ক্রিয়েটিভ রাইটিং: বন্যপ্রাণীকে ব্যবহার করে জোরপূর্বক টাকা আদায়
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি ২০২৪
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে সকালে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম আমাদের গ্রামের ছেলে মেয়েরা চিৎকার করছে। যখনই তাদের চিৎকার শুনে বাইরে বের হয়ে আসলাম ঠিক সেই সময় দেখতে পেলাম রাস্তাতে একটা বড় আকৃতির হাতি। যেহেতু অনেকদিন পরে হাতি দেখতে পেলাম তাই নিজের কাছে কিছুটা ভালো লাগছিল। আর গ্রামের ছেলে মেয়েরা হাতি দেখতে পেলে তো অনেক খুশি হয়ে যায়। তাই সকলের হাতির পিছনে পিছনে ছুটতে শুরু করে দিয়েছিল। যদিও আমারও যেতে ইচ্ছা হচ্ছিল কিন্তু উপায় নেই তাই যেতে পারিনি।
যদিও গ্রামে হাতি এসেছে এটা দেখে ছেলে মেয়েরা খুশি হচ্ছিল কিন্তু একটা বিষয় দেখার পরে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগবে শুরু করলো। সেই বিষয়টা কি সেটা হয়তোবা আপনারা উপরের ছবি দুইটা লক্ষ্য করলেই খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আসলে একটা বন্যপ্রাণীকে দিয়ে মানুষ তাদের নিজের চাহিদা পূরণ করার জন্য ভিক্ষা করছে। বিষয়টাকে ভিক্ষা বলা হয়তো বা ঠিক হবে না, কারণ তারা তো মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করছে। রাস্তা দিয়ে চলার পথে অথবা বাড়িতে বাড়িতে এসে তারা মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা নিয়ে থাকে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি রাস্তা দিয়ে যে সকল যানবাহন যাচ্ছিল তাদের সামনে দাঁড়িয়ে হাতিতে বসে থাকা লোকটির অনুসরণে হাতি টাকা আদায় করছিল এবং হাতিতে বসে থাকা লোকটিকে দিচ্ছিল। যদিও বিষয়টা ভিক্ষার মত কিন্তু এটা আমার কাছে কিছুটা জুলুম বলে মনে হয়েছে।
আমি লক্ষ্য করে দেখেছি অনেক মানুষ যারা যানবাহন চালিয়ে আসছিল তারা হাতই দেখার পরে রাস্তা পরিবর্তন করে অন্য রাস্তা দিয়ে চলে। কারণ তারা আগে থেকেই জানতে পেরেছিল যদি সে তার যানবহন নিয়ে হাতির সামনে যায় তাহলে অবশ্যই তাকে টাকা দিতে হবে। একটা বন্যপ্রাণীকে দিয়ে এই ধরনের কাজ করানো আমার দৃষ্টিকোণ থেকে মনে হয় কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। এই বিষয়টা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে কেমন মনে হয় সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না আজকের মত এ পর্যন্তই। পরবর্তী দিনে আপনাদের মাঝে নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
এই বিষয়টি আমি কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করে দেখছি। গ্রামের মধ্যে হাতি আসছে এবং প্রায় মানুষের কাছ থেকে এরা টাকা উঠাচ্ছে। যেটাকে একপ্রকার চাঁদাবাজি বলা হয়ে থাকে। এইতো গত দুইদিন আগে আমি গাংনি যাওয়ার পথে আমার কাছ থেকে ১০টা টাকা নিয়েছে। এই বিষয়টা সত্যিই অনেক দুঃখজনক। কিন্তু আমরা কেউ এর প্রতিবাদ করছি না।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
