আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার ,২৪ জানুয়ারি ২০২৪
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। গত কয়েকদিন যাবত আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন আমাদের দেশের শীতের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ আমাদের দেশের উপর দিয়ে শৈত্য প্রবাহ চলছে যার কারণে শীতের পরিমাণটা অন্যান্য বছরে তুলনায় এবার একটু বেশি রয়েছে। আবহাওয়া বার্তার সূত্র অনুসারে দেশের ২৬ টি জেলার উপর দিয়ে এই শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করছে। সেই জেলাগুলোর মধ্যে আমাদের জেলাটিও রয়েছে। আমি কালকে টিভিতে খবরে দেখেছিলাম আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গাতে ৬ সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল এবং আমাদের জেলাতে সেটা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকে সকালে মোবাইলের ওয়েদার অ্যাপসে যখন প্রবেশ করলাম তখন দেখতে পেলাম আমাদের জেলার তাপমাত্রা বর্তমানে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাহলে বুঝুন যে এই তীব্র শীতের মধ্যে আমাদের জীবন ধারণ করাটা কতটা কঠিন হয়ে গিয়েছে। বড়দের ক্ষেত্রেই জীবন ধারণ করার কঠিন হয়ে গিয়েছে তাহলে বুঝুন আমার ছেলের বয়স মাত্র একমাস তাহলে তার জন্য কতটা কষ্টের বিষয়। তারপরও সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তাকে যেন ভালোভাবে সুরক্ষিত রাখা হয়। কারণ একটু অবহেলা হলেই খুব সহজে তার ঠান্ডা লেগে যাবে। এজন্য গত কয়েকদিন যাবত বেশিরভাগ সময় আমাদের বাড়িতে আগুন জ্বালানো থাকে যেন বাড়ির তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাই।
কারণ এই আবহাওয়াতে যেকোনো ভাবেই আমাদের বাড়ির তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে হবে কেননা আমার ছোট ছেলের জন্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি করাটা খুবই জরুরী। বর্তমান সময়ে শুধু মাত্র যে ছোটদের জন্যই গ্রাম অঞ্চলে বড়রা এখন আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ শীতের প্রভাব এতটাই ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে যা গরম কাপড়ের দ্বারাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য গ্রাম অঞ্চলগুলোতে যেখানেই লোকসমাগম হচ্ছে ঠিক সেই জায়গাতেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের দৃশ্য চোখে পড়ে।
এই শীতের মৌসুমে আপনাদের এলাকার মানুষেরা কিভাবে শীত নিবারণ করছে সেই বিষয়টা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি একজন গৃহিণী। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যখনই সময় পাই এজন্য আপনাদের মাঝে আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করে থাকি। এছাড়াও রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নানা ধরনের চিত্র অঙ্কন করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে এখন তীব্র শীত পড়ছে। গত দুইদিন শীতের কারণে মেহেরপুর জেলাতে স্কুল কলেজ সব বন্ধ ছিল। আমার নিজের কাছেও আগুন জ্বালিয়ে গা গরম করতে বেশ ভালো লাগে কিন্তু গা একটু গ্যাস করে। তবে শীত পড়ছে তাই কিছু করার নেই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আগুন জ্বালিয়ে গা গরম করলে তো কাঠ পড়ার ধোয়া গায়ে লেগে যায়। তাই ধোয়া ধোয়া একটু গন্ধ বের হয়। তবে ক্ষণিকের এই আরামের বিষয়টা দারুন।
খুব সুন্দর ব্যাবস্থা করেছেন আপু শীতনিবারনের। আমাদের বড়োদের যেখানে শীতে কাহিল অবস্থা সেখানে ছোট বাচ্চাদের তো একদম আরো বেশি অবস্থা খারাপ শীতে।একটু যত্নের অভাব বা বেখেয়ালি হলেই মারাত্মক সমস্যা হয়ে যাবে বাবুর। ছোট বাচ্চাও বয়স্কদের ভীষণ সাবধানে রাখা দরকার এমন শীতে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।
কি আর করব বলেন আপু প্রচন্ড শীত পড়ছে তো।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সব জায়গাতে অনেক ঠান্ডা পড়তেছে। আমাদের এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি । তবে এটি ঠিক এই ঠান্ডায় যেমন বড়রা কষ্ট করতেছে। আর ছোট বাচ্চাগুলোর জন্য তো আরো বেশি কষ্টকর। আর এই মুহূর্তে ছোট বাচ্চাদেরকে খুব সাবধানে রাখতে হবে বিশেষ করে একদম ছোট গুলোকে। আমাদের এদিকে সকালবেলা দেখি অনেকে এভাবে আগুন জ্বালিয়ে তাপমাত্রা নিয়ে থাকে। আসলে শীতের কারণে মানুষের জীবন অনেক হুমকির মধ্যে। অনেকে বলে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এই বছর ঠান্ডা অনেক বেশি। যাহোক খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও অনেকের কাছ থেকে শুনলাম অনেকদিন ধরে এরকম ঠান্ডা পড়েনি। তবে এটা সত্যি যে এ বছর অনেক বেশি ঠান্ডা পড়ছে।
ঠিক বলেছেন আজ কয়দিন শীতের তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। আমার ছোট মেয়েটাকে রাখতেও অনেক অসুবিধা হয়। কারণ এই ঠান্ডায় ঘরেও ভালোভাবে থাকা যায় না। তাছাড়া বাহিরে যেতেও অনেক সমস্যা হয়। ঠিকভাবে তো রোদও উঠে না। তাছাড়া যদি বাহিরে রোদ উঠে তাহলে কিছুক্ষণ বাহিরে গিয়ে বসাও যেতে পারে। কিন্তু সবদিক থেকে শীতটা যেন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আপনারা মাঝেমধ্যেই এভাবে আগুন জ্বালিয়ে থাকেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার বাচ্চাকে অনেক ভালোভাবে খেয়াল রাখবেন। যাতে বাচ্চাদের অসুবিধা না হয়। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ঠান্ডায় না ঘরে থাকা যাচ্ছে আর না বাইরে যাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ছোট বাচ্চাদের নিয়ে তো একটু বেশি অসুবিধা হচ্ছে।