(এসো নিজে করি) ছেলের জন্য প্যান্ট তৈরি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একদম ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করব। সেলাই মেশিনে কাজ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আগে আমি এই কাজগুলো করতে পারতাম না। আমার মা অনেকদিন আগে থেকেই সেলাই মেশিনে কাজ করে। আর আমার মায়ের কাছ থেকে আমি এই হাতের কাজ শিখেছি। যদিও এখন তেমন একটা কাজ করি না তবে সুযোগ পেলেই কাজ করতে বসে যাই। সেলাই মেশিনে বসে নতুন নতুন ডিজাইনের জামা কাপড় বানাতে আমার একটু বেশি ভালো লাগে। তবে আপনাদের সাথে কখনো এই বিষয়ে কিছু শেয়ার করা হয়নি। তাই আজকে ভাবলাম ছেলের একটি হাফ প্যান্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করি। অনেক সময় আমাদের জামা কাপড় বানিয়ে অনেক কাপড় বেঁচে যায়। আর আজকে সেই বেঁচে যাওয়া কাপড় দিয়ে তৈরি করব ছোট বাচ্চাদের হাফ প্যান্ট। কিভাবে আমি প্যান্ট তৈরি করেছি সেটা এখন আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | কাপড় |
২ | কাপড় মাপা ফিতা |
৩ | কাঁইচি |
৪ | রাবার |
৫ | চক |
ধাপ-১
প্রথমে আমি একটি কাপড় নিয়ে ছয় মাসের বাচ্চার সাইজ অনুযায়ী কেটে নিলাম। এখানে আমি কিভাবে কাপড়টি কেটেছি সেটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করিনি কেননা এখানে আপনারা সাইজ অনুযায়ী কেটে নিতে পারেন। এখানে আমি যে কাপড়টি নিয়েছি এটা চারপাট রয়েছে।
ধাপ-২
এরপর কাপড়টি নিচের দিক অর্থাৎ মুহুরী দিকে আমি এক ইঞ্চি করে সেলাই করে দিলাম। ছোট বাচ্চাদের পায়ের দিকে এরকম মোটা ভাঙ্গা দিলে দেখতে ভালো লাগে। একই রকম করে প্যান্টের দুই পায়ের নিচের দিকে অর্থাৎ মুহুরী সেলাই করে নিলাম।
ধাপ-৩
এরপর প্যান্টের দুই পাশের হাই সেলাই করে নিলাম। এখানে আমি ছয় মাসের বাচ্চার সাইজ নিয়েছি ৭ ইঞ্চি। তবে আমরা যখন হাই সেলাই করব অবশ্যই ডাবল সেলাই দেব। কেননা এখানে সেলাই খুলে যাওয়ার ভয় থাকে।
ধাপ-৪
তারপর পায়ের নিচের দিকে অর্থাৎ মুহুরী দুই দিকেই ৬ ইঞ্চি করে মেপে নিলাম। এখন গরম তাই এখানে একটু বেশি করে নিয়েছি যেন প্যান্ট একটু ঢিলেঢালা হয়। তারপর সামান্য একটু অবশিষ্ট রেখে কাঁইচি দিয়ে বাকি অংশটুকু কেটে দিলাম।
ধাপ-৫
এরপর মুহুরী থেকে হাই পর্যন্ত ভালোভাবে সেলাই করে নিলাম। এখানেও দুইটা সেলাই দিতে হবে। আপনারা চাইলে এখানে পটি লাগাতে পারেন কিন্তু আমি দেইনি।
ধাপ-৬
এরপর রাবার ঘরের জন্য এক ইঞ্চি সেলাই করে নিলাম। এখানে আমি একটি রাবার ঘর করব। আপনারা যদি বড় বাচ্চাদের জন্য হাফ প্যান্ট তৈরি করেন তাহলে দুইটি রাবার ঘর দিবেন এতে কুচিগুলো বেশি হবে।
ধাপ-৭
এখন আমার সম্পূর্ণ প্যান্ট তৈরি করা হয়ে গেছে শুধু রাবার ঘরে রাবার লাগানো বাকি। এরপর আমি রাবার লাগিয়ে দিলাম।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আপনাদের মাঝে ভালোভাবে উপস্থাপন করার জন্য আমি আমার ছেলেকে প্যান্ট পরিয়ে দিয়েছি। এতে আপনারা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন কিভাবে আমি প্যান্ট তৈরি করেছিলাম। আশা করছি আমার পুরো পোস্ট ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে আমার আজকের পোস্ট তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আশা করছি ভালো লাগবে। আজকে এখানে শেষ করছি। আগামী দিন নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। আপনাদের সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
কাপড় কেটে খুব সুন্দর করে ছেলের জন্য প্যান্ট তৈরি করছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। প্যান্ট তৈরি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আসলে নিজে হাতে যে কোনো পোশাক তৈরি করতে পারলে খুব ভালো লাগে। সেলাই এর কাজ করতে পারেন জেনে বেশ খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার তো ভালই লাগে না এই ধরনের কাজ করতে কিন্তু আমার মায়ের কারনে এই কাজটি শিখেছি আল্লাহর রহমতে এখন বেশ ভালো লাগে কাজ করতে।
ছেলের জন্য প্যান্ট তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন চমৎকার আইডিয়া। আপনার পোস্ট দেখে যে কেউ চাইলে খুব সহজেই প্যান্ট তৈরি করতে পারবে। আপু আপনার ছেলে তো নতুন প্যান্ট পরে ভীষণ খুশি। ভালো লাগলো শুভ কামনা রইলো আপনার ছেলের জন্য।
