার | গ্রীষ্মকাল |


আসসালামু-আলাইকুম।

কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব পাকা আমের জুস তৈরির রেসিপি। মধুমাস গ্রীষ্ম। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মকালের প্রচণ্ড গরমে যখন ক্লান্ত মানুষ হাঁপিয়ে ওঠে তখন রসে ভরা এই ফলগুলো মানুষের তৃপ্তি মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে মন ও ভরিয়ে দেয়। আ, জাম, লিচু, কলা, কাঁঠাল, পেঁপে, আনারস, জামরুল, সফেদা সহ আরো বিভিন্ন রকম রসালো ফল পাওয়া যায় এই ঋতুতে। এত ফলের ভিড়ে ফলের রাজা আম। আর সেই দিয়েই আমার আজকের এই রেসিপি।

পাকা আম এমনিতেই খেতে ভীষণ সুস্বাদু। তবে মাঝে মাঝে খাবারে বৈচিত্র্য আনতে পাকা আমের জুস অতুলনীয়। এটা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও সুস্বাদু। সবচেয়ে বড় কথা প্রচণ্ড গরমের সময় বরফ-শীতল এক গ্লাস মিষ্টি আমের জুস আপনার ক্লান্তি দূর করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের শক্তি ফিরিয়ে আনবে। আরেকটি কথা আমাদের দেশে আমের জুস নামে প্যাকেটজাত যে জিনিসগুলো বাজারে পাওয়া যায় বাচ্চাদেরকে তা খাওয়ানো থেকে দূরে রাখাই উত্তম। কেননা এরমধ্যে আমের ফ্লেভার ছাড়া আর কোন কিছুই থাকেনা। যা থাকে তা বাচ্চাদের জন্য চরম মাত্রায় ক্ষতিকর। তাই আমি মনে করি টাকা দিয়ে এই সব বিষ কিনে খাওয়ানোর চাইতে একটু পরিশ্রম করে নিজেই বানিয়ে নিন এমন সুস্বাদু জুস। এতে করে আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্য ও ভালো থাকবে সেই সঙ্গে পেটও ভরবে। যাইহোক আমি জুস তৈরি করার জন্য ল্যাংড়া জাতের আম ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে অন্য যেকোনো আম ব্যবহার করতে পারেন। তবে আশ কম এমন আম ব্যবহার করাই উত্তম। আসুন তবে শুরু করা যাক জুস তৈরীর প্রক্রিয়া।

GridArt_20220527_124805915.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • পাকা আম
  • চিনি
  • বিট লবণ
  • বরফকুচি
  • লেবু

20220525_214447.jpg

20220525_213953.jpg

প্রস্তুত প্রণালী

ধাপ ১ঃ

প্রথমেই আমগুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর আমগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নেই।

20220525_214942.jpg

ধাপ ২ঃ

এবার একটি ধারালো চাকু বা হাতের সাহায্যে বীজ হতে আমগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে একটি পরিষ্কার ব্লেন্ডারে রাখি।

20220525_215749.jpg

20220525_214602.jpg

ধাপ ৩ঃ

আটি গুলো ছাড়ানো হয়ে গেলে আমের মধ্যে পরিমাণমতো চিনি এবং বিট লবণ যোগ করি।

20220525_215846.jpg

ধাপ ৪ঃ

এবার পরিমাণমতো বিশুদ্ধ পানি ব্লেন্ডারে দেই। এখানে লক্ষ্য রাখতে হবে পানি এমনভাবে দিতে হব যাতে জুস খুব বেশি ঘন না হয়ে যায় আবার খুব বেশি পাতলাও না হয়।

20220525_215933.jpg

ধাপ ৫ঃ

শেষ ধাপে সমস্ত উপকরণ গুলো ভালোভাবে ব্লেন্ড করলেই তৈরি হয়ে যাবে আমাদের আমের জুস। প্রয়োজনে একটি পাতলা ছাকনি ব্যবহার করে ছেকে ফেলতে পারেন। এরপর একটি গ্লাসে কিছুটা বরফকুচি আর লেবু দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন এই জুস।

GridArt_20220527_125430094.jpg

আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Photographer@ferdous3486
DeviceSamsung M21
Sort:  
 2 years ago 

আমাদের গাছেও এবার ল্যাংড়া জাতের অনেক আম হয়েছে। আজকে খেয়েছি পেরে 😍। তবে আমের জুস বানিয়ে খাওয়া হয়নি । বরফকুচি দেয়াতে মনে হয় ঠান্ডা লাগছে খেতে। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন ভাইয়া

 2 years ago 

নিজেদের গাছের আম হলে তো কথাই নেই। কেমিক্যালমুক্ত ফ্রেস আম পেতে হলে গাছ লাগিয়ে খেতে হবে। ট্রাই করে দেখতে পারেন একবার আশা করি ভালো লাগবে।

 2 years ago 

একদিন দাওয়াত নিতে চাই , কি বলেন আপনি ভাই । আপনাদের দুই বন্ধুর সঙ্গে ঘুরবো খাবো এবং নিজেদের মতো করে সময় কাটাবো ।

 2 years ago 

আপনি সাদরে আমন্ত্রিত। চলে আসেন ভাই যে কোন সময়
খাবো, ঘুরবো আর আড্ডা দেবো সারাদিন। অপেক্ষায় রইলাম

 2 years ago 

ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া, আমরা টাকা দিয়ে অনেক বাজে জুস বাচ্চাদের কাওয়াই, এর থেকে কষ্ট করে বাসায় বানিয়ে খেয়ে সত্যি অনেক ভালো হবে, যাইহোক আপনার পাকা আমের জুস আমার খুবই ভালো লেগেছে, এই গরমে এমন টাটকা ঠান্ডা জুস খেলে ভিতর ঠান্ডা হয়ে যাবে ভাইয়া, আপনি অনেক সুন্দর করে জুস তৈরির ধাপ গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ, সেই সাথে অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার।

 2 years ago 

সমস্যা হচ্ছে বাচ্চারা এই বিষয়গুলো বুঝতে পারেনা। তারা কেন জানি দোকানের ওই বিষাক্ত খাবার গুলো বেশি পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য

 2 years ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, টাকা দিয়ে আমরা যেসব জুস বাচ্চাদেরকে কিনে খাওয়াই তা সত্যি সত্যিই বিষ কিনে খাওয়াচ্ছি। তাই আমাদের এইসব বিষ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর সেক্ষেত্রে আপনার তৈরি পাকা আমের মিষ্টি জুস সত্যিই অনেক অনেক কার্যকরী। প্রচণ্ড গরমে শরীরের ঘাম যখন দরদর করে পড়তে থাকে ঠিক তখনই আপনার তৈরি পাকা আমের মিষ্টি জুস শরীরের জন্য অনেক অনেক উপকারী। খুবই সুস্বাদু পাকা আমের মিষ্টি জুস তৈরীর প্রক্রিয়া সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আমাদের এই কমিউনিটির একজন সদস্য আলাউদ্দিন পাভেল ভাই বাচ্চাদের জন্য দারুন দারুন সব রেসিপি তৈরি করেন। চাইলে তার পোস্টগুলো দেখতে পারেন। আসলে প্রত্যেক পিতা-মাতার উচিত সন্তানদের খাবার-দাবারের ব্যাপারে লক্ষ রাখা। ধন্যবাদ ভাই

 2 years ago 

পাকা আমের মিষ্টি জুস তৈরি করেছেন আপনি।
দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো 😋
এই সময়ে এটা পারফেক্ট রেসিপি 😋
আমি তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ 🤎

 2 years ago 

আপনার রেসিপি নিঃসন্দেহে আমার চাইতে আরো ভালো হবে। সে বিশ্বাস আছে। দেখার অপেক্ষায় রইলাম

 2 years ago 

এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত পাকা আমের জুস খাওয়া হয়নি। আজকেই প্রথম আপনার মাধ্যমে পাকা আমের জুস দেখতে পেলাম। দেখে তো আমার খেতে খুব ইচ্ছা করছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে পাকা আমের জুস তৈরি করে উপস্থাপন করার জন্য।

 2 years ago 

আর কয়েকদিন পর চারিদিকে আমের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠবে। বৈচিত্র আনার জন্য এভাবে জুস তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন, বাজারে প্যাকেট জাত যে আমের জুস থেকে বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখা উচিত।ল্যাংড়া আম দিয়ে জুস তৈরি করেছেন।মনে হচ্ছে খেতে ভালোই লাগবে।ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

এই জুস তৈরি করে প্যাকেট এর জুস এর মধ্যে লুকিয়ে পাইপ দিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমার ছেলের উপর। দেখা যাক দোকানের জুস খাওয়ানোর অভ্যাস ছাড়াতে পারি কিনা।

 2 years ago 

তাহলে আম পাকা শুরু করেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমের জুস তৈরি করেছেন। পাকা আমের জুস খেতে কিন্তু অনেক মজা। আপনি খুব সুন্দর ভাবে জুস বানানোর পদ্ধতি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আমাদের এদিকে সবেমাত্র নতুন নাম উঠছে। তবে পুরোপুরিভাবে আম পাকতে হয়তোবা আরও সাত আট দিন সময় লাগবে। মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ

 2 years ago 

সত্যি কথা বলতে পারি আপনার পাকা আমের জুসের রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো ভাই। কারণ এখন পর্যন্ত এই সিজনের আমরা এখনো খাওয়া হয়নাই। অসাধারণ ভাবে জুসের রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আর আপনি একটা কথা ঠিকই বলেছেন যে প্যাকেটজাত দ্রব্য বাচ্চাদের জন্য খাওয়াটা একদম ঠিক না। কারণ এগুলো বাচ্চাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ধন্যবাদ ভাই এরকম সুন্দর একটা আমের জুসের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

আমিও এ বছর প্রথম পাকা আমের জুস খেলাম। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্যই এভাবে তৈরি করা। আপনি ও খেয়ে দেখতে পারেন আশা করি ভালো লাগবে।

 2 years ago 

পাঁকা আমের মজাদার জুস রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে আমের জুস তৈরি করলেন। সত্যিই আপনার আমের জুস তৈরি করে উপস্থাপন আমার খুবই ভালো লেগেছে।

 2 years ago 

এটা মনে হয় সবচাইতে সহজ তম একটি রেসিপি। এমনকি এটাকে রেসিপি বলা যায় কি না তাতেও সন্দেহ আছে। তবে স্বাদের দিক দিয়ে চমৎকার ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66937.04
ETH 3270.78
USDT 1.00
SBD 2.74