লাইফস্টাইলঃ বিজয় দিবসের পিকনিক
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারো নতুন আরো একটা পোস্ট দিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। কিছুদিন আগেই শেষ হয়ে গেল মহান বিজয় দিবস আর এই বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে অনেকেই অনেক ধরনের আনন্দঘন মুহূর্ততে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অনেকেই দেখেছি রাতের বেলায় পিকনিক করেছিলেন কিন্তু আমরা যেহেতু মেয়ে তাই রাতে আমাদের পক্ষে পিকনিক করাটা সম্ভব নয়। এজন্য আমরা বাড়ির আশেপাশের কয়েকজন মেয়েরা একত্রিত হয়ে দিনের বেলাতেই পিকনিক করেছিলাম। ছোটবেলা থেকেই আমরা বিজয় দিবসের এই দিনে পিকনিক করে থাকি। যেহেতু ছোটবেলা থেকে এই পিকনিক করা হয় তাই এই দিনটা আসলেই পিকনিক করতে ইচ্ছা হয়। যদিও প্রথমের দিকে পিকনিক হবে কিনা তেমন বিষয় নিয়ে সন্দেহ ছিল কিন্তু যখনই দিনটা চলে আসলো তখনই আমরা সবাই একত্রিত হয়ে পিকনিক করার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে গেলাম।
যেহেতু আমরা মেয়েরা মিলে পিকনিক করেছিলাম তাই আমাদের পিকনিকের বাজেট ছিল একটু সীমিত। সীমিত বাজেটের মধ্যেই আমরা চেষ্টা করেছিলাম আমাদের পিকনিক টাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে। এজন্য আমরা প্রত্যেকের বাড়ি থেকে একটি করে ডিম সংগ্রহ করেছিলাম এবং মুরগির মাংস ক্রয় করেছিলাম। আর সেই মুরগির মাংস দিয়েই আমাদের প্রধান পিকনিক টা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যখন আমাদের পিকনিক করার জন্য টাকা থাকতো না তখন আমার বাড়ি থেকে ডিম এবং চাউল তুলতাম এবং একত্রিতভাবে পিকনিক শুরু করে দিতাম। শুধুমাত্র এই দুইটা জিনিস যে বাড়ি থেকে নিতাম তা কিন্তু নয় পিকনিকের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণও আমরা বাড়ি থেকেই সংগ্রহ করতাম।
মুরগির মাংস এবং ভাত রান্না শেষ হয়ে যাবার পরেই শুরু হয়ে গেল সকলের একত্রিত হয়ে খাওয়া-দাওয়া করা। পিকনিকে সবথেকে আনন্দঘন মুহূর্ত হচ্ছে একই সাথে সকলে মিলেমিশে খাওয়া-দাওয়া করা। বিজয় দিবসের এই পিকনিকের বিষয়টি আপনাদের কাছে কেমন লাগে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আর বিজয় দিবসের পিকনিক নিয়ে যদি আপনাদের কোন স্মৃতি থেকে থাকে সেটাও আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী দিনে আপনাদের মাঝে নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বিজয় দিবসের পিকনিক এর পোস্ট। ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যেকটা বাঙালির জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন। এই দিনে আমরা বাঙালিরা স্বাধীনতা লাভ করতে পেরেছি। বাংলার তরুণ ছেলেদের তাজা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। সে সকল শহীদদের জন্য আমরা আজ এই মহান দিনটিকে অনেকে অনেক রকম ভাবে উদযাপন করে থাকি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পিকনিকের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
স্বাধীনতার সাথে সাথে পিকনিক বিষয়টা ভাবতেই ভালো লাগে।
আসলে মেয়েরা সবক্ষেত্রে একটু চাপাবাজ হয় সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।আপনি সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন বিজয় দিবস উপলক্ষে পিকনিক করে।ছোটবেলায় আমরা যারা পিকনিক করতাম তখন নিজেদের বাড়ি থেকেই চাউল, ডাল ,পেঁয়াজ জোগাড় করতাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা করেছি আপু উপভোগ করার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে কিছু সময়ের জন্য ফিরে গিয়েছিলাম ছোট বেলায়।আসলে ছোট বেলায় আমাদের কাছে টাকা না থাকায় আমরা বাড়ি থেকে এমন ভাবে ডিম আরো অনেক কিছু সংগ্রহ করতাম। যাইহোক আপনারা অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক কথা মেয়েরা ডিম দিয়েই তাদের পিকনিক চালিয়ে দিতে পারে।
বিজয় আমাদের গর্ব বিজয় আমাদের অহংকার। বিজয় উল্লাসে আমাদের মন আনন্দিত হয় সারাক্ষণ। বিজয় দিবসের পিকনিকের আয়োজন করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বিজয় দিবসের পিকনিক করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বিষয় দিবসের দিনের এই পিকনিকটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।
বিজয় দিবসের দিনে দেখছি আপনারা অনেক মজা করেছেন। এটা ঠিক কথা বলেছেন সেই ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত আমরা বিজয় দিবসের দিনে বিভিন্ন ধরনের পিকনিক করে আসছি। খুবই ভালো লাগলো আপনাদের এই পিকনিক করার পদ্ধতিটা দেখে।
বিজয় দিবসের দিন পিকনিক করার মজাটাই যেন অন্য রকমের।
অনেক স্মৃতি ময় একটি বিষয় নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে আমারও ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরা ছোটবেলায় ১৬ডিসেম্বর, ২৬শে মার্চ অথবা ২১শে ফেব্রুয়ারি এলেই আমরাও বান্ধবীদের নিয়ে এভাবে পিকনিক করতাম। সেদিনের মজাটা ছিল অন্যরকম।মনে হচ্ছে সেদিন টাই ভালো ছিল। এখন আর সেই পিকনিকগুলো করা হয় না। ধন্যবাদ আপু। আপনাদের পিকনিকের আনন্দটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এই দিনটা আসলে যেন ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
বাহ্ বেশ দারুণ ভাবে পিকনিক খেয়েছেন।আসলে বিজয় দিবস উপলক্ষে পিকনিক খেতে খুবই ভালো লাগে। আমরাও বিজয় দিবস উপলক্ষে পিকনিক খেতে চেয়েছিলাম কিন্তু খেতে পারি নাই। তবে আপনারা সবাই মিলে অনেক মজা করে পিকনিক খেয়েছেন।ছোট বেলা থেকে এই দিনে পিকনিক খান শুনে খুবই ভালো লাগলো।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
চেষ্টা করেছি ভাইয়া অল্পের মাঝে সুন্দর একটা পিকনিকের আয়োজন করতে।
বিজয় মানেই আনন্দ, বিজয় মানেই খুশি,আর আপনারা বিজয়ের উল্লাসে মেনে উঠেছেন পিকনিক এর মতো একটা আনন্দময় সময় অতিবাহিত করে।মেয়েরা মিলে পিকনিক করলে আহা মরি কিছু লাগে না সাদামাটা ভাবেই করা যায়।আর মেয়েদের তো রাত্রির বেলায় পিকনিক করা একদমই সম্ভব নয়।তবে আপনার পিকনিকের সুন্দর মুহুর্ত দেখে আমারও পিকনিক করতে মন চাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এজন্যই তো আমরা এই দিনে সকলে মিলে পিকনিক করতে শুরু করে দিয়েছিলাম।
বিজয় দিবসের দিন শুধু ছেলেরাই নয় মা-বোনদের পিকনিক করতে লক্ষ্য করা যায়। বিজয় দিবসের দিন তোমার মামীকেও দেখলাম আমার বন্ধু মারুফের স্ত্রী ডাকছে কিন্তু নতুন তো তাই তাকে আমি অংশগ্রহণ করতে দেইনি। যাই হোক এই দিনটাকে ঘিরে খুব সুন্দর আয়োজন করেছে দেখছি, ভালো লাগলো আমাদের মাঝে পিকনিকের বিষয়টা তুলে ধরতে দেখে।
পরিবারের সদস্যদের সাথে এই দিনে পিকনিক করার মজাটাই অন্যরকমের।
বাহ চমৎকার আইডিয়া বিজয় দিবসের পিকনিক তাও আপনারা কয়েকজন মিলে মেয়েরা একত্রিত হয়ে করলেন। তবে আপনাদের পিকনিকের আইডিয়া আমার কাছে খুব ভালো লাগলো ।বাড়ি থেকে ডিম এবং মাংস সবকিছু নিলেন সবাই থেকে। এরকম আমরা ছোটকালে করতাম সবকিছু অল্প অল্প করে সবাই থেকে নিয়ে যোগাড় করতাম। আর এইরকম পিকনিক গুলো করতে সবাই কম বেশি অনেক পছন্দ করে। সময়টাও ভালো যায়। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা শুধু এ বছরে নয় ভাইয়া প্রত্যেক বছরেই এই দিনে পিকনিক করে থাকি।