জেনারেল রাইটিংঃ অনেকদিন পর আমাদের সকলের প্রিয় শেয়াল মামার সাথে দেখা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারো নতুন আরো একটা পোস্ট দিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। কিছুদিন আগের কথা যখন আমি আর আপনাদের ভাইয়া মোটরসাইকেলে করে সন্ধ্যার দিকে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে তখন দেখতে পেলাম রাস্তার উপরে একটা শেয়াল দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমাদের দেখে সাথে সাথে শেয়াল দিয়ে মাঠের দিকে নেমে যেতে শুরু করলো। আপনাদের ভাইয়া মজা করে আমাকে বলতে শুরু করলো ওই যে দেখো তোমাকে ভোট দেবার জন্য চলে এসেছে।
আসলে আমরা তো গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি আর গ্রাম অঞ্চলে শীত একটু আগে থেকেই চলে আসে। যেহেতু শীত চলে এসেছে তাই মাঠের দিকে শীতের পরিমাণটা একটু বেশি থাকে। আর যেহেতু লোকালয়ের দিকে শীতের পরিমাণটা একটু কম তাই শেয়ালগুলো এখন চেষ্টা করছে লোকালয়ের আশেপাশে থাকতে। যদিও লোকালয়ের আশেপাশে থাকা শেয়ালের জন্য অনেক কষ্টকর কেন না সেখানে তাদের জন্য অনেক হুমকি স্বরূপ পরিবেশ রয়েছে। মানুষ তাদেরকে দেখলেই তাড়া করতে শুরু করবে আর যদি তাদেরকে কুকুরে দেখতে পারে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। এমন তাড়া দিবে একবারে সীমানার বাইরে রেখে আসবে।
শিয়াল দেখতে পেরে আপনাদের ভাইয়া মোটরসাইকেল থামিয়ে দাঁড়ালো। আমরা লক্ষ্য করলাম শেয়ালটি কোনভাবেই মাঠের দিকে যেতে চাচ্ছে না। তখন আমরা বুঝতে পারলাম যে এই শেয়ালটি এখন লোকালয়ের দিকে যাবে কেননা লোকালয়ের দিকে তুলনামূলকভাবে একটু গরম বেশি রয়েছে। আবার এটাও হতে পারে শেয়ালটির খিদা লেগেছে তাই সে লোকালয়ের দিকে যাবে মুরগি চুরি করার জন্য। শীতের রাত আসলেই লোকালয়ের আশেপাশে শিয়ালের ডাক শুনতে পাওয়া যায়। কেননা রাতের বেলায় প্রচুর পরিমাণে শীত পড়ে আর শিয়াল গুলো তখন শীতের যন্ত্রণাতে অসহ্য হয়ে ডাকতে শুরু করে। আগে আমাদের এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে শিয়াল দেখতে পাওয়া যেত কিন্তু বর্তমান সময়ে আর দেখতে পাওয়া যায় না। অনেকদিন পরে আমাদের প্রিয় শেয়াল মামাকে দেখে অনেক ভালো লাগলো।
সাধারণত এই ধরনের প্রাণীগুলো খাবারের খোঁজে লোকালয়ের আশপাশে ঘোরাফেরা করে।
তবে গ্রাম অঞ্চলের থেকে এখন শহর বন্দর এই বেশি দেখা মেলে এই শিয়ালগুলো।
এর আগে আমি পদ্মা নদী ভ্রমণ করতে গিয়ে একটি শিয়ালের ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
শিয়ালের ফটোগ্রাফি এবং আপনার বর্ণনা ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। তবে আমি মাঠ থেকে এই শিয়ালের ফটোগ্রাফিটি ধারণ করেছিলাম।
খেয়াল মামা আমাদের সকলের পরিচিত ও ভালোবাসার প্রানী।আমিও বেশ কিছুদিন আগে মাঠে দেখতে পেয়েছিলাম, খুব মজা লাগতেছে যে ভোট দেয়ার জন্য চলে এসেছে 😅😅বাস্তবে যদি ভোট দিত তাহলে একটু একদম শেষ করে দিত আপনাদের 😅শীতের পরিমাণ কম থাকায় শেয়ালগুলা লোকালয়ে থাকতে পছন্দ করে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগছে পাটগুলো বড় হলে আরো শেয়াল গুলি ভালভাবে থাকতে পারবে,আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আমাদের বাড়ির পাশে অনেক শিয়াল ডাকছিল কালকে। ধন্যবাদ চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য
আমিও যখন প্রথম শিয়াল টি দেখলাম তখন আপনার ভাইয়াকে বললাম ওই দেখো সাইফক্স এসেছে আমাদের ভোট দেওয়ার জন্য।