ভাইয়া আমার ছেলে সব সময় হাসি খুশি থাকে।
আপু আপনি আপনার মায়ের কাছ থেকে হাতের কাজ শিখেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। এই ধরনের কাজগুলো যদিও পারি না। তবে শেখার খুবই ইচ্ছা আছে। ছেলের জন্য প্যান্ট তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আমার কাছে আগে তেমন একটা ভালো লাগবে না কিন্তু এখন শেখার পরে খুবই ভালো লাগে কাজ করতে।
বাহ খুবই ভালো লেগেছে। আমারও তো তৈরি করা প্রয়োজন। তবে আমার ছেলে পোরবে কিনা জানিনা। নতুন একটা ধারণা পেলাম। অসাধারণ এই পোস্ট দেখে। খুবই সুন্দর হয়েছে প্যান্ট তৈরি।
আপু বাচ্চাদের জন্য এই ধরনের নরম নরম কাপড়ের প্যান্ট খুবই ভালো। কেননা এখন অনেক গরম পরছে আর এই গরমের মধ্যে সুতি কাপড়ের জিনিস পড়লে একটু বেশি আরাম পাওয়া যায়।
আপনি আপনার মায়ের কাছ থেকে সেলাইয়ের কাজ শিখে গেল অনেক ভালো কাজ করেছেন। আজ এই সেলাই এর কাজ শিখেছিলেন বলে নিজের সন্তানের প্যান্ট নিজেই তৈরি করতে পারছেন।আপনি অনেক সুন্দর করে প্যান্টের সেলাই ধাপে ধাপে বুঝিয়েছেন।আপনার সেলাইয়ের কর্মদক্ষতা আরো বৃদ্ধি পাক এই শুভকামনা রইল।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া যদি আমি আমার মায়ের কাছ থেকে এই সেলাই কাজটি না শিখতাম তাহলে হয়তো বা নিজের ছেলের জন্য এরকম কিছু তৈরি করতে পারতাম না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমি জানি যে আপনার পুত্র সন্তান হয়েছে। দেখতে দেখতে আপনার ছেলে ভালো হয়েছে মনে হচ্ছে। আর আপনি আপনার ছেলের জন্যই খুব সুন্দর একটি প্যান্ট তৈরি করে ফেললাম দেখতে খুবই ভালো লাগছে। আপনার তৈরি করা প্যান্টি খুবই সুন্দর হয়েছে এবং আপনার ছেলেকে পড়ালে দেখতে আরো বেশি ভালো লাগবে। এত সুন্দর একটি প্যান্ট আপনি নিজেই তৈরি করেছেন জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে তৈরিকৃত প্যান্টের ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমার ছেলেকে তো প্যান্ট পরিয়ে আপনাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে উপস্থাপন করিয়েছি।
ছেলের জন্য নিজের হাতে অনেক সুন্দর একটি প্যান্ট তৈরি করেছেন। প্যান্টি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। প্যান্টিতে ছেলেকে বেশ ভালো মানিয়েছে। প্যান্ট তৈরির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নিজের হাতে ছেলের জন্য এরকম প্যান্ট তৈরি করতে পেরে আমার তো খুবই ভালো লাগছে ভাইয়া ধন্যবাদ।
ভালো লাগারই কথা আপু।
আপনার ছেলের জন্য খুবই চমৎকার একটি প্যান্ট তৈরি করেছেন আপু। খুবই নিখুঁত হাতে কাজটি সম্পূর্ণ করেছেন। প্যান্ট তৈরি করার প্রত্যেকটা ধাপ চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। যা দেখে সহজে কেউ তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি আপু প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। কেউ যেন আমার তৈরি করা প্যান্ট দেখে খুব সহজেই শিখে তৈরি করতে পারি।
ছেলের জন্য নিজের হাতে খুব সুন্দর একটি প্যান্ট তৈরি করেছেন আপু। প্যান্ট টি খুবই সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করেছেন। প্যান্ট টিতে আপনার ছেলেকে বেশ সুন্দর লাগছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন যে কেউ চাইলে খুব সুন্দর ভাবে এটি তৈরি করে নিতে পারবে। সুন্দর একটি প্যান্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।এভাবে একই রকম করে আরো অনেকগুলো প্যান্ট তৈরি করেছি আপু ।
আপনার মত সেলাই মেশিনের কাজ আমিও শিখেছিলাম অনেক আগে। ভালোই কাজ করতে পারতাম। কিন্তু এখন আর বসা হয় না সময়ের অভাবে। সেজন্য সব কিছু প্রায় ভুলতে বসেছি। যাইহোক আপু আপনার আজকের প্যান্ট বানানোটা খুব সুন্দর হয়েছে। বাবুকে পড়ানোর পর অনেক কিউট লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এই ধরনের হাতের কাজগুলো যদি অনেকদিন না করা হয় তাহলে আর মনে থাকে না আপু। আমি প্রথমে একটা শিক্ষা কেন্দ্রের শিখেছিলাম। কিন্তু সেভাবে তৈরি করা হতো না। পরবর্তীতে বাড়িতে আবার আমার মায়ের কাছ থেকে শিখে এখন আলহামদুলিল্লাহ একটু পারি।