আসলে বন্যপ্রাণীর এমন আগম দেখতে ভালো লাগে ছোট থেকে বড়ো সবার।তবে সেই বন্যপ্রাণীকে ব্যবহার করে জোর পূরক টাকা আদায় করাটা ঠিক নয়।তবে ফটোগ্রাফি তে হাতি টি দেখতে খুব ভালো লাগছে।ধন্যবাদ সুন্দর হাতির ফটোগ্রাফি করে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গত দুইদিন আগে আমিও এই হাতের সম্মুখীন হয়েছি এবং ৪০ টাকা দিতে হয়েছে। মোটরসাইকেল যোগে গাংনী থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। বানিয়া পুকুরের রাস্তায় আমার সামনে মাইক্রো গাড়ি তাকায় আমি ব্যাক করে চলে এসেছিলাম করিম মোড়ে। এরপর গ্রামে ঢুকেই রফিকের বাড়ির সামনে ভাঙ্গার ওখানে এই হাতির সম্মুখীন হয়। ব্যাস টাকা যখন দিতেই হল সেলফি তুলে নিলাম।
বেশ ভালোই করেছেন।
বন্য হাতিকে ব্যবহার করে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা আমিও অনেক জায়গায় দেখেছি। এই কাজ নৈতিক কাজ না হলেও মানুষ তার নিজের স্বার্থে করে থাকে। এই কাজটি আমার দৃষ্টিকোণ থেকেও উচিত কাজ নয়।
জি ভাইয়া ধন্যবাদ
আপু আমিও এমনটা দেখেছি আমার শ্বশুরবাড়িতে অনেক আগে।অনেক দিন পর পর নাকি আসতো গ্রামে।সব বাসায় বাসায়, দোকানগুলো থেকে টাকা আদায় করতো।আসলে এমনটা করা উচিত নয়।বন্য পশুটি তো আর করেনা।করে পিঠের উপর বসে থাকা মানুষ টি।এটা মোটে ও ভালো কাজ নয়।
ধন্যবাদ আপু আপনারা মতামত প্রকাশ করার জন্য।
এই ব্যবসাটা বহু বছর ধরেই হয়ে আসছে, এবং এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নেওয়া হয় না। বন্যপ্রাণী দেখতে আমাদেরও ভালো লাগে কিন্তু রাস্তার মানুষদের এবং দোকানদারদেরকে খুবই হেনস্ত করা হয়।
আমি অনেকদিন ধরে এই ধরনের বন্যপ্রাণী নিয়ে ব্যবসা করতে দেখেছি ভাইয়া এটি সত্যি অনেক খারাপ।
আমাদের এখানেও কিছুদিন আগে এরকম একটা হাতি এসেছিল এবং সে টাকা আদায় করছিল৷ তবে জোর করে তাকে দিয়ে এরকম কাজ করানোটা একদমই অন্যায় কাজ৷ এরকম করা কখনোই ঠিক নয়৷ তাদেরকে এই প্রশিক্ষণগুলো দিতেও তাদের উপর অনেক নির্যাতন করা হয়৷ এভাবে তারা সবসময় নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে৷ তারা স্বাধীনভাবে চলাফেলাও করতে পারে না৷
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া তাদেরকে এরকম করতে অনেক ধরনের নির্যাতন করা হয়।
অবশ্যই বন্য প্রাণী দিয়ে এমন জোরপূর্বক টাকা আদায় করা টা অন্যায় এবং অমানবিক ও বটে! এরা সাধারণত সেই হাতিটিকে ব্যবহার করে। এবং হাতিকে এমন করর শিক্ষা দিতে হাতির উপর কম নির্যাতন ও করা হয় না! তারপরেও আমার যতটুকু ধারণা, এই হাতিটিকে তারা খুব একটা ভালো রাখতেও পারে না বা রাখে না। বন্যেরা বনেই সুন্দর! কিন্তু কিছু লালসাগ্রস্থ অমানুষ তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এমন অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ গুলো করে থাকে।
যখন আমি হাতিটির পাশে গেলাম তখন দেখলাম হাতির পা লোহার শিকল দিয়ে বাধা।
আসলেই এভাবে টাকা আদায় করাটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।কিন্তু আমাদের গ্রামে হাতি আসলে আমরা নানা কিছু খেতে দিতাম আর কেউ হাতির পিঠে চড়লে তবেই টাকা নিতো।আসলে অনেক দিন পর বন্যপ্রাণী এভাবে গ্রামে আসলে মজাই হয় কিন্তু মানুষ তাকে দিয়ে ব্যবসা করে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর বিষয় তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু