লাইফস্টাইলঃ আবু রায়হানের বেড়ে ওঠার ১০ মাস
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্টে নিয়ে হাজির হলাম। সময় যতই যাই সব কিছুর পরিবর্তনও ঠিক সেভাবেই হয়ে যায়। কিছুদিন আগে আমার একটি ছেলে সন্তান হয়েছিল আপনারা সবাই জানেন। ওর নাম রেখেছি আবু রায়হান। দেখতে দেখতে যে কবে ছেলেটা বড় হয়ে যাচ্ছে বুঝতেই পারছি না। এখন ও যত বড় হচ্ছে ততই ওর ছোটবেলাটা ভীষণ মিস করছি। বর্তমান আমার ছেলের বয়স ৯ মাস ১৪ দিন। আজকে আবু রায়হানের ছোট থেকে বড় হয়ে হাঁটতে শেখার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমার ছেলে যখন খুব ছোট তখন ভাবতাম কবে ও বড় হবে, কবে কথা বলবে ,কবে হাঁটতে শিখবে বিভিন্ন বিষয়ে মাথায় ঘুরপাক খেত। এখনো সব সময় ওকে নিয়ে চিন্তায় থাকি। ও যখন হামাগুড়ি দিতে শিখল তখন থেকে এটা ধরা, ওটা ধরা পড়ে যাওয়া বিভিন্ন কিছু হয়। সত্যি সন্তানদের কে নিয়ে মা-বাবার কতই না চিন্তা। আবু রায়হানের বেড়ে ওঠা দেখতে আমার যেন ভীষণ ভালো লাগে। ওকে এত কাজ থেকে বেড়ে উঠতে দেখে সবকিছুই আমার কাছে নতুন মনে হচ্ছে। বলতে পারেন মা হিসেবে নতুন অভিজ্ঞতা আমার ভিতর সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রথমে আবু রায়হান বিভিন্ন ধরনের শব্দ করতো। আর এখন আব্বা, আব্বু ,বাবা,মা,নানা,আপু,বু ,মামা,ও মা এগুলো স্পষ্ট ভাবে বলতে পারে। এছাড়াও আরো অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের শব্দ করে। ও মাত্র পাঁচ মাস বয়স থেকেই ওর আব্বু কে ডাকে। এমনকি এখন পর্যন্ত আমি যদি মায়ের বাসায় থাকি তাহলে ওর আব্বুর সাথে শুধু ভিডিও কলে কথা বলে। ফোনে অন্য কারো সাথে কথা বলে না। আর ওর আব্বুকে ও এত চিনে যে আমার কাছে থাকলেও ওর আব্বুর কোলে চলে যায়। আর আমাদের বাড়িতে আসলে ওর নানার কাছে। মনে হয় সবার থেকে এই দুটো মানুষকেও ভীষণ ভালোবাসে। বাবুর বয়স যখন ৬ মাস তখন থেকেই ও ভালোভাবে বসা শিখে যাই এরপর হামাগুড়ি দিতে শুরু করে। বাচ্চারা হামাগুড়ি দেওয়া শিখলে তো ভীষণ সমস্যা বারবার এদিক ওদিক চলে যায়। তাহলে এ বিষয়ে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করি। আমরা মায়ের বাসায় ছিলাম আবু রায়হান ঘুমিয়ে আছে ওকে খাটের উপর শুয়ে রেখে আমি গোসল করতে গেছি। আমার বোন বাইরে বসে ওকে দেখছে। হঠাৎ আবু রায়হান ঘুম থেকে উঠে হামাগুড়ি দিয়ে খাট থেকে নিচে পড়ে যায়। তবে তেমন একটা ব্যথা পেয়েছিল না। আমি তো ভয়ে একদম শেষ। এরপর থেকে কখনো আর ওকে একা বিছানায় শুয়ে রাখেনি।আবু রায়হানের বয়স যখন সাত মাস তখন থেকে ও উঠে দাঁড়ায়।
এরপর আস্তে আস্তে ও এটা ওটা ধরে হাঁটতে শুরু করে। তারপর ৮-৯মাসেই একা একা এটা ওটা ধরে হাঁটতে শিখে যায়। তবে এখনো একা একা হাঁটতে শেখেনি। এর মাঝে আবার ওর ভীষণ জ্বর আর বমি হয়। এই অসুখে আমার ছেলেটা অনেক দুর্বল হয়ে যায়। এখন খাওয়া-দাওয়া টাও আগের মতো করেনা। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য। আবু রায়হান যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। আজকে বিকেলে ওকে জুতা পায়ে দিয়ে রাস্তায় হাটকে নিয়ে গিয়েছিলাম। বাইরে একটু ঘুরে বেড়ালে ও ভীষণ আনন্দে থাকে। আমার মেজ আব্বুর বড় মেয়ে ওকে হাত ধরে হাঁটা শেখাচ্ছিল।আর তখনই আমি ফটোগ্রাফি টা ধারণ করি। যাইহোক আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাচ্চার বয়স দশ মাস হয়ে গেছে। জেনে ভালো লাগলো। আস্তে আস্তে হাঁটা শিখে যাবে। দাঁত উঠবে। কথা বলবে। অন্যরকম ভালোলাগা মনের মধ্যে কাজ করবে নিজের সন্তানকে দেখে। যাই হোক অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি পোস্ট দেখে।
নিচে একটি দাঁত উঠেছে আপু আরেকটি ও উঠছে। ধন্যবাদ আপু।
সময় খুব দ্রুতই পার হয়ে যায়। দেখতে দেখতে আপনার বাবুর বয়স 10 মাস পূর্ণ হয়ে গেল এটা ভেবেই অবাক হয়ে যাচ্ছি। আমার তো মনে হচ্ছে এই তো সেদিন ছোট্ট বাবুটাকে দেখলাম।
ঠিক বলেছেন আপু সময় খুবই দ্রুত চলে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।