# টক, ঝাল, মিষ্টি জলপাইয়ের আচারের রেসিপি। 10% @shy-fox
বন্ধুরা,
টক-ঝাল বা মিষ্টি আচার যে সাদেরই হোক না কেন আমার কাছে তা খুবই প্রিয়। অনেকেই মনে করেন, "আচার সেটাতো মেয়েদের খাবার" কিন্তু আমার কাছে মনে হয় আচারের মতো এমন সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবারের তুলনা হয়না। আর তা যদি হয় প্রিয়জনের হাতের স্পর্শে, সম্পূর্ণ বাড়িতে তৈরি তাহলে তো কথাই নেই। বাংলাদেশে জলপাই পাওয়া যায় শুধু শীতকালে। ভিটামিন সি-তে ভরপুর এই ফলের পুষ্টিগুণও অনেক। চাইলেই আচার বানিয়ে বয়াম বন্দি করে বছরের-পর-বছর তা সংরক্ষণ করা যায়। কথা না বাড়িয়ে চলে আসা যাক প্রস্তুত প্রনালীতে।
1. জলপাই 3. লবণ 4. শুকনা মরিচ 5. তেজপাতা 6. পাঁচফোড়ন 7. হলুদের গুঁড়া 8. মরিচের গুঁড়া 9. জিরার গুড়া 10. সরিষার তেল 11. হোয়াইট ভিনেগারপ্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথম ধাপঃ প্রথমে জলপাই গুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে সুন্দর ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটা পাত্রের মধ্যে পানি দিয়ে জলপাই গুলোকে ভালোভাবে সিদ্ধ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ
সিদ্ধ হয়ে গেলে জলপাই গুলোকে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। এরপর জলপাইগুলো কে অন্য একটি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে ফেলতে হবে। পানি ঝরে গেলে হাত দিয়ে সুন্দর ভাবে জলপাইগুলো কে চটকে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ
একটি করাই বা ফ্রাইপ্যানে পরিমাণমতো সরিষার তেল গরম করে তার মধ্যে কয়েকটি শুকনা মরিচ ও তেজপাতা দিতে হবে।এরপর চটকানো জলপাই টুকু দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে হবে।
চতুর্থ ধাপঃ
পরিমাণমতো শুকনা মরিচ গুঁড়া, জিরার গুড়া,পাঁচফোড়ন, হলুদের গুঁড়া ও সিরকা একে একে যোগ করতে হবে। হলুদের গুঁড়া যোগ করলে আচারের রং সুন্দর হবে।চাইলে দু এক টুকরো এলাচ ও যোগ করতে পারেন।সবশেষে চিনি অথবা গুুর পরিমাণমতো যোগ করতে হবে।
পঞ্চম ধাপঃ
সমস্ত উপকরণ দেয়া শেষ হলে অল্প আঁচে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না সবকিছু ভালোভাবে মিশে যায়। এই সময়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে যাতে চুলার গায়ে লেগে না যায়। সবকিছু ভালোভাবে মিশে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন অথবা বয়ামে ভরে সংরক্ষণ করুন। আজকের মত এটুকুই। আবার কথা হবে অন্য কোন সময়। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
বিঃদঃ জলপাইয়ের পরিমানের উপর নির্ভর করে অন্যান্য উপকরণ গুলো কম-বেশি করতে হবে। আর যার যার পছন্দ মতো মিষ্টি বা ঝাল বাড়িয়ে-কমিয়ে নিবেন, বিধায় কোন উপকরণেরই পরিমাণ উল্লেখ করলাম না।
ছবি তোলার ক্যামেরা | Samsung M21 |
---|---|
ছবিগুলো তুলেছেন | ফেরদৌস আহমেদ |
শীত চলে এসে সাথে জলপাইও। জলপাইয়ের আচার আমার খুবই পছন্দের। জলপাইয়ের আচারটা খুবই সুন্দর তৈরি করেছেন। এবং আচার তৈরির রেসিপির উপস্থাপনাটাও অনেক সহজভাবে করেছেন।
জি ভাই, সহজভাবেই উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া,জলপাইয়ের আচার আমার খুবই পছন্দের।জলপাইয়ের আচার ভুনা খিচুড়ির সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে।ভাইয়া,জলপাইয়ের আচার দেখে আমার জিভে জল এসে যাচ্ছে।দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া,এতো সুস্বাদু একটি আচার আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপু, আচারটা আসলেই অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আচার দেখে তো জিভে পানি চলে আসলো ভাইয়া, জলপাই এর আচার আমার খুবই ভালো লাগে।অনেক সুন্দর ভাবে ধাপগুলো বর্ণনা করেছেন, আমার ভালো লেগেছে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জলপাই এমন একটি ফল যা দেখলে মুখে পানি চলে আসে। আপনিতো জলপাইয়ের আচার বানিয়েছেন ।এটি যে কতো টেস্টি হয় তাতো বলার ভাষা রাখে না ।আপনারা আচারটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমিও প্রতিবছর জলপাই এর আচার বানিয়ে রাখি ।আমার বাচ্চা খুব পছন্দ করে। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
আমারও খুব পছন্দের। ধন্যবাদ আপনাকে
আপু এটা অন্যায় এভাবে জিবে জল এনে একা একা খাওয়া কি আদো ঠিক😔😔😔।অসাধারন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন তবে আরো কিছু ধাপের চিত্র শেয়ার করলে ভালো হতো। শুভ কামনা রইলো।
🤔🤔🤔আপু🤔🤔🤔
যেকোন ধরনের আচার দেখলেই জিহবায় জল চলে আসে।এভাবে তৈরি করে জলপাই আচার কখনো খাওয়া হয়নি। উপস্থাপন এর ধরণ আর একটু ভালো করতে হবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে পরামর্শের জন্য । ভবিষ্যতে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করব।
বাহ অসাধারন রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে রান্না কম বেশি সবাই পারে কিন্তু এই আচার বা পিঠা এই তাইপের রেসিপি গুলা একতু ভিন্ন হয় সবাই পারে না। ধন্যবাদ এমন রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমিও যে খুব ভালো রান্না করতে পারি তা না। তবে চেষ্টা করি মাঝে মাঝে।
আপনি টক-ঝাল জলপাই আচার খুব সুন্দর করে প্রস্তুত করেছেন আপনার উপস্থাপনা পড়েই জিহ্বায় জল চলে আসলো মনে হচ্ছে খেতে অনেক টেস্ট হবে শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য
আসলেই অনেক মজা হয়েছে। দুঃখিত যে, টেস্ট টা শেয়ার করতে পারলাম না
আচার দেখলেই তো জিভে জল চলে আসে। তাও আবার আচারের মধ্যে আমার জলপাইয়ের আচার টাই সবচেয়ে ভালো লাগে। তবে নিজে কখনোই আচার বানিয়ে খাওয়া হয়নি।সব সময় আম্মুর হাতের আচারি খেয়েছি। তবে আপনার সহজ উপস্থাপনা দেখে মনে হচ্ছে এবার নিজেও বানিয়ে খেতে পারব। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি যখন করতে পেরেছি আপনিও অবশ্যই পারবেন। আপনাকেও ধন্যবাদ।
জলপাই আচারের রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে এই আচার টা দেখে। কারণ জলপাই আচার আমার খুব ভালো লাগে। কারণ অনেক সুস্বাদু একটা আচার এটা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা আচারের রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
আপনাকেও ধন্যবাদ।