অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলল
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার,৫ মে ২০২৪
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। দীর্ঘ এক মাস আমাদের দেশে তাপদাহ চলমান ছিল। আর এই তাপদাহের কারণে মানুষ পশুপাখি সহ সকল জিনিসের জীবন ধারণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে গতকাল রাতে আমাদের এলাকাতে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেয়েছি। গত কয়েকদিন যাবত দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি লক্ষ্য করলেও আমাদের এলাকাতে আমরা বৃষ্টির কোন দেখা পাচ্ছিলাম না। যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছিল না তাই তাপমাত্রা ও কোনভাবেই যেন কমের দিকে আসছিল না আমাদের এলাকাতে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছিলাম প্রতিনিয়ত এই আমাদের এলাকাতে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকতো। আর এই তীব্র তাপদাহের কারণে আমাদের এলাকার বেশিরভাগ পুকুরের পানি প্রায় শুকিয়ে যাচ্ছিল। আমরা এমনও লক্ষ্য করেছি যে আমাদের এলাকার বেশিরভাগ টিউবওয়েল থেকে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
এই তাপদাহের কারণে গাছপালা ও শুকিয়ে যেতে শুরু করেছিল। তাহলে ভাবুন কতটা কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করেছিল পুরো এলাকা। অবশেষে মহান সৃষ্টিকর্তা স্বস্তির বৃষ্টি দিয়ে আমাদের এলাকাকে ঠান্ডা করে দিয়েছেন আর প্রত্যেকটা জিনিস এখন আবারো আগের মতো করে জীবন ধারণ করতে শুরু করেছে। গতরাতে বৃষ্টি হবার পরে আমি সকালের দিকে একটু বাইরে আসলাম পরিবেশের ফটোগ্রাফি ধারণ করার জন্য। তখন আমি লক্ষ্য করে দেখলাম এক রাতের এই বৃষ্টিতেই আমাদের এলাকার সকল গাছপালা আবারও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। গাছপালা আবারো সবুজে সতেজ হয়ে যেতে শুরু করেছে।
উপরের ছবিতে আমি আমাদের বাড়ির পাশের একটা পুকুরের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। গতকাল সন্ধ্যায় ও এই পুকুরে কোন পানি ছিল না অর্থাৎ পুরোটাই শুকিয়ে। এক রাতের এই বৃষ্টিতে পুকুরটা যেন আবার প্রাণ ফিরে পেল। এই পুকুরের পানি দেখেই বুঝতে পারা যাচ্ছে গতরাতে আমাদের এলাকাতে কতটা বৃষ্টি হয়েছে।
আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না। গত রাতের এই স্বস্তির বৃষ্টিতে আমরা সকলে অত্যন্ত খুশি। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী দিনে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলেই গতরাতে ভালই বৃষ্টি হয়েছে। আর এই বৃষ্টির ফলে আমাদের এলাকাতে যে তাপ দেহ ছিল তার অবসান ঘটলো। কালকে রাতে যেখানে গরম লাগছিল আজকে সেখানে শীত লাগাতে শুরু করেছে।
আসলেই বৃষ্টি টা আমাদের অনেক স্বস্তি দিয়েছে। গরমের তার সহ্য করতে করতে অসহ্য এখন একটু শীত অনেক ভালো লাগছে।
জায়গাগুলো আমার খুবই চেনা 🙂। অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি এসে সত্যিই জায়গাগুলোর চেহারাটাই পাল্টে দিয়েছে। আসলে এই বছরে যে পরিমাণ গরম পড়েছে আমার মনে হয় বিগত ৪/৫ বছরের এমন গরম পড়ে নাই তাও অবশেষে বৃষ্টি এসে সত্যি মনে হয়েছে ধরণি টা এবার ঠান্ডা হয়ে গেল।
নিজের গ্রাম তাহলে চেনা হবে না। সত্যি ভাইয়া এই বছর যেমন গরম পড়ল কোনদিন এমন গরম আমি অনুভব করিনি ।
যেহেতু পানি জমে গিয়েছে তাই বোঝা যাচ্ছে আপনাদের এলাকায় বেশ ভালো বৃষ্টি হয়েছে তবে আমাদের এলাকার তুলনায় আপনাদের এলাকায় বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে মনে। যাই হোক যেমনি হোক না কেন বৃষ্টির ফলে পরিবেশটা আপাতত অনেকটা ঠান্ডা হয়েছে তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে।
জ্বী ভাইয়া অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছিল তবে রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বৃষ্টির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারিনি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
একফোঁটা পানির জন্য মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। চারদিকে যে তাপদাহ চলছে তাতে করে বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন ছিলো। আপনাদের এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে যেন খুবই ভালো লাগলো। বৃষ্টিতে হয়তো আপনাদের এলাকায় গরমের ভাব অনেকটা কমে গেছে। আশা করছি খুব দ্রুত সব এলাকায় বৃষ্টিপাত হবে এবং গরমের অবসান ঘটবে।
অল্প একটু বৃষ্টি হলেও অনেকটাই আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে গেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া
জী আপু অবশেষে সেই কাংখিত বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়েছি। এখন লাগাতার তিন দিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। গাছ গুলো যেন নতুন জীবন পেয়েছে। বৃষ্টি নিয়ে আপনার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
আপনাদের ওইদিকটাতে তাহলে বৃষ্টি কিছুটা দেরি করে হয়েছে আপু। কারণ আমাদের এইদিকে এবং বাংলাদেশের অনেক জায়গায় বেশ কিছু দিন আগে থেকেই ভালো রকমের বৃষ্টি হচ্ছে। পুকুর শুকিয়ে যাওয়া কিংবা টিউবয়েলে ঠিকঠাক করে জল না আসার ব্যাপারটা আমাদের এই দিকেও হয়েছিল। অন্যদিকে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, কতটা বৃষ্টি হয়েছিল আপনাদের ওইদিকে। যাইহোক, অবশেষে বৃষ্টির কারণে স্বস্তি পেয়েছেন, এটাই অনেক।