ফুচকা ও চটপটি খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সদস্যরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আবার আপনাদের মাঝে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। এবার আপনাদের মাঝে আমার একটা মুহূর্তের কথা বলব। আজকে আমি আর আমার মামী গাংনী হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আমি একটু অসুস্থ থাকায় ডক্টরের কাছে গিয়েছিলাম। ডক্টর খুব তাড়াতাড়ি দেখানো হয়ে যায়। এবং রিপোর্টও ভালো আসে। তাই আমরা একটু রেস্টুরেন্টে যাই। সেখানে আমাদের একটি সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত হয়। আসলে এর আগে আমি একা একা কখনো গাংনী বাজারে যায়নি। তো আমাদের কাজ যখন খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এবং হাতে অনেক সময় থাকে। তাই আমি ভাবলাম একটু ফুচকা ও চটপটি খাওয়া যায়। এতে মামী ও রাজি হয়ে গেল। এরপর আমরা দুজনে চলে গেলাম একটা রেস্টুরেন্টে। আর আমাদের কাটলো সুন্দর একটি সময়।
আসলে ফুচকা এবং চটপটি খেতে আমাদের দুজনেরই খুব পছন্দ ছিল। আমার তো ফুচকা খেতে সেই ভালো লাগে। তারপর আবার আকাশে অনেক মেঘ হয়েছিল। বাইরে ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছিল। তাই আমরা দুজনে চটপটি ও ফুচকা অর্ডার করি। এবং কিছুক্ষণের মধ্যে খাবার চলেও আসে। আমরা একটি ফুড ফেস্টিভাল এ গিয়েছিলাম। ওখানকার চটপটি এবং ফুচকা অনেক ভালো লাগে খেতে। আমার তো চটপটি থেকে ফুচকা খেতে বেশি ভালো লাগে। আমরা খাবারটি খেতে খেতে হঠাৎ বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি এলো। আমরা যেহেতু ভেতরে ছিলাম তাই তেমন একটা বুঝতে পারিনি। বের হবার পরে বুঝতে পারলাম যে বাইরে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। তবে ঠাণ্ডা আবহাওয়া অনেকটা বোঝা যাচ্ছিল। বৃষ্টির সময় চটপটি ও ফুচকা খেতে অনেক ভালো লাগে। আর অন্যদের কেমন লাগে তা বলতে পারবো না। আমরা খাওয়ার সময় অনেক গল্প করলাম। আমাদের আশেপাশে ও অনেক লোকজন ছিল। তারাও বিভিন্ন কিছু অর্ডার করেছিল এবং গল্প করছিল।
সময়টা বেশ ভালই কাটছিল। ওখানকার ফুচকা খেতেও বেশ স্বাদের। ফুচকার ভেতরে বিভিন্ন আইটেম দিয়ে থাকে। এক প্লেটে আটটা করে ফুচকা থাকে। ফুসকার ভেতরে অনেক কিছু দিয়ে আলু ভর্তা ও উপরে ডিম ছিটিয়ে দেয়। এবং প্রতি প্লেটের সাথে এক গ্লাস টক দিয়ে থাকে। টক দিয়ে ফুচকা খেতে তো অনেক ভালো লাগে। আমিতো গাংনীতে গেলে ফুচকা না খেয়ে বাসাতে আসিনা। তবে চটপটি টা অনেক ভালো লাগে। এছাড়াও রেস্টুরেন্টে আরো অনেক কিছু ছিল। আমার মামি তেমন একটা ফুচকা পছন্দ করে না। তবে তার প্রিয় চটপটি। তাই আমরা এক প্লেট ফুচকা নেই। কিন্তু পরবর্তীতে আবারো এক প্লেট ফুচকা অর্ডার করতে হয়েছিল। ফুচকা এর ছবি দেখলেই যেন জিভে কেমন জল চলে আসে। পছন্দের খাবার দেখলে মনে হয় এমনই হয়।
খাওয়া দেয়ার সাথে সাথে কিছু গল্প ও আড্ডা দিলাম। চটপটি টা প্রচুর গরম ছিল। তাই আমাদের একটু দেরি হয়েছিল।এরপর আমরা ওখান থেকে কিছু আইসক্রিম কিনি এবং চলে আসে। আসলে বলতে গেলে ফুচকা ও চটপটি খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল।ওখান থেকে আসার পর আমরা একটু মার্কেটে যাই। এবং সেখানেও ঘোরাঘুরি করে। মামি কিছু টুকটাক জিনিস ও কেনাকাটা করে। তারপর আমরা মার্কেট থেকে বেরিয়ে একটু ফলের বাজারে যাই। সেখান থেকে কিছু ফল কিনি। বলতে গেলে আজকে আমরা প্রচুর ঘুরে বেরিয়েছিলাম। আবহাওয়াটাও বেশ ভালো ছিল। তাই ঘুরতে কোন অসুবিধা হয়নি। এরপর আমরা অটোতে করে বাড়ির জন্য রওনা দিয়ে। যখন আমরা অটোতে চড়ি তখন অনেকটা মেঘ ছিল আকাশে। বাড়িতে আসার পর প্রচন্ড বৃষ্টি নামে। তবে আজকের দিনটা অনেক ভালোই কেটেছিল। আজকে এই পর্যন্তই শেষ। আগামী দিনে নতুন একটি পোস্ট দিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবার চেষ্টা করব। আর আপনাদের কাছে ফুচকা ও চটপটি খেতে কেমন লাগে তা অবশ্যই জানাবেন। এতক্ষণ আমার পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ডক্টর দেখানো তাড়াতাড়ি শেষ হওয়ায় আপনি এবং আপনার মামি খুব মজা করেই ফুচকা এবং চটপটি খেয়েছে, যা আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমেই বুঝতে পারলাম।ফুচকা এবং চটপটি খাওয়ার এত সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ডক্টর দেখাতে গিয়ে এই মজার খাবারগুলো খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ফুচকা চটপটি এগুলো সবার কাছেই অনেক পছন্দের খাবার। আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক লোভনীয় লাগছে। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
আসলে পড়ন্ত বিকেলে গোধূলি সন্ধ্যায় ফুচকা ও চটপটি খাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অন্যরকম হয়ে থাকে। ফুচকা ও চটপটি খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনারা দুইজন বেশ সুন্দর ভাবে ফুচকা খাওয়ার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ডাক্তার দেখিয়ে ফুচকা খাওয়ার চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ডাক্তার দেখাতে গিয়েই রেস্টুরেন্টে চলে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ফুচকা এবং চটপটি আমারও অনেক পছন্দের। আপনারা দুজন মিলে অনেক চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ে ফুচকা ও চটপটি সকলের কাছে খুবই কমন ও প্রিয় খাবার। আর তাইতো বাইরে গেলেই বেশিরভাগ সময় সকলেরই নজর থাকে ফুচকা ও চটপটির দিকে। যেহেতু ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় আপনার মামী ও আপনি মিলে স্বাদের এই ফুচকা ও চটপটি খেয়েছেন, নিঃসন্দেহে আপনাদের এই সময়টি খুবই ভালো কেটেছে তা পোস্ট পড়েও বুঝতে পারছি। বেশ কিছুটা অসুস্থ হলেও ডাক্তার দেখিয়ে ফুচকা খেয়েছেন আবার টুকটাক কেনাকাটা করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ফুচকা ও চটপটি খাওয়ার সুন্দর অনুভূতিটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদের ফুচকা এবং চটপটি খাওয়ার খাওয়ার অনুভূতি দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে, প্লেটটা আমার সামনে নিয়ে এসে আমি তাড়াতাড়ি করে খেয়ে ফেলি। ফুচকা ও চটপটি বেশ মজা করে খেয়েছিলেন, আপনি এবং আপনার মামি যা দেখেই বুঝতে পারছি। আর ফুচকা চটপটি গুলো দেখে বুঝতে পারছি এগুলো অনেক বেশি মজাদার ছিল। কোথাও গেলে যদি ফুচকা চটপটি খাওয়া যায়, তাও এরকম ঠান্ডা পরিবেশে তাহলে তো কোন কথা নেই।
মামির সাথে দেখছি বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করে ফুচকা চটপটি খেয়েছিলেন। আসলে হাতে সময় থাকলে এভাবে খাওয়া-দাওয়া অথবা ঘোরাঘুরি করলে কিন্তু খুব ভালো লাগে। দুইজনে মিলে অনেক মজা করে ফুচকা চটপটি খেয়েছিলেন, যা দেখে ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলি ফুচকা গুলো। যদিও আমার বেশি ইচ্ছে করছে চটপটিটা খেয়ে ফেলতে। যাই হোক আপনি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে সেগুলো ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।