বাহ্ আপু আপনার তো কপাল। আজকাল শেয়াল মামা আপনাকে ভোট দেওয়ার জন্য আপনার চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। ভাবছি যে এত শীতের মধ্যে সেই শেয়াল মামা কে ছাড়লেন কি করে। অবশ্য আপনারা রাস্তাটি একটু ক্লিয়ার করে দিলেই কিন্তু শিয়াল মামা গ্রামে ঢুকে পেটে কিছু দিতে পারতো।
হুম ঠিক বলেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমানে গ্রামগঞ্জে প্রচুর শীত পরছে গ্রামগঞ্জে প্রচুর শীত পড়লেও লোকালয়ের দিকে একটু ঠান্ডা হয়েছে। আরে শীতের সময়ে মাঠে থাকাটা শিয়ালের জন্য খুবই কষ্টকর যার কারণেই হয়তোবা লোকালয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। মোটরসাইকেল থামিয়ে শিয়াল দেখে অনেক রকম চিন্তাভাবনা করেছেন সব রকম চিন্তা ভাবনাই আসলে ঠিক হয়তোবা খাওয়ার জন্য লোকালয়ের দিকে যাচ্ছে কোন মুরগির খোঁজে হাহাহা। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোষ্ট তুলে ধরার জন্য।
আমাদের এই দিকে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা থেকে শুরু সারারাত শেয়াল টাকে।
আমার অবশ্য প্রায় প্রত্যেক দিনই শিয়াল মামার সাথে দেখা হয়। কালকেও দেখা হয়েছিল বাদিয়াপাড়ার রাস্তায়। এছাড়া পুকুরে গেলেও প্রাইস চোখের সামনে বাধে। যাইহোক ক্যামেরা বন্দি করতে পেরেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।
শেয়াল দেখে ভাবলাম আপনাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করি।
শেয়াল মামা তো দেখছি একদম শীতে কিংবা ক্ষুধায় কাহিল হয়ে গেছে এবং লোকালয়ে আসার চেষ্টা করছে।আসলে লোকালয়ে আসলে হাঁস মুরগি পাওয়া যাবে আবার কিছুটা শীত থেকে নিস্তার পাবে।লোকালে খরের গাদায় আরামে ঘুমাতে পারবে কিন্তুু যদি কোন কুকুর কিংবা মানুষ শেয়াল মামাকে দেখতে পায় তবে সীমানার বাইরে নিয়ে যাবে তাড়িয়ে।আপনারা বাইক দাঁড় করিয়ে বেশ ভালো ফটোগ্রাফি করেছেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
অতিরিক্ত শীতের মধ্যে শিয়াল তো আমাদের বাড়িতে চলে আসে আপু। ভাবছি এবার শিয়াল আসলে ধরে রেখে দেবো ভোট নেওয়ার জন্য হাহাহা।
যাইহোক আমাদের ভাইয়ের সাথে মোটরসাইকেল করে যাওয়ার সময় শিয়াল মামাকে দেখেছেন। এবং দাঁড়িয়ে শিয়াল মামার ফটোগ্রাফিও করলেন। তবে এটি ঠিক গ্রামাঞ্চলে শিয়াল অনেক দেখা যায়। আমাদের এদিকে সন্ধ্যার পরে শিয়ালের অনেক ডাক শোনা যায় এবং বাড়ির আশেপাশে শিয়াল আসে। শিয়ালকে দেখলে মানুষও তাড়া করে এবং কুকুর দেখলে তারাও তাড়া করে। এই শিয়াল গুলো শীতকালে বেশি দেখা যায় গ্রামাঞ্চলে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্ট করার জন্য।
শীতকালে মাঠে একটু বেশি ঠান্ডা পড়ে তাই শেয়াল গুলো লোকালয়ের দিকে চলে আসে।
অনেকদিন পরে আপনার মাধ্যমে শেয়াল মামাকে দেখতে পেলাম।আমাদের গ্রামের বাড়ির লেবুর বাগানে সন্ধ্যার পরে শেয়াল মামারা ঘুরাঘুরি করতো। লেবু গাছ কেটে ফেলার পর শেয়াল মামাদের আর দেখিনি।শেয়াল মামারা যে বাড়ির কত হাঁস--মুরগী খেয়েছে তার হিসাব নেই।শেয়াল মামার সাথে দেখার অনুভুতি এত সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া শিয়াল হাঁস মুরগি অনেক খায় আমাদের এখানেও ধন্যবাদ।
অনেকদিন হলো শেয়াল মামার সাথে দেখা হয় না তার সাথে গল্পটাও করা হচ্ছে না। গ্রামে গেলে হয়তো তার দেখা পাব হয়তো শুনতে পাবো তার গলার আওয়াজ। আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
শুধু গ্রামে কেন ভাইয়া এখন শীতকালে শহরে তো শেয়াল দেখা যায় প্রায়।
শহরে বের হতে ভয় লাগে যদি কেউ ধরে নিয়ে যায় 😃😃😃 আমি তো থাকি ব্যস্ততম নগরীতে এখানে মানুষ অনেক বেশি সেজন্য শিয়ালের দেখা মিলে না
ওহ আচ্ছা। তবে অনেক সময় খাবারের খোঁজে শিয়াল গুলোকে শহরের রাস্তায় দেখা যায়।